spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদপ্রবন্ধশিশুকে বর্ণ চেনানোর বৈজ্ঞানিক শিক্ষণ পদ্ধতি : এক

লিখেছেন : আবু তাহের সরফরাজ

শিশুকে বর্ণ চেনানোর বৈজ্ঞানিক শিক্ষণ পদ্ধতি : এক

আবু তাহের সরফরাজ

শিশুর তিন-চার বছর বয়েস থেকে আমরা তাকে বর্ণমালার বর্ণগুলো চেনাতে শুরু করি। কিন্তু যে পদ্ধতিতে চেনাই সেই পদ্ধতি শিশুর কাছে বিরক্তিকর। প্রথমে আমরা শিশুকে চেনাই স্বরবর্ণ। এরপর ব্যঞ্জনবর্ণ। এই পাঠ শেষ হলে শেখাই বর্ণ সাজিয়ে শব্দ তৈরি। শিশুকে বলি যে, ‘আ’ এ আম। মানে, শিশুর অপরিচিত আ বর্ণকে ভিত্তি করে শিশুর পরিচিত আমকে আমরা আবারও তার কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। শিশুর মনে তখন প্রশ্ন জাগে, ‘আ’ এ আম কেন হবে? আম তো আমই। বর্ণ চেনানোর এই পদ্ধতিকে বলে বর্ণ-অনুক্রমিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বর্ণ চিনতে শিশু খুবই বিরক্ত হয়। সে বুঝতে পারে না, অ আ ক খ কী। আর কেনই বা এসব তাকে চিনতে হচ্ছে। তার তো কতই খেলনা আছে। ফুলপাখি লতাপাতা দিয়েই তো সে নিজের মতো খেলতে পারে। সেসব রেখে কেন তাকে অ আ ক খ বারবার বলতে হবে!
এই চিন্তা থেকে চালু হলো শব্দ-অনুক্রমিক পদ্ধতি। বইতে থাকা আমের ছবি দেখিয়ে শিশুকে জিগেশ করুন, এটা কী? শিশু জবাব দেবে, আম। বইতে আমের ছবির নিচে লেখা আম শব্দটি। এখন, আম শব্দের আ ও ম বর্ণ দুটোর সাথে শিশুকে পরিচয় করিয়ে দিন। দেখবেন যে, শিশু আনন্দের সাথে পরিচিত হচ্ছে। কারণ, শিশুর কাছে বর্ণ দুটো তখন আর অপরিচিত থাকছে না। শিশুর পরিচিত আমকে ভিত্তি করেই তার অপরিচিত আ ও ম বর্ণকে আমরা শিশুর কাছে পরিচিত করে তুলছি। শিক্ষাদানের এই পদ্ধতি হচ্ছে: ছবি → শব্দ → বর্ণ। এই পদ্ধতিতে শব্দের সাথে-সাথে বর্ণের সাথেও শিশুর পরিচয় ঘটতে থাকে। একইসঙ্গে বর্ণ সাজিয়ে কিভাবে শব্দ তৈরি হয়, সেই পদ্ধতিও শিশু শিখতে থাকে।
কিন্তু এই পদ্ধতিতেও যথেষ্ট আনন্দ নিয়ে সহজ উপায়ে শিশু বর্ণ চিনতে পারে না। ফলে চালু হলো বাক্য-অনুক্রমিক পদ্ধতি। শিক্ষাদানের এই পদ্ধতি হচ্ছে: ছবি → বাক্য → শব্দ → বর্ণ। বৈজ্ঞানিক শিক্ষণ পদ্ধতির অগ্রগতির ফলে এখন আমরা জানি যে, শিশুর ভাষা শেখার প্রকৃতিগত যে পদ্ধতি সেই পদ্ধতি বর্ণ-অনুক্রমিক নয়, বাক্য-অনুক্রমিক। মানে, বাক্য থেকে শব্দ এবং শব্দ থেকে বর্ণ। এই শিক্ষণ পদ্ধতি ধারা হচ্ছে: শোনা, বলা, পড়া ও লেখা। এই পদ্ধতির প্রথমেই থাকবে ছবি। ছবির বিষয়কে কেন্দ্র করে থাকবে বাক্য। আমরা জানি, শিশুদের পরিচিতির জগৎ খুবই সীমিত। নির্দিষ্ট কয়েকটি জিনিস ও শব্দের সাথেই ঘুরেফিরে তাদের পরিচয় ও সখ্য। আর তাই, যেসব জিনিস শিশুর কাছে পরিচিত সেসব জিনিসের ছবি রাখতে হবে বইতে। এরপর জিনিসের নাম হিসেবে শব্দ। এসব শব্দ এবং যেসব শব্দের মানে শিশুর জানা আছে সেসব শব্দ দিয়ে তৈরি হবে বাক্য। প্রতি পাতায় যেসব শব্দ রয়েছে সেসব শব্দ যেসব বর্ণ দিয়ে তৈরি সেসব বর্ণ পাতার নিচে বাকসোর ভেতর থাকবে।
আমের ছবি দেখিয়ে জিগেশ করুন, এটা কিসের ছবি? শিশু বলবে, আম। যে ছবির নাম শিশু বলতে পারবে না সেই নাম তাকে বলে দিতে হবে। আপনার বলার পর শিশুর মনে হবে, ‘আরে, এই নাম তো আমি জানিই! কিন্তু বলতে পারছিলাম না।’ বড়দের বেলাতেও নানা সময়ে এই রকম হয়। মনে আসে কিন্তু মুখে আসে না। এরপর আপনি বাক্যের শব্দগুলোর নিচে আঙুল রেখে বলুন, ‘আম আন, আন আম।’ আপনার সাথে-সাথে শিশুও বলবে, ‘আম আন, আন আম।’ যখন যে শব্দটি পড়বেন তখন সেই সেই শব্দের নিচে আঙুল রাখবেন। আপনার পড়ার পর বাক্যের প্রতিটি শব্দের নিচে আঙুল রেখে শিশু পড়বে, ‘আম আন, আন আম।’ যখন যে শব্দ পড়বে তখন সেই শব্দের নিচে শিশুর আঙুল থাকবে। এই পদ্ধতিতে ছন্দের আনন্দে দুলতে দুলতে শিশু বর্ণমালার বর্ণগুলো চিনতে পারবে। তার কাছে মনেই হবে যে, তাকে কিছু শেখানো হচ্ছে। বরং গোটা পদ্ধতিই তার কাছে এক ধরনের খেলা মনে হবে। শিশুরা সাধারণত একা-একা বেশিক্ষণ খেলতে পছন্দ করে না। খেলার কোনো সাথি পেলে দীর্ঘসময় তারা খেলায় মেতে থাকে। তাই শিশুকে বর্ণমালা শেখানোর খেলায় যিনি সাথি হবেন তাকে হতে হবে হাসিখুশি। কোনো বিষয়ে তিনি শিশুর ওপর জোর করবেন না। শিশু যখন আর পড়া-পড়া খেলতে চাইবে না তখন খেলা ভেঙে দিতে হবে।
এই খেলা পাতার পর পাতা চালিয়ে যাবেন। এরপর আগের একটি পাতা শিশুর সামনে খুলে রেখে ওই পাতার একটি বাক্য বলবেন। এরপর জিগেশ করবেন, ‘দেখাও তো এটা কোথায় লেখা আছে?’ শিশু যদি দেখাতে পারে তাহলে বাক্যটি কয়েকবার তাকে পড়ান। এরপর আরেক পাতায় গিয়ে আরেকটি বাক্য বলে একই কথা জিগেশ করুন। শিশু দেখাতে পারলে বাক্যটি কয়েকবার তাকে পড়ান। এইভাবে সকল পাতার সকল বাক্য শিশু যখন দেখিয়ে দিতে পারবে তখন বুঝবেন, এবার শব্দ খোঁজার পালা। এই পর্বে বাক্যের ভেতর থেকে নির্দিষ্ট বর্ণ দিয়ে তৈরি শব্দ শিশুকে খুঁজে বের করতে বলুন। ধরা যাক, আপনি উচ্চারণ করলেন ‘আম আন’ বাক্যটি। এবার শিশুকে জিগেশ করুন, ‘দেখাও তো এখানে আম কোথায় লেখা আছে?’ আম শব্দটি শিশু খুঁজে বের করতে পারলে শব্দটি তাকে কয়েকবার পড়ান। এবার পরের বাক্য থেকে নির্দিষ্ট বর্ণের আরেকটি শব্দ তাকে দেখাতে বলুন। দেখাতে পারলে শব্দটি তাকে কয়েকবার পড়ান। এই পদ্ধতিতে পাতার পর পাতা এগিয়ে যেতে হবে।
এইভাবে সকল পাতার সকল শব্দ শিশু যখন দেখাতে ও উচ্চারণ করতে পারবে তখন বুঝবেন, এবার বর্ণ খোঁজার পালা। বইয়ের পাতার নিচে বাকসে থাকা যে বর্ণ দিয়ে শব্দ তৈরি সেই শব্দের ভেতর থেকে ওই বর্ণটি শিশুকে খুঁজে বের করতে বলুন। ধরা যাক, আম শব্দের আ বর্ণের নিচে আঙুল রেখে আপনি বললেন, ‘এটা আ বর্ণ। চলো তো, এখানে কোথায় কোথায় আ বর্ণ আছে আমরা খুঁজে বের করি।’ এরপর বাকসের আ বর্ণটি দেখিয়ে বলবেন, ‘এই দেখো, এখানে বড় কোরে লেখা আ বর্ণ।’ শিশু জিগেশ করবে, ‘বর্ণ কী?’ জবাব দেবেন, ছবির সাথে বইতে যেসব দাগ দেখছো সেসব দাগকে বর্ণ বলে। একেকটা দাগ একেক রকম। তাই প্রত্যেকটি বর্ণ দেখতে আলাদা আলাদা। আম লেখায় দুটো বর্ণ রয়েছে। আ বর্ণ ও ম বর্ণ। আ বর্ণ দেখতে ম বর্ণের মতো নয়। আবার, ম বর্ণ দেখতে আ বর্ণের মতো নয়।’ এরপর বইয়ের কোথায় কোথায় আ বর্ণ রয়েছে, শিশুকে সেটা খুঁজে বের করতে বলুন। শিশু যদি তা পারে তাহলে পোস্টার কিংবা খবরের কাগজের শিরোনাম থেকে তাকে আ বর্ণ খুঁজে বের করতে বলুন। শিশু খুঁজে বের করতে পারলে বুঝবেন, আ বর্ণের সাথে তার পরিচয় হয়ে গেছে। যে কয়টি আ বর্ণ শিশু খুঁজে বের করতে পারবে সেই কয়টি বর্ণের নিচে শিশুকে দাগ টানতে বলুন। এরপর শিশুকে বলুন, ‘মোট কয়টি আ বর্ণ তুমি খুঁজে বের করতে পেরেছো, সেগুলো এবার আমরা গুণবো।’ শিশুকে সাথে নিয়ে গোণার কাজটি করুন। শিশুর কাছে এই পদ্ধতি এক ধরনের খেলা। এই খেলায় সাথি হতে পেরে শিশুর ভেতর আনন্দের ঢেউ বয়ে যাবে। আর আনন্দের সাথেই শিশু ১, ২, ৩, ৪… গুণতে শিখবে।
বর্ণ চেনার বাক্য-অনুক্রমিক পদ্ধতিতে বর্ণগুলো বর্ণ-অনুক্রমিক থাকেনি। সেটা থাকা শিশুর কাছে জরুরিও নয়। জরুরি হচ্ছে, বর্ণমালার বর্ণগুলো চিনে নেয়া। বাংলা বর্ণগুলোকে একটি ছকে সাজিয়ে সুশৃঙ্খল রূপ দিয়েছেন ভাষাবিজ্ঞানীরা। সেই ছককে আমরা বলি, বর্ণমালা। এই ছক ঠিকঠাক রেখেই যে বর্ণ শিখতে হবে, তার কোনো মানে নেই। বর্ণগুলোর সাথে চেনাজানা হয়ে গেলে শিশুকে শেখাতে হবে কিভাবে বর্ণগুলো লিখতে হয়, সেই কৌশল। এরপর বর্ণ-অনুক্রমিক বর্ণমালার পাঠ শিশুকে শেখাতে হবে।
বর্ণ উচ্চারণে খেয়াল রাখতে হবে উচ্চাণের জটিলতায় শিশু যেন বিরক্ত না-হয়। আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, সরে অ সরে আ। এটা ভুল। অ-কে অ বলুন, আ-কে আ বলুন। হ্রস্ব ই দীর্ঘ ঈ কিংবা হ্রস্ব উ দীর্ঘ ঊ না-বলে উচ্চারণ করুন ই, ঈ (ইই), উ, ঊ (উউ)। মানে, হ্রস্ব ই উচ্চারণের সময় অল্প। তাই হ্রস্ব ই উচ্চারণে অল্প সময় নিতে হবে। দীর্ঘ ঈ উচ্চারণের সময় হ্রস্ব ই উচ্চারণের সময় থেকে দীর্ঘ। তাই, দুটো হ্রস্ব ই উচ্চারণে যে সময় লাগে সেই সময় নিয়ে দীর্ঘ ঈ উচ্চারণ করুন। হ্রস্ব উ এবং দীর্ঘ ঊ উচ্চারণের বেলাতেই একই কথা। শিশুর পক্ষে উচ্চারণ করা কঠিন এমন বর্ণগুলো হচ্ছে: বর্গীয় জ, অন্তঃস্থ য, মূর্ধন্য ণ, দন্ত ন, ব-এ শূন্য র, তালব্য শ, মূর্ধন্য ষ, দন্ত স, ড-এ শূন্য ড়, ঢ-এ শূন্য ঢ় এবং অন্তঃস্থ য়। শিশুকে বর্ণগুলো উচ্চারণের ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি আমাদের সামনে রয়েছে। ১. উচ্চারণের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বর্ণ উচ্চারণ করা। বর্গীয়, অন্তঃস্থ কিংবা মূর্ধন্য উচ্চারণ না করা। যেমন: বর্গীয় জ অন্তঃস্থ য না-বলে উচ্চারণের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বর্ণ দুটি উচ্চারণ করুন। জিভ ও ওপরের দাঁতের গোড়ার স্পর্শ থেকে জ উচ্চারণ করুন। জিভের মাঝের অংশ ও তালুর সংযোগ থেকে য উচ্চারণ করুন। দুটি বর্ণের মধ্যে উচ্চারণের পার্থক্য শিশুকে বুঝিয়ে বলুন। তাহলে উচ্চারণের পার্থক্য অনুসরণ করে শিশু জ ও য বর্ণ দুটির ভেতর পার্থক্য বুঝতে পারবে। ২. শিশুর পক্ষে উচ্চারণ করা কঠিন হলেও অল্প-অল্প কোরে অন্তঃস্থ য, মূর্ধন্য ণ, তালব্য শ এইভাবে বর্ণগুলো শিশুকে উচ্চারণ করানো। এই চর্চা কয়েক দিন চলার পর শিশুর উচ্চারণের জড়তা কেটে যাবে। যেটা যুগ-যুগ ধরে চলে আসছে।
ষ, স, ং, ঢ়, ৎ এবং ণ বর্ণ ছয়টি বাংলা ভাষায় জটিলতা তৈরি করা ছাড়া আর কোনো ভূমিকা পালন করে না। সংস্কৃত ও তৎসম শব্দ থেকে ণ বর্ণযুক্ত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে, সেসব শব্দ অবিকৃতভাবে লিখতেই বাংলা ভাষায় ণ বর্ণটি ব্যবহৃত হয়। অথচ ওইসব শব্দে ণ বর্ণের জায়গায় ন বর্ণটি লিখলে কোনোই সমস্যা হয় না। শুধু শুধু ণ বর্ণটির বোঝা বইতে হচ্ছে বাংলা ভাষাকে। যেসব তৎসম শব্দে ষ রয়েছে তা বাংলায় অবিকৃত আছে। কেবলমাত্র তৎসম শব্দের জন্যে বাংলা ভাষায় বাড়তি একটি বর্ণ ষ সংযোজন করা হয়েছে। অথচ শ বর্ণটি দিয়ে তৎসম শব্দগুলো লিখলে ষ বর্ণের দরকার পড়ত না। এছাড়া স বর্ণটিও বাংলা ভাষার বাড়তি একটি বর্ণ। শ ও ছ বর্ণ দুটোর যে কোনো একটি স বর্ণের জায়গায় বসালে সমস্যা হয় না। কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাকের মতে, ঙ বর্ণকে সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে ং বর্ণের সৃষ্টি। ঙ বর্ণকে সংক্ষিপ্ত কেন করতে হবে? ঙ বর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের কার যুক্ত থাকলে ঙ বর্ণের জায়গায় ং বর্ণ বসানো যায় না। আবার, ঙ বর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের কার যুক্ত না থাকলে ঙ ও ং বর্ণ দুটোর উচ্চারণ অভিন্ন। তাহলে ং বর্ণটি কি বাংলা ভাষায় বাড়তি নয়? একই কথা ঢ় বর্ণের বেলাতেও। ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগর বর্ণপরিচয় বইতে ঢ বর্ণের নিচে বিন্দু বসিয়ে ঢ় বর্ণটি প্রবর্তন করেন। সংস্কৃত ও আর্যভাষাগুলোতে ঢ বর্ণের উচ্চারণ অবস্থাভেদে কখনো কখনো ঢ় বর্ণের মতো উচ্চারিত হতো। আর তাই, ঢ ও ঢ় বর্ণদুটির পার্থক্য বোঝাতে বাংলা ভাষায় ঈশ্বরচন্দ্র ঢ় বর্ণটি প্রবর্তন করেন। আমার কথা হচ্ছে, বাংলা ভাষায় তো ঢ বর্ণের উচ্চারণ ঢ় বর্ণের মতো উচ্চারিত হয় না। তাহলে কেন বাড়তি ঢ় বর্ণের সংযোজন? র ও ড় বর্ণদুটি দিয়েই তো শব্দ লেখার কাজ সহজ হয়। রাঢ়, আষাঢ়, গাঢ়, গূঢ়, দৃঢ়, রূঢ়, মূঢ়, বিমূঢ় ও প্রৌঢ় শব্দগুলোয় র কিংবা ড় বর্ণের যে কোনো একটি ব্যবহার করলে অসুবিধা কোথায়? আরেকটি বাড়তি বর্ণ ৎ। যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে সেসব শব্দে ৎ বর্ণটি ব্যবহৃত হয়। যেমন: ঈষৎ, জগৎ, মহৎ। ৎ ব্যবহৃত হওয়ার কারণ, তারা যে সংস্কৃত শব্দ এই পরিচয়টা ধরে রাখা। অথচ ত বর্ণটি দিয়েও ওইসব শব্দ লেখা যায়। অনেক বিদেশি ভাষার শব্দ ধারণ করে বাংলা এখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত পরিপূর্ণ একটি ভাষা। আর তাই, জটিলতামুক্ত বাংলা বর্ণমালা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম on শিপা, আমি তোমার বয়ফ্রেন্ড হতে পারিনি
কাজী জহিরুল ইসলাম on কাজী জহিরুল ইসলাম এর কবিতা
এড. শাহানারা স্বপ্না on লেট ফ্যাসিজম