নয়ন আহমেদ
…………….
শিশুদের জন্য উপহার
…………….
ইসরাইল ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য পাঠালো কিছু দামি উপহার।
টেলিভিশন এই সংবাদ প্রচার করছিলো ।
আর আমরা তখন তাদের এই বদান্যতার প্রশংসা করছিলাম!
আর তখনই জানলাম উপহারগুলোর বিবরণ।
ছোটো আকৃতির কিছু চকলেট বোমা
কিছু মটুরশুটির মতো রহস্যময় গুলি
অসাধারণ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র
গুটিকতক সুন্দর পিস্তল
এবং দূরপাল্লার উজ্জ্বল কতিপয় অস্ত্রশস্ত্র।
নিশ্চয়ই এগুলো কোনো উন্নত দেশের তৈরি।
সবাই তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আসছে অনেক কাল আগে থেকেই ।
উপহার পেয়ে শিশুরা আর মা মা করে ডাকছে না!
এই সংবাদে সভ্যতা দিচ্ছে কতো হাততালি!
কী সুন্দর উপহার!
২৬ মার্চ ২০২৫
………….
চোখ
………….
তাবৎ জাইলেম মেখে স্থির আমি —
প্রতনু আশ্বাসে এখন একটু লাল ঢেউ;
নির্বাচিত। অহমে অহমে ফোটে যেসব সকাল—
তার রেণু ছুঁয়ে আসি!
তার তীব্র ছলাকলা নিয়ে একা জেগে আছি—
পুষ্পের কোরকে।
এমন ফুটবো বলে — কথা ছিলো।
পুষ্পদল জানে ।
কিছুটা সে দৃশ্যে ফুটিয়েছে।
আরো কিছু বাকি।
গোপন সংকেতে তার চোখ জেগে আছে।
ওহে, ফুটে আছো জলজ জ্ঞান?
২১ মার্চ ২০২৫
………….
ইদ
………….
এই এক বায়ুপ্রবাহ। অনেক নৈর্ব্যক্তিক ঢেউ!
ডাইনে তোমার বাড়ি।
কয়েক ঝাড় ফুল গাছ। পাশ দিয়ে পথ।
সেমাই-মুখর সকাল।
লম্বা দিন —দীর্ঘ লাফে কিছুটা টানানো…
যতিচিহ্ন এখানে বসে না।
ইদ, এক একবার গাঢ় লাল হয়ে ফোটে।
চাচাতো বোনের মতো রহস্যময়।
২২ মার্চ ২০২৫
অশেষ শুভকামনা।
যাযাকাল্লাহ। খাইরান।