মোশাররফ হোসেন খান
……………..
গাজা–২০২৫
……………..
পৃথিবীর সকল প্রতিবাদীর চোখ এখন গাজার দিকে।
প্রতিবাদের ভাষারা মিসাইল হয়ে ভেসে যাচ্ছে বাতাসে।
প্রতিবাদী হাতগুলো জেট বিমান।
প্রতিবাদী চোখগুলো পরমাণু বোমা।
প্রতিবাদ থেকে প্রতিরোধ!
আসুন, আমরা সম্মিলিত কন্ঠে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠি।
আসুন, আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
আসুন, আমরা ইসরাইলের আতঙ্কে পরিণত হই।
আসুন, আমরা ঘাতকদের নির্মূল করে
মুক্ত-স্বাধীন গাজাসহ ফিলিস্তিনের মাটিতে সটান দাঁড়িয়ে যাই।
কোনো ইহুদীর হাতে আর রক্ত দেখতে চাই না—
না আমার পিতার
না আমার মাতার
না আমার ভাইয়ের
না আমার বোনের
না আমার শিশুর।
আসুন, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মারণাস্ত্র নিয়ে
শিশাঢালা প্রাচীরের মতো আমরা দাঁড়িয়ে যাই
ফিলিস্তিনের সীমানা জুড়ে।
কোনো নরঘাতক যেন আর কখনো
প্রাচীর ভেদ করে ফিলিস্তিনের সীমানায়
প্রবেশ করতে না পারে।
আসুন, আমরা ঘুরে দাঁড়াই।
হয়তো বিজয়,
নয়তো শহীদ!
গাজাসহ গোটা ফিলিস্তিন আমারই হৃৎপিণ্ড।
আল আকসা আমার পাঁজরের অংশ।
যেখানে ইহুদি নামক বন্য বরাহের প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই!
আসুন, আমরা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে রাখি
আমাদের হৃদয়ে
প্রতিক্ষণ!
১২.৪.২০২৫
………………
ফিলিস্তিন আমার, আমারই
……………….
বিশ্বাস করুন, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
আমার ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে আমার শিশু কিশোর সন্তান।
আমার চোখের সামনেই তাদের হত্যা করা হচ্ছে।
বিশ্বাস করুন, বেড়ে যাচ্ছে আমার হৃদস্পন্দন।
আমার মা ,বোন, স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে তারা।
অতঃপর….!
বিশ্বাস করুন, আমার ভাইদের হত্যা
করছে আমার চোখের সামনে।
বিশ্বাস করুন,
বোমার বিস্ফোরণে আমার শিশুরা বিদ্যুৎ বেগে আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে
এবং কীভাবে ডানা কাটা পাখির মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে।
বিশ্বাস করুন,
আমার হৃদয়ের প্রথম কিবলা বায়তুল মাকদিস
কীভাবে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তারা।
তারা কি জানে না—
বায়তুল মাকদিস আমার।
গাজা, রাফাহ সহ গোটা ফিলিস্তিন আমার ।
এই পবিত্র ভূমির মালিক কেবল আমি, আমিই।
ইহুদিরা চাইছে, মানব বংশ নির্মূল করে
ফিলিস্তিনে তাদের মতো শূকরের চারণভূমি তৈরি করতে।
কিন্তু না!
সেটা কখনোই সম্ভব হবে না।
বিশ্বাস করুন,
আমার চোখের অশ্রু আজ দাবানলে পরিণত হয়েছে।
হৃদয় জুড়ে যুদ্ধের হাহাকার।
শাহাদাতের তামান্না নিয়েই তো
মায়ের উদর থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছি।
সুতরাং হে ইহুদি, সাবধান!
তোমাদের পতন অতি আসন্ন। তোমাদের ধ্বংস অনিবার্য।
শূকরের গর্ভাদেশে আশ্রয় নিলেও আর
শেষ রক্ষা হবে না তোমাদের।
হে প্রভু!
বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইহুদিদের নাম- নিশানা মুছে দাও।
ফিলিস্তিন মুক্ত, স্বাধীন এবং
মানব-শত্রু ইহুদি সমূলে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত
মৃত্যু যেন আমাকে স্পর্শ না করে…!
০৮.০৪.২০২৫
………………
জ্বলছে গাজা
……………….
গাজা এখন ইটের পাঁজা জ্বলছে শুধু জ্বলছে
মানুষ নয়, বাতাস কেবল তাদের কথা বলছে।
ধোঁয়ার সাথে উড়ছে শিশু–শিশুর কাটা মাথার খুলি
শূন্যে তুলে দেখায় তাদের–বিশ্বলোকে গাজার ধুলি।
কে দেখে আর এমন চিত্র! মিত্র সবাই বিত্তদের
নিত্য নতুন খুশির খেলায় রাখতে হবে চিত্তদের।
গাজা যখন জ্বলছে শুধু বিশ্ব খুনির ভস্ম-বোমায়
এসব দেখে ঘুমায় যারা বিবেক তাদের রইছে কোমায়।
নিজের চিন্তায় মত্ত সবাই, নিজের থেকে নড়ছে নাতো
ভাবখানা যে ‘আমার ঘাড়ে বোমা-বৃষ্টি পড়ছে নাতো’।
অন্ধ সাজা বন্ধ করো, গাজাবাসীর বাঁচতে দাও
নইলে ভাঙবে তোমার ঘরও, সে খবর কি শুনতে পাও?
৬.৪.২০২৫