………….
এ দুর্যোগ মুছে দিতে সম্মিলিত এই আহ্বান
তৈমুর খান
………….
মৃত্যুর খবরগুলি আমাদের অন্ধকারে দীর্ঘশ্বাস ফেলে
কোথায় দাঁড়াব তবে?
এই সভ্যতাও এবার ধ্বংস হবে?
মানুষ আজ মানুষ হতে দূরে
প্রহরে প্রহরে মৃত্যুর ঘন্টা বাজে
তবুও রঙিন প্রাণ জাগে ঘরে ঘরে
শপথ নেয় বাঁচার অঙ্গীকারে
স্পর্শহীন স্বপ্নের ভিতরে
কোথাও এক সুখবর তার
নতুন সকালের অপেক্ষা করে।
এসো হে মুগ্ধতা, তবে সচকিত হই
পরিচ্ছন্ন প্রাত্যহিকের আলোকে
নিজেকে আবার পুনর্নির্মাণ করি ;
ছিন্ন সুর বেঁধে নিয়ে দারুণ দুঃসাহসে
দাঁড়াই এই জীবনের প্রগলভ বিশ্বাসে।
ভয়ের সীমানাগুলি ভয়ংকর নয়
বিজ্ঞান সত্যের জয় চেতনা ফিরে পেলে
আবার পলাশ ফোটে আমাদের উৎসবে
আবার গার্হস্থ্য জীবনে প্রদীপ্ত সভ্যতা
সচল হয়, সংগ্রামী এ মনস্বী আত্মার কাছে।
এ দুর্যোগ মুছে দিতে সম্মিলিত এই আহ্বান
দিকে দিকে দিগন্তের পথে উঠেছে আজান
ধৈর্য আর নিষ্ঠার কর্তব্য সমাপন হলে
ফিরে পাব আবার আবার এই নম্র যাপন
স্তব্ধ হবে কালের করাল কণ্ঠের গান।
…………..
নিরবতা
গোলাম রসুল
…………..
সন্ধ্যে হয়েছে
পশ্চিমে দেখো
আকাশে চাঁদ মরে গেছে
নিচে গোরস্থান
একজনও বেঁচে নেই
কে কাকে কবর দেবে
আমি তো এক খোদাই করা মূর্তি
আমার এক ফোঁটা অশ্রু চাঁদ মরে গেছে
আমার অশ্রুর জলবাহক সমুদ্র
আমি সমুদ্রকে বলবো ওখানে জাহাজ ভেড়াও
নিরবতা দেখো
হায়
পৃথিবী প্রায় গোরস্থান
আমি তারকাপুঞ্জকে বলবো জায়নামাজে দাঁড়াও
এবং আমার নিরব মুখমণ্ডল খুঁড়ে কবর দাও সব শেষে পাওয়া মৃতশিশুটি
………….
ক্ষতিগ্রস্ত
জাসমিনা খাতুন
………….
ওষুধ ও আশ্রয়ের অভাব রয়েছে; ধ্বংস হচ্ছে রোজ,
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে,
ধ্বংসস্তূপের প্রাচীরে বসে কাক ডাকছে রোজ।
জন্ম-মৃত্যুর অলীক আয়ু,
ক্ষতর আকাশে ক্ষতিগ্রস্ত; চোখ থেকে নিভে যাচ্ছে রোদ।
ক্ষুধাজমা চোখে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা শুধুই শুরু হচ্ছে,
ভয় আর আতঙ্কে—জীবনের চেয়ে মৃত্যু ভালো, এই তসবি গুনছে রোজ।
কেউ শান্তি পাচ্ছে না।
ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, শক্তি মাটিতে পড়ে,রক্তনহর গড়ছে—তাই দেখে শেয়াল হাঁকছে রোজ।
………….
রামপুরহাট, বীরভূম, ভারত
কবিতাগুলো ভালো লাগলো।