আমান আবদুহু
বাংলাদেশের চুয়ান্ন বছরের ইতিহাসে একজন রাজনীতিবিদও যে কাজ করার সাহস করে উঠতে পারেনাই, হাসনাত আবদুল্লাহ সেই কাজ করেছে। সে ষড়যন্ত্রকারী সেনাবাহিনীর নাম সরাসরি উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য এই সেনাবাহিনীই কাজ করে যাচ্ছে।
জামায়াত বিএনপি ডান বাম সুশীল অসুশীল থেকে শুরু করে এমনকি সম্প্রতি মাহমুদুর রহমান, সবাই সেনাবাহিনীর সামনে নত হতে বাধ্য হয় এবং তারা কেউ কখনো সেনাবাহিনীর নামও উল্লেখ করতে পারে না। কারণ তাদের সবার নানা ভয় আছে। হাসনাত আবদুল্লাহ যে সাহস দেখিয়েছে, তা অনন্য। তার পরিণতি হয়তো ভালো হবে না, পুরা বাংলাদেশের গোলামরা তাদের মালিকের ইশারায় নেমে যেতে পারে, কিন্তু এই ছেলেটার পরিস্কার উচ্চারণ নতুন একটা ইতিহাস রচনা করলো। তা মুছে যাবে না।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হলো পলাশী যুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী সেনাবাহিনী। পলাশীর যুদ্ধে আর্মি চীফ কে ছিলেন? হযরত মীর জাফর আলী খান। সেই থেকে শুরু হলো, ক্যাশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এই অঞ্চলের মানুষদেরকে চিরস্থায়ী গোলামী ও পশ্চাদপদতার জালে আটকে রাখার জন্য শত শত বছর যাবত একটানা কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী হলো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু।
২.
“বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ” জিনিসটা কি?
মুজিবের ছিলো রক্ষীবাহিনী এবং মুজিববাহিনী। হাসিনার ছিলো র্যাব, পুলিশ, সোনাবাহিনী। মুজিব ছিলো চোর, হাসিনাও ছিলো চোর। চোরের বাচ্চা বড় চোর। মুজিব নিজের পরিবারকে দেশের মালিক বানিয়েছিলো। হাসিনাও বানিয়েছিলো। মুজিবের দলভর্তি ছিলো ধর্ষক এবং গুন্ডা। হাসিনারও তাই। মুজিব বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্য বানিয়েছিলো। হাসিনাও।
এখন হাসিনার আওয়ামী লীগের সাথে মুজিবের আওয়ামী লীগের পার্থক্যটা কোথায়?
৩.
মুজিবের কন্যা শেখ রেহানা ওরফে শেখ চুরনি তার সহোদরা ডাইনিকে বলেছিলেন, আপা, তুমিই তো আঠারো কোটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দাও। সুতরাং কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকেও তুমি খাওয়াতে পারবে।
সে দিনগুলো গত হয়ে গেছে। আঠারো কোটি মানুষ এবং ওয়ান পয়েন্ট টু মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীর মুখে আজ কেউ খাবার তুলে দেয় না। সেই দরদী সাইকোটি ভারত পালিয়ে গেছে।
আজ শুনলাম সেই সাইকোর অনুগত আরেক দরদী মাননীয় তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ডয়চে ভেলেকে অডিও সাক্ষাতকারে বলতেছে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মতো শক্তি বাংলাদেশে কারো নাই।
সাইকোর বোন থেকে শুরু করে সাইকোর স্যাঙ্গাৎ, এরা বাংলাদেশের মানুষকে কীট মনে করে। সাইকোর কথা তো বলাবাহুল্য।
বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাজকর্ম দেখলে মাঝে মাঝে মনে হয় এদের এই ধারণা ও আচরণগুলো একেবারে ভিত্তিহীন না। আবার যখন দেখি বাংলাদেশের মানুষরাই সাইকো এবং তার স্যাঙ্গাৎগুলোকে পগার পার করে দিয়েছে, তখন মনে হয় কীট হলে এটা কেমনে সম্ভব? এই দানবদেরকে যারা ঘাড়ানি দিয়েছে, স্বাধীনচেতা মানুষ না হলে তো তারা এই কাজ করতে পারতো না। আবু সাঈদ ও তো বাংলাদেশের মানুষদের একজন। যাদের সম্পর্কে কথা বলার যোগ্যতাও গান্ডু আরাফাতের নাই।