গোলাম রসুল
…..………..
আমার নাম সংখ্যালঘু
……………
যে পিতা কসাইয়ের দোকান থেকে কমলালেবুর মাংস কিনে এনেছিলো আমি তার পুত্র
আমার নাম সংখ্যালঘু
কুমারী হাওয়া আমার মা
কয়েকটি মুখ আমাদের পরিবার
জলের কাছে পাঠ করছে আগুনের পুস্তক
ওই যে আমাদের কান্না
বাতাসের পরিবার মেঘে ঢুকে যায়
আর বৃষ্টি নামে
আমাদের বাড়ি আমি মাথায় করে বহন করি
এক কর্ষণের ভেতরে আমি প্রার্থনা করি
আর বিক্রি হয়ে যাই
আমার জন্মের কোনো কবর নেই
আমাদের পাপের বিজ্ঞান
আমরা অতিক্রম করেছি মহাবিশ্ব
আমরা পৃথিবীর অতীত
আমরা ঈশ্বরের অতীত
আমাদের পতনের পর আর কোনো পতন নেই
——————————–
………………..
পাহারা দিচ্ছি শূন্য
……………….
ওরা আমার জন্মভূমি কেড়ে নিলো
ওরা আমার মায়ের করব নিয়ে চলে গেলো
ওরা ইতিহাসকে খুন করলো
আমি হাবাগোবা এক মিনার
পাহারা দিচ্ছি শূন্য
ওরা অনেক কবিতা লিখলো
প্রাতঃস্মরণীর হলো
একটি বিশ্ববিদ্যালয়
যার সমস্তটাই ফাঁপা
একটা নৈঃশব্দ্য যার সঙ্গী
আমি লাঙল নিয়ে এসেছিলাম
প্রথম বীজ খুঁজতে
কিন্তু ওরা ফেলে দিলো আকাশ থেকে শূন্যে
আমি কবিতা লিখি
ওরা কোটা পূরণ করে
আমি জল্লাদের দ্বারা মৃত্যুর উদাহরণ দিই
ওরা আমার প্রিয়তমাকে উপড়ে নিয়েছিলো আমার চোখ থেকে
হায় আকাশ তুমি মহান
আমি বাজপাখির ঠোঁট থেকে ছিনিয়ে নেবো আমার দেশ
আমার স্বপ্ন
এতবড় পৃথিবীতে আমার মতো একা কি কেউ আছো
উত্তরে আদমই বলেছিলো ঈশ্বরের মতো একা আর কেউ নেই
————————-
…………………
আকাশ এখনো কিছু কথা বলবে
………………….
আকাশ এখনো কিছু কথা বলবে
যেগুলো বাদ থেকে গেছে
আমাদের দুজন মহাপুরুষ মরে গেছে মরুভুমিতে
আমি ঈশ্বরকে মেল করলাম আমার মুখমণ্ডল
আমি তোমাদের বোঝাতে পারছিনা তারার আলো এবং মর্মর মূর্তি
চাঁদ জ্ঞলতে জ্বলতে ফুরিয়ে গেছে গোরস্থানে
আমি একটি কবরকে জাগিয়ে রেখেছি মোমবাতির মতো
আলো জ্বলছে
এসো দেখি
পৃথিবীকে জবাই করে ঝোলানো রয়েছে এক শোরুমে
রাষ্ট্রের মাংসের দোকানে অভুতপূর্ব লাইন
ভোর হয়েছে
এসো আমরা সূর্যের ওপর উঠে দাঁড়াই
———————-
কবিতাগুলো। খুব ভালো লাগলো।