পিনাকী ভট্টাচার্য
খুনি হাসিনার দোসর সিপিবি নেতা অধ্যাপক এম এম আকাশ বক্তব্য দিয়েছেন ২৮ জানুয়ারি ২০২৫-এ। আর সেটা পড়ে মুগ্ধ হয়ে অচল মালদের নিয়ে স্বপ্নে বিভোর বিএনপি’র জীর্ণ, বৃদ্ধ নেতারা ‘প্রগতিশীল’ হওয়ার একটা লাইন পেয়েছেন; ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাদের দিকে!
পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে, যখন খুনিদের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা ছিল প্রধান কর্তব্য, তখন নিপীড়নকারীদের দোসর এম এম আকাশদের ভূমিকা ছিল ঘৃণ্য দালালির। ২০১৮ সালের পর থেকে বামপন্থীদের মধ্যে যে যখনই কোন আন্দোলন নিয়ে আগাতে চেয়েছে, তাদেরই বিরুদ্ধে নেমেছে, নিন্দা ও কুৎসা রটিয়েছে অধ্যাপক আকাশ, দিবালোক সিংহ এবং চট্টগ্রাম পোর্ট লুণ্ঠনকারী মাহবুব জামান। সিপিবি’র মধ্যে ফ্যাসিস্ট বিরোধীদের এরা ট্যাগ দিতো ‘এ টু জেড ঐক্যপন্থী’ হিসেবে।
খুনি হাসিনা সরকার ফেলার জন্য এরা বিএনপি-জামাতের সাথে ঐক্য করতে চায়, এই অভিযোগ তুলে সিপিবি’তে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করা হতো।
আর এখন এই এমএম আকাশ সেজেছে বামপন্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রো-বিএনপি তাত্ত্বিক। এখন কাদের সাথে কৌশলগত জোট করতে হবে, এদের সেই সিগন্যাল দিয়েছে ইন্ডিয়ানরা! সাথে সাথে নেমে পড়েছে এজেন্টগুলো।
লেখক মুশতাক আহমেদ নির্যাতিত হয়ে কারাগারে মৃত্যুবরণ করলে, এর প্রতিবাদে ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন নামে ছাত্র ইউনিয়ন, তখন গ্রেফতার হওয়া ছয় নেতাকে বিপথগামী বলে ঘোষণা দেয় সিপিবি। সংগ্রামরতদের ধরে শারীরিক নির্যাতন করে জেলে পুড়তে পুলিশকে উৎসাহ দিয়েছিল দলটির আওয়ামী লীগ পন্থী নেতারা! কতটা নিষ্ঠুর, নির্মম ও বাটপার হলে নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রশক্তিকে লেলিয়ে দিতে পারে।
ফ্যাসিস্টদের এই সহযোগী সিপিবি’র নেতারা তাদের প্রাণাধিক প্রিয় মুজিব তনয়া খুনি হাসিনার পলায়নের নয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আজ স্বপ্ন দেখছে, বিএনপির ঘাড়ে ভর করে রাজনীতির ময়দানে আশ্রয় জুটাবে, আসন্ন পার্লামেন্টের মেম্বার হবে। আর বিএনপিও গণবিরোধী এই সকল পচা মালের ভাগাড়ে পরিণত হতে চাইছে। ইন্ডিয়ার পরামর্শে চোরা পথে হাটতে গিয়ে ইনশাআল্লাহ এভাবেই মহাসড়ক হারাবে বিএনপি।