রক্তিম রাজিব
ক্ষমতারা প্রতিদিনই ছিলে খুবড়ে খায়
চলেন আমরা বশ্যতা স্বীকার করি; স্বীকার করি দুর্বলের– যেন একদিন শক্তিশালী হয়ে জুলুম করতে পারে আমার উপরেই…
অথচ, ক্ষমতারে আমি- ঘৃণাই করি; আপনারা বলেন পালাবদল।
**
যা ভালো মনে করেন করেন
অথচ ভিন্নবুদ্ধির লোকজনকে প্রতিবারই অবজ্ঞা করা হয়। সুরত থেকে শুরু করে সবকিছুতেই–খুঁত ধরাটা জাতীয় অধিকার।
কোনবারের যুদ্ধের আমি–রাজা, রানী, পেয়াদা কিংবা ভ্রমণার্থীও নই। বিচারের আসনে বসে থাকে ঘূর্ণনবাজ কতেক মাত্র জনতা।
কেননা দ্রষ্টব্য ছাড়া মৌলিক কথাও কওয়া যায় না।
**
পা মোড়ানো দুরত্ব
দুরন্তকে বাঁধা দিলে এমনই— সমালোচনায় ভেসে যাবেন…
যদিও একদিন গতিকে বলেছিলাম দাঁড়াতে
অথচ ঘোড়াটি নিজের পা খুলে ফেলল!
প্রাক্তন হলেই কেন সৌন্দর্য তার উপচে পড়ে দেহে?
**
ই-কারে কি খুঁজেন?
লোকমুখে ছড়িয়ে পড়া বিশ্বাসের নাম চক্করবাদ। ফসল ও পরখ করা সখ্যতায় সম্পর্কগুলো আমাদের তর্কালাপেই টিকে থাকে। তবে বিভেদের আগে আমলের ভাবনাটা সুখ্যকর।
এখন যে ভাবের সমাহার নিয়ে বসে আছেন, তাতে পক্ষ কয়টা?
পক্ষগুলো তো যক্ষের মতো— কষ্ট হলেও আগলে রাখেন। বাড়তে দেখলে— দাম হাকান। অথবা আকার হয়ে বসে থেকে জুটিয়ে নিন ভাতার।
**
চোরের উৎখাত মূলত চোরেদের পুনরাখ্যান
ক্ষমতার নির্দিষ্ট একটা চেহারা আছে; তাই আলাদা করে কিছু মুখস্থ করতে হয় না। শুধু আসনে বসে থাকা মাননীয়দের মুখোশের সাথে কিছুটা পরিচয় থাকলেই একটা যুগ কাটিয়ে দেয়া যায়। ঠিকঠাক চেহারাগুলো– অনেকটা চোরের মতন; অন্যান্য চ-বর্গীয়দের মতো এরা কখনই হারিয়ে যায় না। কেবল সাজসজ্জা বদলে যায় কিংবা খসে যায় ফেরাউন। কেবল সুযোগের হাতছানিতে থাকাকেই এখানে সাফল্য বলতে হয়।