রেজা তানভীর
বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের বার্ধক্য এবং দল পরিচালনা নিয়ে অসন্তোষের কারণে তৎকালীন বিএনপির একাংশ বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আনার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু রাজনীতির প্রতি খালেদা জিয়ার তেমন কোন আগ্রহ ছিল না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এর কয়েকটি কারণ ছিল। প্রথমত; জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড তাঁর মনে গভীর দাগ কেটেছিল এবং তিনি মানসিকভাবে সে ধকল কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না।
দ্বিতীয়ত; খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে পরিবারের দিক থেকে তেমন কোন উৎসাহ ছিল না।
তাছাড়া রাজনৈতিক ভাগ্য তাকে কোথায় টেনে নিয়ে যায় সেটি নিয়েও হতো খালেদা জিয়ার মনে চিন্তা ছিল।
খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ ‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরি’ বই লিখেছেন।
বেঁচে থাকা অবস্থায় তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “জিয়াউর রহমানের আকস্মিক হত্যাকাণ্ড তাঁর মনের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল। তিনি হয়তো ভাবতে শুরু করেছিলেন যে রাজনীতি হয়তো মানুষকে এ ধরনের করুন পরিণতির দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। রাজনীতির কঠিন পদযাত্রা সামলাতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েও তাঁর মনে প্রশ্ন ছিল। তাছাড়া পারিবারিকভাবে তাঁর পিতা মেয়ের রাজনীতির ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না।”
সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ ২০১৯ সালের শুরুর দিকে আরো বলেন, ”খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আকবর হোসেন, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম শিশু এবং একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।”
এছাড়া নজরুল ইসলাম খান এবং জমির উদ্দিন সরকারের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে উল্লেখ করেন মাহফুজউল্লাহ।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার বিষয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদের মনে ভয় ছিল বলে উল্লেখ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কারণ মি. এরশাদ যেহেতু ক্ষমতা দখলের দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ভাবছিলেন যে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসলে পরিস্থিতি সামলানো তাঁর জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
১৯৮৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি একটি সাতদলীয় জোট গঠন করে এবং জেনারেল এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম শুরু করে। খালেদা জিয়া ৯ বছরব্যাপী আন্দোলনে এরশাদের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকারের সাথে আপস করেননি। অন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতা করলেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি কোনো সমঝোতায় যায়নি। তাই তখন তার নাম হয় আপসহীন নেত্রী। খালেদা জিয়া তার নীতিতে অবিচল থাকেন।
এরশাদ সরকার তখন বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞামূলক আইন প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার গতিবিধি সীমাবদ্ধ রাখে। এতে খালেদা জিয়া দমে যান না। এরশাদ সরকার উৎখাত আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে যেতে থাকেন। অপর দিকে আওয়ামী লীগসহ অন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতায় জেনারেল এরশাদ তার শাসনকে একটি বেসামরিক ও গণতান্ত্রিক চেহারা দেয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। এরশাদ বিভিন্ন নির্বাচনের আয়োজন করেন। কিন্তু তার শাসনামলে সব নির্বাচন খালেদা বয়কট করেন। এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে খালেদা জিয়া তিনবার গ্রেফতার হন। এতে এরশাদের লাভ হয় না।
খালেদা জিয়ার দাবির যথার্থতা ক্রমেই মানুষ বুঝতে থাকে। শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বুঝতে পারে এরশাদ সরকারের সাথে নৈকট্যের দরুন তাদের জনবিচ্ছিন্নতা বাড়ছে। ফলে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগও বাধ্য হয় এরশাদ হঠাও আন্দোলনে যোগ দিতে। দেশব্যাপী তুমুল বিক্ষোভের মুখে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০-এ জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
তিন দফায় সরকার গঠন করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেগুলো এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা ও ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ এসবের মধ্যে অন্যতম। খালেদা জিয়ার সরকার রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনায় ৬০টি সংসদীয় কমিটি গঠন করেন, যাতে বিরোধীদলীয় সাংসদদেরকে গুরুত্ব সহকারে অবস্থান দেয়া হয়।
শিক্ষাখাতে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন এবং মেয়েদের জন্য দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়াশুনার ব্যবস্থা করা তার সরকারের অন্যতম অবদান। তার সরকারের আমলেই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন তার সরকারের আমলেই গৃহীত হয়। তিনি জিয়াউর রহমানের অর্থনীতির অনুসরণ করে প্রাইভেটাইজেশনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানের হার ৫৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নিয়ে আসেন। ব্যবসায় সহজ করার লক্ষ্যে ২৭ ধরণের শুল্ক হ্রাস করে ৭ ধরণের আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করেন। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা করেন। দেশের ভূ-ভাগের খনিজ সম্পদকে কাজে লাগাতে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনি ও মধ্যপাড়ার শ্বেত পাথরের খনি থেকে উত্তোলন কার্যক্রমের সূচনা তার সরকারের আমলেই করা হয়। এছাড়াও ভোলা, বঙ্গোপসাগর ও দিনাজপুরে তার শাসনকালে নতুন প্রাকৃতিক গ্যাসের খনির সন্ধান পাওয়া যায়।
বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে নারীদের আত্মনির্ভরশীল রূপে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। আত্ম-কর্মসংস্থান কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সহজ শর্তে ঋণসেবা সহায়তায় তিনি আনসার-ভিডিপি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাস্থ্যখাতে সমস্যা ও সংকট নিরসনে তার সরকারসমূহের কার্যক্রম সুবিদিত। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং জেলা কমপ্লেক্সকে ১০০ থেকে ২৫০ এবং ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের জন্য তার সরকার সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশে টেলিকমিউনিকেশন খাতে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার সময়েই সেলুলার ফোন ও আইএসডি ফোনের সূচনা হয়; অন্তত তিন লক্ষ টেলিফোন সংযোগ চালু করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার ৩৩০টি উপজেলাকে বিদ্যুতায়নের আওতায় নিয়ে আসে। উপকুলীয় এলাকাগুলোতে এক হাজারেরও বেশি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেন। ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার প্রবল গুরুত্ব দেয়। তার সরকারের আমলে এদেশে অসংখ্য মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ ও অন্যান্য উপাসনালয় নির্মাণে সরকারি তহবিল থেকে অনুদান প্রদান করা হয়। ঢাকার আশকোনায় হজ্ব যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি স্থায়ী হাজী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়াও তাবলীগ জামাতের বৃহৎ সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে অতিরিক্ত ৩০০ একর জমির বন্দোবস্ত করে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার।
এক-এগারো সময়ের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা গতি পায় ২০১৪ সাল থেকে। যখন ক্ষমতায় আজকের পতিত আওয়ামী লীগ সরকার।
এর জেরে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেয়া রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান। উচ্চ আদালতে সেই সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। যাকে কেবলই শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী দল ও সেই দলের প্রধান নেতৃত্বকে কলুষিত করা— এই সার্বিক ব্যাপারটা ঘটেছিল শেখ হাসিনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে। তার স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রেক্ষাপটেই একটি রায় দাঁড় করানো হয়েছিল।
আইন-আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে, রায় ঘোষণার দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া। ৭ বছর আগের এই দিনে সাজা ঘোষণার পর দ্বিতীয়বারের মত কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের নির্জন সেই কারাগারের একমাত্র কয়েদি হিসেবে ছিলেন খালেদা জিয়া।
পরবর্তীতে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবি নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও ছিল একইরকম শর্ত। কিন্তু কোনোভাবেই দেশ, নেতাকর্মী ও জনগণকে ছেড়ে যেতে রাজি হননি বিএনপি চেয়ারপারসন।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার কারাবরণ, এটি খালেদা জিয়ার আপসহীন ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই যে তিনি জেনেশুনে আপসহীন ছিলেন, এটা এরশাদ আমল থেকেই শুরু হয়েছে, যা এখন প্রমাণিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশি-বিদেশি একাধিক মারফতে বিভিন্ন প্রস্তাবও এসেছিল। রাজনীতি ছেড়ে দিলে বা বিদেশে চলে গেলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে না। তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছিল মিথ্যা-বানোয়াট মামলায়। তাকে শাস্তি দিলেও তিনি মাথানত করবেন না বলে সেসময় মন্তব্য করেছিলেন খালেদা জিয়া, এমনটাই জানান বিএনপির এ সিনিয়র নেতা।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলবন্দি করতে পারা ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে অন্তরীণ করা। তাকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার পাঁয়তারা ছিল এটি।’
কোভিড মহামারি চলাকালীন ২০২১ সালের ২৫ মার্চ, ৩ বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর নির্বাহী আদেশে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতাল থেকে বাসা আর বাসা থেকে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই কেটেছে প্রায় চার বছর।
২০২৪ এর আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের শুরুর দিনই খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ছয় বছরের বন্দি জীবনের অবসান ঘটে। ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা পূর্ণাঙ্গভাবে বাতিল হয়। এরপর আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
৬ ই আগস্ট ২০২৪, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ছয় বছর পর প্রকাশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার কণ্ঠ শুনতে পায় । সেদিন তিনি বিছানায় বসে ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন,
“দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের বীর সন্তানদের, যাঁরা মরণপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। শত শত শহিদকে জানাই শ্রদ্ধা। এ বিজয় আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিনের নজিরবিহীন দুর্নীতি, গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে আমাদের নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ছাত্র–তরুণেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তরুণেরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধা, যোগ্যতা ও জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। শোষণহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে। সব ধর্ম–গোত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শান্তি, প্রগতি, সাম্যের ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে আসুন, আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি। ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা, শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি।”
তথ্যসূত্র:
১. খালেদা জিয়া: গৃহবধু থেকে যেভাবে রাজনীতিতে উত্থান হয়েছিল, বিবিসি বাংলা, ১০ ই মে, ২০২২।
২. বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম – শফিক রেহমান
৩.বেগম খালেদা জিয়া মানচিত্রে মিশে থাকা নাম – অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
৪. দেশত্যাগ নয়, আপসহীনতায় খালেদা জিয়া বেছে নিয়েছিলেন কারাগার – যমুনা টিভি – ৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৫. ৬ বছর পর দলের সমাবেশে বক্তব্য দিলেন খালেদা জিয়া, ঢাকা ট্রিবিউন, ০৭ আগস্ট ২০২৪
6.