আবু জাফর সিকদার
আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় পজিটিভ দিক হলো তারা সর্বস্তরে দালাল ও মোসাহেব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলো। তাদের যেমন ঐতিহ্য রয়েছে আবার বিগত ১৬ বছরে তৈরি করেছে অলিগার্কিএবং লুম্পেন শ্রেণি। এরা আপাতত দলের পক্ষে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বটে, আমার ধারণা এসব সুবিদাবাদী চক্র অচিরেই দলকে ত্যাগ করবে, নিজেদের সম্পদের পাহাড় আগলে চরম নিষ্ক্রিয় ও দল নিরপেক্ষ অথবা অন্য দলে ঢুকে পড়বে! বিএনপি বা অন্য যে দল বা জোট ক্ষমতায় আসুক না কেন তাদের সাথে এদের ৭০/৮০ ভাগ মিশে যাবে। এমন কি এস আলম / বসুন্ধরা/ শিকদার / অরিয়ন/বেক্সিমকো/ সিটি ইত্যাদি টাইকুনরাও কোন না কোন ফরমেটে নতুন সরকারের সাথে মিশে গিয়ে নতুনভাবে তাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করবে। কারণ তাদের একটাই চরিত্র তারা পুঁজির গোলাম, এবং পু়ঁজি তাদের পরস্পরের নিয়ামক। ফেসবুকীয় গুজববাজরাও আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে আসবে, সেখানে যে পু়ঁজি বিনোয়োগ হচ্ছে তাও বন্ধ হয়ে যাবে আগামী একবছরের মধ্যেই! তখন ফসবুক ও ইউটিউবও ‘অল কোয়েট ইন দ্যা ওয়েস্টার্ণ ফ্রন্ট’এর মতো সব শান্ত হয়ে আসবে! হাসিনার রাজনীতি নয় শুধু তার পরবর্তী প্রজন্মের রাজনীতিও গত ৩৬ জুলাই হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে গেছে। সেটা ব্যাক করা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার! এর পর হিসাব হলো অচিরেই পাশের দেশ ‘প্লান-এ ‘ পরিত্যক্ত ঘোষণা করবে! তারাও প্লান-বি, প্লান-সি ইত্যাদি নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠবে নতুনদের নিয়ে তারা অলরেডি সক্রিয় হয়েও গেছেন। !(বিএনপি, জামায়াতের র কানেকশন গুজব বা বাস্তবতা তারই ইংগিত বহন করে)।
ঘোর কাটতে আওয়ামী সমর্থকদের যেমন কিছুটা দেরি হচ্ছে তাদেরও তাই হয়েছিলো, তারাও ভেবেছিলো যেভাবে সব সাজিয়েছিলো ২০৪১ কেন বাদবাকি অনাগত ভবিষ্যতেও তাদেরকে ইস্টার্ন ফ্রন্ট নিয়ে কোন রকম দুর্চিন্তা করতে হবে না, কিন্তু ৩৬ জুলাই তাদের মাথায়ও বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়ে গেছে! তারা হুঁশ ফিরে এখন দম নিচ্ছে এবং নতুনভাবে দাবার চাল সাজাচ্ছে।এবং পতিত হাসিনা রেজিমকেও তারা পরিত্যাগ করে নতুন খেলোয়ারদের দিকে ঝুঁকে পড়তে কোন বিলম্ব করছে না! বিরোধ মনোভাবের জন্য কিছুটা হুছুট খাচ্ছে মাত্র। আলীগের কিছু না খাওয়া কথিত তৃণমূল হয়তো তখনও থেকে যাবে কিছু, ওরা ক্ল্যাসিক সমর্থক শ্রেণি হিসাবে থাকতেই পারেন। কিন্তু তাদের উত্তর প্রজন্ম হাসিনা রেজিমকে যারা দেখেছে তারা কখনোই তাকে ওন করবে না আর!( এটাও আমার নিজের বানানো কথা নয়। জন্মগতভাবে এবং ৬০ বছরের জীবন নিয়ে যিনি আওয়ামী লীগ করে গেছেন পুরো পরিবার যাদের আওয়ামী পরিবার এরকম একজন নিবেদিত ও হতাশ আওয়ামী লীগার এর কথা হলো তার ছেলেরা মুখের উপর বলে দিয়েছেন তারা হাসিনা ও আওয়ামী লীগের লাইবিলিটিস বহন করবে না!) গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবের ইমেজ আর মুজিববাদকে স্বয়ং হাসিনা খেয়ে দিয়েছেন।এতিম মুসলিমলীগ আর আওয়ামীলীগ একই পথে যাত্রা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। তবে বিএনপি, জামায়াত কিংবা এনসিপি এর ব্যর্থতাকে পুঁজি করে তারা আবার মাথা তুলতে পারবে কিনা তা কেবল একটি সম্ভাবনার ক্ষীণ জানালা রয়েছে তবে সেই ছিদ্র দিয়ে তারা দাঁড়াতে পারবে কিনা তা সময় বলে দিবে।
..
৩ মে ২০২৫