spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদপ্রবন্ধশিশুকে বর্ণ লেখা শেখানোর বৈজ্ঞানিক শিক্ষণ পদ্ধতি : ২য় পর্ব

লিখেছেন : আবু তাহের সরফরাজ

শিশুকে বর্ণ লেখা শেখানোর বৈজ্ঞানিক শিক্ষণ পদ্ধতি : ২য় পর্ব

আবু তাহের সরফরাজ

শিশুকে বর্ণ লেখা শেখানোর ক্ষেত্রে চক ও শ্লেটের ভূমিকা খুবই কার্যকর। আর কোনো মাধ্যমে যা সম্ভব নয়। চক দিয়ে শ্লেটের ওপর লেখার সময় ঘর্ষণজনিত বাধার বিরুদ্ধে বল খাটাতে হয়। বল খাটাতে গিয়ে শিশু সহজে ও দ্রুত জেনে যায়, রেখা কখন কোন দিকে বাঁক নিচ্ছে। লেখার সময় খসখস শব্দ হয়। এই শব্দ শুনে শিশুর মনোযোগ আশপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে লেখার দিকে একীভূত হয়। লেখার সময় শিশু একদিকে বল খাটাচ্ছে আরেকদিকে খসখস শব্দ শুনতে পাচ্ছে। এই দুই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশু সহজে ও দ্রæততম সময়ের মধ্যে বর্ণ লেখার কৌশল আয়ত্ব করতে পারে। চক ও শ্লেটের আরেকটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, বর্ণের আকৃতি বড় হয়। যেসব দাগ শিশু শ্লেটে আঁকলো সেসব দাগ দিয়ে তৈরি বর্ণকে বড় আকৃতিতে দেখতে পেয়ে শিশুর আনন্দ হয়। নিজের সৃষ্টিকে চোখের সামনে দেখতে পারার এই আনন্দ মানুষের স্বভাবজাত। এছাড়া ছোট জিনিসের চেয়ে বড় জিনিস শিশুর কাছে বেশি চমকপ্রদ। চক ও শ্লেটে লিখতে গিয়ে বারবার শিশুকে কাপড় কিংবা ডাস্টার দিয়ে শ্লেট পরিষ্কার করতে হয়। এই কাজটি বড়দের কাছে বিরক্তিকর হলেও শিশুদের কাছে আনন্দের। কারণ, বর্ণ লেখার বিষয়টি তাদের কাছে এক ধরনের খেলা। খেলা যে, এই বিষয়টি শিশুর কাছে নিশ্চিত করতে হবে অভিভাবকদের। প্রচলিত যে পদ্ধতিতে শিশুকে বর্ণ লেখা শেখানো হয় সেই পদ্ধতি শিশুর কাছে বিরক্তিকর। যা বিরক্তিকর তা করতে শিশুর ভালো লাগে না। কিন্তু যে-কোনো খেলাই শিশু আনন্দ নিয়ে খেলে। আর তাই, বর্ণ লেখানোর কাজটি শিশুর কাছে যেন খেলা হয়ে ওঠে সেদিকে অভিভাবকদের স্নেহের দৃষ্টি রাখতে হবে।
বর্তমানে চক পাওয়া গেলেও শ্লেট দুষ্প্রাপ্য। নানা ঢঙের ম্যাজিক শ্লেটে আমরা এখন শিশুদের বর্ণ লেখানোর অভ্যাস করাই। এসব শ্লেট মসৃণ, খসখসে নয়। যে কলম দিয়ে শ্লেটে দাগ টানা হয় সেই দাগ চিকন ও অস্পষ্ট, চকের মতো ভরাট ও স্পষ্ট নয়। ম্যাজিক শ্লেটে দাগ টানার সময় ঘর্ষণজনিত বাধার বিরুদ্ধে বল খাটাতে হয় না বলে বর্ণের আকৃতি বেঁকে যায়। খসখসে শ্লেটে চক দিয়ে বর্ণ লেখার সময় রেখার গতিপথ হাতের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, শিশুরা সহজে রেখা আঁকতে ও রেখার বাঁক ইচ্ছেমতো ঘোরাতে পারে। ম্যাজিক শ্লেটে দাগ টানার সময় রেখার গতিপথ হাতের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে শিশুরা সহজে রেখা আঁকতে ও রেখার বাঁক ঘোরাতে পারে না। শিশুকে বর্ণ লেখা শেখানোর জন্য বাজারে বর্ণ লেখার বই কিনতে পাওয়া যায়। এসব বইয়ে বর্ণ-অনুক্রমিক স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ ওপর থেকে নিচে দেয়া থাকে। প্রতি সারিতে থাকে একটি বর্ণ। বর্ণের ওপর কলম দিয়ে শিশুকে হাত ঘোরাতে হয়। এভাবেই তাকে শিখতে বাধ্য করা হয় বর্ণমালা। এই পদ্ধতির মারাত্মক প্রভাব পড়ছে আমাদের শিশুদের ওপর। বড় মানুষকে যদি কোনো কাজে বাধ্য করা হয় তাহলে তার প্রতিক্রিয়া কী রকম হয়, আমরা জানি। যে শিশুর কাছে জগতের সকল কিছুই আনন্দময় ও খেলার উপকরণ সেই শিশুকে আমরা কোনো একটি কাজ বারবার করতে বাধ্য করছি। অথচ কাজ কী, শিশুটি তা-ই জানে না। এই অবস্থায় শিশুমনে পড়ালেখার প্রতি প্রচগু বিতৃষ্ণা জন্ম নেয়। সে বুঝতে পারে না, কেন তাকে এসব লেখানো হচ্ছে। শিশু খেলতে চায়। কিন্তু তাকে খেলতে না-দিয়ে বাবা-মা তাকে বারবার কীসব দাগের ওপর কলম দিয়ে হাত ঘোরাতে বলছে। বর্ণের ওপর এভাবে হাত ঘুরিয়েও শিশুর যে খুব লাভ হয়, তা কিন্তু নয়। এই কাজে শিশু যন্ত্রের মতো কলম দিয়ে বর্ণের ওপর হাত ঘুরিয়ে যেতে থাকে। রেখার গতিপথ ও বাঁক শিশু ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারে না। আজকাল অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কিংবা ল্যাপটপে শিশুকে বর্ণ চেনানো ও লেখা শেখানোর নানা রকম অ্যাপস পাওয়া যায়। অনেক অভিভাবক তার শিশুর জন্য সেসব অ্যাপস ব্যবহার করেন। বর্ণ লেখা শিখতে শিশুকে স্ক্রিন স্পর্শ করে এগোতে হয়। এই পদ্ধতিতে শিখন-কার্যক্রম শিশুর কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এসব অ্যাপসে শিশুদের উপযোগী চটকদার কিছু মজা থাকে। তবে কার্যত এসব অ্যাপস শিশুর ভেতর থাকা সৃজনীশক্তিকে বিকশিত করতে কোনোই ভূমিকা রাখে না। বরং শিশুর সৃজনী-ক্ষমতা বিকশিত হবার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। ফলে, অ্যাপসের শিখন-ফল শিশুর মেধা ও মননে স্থায়ী কোনো শেকড় গাড়তে পারছে না। কোনো কিছু শিখতে হলে গতর খাটিয়ে হাতে-কলমে শিখতে হয়। তবেই তার বাস্তব প্রয়োগ সম্ভব হয়। যুগ-যুগ ধরে এই পথেই এগিয়েছে সভ্যতা। অথচ আজকে আমরা অ্যাপস ব্যবহার করে বাস্তবতার জগৎ থেকে শিশুকে ভার্চুয়াল জগতে ঢুকিয়ে দিচ্ছি। আর তৈরি করছি প্রতিবন্ধী প্রজন্ম। এই প্রজন্ম ব্রয়লার মুরগির মতো। বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট।
যেসব অভিভাবক আন্তরিকভাবেই চান তার শিশু গতর খাটিয়ে হাতে-কলমে বর্ণ লেখা শিখুক সেসব অভিভাবকদের প্রতি আমার অনুরোধ, চক ও শ্লেট দিয়ে শিশুকে বসিয়ে দিন। সত্যি যে, শ্লেট এখন দুষ্প্রাপ্য। এরপরও একেবারেই যে পাওয়াই যায় না, তা কিন্তু নয়। বাজারের তিরিশটি স্টেশনারি কিংবা বইয়ের দোকান ঘুরলে একটি দোকানে শ্লেট পেয়ে যাবেন। তবে সেই শ্লেট আগের দিনের মতো হবে না। কাঠের দাগ-টানা শ্লেট পাবেন। আবার ঢাকার নিউমার্কেটের দু’একটি দোকানে কিংবা শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে খুঁজলে আগের দিনের পাথরের কিংবা টিনের শ্লেট পেলেও পেতে পারেন। আগামী কয়েক বছর পর গোটা দেশ চষে ফেললেও এই রকম শ্লেট আর পাওয়া যাবে না। শ্লেট যদি জোগাড় করতে না-ই পারেন অগত্যা অমসৃণ খসখসে কাগজ ও পেনসিল দিয়ে শিশুকে বর্ণ লেখা শেখাতে পারেন।
চক ও শ্লেট দিয়ে শিশুকে বসিয়ে দিন। ইচ্ছেমতো সে দাগ টানতে থাকুক। যা খুশি আঁকতে থাকুক। এভাবে কয়েক দিন তাকে খেলতে দিন। এরপর একেকদিন নিচের দাগগুলোর একেক রকম আকৃতি শ্লেটে এঁকে দাগের নিচে শিশুকে ওই রকম দাগ আঁকতে বলুন।

– – – – – – – – – – – – – – – – – – – –
। । । । । । । । । । । । । । । । । । । । । ।
/ / / / / / / / / / / / / / / / / / / /
< < < < < < < < < < < < < < < < < <

> > > > > > > > > > > > > > > > > >
[ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [[ [ [ [
) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) )
( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( (
ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ ূ

এসব দাগ আঁকার মধ্যদিয়ে শিশু বর্ণমালা লেখার প্রাথমিক রেখাগুলো মোটামুটি আয়ত্ব করতে পারবে। বর্ণমালার ধারাবাহিতা মেনে শিশুকে বর্ণ লেখা শেখানো জরুরি নয়। সহজে লেখা যায় এবং একই রকম দেখতে এই রকম বর্ণ প্রথমে শিশুকে লিখতে শেখান। কোন বর্ণের পর কোন বর্ণ শিশু সহজে লিখতে পারবে গঠন অনুযায়ী সেসব বর্ণের তালিকা নিচে দেয়া হলো:


ব র ঝ ক ধ ঋ
খ ঘ হ থ ফ ম য য় ষ
ড ড় উ ঊ ভ জ ঙ
ত অ আ
ঢ ঢ় ট চ ছ
এ ঐ ঞ
গ প
ণ ন ল শ
ঠ ই ঈ
ও ঔ

ঃ ং ৎ ঁ

এই তালিকা অনুসরণ করে বর্ণ লেখা শিশুর কাছে সহজ হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে শিশুকে কেবল বর্ণ না লিখিয়ে বর্ণ দিয়ে তৈরি শব্দ লেখালে। কেবল বর্ণ লিখতে গেলে কাজটি শিশুর কাছে নিরস ঠেকবে। এসব দাগ কেন তাকে লিখতে হচ্ছে তার কারণ শিশু বুঝবে না। তার মনে হবে, তাকে দিয়ে যেন জোর করে এসব দাগ লেখানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে বর্ণ লেখার সাথে-সাথে সেসব বর্ণ দিয়ে যদি শব্দ তৈরি করা যায় তাহলে বর্ণ লেখার কাজটি শিশুর কাছে খেলা হয়ে উঠবে। ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির ১৫টি রেখাচিহ্ন দিয়ে বর্ণমালার সকল বর্ণ লেখা যায়। এসব রেখাচিহ্ন ধরে খুব সহজেই শিশুরা সবগুলো বর্ণ লেখার কৌশল আয়ত্ব করতে পারবে। বৈজ্ঞানিক শিক্ষণ পদ্ধতিতে বর্ণ লেখার ১৫টি রেখাচিহ্ন এবং কোন চিহ্ন ব্যবহার করে কোন কোন বর্ণ লেখা যায় সেই পদ্ধতির ছকের আর্থিক মূল্য থাকায় এখানে প্রকাশ করা হচ্ছে না।
আ কার া লেখা শিশুর কাছে সবচেয়ে সহজ। কারণ, আ কার ওপর থেকে নিচে টানা একটি সরলরেখা। শ্লেটে আপনি লিখলেন, দ। এরপর শিশুর আঙুলে ঠিকঠাকমতো চক ধরিয়ে তার হাত ধরে ঘুরিয়ে আপনি দ লিখলেন। এরপর দ বর্ণের সাথে আ কার দাগ টেনে দিলেন। বললেন, ‘এই দাগকে আ কার বলে। দ আ কারে দা। এই রকম আরেকটা দ লিখে যদি তুমি আরেকটা আ কার দাও তাহলে হবে, দাদা।’ এরপর আগের মতোই শ্লেটের ওপর শিশুর হাত ঘুরিয়ে দ লিখবেন। এরপর আ কার দেবেন। এবার বলুন, ‘ কী মজা, তুমি দাদা লিখতে শিখে গেছো!’ বর্ণ দিয়ে যে দাদা-নানা-বাবা-মা লেখা যায়, এটা আবিষ্কার করতে পেরে শিশুর মন ওই মুহূর্তে আনন্দে নেচে উঠবে। বর্ণ লেখার কারণ তখন সে বুঝতে পারবে। এইভাবে খেলতে খেলতে শিশুকে এক-একটি বর্ণ লিখতে শেখান। একটি বর্ণ লেখা হয়ে গেলে ওই বর্ণের সাথে কখনো আ কার, কখনো ঊ কার, কখনো ঋ কার যুক্ত করে আরেকটি বর্ণ লিখে একটি শব্দ তৈরি করুন। উ কার যুক্ত করলে বলুন, এটা উ কার। ঈ কার যুক্ত করলে বলুন, এটা ঈ কার। বর্ণ লিখতে হবে আগে, এরপর কার। শিশু যদি জিগেশ করে কার কী, তাহলে বললেন, কার হচ্ছে বর্ণ। দ যেমন একটি বর্ণ সেই রকম কার-ও একটি বর্ণ। কখনো আবার কার যুক্ত না-করে একই গঠনের দুই-তিনটি ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে শব্দ তৈরি করুন। খেয়াল রাখতে হবে, এসব শব্দ যেন শিশুর পরিচিত কোনো জিনিসের নাম হয় এবং যেসব শব্দের মানে শিশুর জানা আছে সেসব শব্দ হয়। এই পদ্ধতির একটি তালিকা নিচে দেয়া হলো:

দাদা দাদি দৈ বদ বক বর কবর কাক কাকা কাকি বুক কাবা বাবা বীর দুধ বদর কদর দরদ ঝরা ঝকঝক দূর রোদ ধর ধার দয়া বিষ ঘর ঘরঘর ঘাম ঘি ঘোরা ঘুম দম কুমির যব বোবা বোকা ঝাক ঝাকা যাবো যাবে যায় যার কার হয় হক মহা হার হাম হীরা ময়ূর খবর খাদ খাবার খাম খির হৃদি মরা মা মামা মামি মাদবর মোষ মৌ মথ থরথর থাক থাম মাথা বরফ ফাক ফাদ দেহ ফেরি ফোম মীরা কম কৃমি মুখ মাখা দুখি কৃষি ডর ডাব ডাক ডাকু ডিম ডাহুক ডুব ডুবুরি ডুমুর ডোবা ঝড় ঝুড়ি দড়ি বড় বড়ি বাড়ি বুড়ো বুড়ি দৌড়া উড়া উড়কি খিড়কি বাদুড় হাড় উকি মিউ বউ উভয় জমি জাম জামা বাজ জয় রাজা রঙ রাঙা জঙ ঊফ ঊমা ভেউভেউ ভয় ভাত ভাব ভাবুক ভাষা ভাবি তাথৈ রাত খাতা হাত ভাত ভীতু ভাড়া তাড়াতাড়ি তোড়া তমা তাজ ঋতু অজয় অভয় অমর আজ জাহাজ মোজা আখ আম আদা আবার আধা আহা আয় আভা ঢঙ ঢাকা ঢকঢক ঢাক ঢোকা ঢেকি ঢকঢক আষাঢ় দৃঢ় মূঢ় টব টক টাক টাকা টঙ টিকটিকি টাটা টাটকা টিকিট টুকটুকি টুকরো টিকা চা চাচা চাচি চাষ চাষি চক চাদ চৌচির চৌকি চৌকিদার ছাদ মাছ মাছি কাছে আছি মোছা এক একা এবার এত ঐ মিঞ মিঞ মিঞা গপাগপ গম গাছ গাধা দাগ গাঢ় পরে পা পাট পাটি পাগড়ি পাখা পাপ কূপ মাপ পড়া ঋণ হরিণ নানা নানি দান গান নেতা কান ধান থানা নাম মন নয় নামাজ বোন বল কল চল থাল তাল মাল জাল উল ভালো কালো আলো চলো চাল ডাল তেল দল লাল লাশ পাশে দশ আশা শাল শহর শহিদ শাক শামুক শাড়ি শিউলি শিকল শিম শেখা শিং শিকারি শিমুল শেকড় শিশু শীত শীতল শিলা শিশি শিস শিয়াল শুধু শুরু শিখা আকাশ ঠক ঠিকানা ঠনঠন ঠিক ঠেলা ঠোঙা ঠোট ঠুকঠুক ঠোকর উঠোন ওঠো ঠিক ঠানডা ইট বই খই মই হইচই নই ভাই নাই ইশ এই এটা অথই ঈদ ঈগল ওর ওল ওড়না ওড়া ওজন ওজু ওর ওঝা ওষুধ ওটা ঔষধ বাস রস সাদা আসে ঘাস সকল সকাল সাবান সাগর ঠাস সৌরভ দুঃখ চিংড়ি অংক শিং ঢংঢং সৎ লুৎফা হঠাৎ উৎপাত ইঁদুর হাঁস চাঁদ ষাঁড় খোঁজ।

বর্ণ লেখা শিখে গেলে শিশুকে আমের ছবি দেখিয়ে আম শব্দটি কোথায় আছে তা দেখাতে বলুন। দেখানোর পর শব্দটি তাকে লিখতে বলুন। বকের ছবি দেখিয়ে শব্দটি খুঁজতে বলুন। খুঁজে পেলে তাকে বক শব্দটি লিখতে বলুন। এই পদ্ধতিতে খুব সহজে ও আনন্দের মধ্যদিয়ে বর্ণগুলোর সাথে শিশুর সখ্য গড়ে উঠবে।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

শিকদার মুহাম্মদ কিব্রিয়াহ on কবিতাগুচ্ছ
নয়ন আহমেদ on কবিতাগুচ্ছ
নয়ন আহমেদ on মা দিবসের কবিতা
ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম on শিপা, আমি তোমার বয়ফ্রেন্ড হতে পারিনি