………….
ইহুদীদের কোনো দেশ থাকবে না
জাকির আবু জাফর
………………………
হে ইহুদী রমনীগণ শোনো–
তোমাদের গর্ভে আর কোনো ইহুদীবাদী সন্তান
ধারণের অধিকার নেই,
তোমাদের গর্ভজাত পাষণ্ডদের নৃশংসতা জগতের তাবত হিংস্রতা ও বর্বরতাকে ছাপিয়ে উঠেছে!
একটি জনপদ এখন সভ্যতার গোরস্থান!
কী করে গর্ভে নেবে এমন সন্তান!
কাদের জন্ম দাও, কাদের ধারণ করো সযত্নে! ওরা শুয়রের বাচ্চারও অধম ! ওরা সভ্যতার হানাদার! ওরা মানবজাতির দুশমন!
ওদের বুকের বিবরে হাবিয়া নরক !
ওদের জন্য নিষিদ্ধ করো তোমাদের দুগ্ধদান ।
না, আর কোনো মনুষ্য-হায়না লালনের অঙ্গীকার করো না। তোমরাই বলো– এতো নৃশংসতা! এতো বর্বরতা! এতো বীভৎসতা! দেখা যায়, নাকি সওয়া যায়! কী করে সইবো বলো-
দুগ্ধপোষ্যের খুন পৃথিবীর জঘন্যতম বর্বরতা!
হে মুসলিমজাতি কী করে ঘুমাও
কী করে জোড়া লাগে তোমাদের চোখের পাতা
মুসলমান একে অপরের ভাই নয় কি!
তবুও তোমাদের বিবেক থেকে সরাবে না সাইবেরিয়ান হিম
বর্বর নির্লজ্জ বেহায়া ইহুদিবাদীরা শোনো
একদিন প্রতিটি শিশুর লাশ প্রতিশোধের বুলডোজার হবে!
প্রতিটি শিশুর কান্নার আওয়াজ হবে আণবিক বিস্ফোরণ!
অভিশাপের ঘূর্ণিতে চূর্ণচূর্ণ হবে তোমাদের ছাদ
একদিন তোমাদের পুষ্পদামগুলো মরুভূমি হবে
তোমাদের নহরগুলো রূপ নেবে মরীচিকায় এবং শ্যামল বৃক্ষবন হবে ধূধূ মরুভূ। তোমাদের আরাধ্য জারকা গাছও ব্যর্থ হবে তোমাদের রক্ষায়!
সহসাই আসবে সেই দিন, পাথরও ডেকে বলবে- আমার আড়ালে লুকিয়ে ইহুদি, খুন করো একে!
শোনো ইহুদীরা–
একদিন তোমাদের কোনো দেশ থাকবে না
তোমরা হয়ে উঠবে পৃথিবীর উদ্বাস্তু!
…………
পৃথিবীর শহীদ ভূখণ্ড গাজা
তাজ ইসলাম
………….
শাহাদাতের নগরী গাজা
মজলুমের নগরী গাজা।
একদিন লেখা হবে পৃথিবীর ইতিহাস।
গাজার বর্ণনায় লিপিবদ্ধ হবে
জারজ ইজরায়েলের নিক্ষিপ্ত বোম, রক্ত, ধ্বংসস্তূপ আর নিরপরাধ মানুষের লাশ আর লাশ।
একদিন লেখা হবে ইতিহাস
পৃথিবীতে ছিল ফিলিস্তিন, গাজা শহর।
গাজা হল পৃথিবীর শহীদী নগর।
গাজার শিশু জেনে গেছে
পৃথিবীতে ছিল তার মজলুম নগর গাজা।
গাজার সামনে জালেম ইজরায়েল
আর নিরব দর্শক ছিল গোটা বিশ্ব।
বিশ্বের বুকে ছিল নপুংসক মুসলমান, মোনাফেক মুসলমান, আর অপদার্থ মুসলমান।
আরও ছিল পাথর মানুষ, অনুভূতিহীন কোটি কোটি মানুষের বাচ্চারা।
ধর্মীয় পরিচয়ের অসংখ্য মৃত ডালপালা
সভ্যতার মোড়কের ভিতর মানবতাহীন পানীয়জলের ধারা।
গাজার আকাশে ইজরায়েলের জালেম ড্রোন, সমগ্র পৃথিবীকে চ্যাট দেখানো ইজরায়েলের বোমা, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র।
সমগ্র পৃথিবীর মুখের ভেতর ইজরায়েলের শক্ত গোপনাঙ্গ।
গাজার নিরীহ মানব শিশুদের হত্যা করে যাচ্ছে
আর পৃথিবীর সব শক্তি চুপচাপ চুষছে নেতানিয়াহুর আন্ডারওয়ারের নিচের শক্ত মাংসপিণ্ড।
যেন ইজরায়েল সমগ্র বিশ্ব বিবেককে উচ্চ ভলিওমে বলে যাচ্ছে–
‘ আমরা গাজা ধূলায় মিশিয়ে যাব,
তোরা আমার ধোন চোষ, খানকির পোলারা কথা বললে উড়িয়ে দেব তোদেরও’।
গাজার ঘরবাড়ি ধূলায় মিশছে
কারও কোন কথা নাই
গাজার শিশু রক্তে ভেসে যাচ্ছে
জনতার মস্তক উড়ছে
দ্বিখণ্ডিত দেহ এখানে ওখানে
রক্তই এখন গাজার জমিনের ফোরাতের জল।
চতুর্দিক থেকে আসছে ইজরায়েলের নিক্ষিপ্ত বোমা
আকাশ থেকে পড়ছে বোমা বৃষ্টি।
পৃথিবী চুপচাপ, একদম চুপচাপ।
ইজরায়েলকে হুশিয়ার বলার কোন রাষ্ট্র নাই, কোন রাষ্ট্রনায়ক নাই, কোন রাষ্ট্রসংঘ নাই, কোন জাতি নাই, জাতিসংঘ নাই,
ওআইসি মৃত, মধ্যপ্রাচ্য হাঙ্গা বসে ভাতারের শলাপরামর্শে চলতে অভ্যস্ত। মুসলিম বিশ্ব নপুংসক আর অন্যরা মুসলিম নিধনে আঁতাত সংঘে ঐক্যবদ্ধ।
আশার স্বপ্ন তবু শেষ হয়নি, হবে না।
শহীদেরা রক্তের স্রোতে বুনে গেছে মুক্তির বীজ।
আহতরা, জীবিতরা সেই বীজ পরিচর্যা করতে থাকবে লড়াইয়ে-লড়াইয়ে।
একদিন মুক্তির ভোরে জালেমদের ঘাড় ধরে বের করে দিবে পূণ্য ভূমি থেকে।
মজলুমেরা শাহাদাতে শাহাদাতে মুক্তির মিছিল ত্বরান্বিত করবে।
কোন এক প্রজন্মের হাতে মুক্ত হবে নিজেদের অবরুদ্ধ ভূমি।
বিশ্ব তোমরা নেতানিয়াহুর বাড়া চোষ।
আজকের প্রজন্মের একজন
বেঁচে থাকলেও গাজা মুক্ত হবেই।
এই মাটিই জন্ম দিবে আজাদীর সন্তান।
তারাই মুক্ত করবে পবিত্র ভূমি
তারাই তাড়াবে দখলদার ইজরায়েলী বাহিনী।
……….
প্রশ্ন
সাজ্জাদ বিপ্লব
…………
আজো অন্ধকার আকাশ
কোথাও আলো নেই
বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে
দূরে কি কোথাও ফুল ফুটছে!
না-কি শুধুই মানুষ পুড়ছে,
উড়ছে–
ফিলিস্তিনে?
এপ্রিল ৭, ২৫
আটলান্টা, জর্জিয়া।
প্রশ্ন- সুন্দর।
তাজ ইসলামের কবিতাটি বেশ নাঙ্গা। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
প্রথম কবিতাটিও বেশ মাশা আল্লাহ
তিনটি কবিতায় হৃদয়গ্রাহী।।
প্রতিবাদী।
মানবিক আবেগে পূর্ণ ।