spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদসাম্প্রতিকশব্দ ছন্দের ফ্যাসিস্ট লুৎফর রহমান রিটন

লিখেছেন : তাজ ইসলাম

শব্দ ছন্দের ফ্যাসিস্ট লুৎফর রহমান রিটন

তাজ ইসলাম

লুৎফর রহমান রিটন ‘বর্ষপূর্তি সাতকাহন > জুলাই ২০২৪ ‘
এই শিরোনামে একটি ছড়া লিখে তার ফেসবুক আইডিতে প্রচার করেছেন। ছড়া শুরু করেছেন–

‘জুলাই মানে প্রতারণা
জুলাই মানে ধোঁকা ‘

–এভাবে।

কি ধোঁকা, কি প্রতারণা তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ছড়ার প্রতি শব্দে,বাক্যে। তার ছড়ার ভাষা জুলাইকে উপহাস করা,বক্তব্যের মর্ম জুলাইকে অস্বীকার। চিন্তা চেতনায় চূড়ান্ত ফ্যাসিস্ট,আদর্শ অন্ধ দলপ্রীতি। যা একজন ছড়াকারের নৈতিক স্খলন। দেশপ্রেমিকের দৃষ্টিতে যা দেশদ্রোহী আচরণ, ক্ষমতার জন্য ঘষেটিরা তাই মনে করে যৌক্তিক।
রিটন তাই সহজেই মনে করতে পারে
জুলাইর আন্দোলন প্রতারণা,আন্দোলনের নামে যা কিছু হয়েছে সব ধোঁকা।

রিটনের বক্তব্য মতে ছাত্র হত্যা,জনতা হত্যা,মিছিলে হামলা এসব পুলিশ বা আওয়ামীলীগ কেউ করেনি।সব করেছে তৃতীয় পক্ষ।

আমরা রিটনের কথা মেনে নিলেও কিছু জিঙ্গাসা স্বাভাবিকভাবেই সামনে আসে।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় টানা পনের বছর রিটনের দল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়। প্রশাসন তার হাতে,দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী সক্রিয়।
প্রশ্নটা হল মিছিলে একটা, দুটা,তিনটা,শত শত লাশ পড়ল।এই লাশ পুলিশ ফেলেনি,আওয়ামীলীগ ফেলেনি।রিটনের এই সহজ কথার পর কথা হল, তারপর সরকার ভাবেনি? কে বা কারা এই লাশগুলো ফেলল? সরকারের গোঁয়েন্দা সব ঘুমিয়ে ছিল? দলের কোন নেতা প্রশ্ন তুলেনি এই লাশ আমরা ফেলিনি, পুলিশ ফেলেনি,তাহলে কারা ফেলল?
পনের বছর ক্ষমতায় থাকার পর,বিরাট দলের বিশাল বাহিনী থাকার পর তৃতীয় পক্ষ একের পর এক আহত,নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি করেই গেল আর রিটনেরা সব গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল!

অথচ বাংলাদেশের নাগরিকেরা জানে জুলাইয়ে কী ঘটেছে!
বাংলাদেশে অন্ধ আওয়ামীলীগ ছাড়া অবশিষ্ট সকল নাগরিক চোখই দেখেছে নিরীহ ছাত্র ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগের বর্বরতার চিত্র। নিজ কানে শুনেছে আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ওবায়দুল কাদেরের হুমকি ‘ঢাকা ভার্সিটির ছাত্রদের শায়েস্তা করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট ‘।

এই যুগ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যুগ না।এখন ২০২৫,দু হাজার চব্বিশেও মানুষের হাতে হাতে ক্যামেরা ছিল। পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হচ্ছে পথচারী,পুলিশ গুলি করছে ছাত্রের বুকে। ক্যামেরা ক্লিপ চলে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হেলিকপ্টার থেকে গুলির দৃশ্য দেখছে একজন গৃহবধু। কৃষক জুলাইয়ের নির্মমতা দেখে কাঁদছে। ইন্টারনেট বন্ধ ছিল যখন, জনতা তখনও ঘুমিয়ে থাকেনি,জেগেই ছিল। চূড়ান্ত সত্যকে রিটন ছড়ায় ছড়ায় ভুলিয়ে দিতে চান!

জুলাই পরবর্তী সরকার নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা আছে,থাকবে। ৫ আগস্টের পর জুলাই যোদ্ধাদের যারা অপকর্মে জড়িত হবে তাদের নিয়ে কথা থাকবে।
জুলাইকে অস্বীকার করার মতো অকৃতজ্ঞ কে? একমাত্র স্বৈরচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের হাসিনাও তা অস্বীকার করে না। রিটন অস্বীকার করার অপচেষ্টা করেছে। একটা দেশের ঘটনাবহুল সময়কে অস্বীকার করে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হলেন রিটন। রিটন মূলত ছড়াকার। রিটন আগে থেকেই রাজনৈতিক চিন্তা ও বিশ্বাসে আওয়ামীলীগের অনুসারী। রিটন আওয়ামীলীগ অনুসরণ করতে গিয়ে হয়ে গেলেন ফ্যাসিস্ট লীগের তল্পিবাহক। চব্বিশের আওয়ামী লীগ আর ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আওয়ামীলীগ যে এক না এই বোধ রিটনের হারিয়ে গেছে।

জুলাইকে অস্বীকার করে লুৎফর রহমান রিটন হলেন শব্দ,ছন্দ,ছড়ায় ঘৃণিত ফ্যাসিস্ট বা ফ্যাসিস্টের অনুগামী। কেউ যদি দাবী করে রিটন প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মদদপুষ্ট ছড়াকার, তখন তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে বহু বিভক্তি থাকার পরও এখনো সমগ্র বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষে ফ্যাসিস্ট লীগ অপরপক্ষে সমগ্র বাংলাদেশ। চব্বিশের এটি এক বড় অর্জন।

দেশের মানুষের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে,হেলিকপ্টারে গুলি করে নিজ দেশের জনগণকে হত্যা করে,নিহতদের লাশ পুড়িয়ে,নিজের জনগণের সাথে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় আওয়ামীলীগ সদলবলে। এইসব অস্বীকার করার হিম্মত কার? যারা করে তারা নিজেরা নির্ধারণ করে নিজেদের অবস্থান।
চব্বিশে এই আওয়ামীলীগ গণধিকৃত আওয়ামী লীগ।
লুৎফর রহমান রিটন একজন ছড়াকার। রাজনৈতিক সচেতন মানুষ। তার এসব বিষয় জানার কথা,তার তো জনতার পক্ষে,দেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কথা। দেশের বিপক্ষে যারাই অবস্থান নেয় তারাই দেশের গাদ্দার। তারাই গণশত্রু,দেশবিরোধী। এদেশের একজন রাজনৈতিক সচেতন জনতার কাছে আওয়ামীলীগ দেশবিরোধী দল। এবং আওয়ামী রাজনীতি ভারতমুখী বলে প্রচলিত। চব্বিশের জুলাইকে যারা অস্বীকার করে তারা জনগণের চোখে দেশদ্রোহী, গণশত্রু।
রিটন অন্ধ আওয়ামী লীগার। তার সাম্প্রতিক ছড়ায় তিনি নিন্দিত হয়ে থাকবেন জনতার আদলতে। জুলাইয়ের মাঠ জনতার তরতাজা রক্তে ভেজা। এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে মাঠে।এই রক্তের সাথে বেইমানী করলে,এই রক্তে কটাক্ষ করলে,এই রক্তকে অস্বীকার করলে কি পরিণতি হয় জুলাই তা দেখিয়েছে।

পনের বছরের বিশাল লক্ষ্মণ সেন বাহিনী পালাতে বাধ্য হয়েছে খিড়কি দিয়ে।
রিটনদের এসব ভেবে দেখা দরকার। দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিলে দেশ জনতা তাকে স্মরণ রাখে ঘষেটি বেগম হিসেবে।
অন্ধ ভক্তি মানুষকে পশুতে পরিণত করে। করে আস্ত গোঁয়ার।তখন জেনে বা জেনে করতে থাকে শক্তির অপচয়।
এই দেশ থেকে পালিয়ে বেঁচেছে ফ্যাসিস্ট।সুতরাং বলা যায় যতদিন ফ্যাসিস্টের প্রত্যাবর্তন হবে না, ততদিন এক ইঞ্চি জমিও বরদাস্ত করবে না ফ্যাসিস্টের দোসরদের। রিটনের জন্য কোন শব্দ লিখে সময়ের অপচয় না করাই ভালো। এসব আলাপ হল চিন্তা ও তার দলীয় অবস্থান নিয়ে। আমরা এসব আলাপে না গিয়ে তার ছড়া ও ছড়ার শিল্প নিয়ে দু কথা বলতে পারি। দেখি রিটনের ছড়ায় নন্দনতত্ত্ব বা ছড়াশিল্প কতটুকু বিকশিত?

লুৎফর রহমান রিটনের সাম্প্রতিক ছড়ার বিষয় জুলাই।জুলাইয়ে তার দলের চরম পরাজয়ে জুলাই তার চিন্তা জগতকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। কুড়ে-কুড়ে খাচ্ছে তার ভাবনার জগত। হতাশাগ্রস্তও বটে। হতাশা কাটিয়ে উঠতে কিংবা কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নে অবিরাম লিখছেন জুলাই নিয়ে। সম্পাদক, কবি সাজ্জাদ বিপ্লবের ভাষায় ‘ লুৎফর রহমান রিটন কি দারুণ অপচয়…’।

রিটন ধারাবাহিক লিখছেন জুলাই ও বর্তমান সরকারকে কটাক্ষ করে একাধিক ছড়া।

‘জুলাই সনদ’ তারই একটি।

‘ > ও দাদাভাই ও দিদিভাই
করছো তুমি কি?’

ছড়াটি শুরু করেছেন দাদা ও দিদি সম্বোধন শব্দ দিয়ে।
শব্দ ব্যবহারে বিধিনিষেধ নাই। তবে কথা থাকে। শব্দ প্রয়োগে প্রকাশ পায় ঐতিহ্য,চিন্তা,আদর্শ,বিশ্বাস, আন্তর্জাতিকতা, আঞ্চলিকতা। ‘মোগো বাড়ি’ কেউ যদি তার লেখায় প্রয়োগ করে তবে প্রথমেই আঞ্চলিকতার প্রতিনিধিত্ব প্রকাশ পায়। ‘ভাইডি’ বললেও শব্দ তার অঞ্চলকে প্রকাশ করে। ‘খাইছুইন’ শব্দ লেখক ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় প্রয়োগ করলেও শব্দ কিন্ত তার একটি পরিচয় দিতে সক্ষমই হয়। বাংলা ভাষা ও বাঙালী বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেই আছে। দুই দেশের মানগত পার্থক্য আছে।বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। ভারতের যেসব অঞ্চলে বাংলা ভাষা ও বাঙালীর উপস্থিতি আছে, সেগুলো স্বাধীন কোন দেশ না, একটি স্বাধীন দেশের অংশ। উভয় দেশে কৃষ্টি- কালচার,চাল- চলন,আচার- ব্যবহার, ধর্ম ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য ফারাক রয়েছে।এমনকি কথা বলার ধরণেও পার্থক্য স্পষ্ট। সঙ্গত কারণেই ‘ দাদা কি চা খাবেন? দাদা কখন আসলেন?’ একটি জাতী,দেশ, ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করে। জল ও পানিও পৃথক সংস্কৃতির পরিচায়ক। জল শিল্প, সাহিত্যে,কবিতায় ব্যবহারে বিধিনিষেধ নাই।কিন্ত ব্যবহারিক জীবনে আলাদা পরিচয়কে সনাক্ত করে। লুৎফুর রহমান রিটন যখন তার কবিতায় ও দাদা… ও দিদি দিয়ে শুরু করেন তখন কতিপয় প্রশ্ন সামনে আসে।
মূলত তার ছড়াটি জুলাই বিপ্লবকে কটাক্ষ শুধু না অস্বীকার করে রচিত। জুলাই আন্দোলনের পর স্পষ্ট হয়েছে আওয়ামীলীগ ভারতীয় আধিপত্যবাদের বাংলাদেশীয় রাজনৈতিক প্রতিনিধি । আওয়ামী লীগ ভারতের অনুগত দাস। জুলাই যোদ্ধারা আওয়ামী লীগ সম্বন্ধে এমনটাই ধারণা পোষণ করেন।
রিটন আওয়ামী ভাবাপন্ন ছড়াকার। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি সচেতন আনুগত্য প্রদর্শন স্বরূপ শব্দ প্রয়োগেই তিনি যত্নশীল। রিটন জন্ম সূত্রে বাংলাদেশী। সাংস্কৃতিক আনুগত্যে তিনি আধিপত্যের প্রতি নত। অথবা তিনি শব্দ ছন্দের ঝনঝনানিতে পটু কিন্তু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি হয় যত্নশীল নন, অথবা এসব বোধই তৈরী হয় না।
এদেশের রাজনীতিবিদদের দৃষ্টিতে আওয়ামীলীগ সবসময় ভারতপন্থী। রিটন আওয়ামীপন্থী। তিনি স্বঘোষিত ও সুবিধাপ্রাপ্ত আওয়ামীলীগ। রিটন ২০০০ এ আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকাকালে জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ পান। প্রচলিত আছে ওখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে যান।এবং বর্তমানে কানাডায় সপরিবারে বসবাস করছেন।

লুৎফর রহমান রিটন একজন ছড়াকার। দীর্ঘ সময় ছড়া চর্চা করছেন।
হাল আমলের ছড়াকাররা জানে ছড়ার প্রাণ হল ছন্দ। ভাব বিষয় বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে গেলে তার বিষয়ে রূঢ় মন্তব্য হাজির হয়।
এটি যেহেতু একটি ছড়া, আলোচনার বিষয় ছন্দ, মাত্রা, তাল নিয়েই হোক।

নিম্নের ছড়া অংশটি আমাদের হিসাব মতে
জুলাই মানে /আলবদরের /=৪+৪
লালবদরের /ছানা, =৪+২

জুলাই মানে /বাটপারদের=৪+৩
সংঘবদ্ধ/ হানা।৪+২

তার মানে একমাত্রা কম।

এখন এই কারণে রিটনকে ছড়াকার বলা যাবে না? তা যাবে, তবে যত ডাক তত না।অথবা ওসবে তার খেয়াল রাখার সময় নাই।
এরপর এই প্যারাতে

‘জুলাই মানে দেশদ্রোহী আর
অশিক্ষিতের ক্রোধ,
একাত্তরের পরাজয়ের
ভয়াল প্রতিশোধ।(বর্ষপূর্তি সাতকাহন > জুলাই ২০২৪) ‘

তিনি দেশদ্রোহী শব্দের দেশকে পাঠ করেছেন দ্যাশ বা দেশ্ হিসেবে।প্রকৃত অর্থে দেশদ্রোহী শব্দটা দ্যাশদ্রোহী না উচ্চারণ হবে দেশোদ্রোহী।
যেমনটা উচ্চারণ করেছেন, ‘ ‘শ্বাপদসংকুল’ শব্দকে শ্বাপদোসংকুল। তার দ্যাশ শব্দকে অনুসরণ করলে এখানে একমাত্রা কম।ওখানে দেশোদ্রোহী উচ্চারণ করলে একমাত্রা বেশি।

লুৎফর রহমান রিটনের ছন্দ অসচেতনতা শুধু এই ছড়াতেই পাওয়া যায় এমন না।আমরা তার অন্য একটি ছড়ায় চোখ রাখি ও পাঠ করি

‘মামাতো বোন /লিজি আবার/
উপদেষ্টার/ ফুপু!
কোটা বিরোধী /উপদেষ্টার
বৃষ্টি টাপুর /টুপু… (জুলাই সনদ)’

খেয়াল করলে দেখা যায় ‘ কোটা বিরোধী’ তে ৫ মাত্রা। মানে একমাত্রা বেশি। এখন লুৎফর রহমান রিটন পরিচিত ছড়াকার।আমরা তাকে বয়স ও চর্চার দীর্ঘসূত্রতার খাতিরে বলতে পারি তিনি ছন্দ জানেন,তবে খেয়াল করেননি।অথবা তার ইজ্জত রাখতে বলতে পারি এটা ব্যপার না। কিন্ত একজন সচেতন তরুণ পাঠক, যদি রিটনের নাম না জেনে এই দুটো ছড়া পাঠ করেন অথবা একজন আলোচকের সামনে এই দুটো ছড়া উপস্থাপন করা হয় আর ছড়াকারের নাম কেটে (ঢেকে)দেওয়া হয় তাহলে তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন তিনি একজন গড়পড়তা ধরনের ছড়াকার। তাহলে লুৎফর রহমান রিটন কি আদতে গড়পড়তা একজন ছড়াকারই। ছন্দ তো শুধু জানলেই হবে না।প্রয়োগও করতে হবে। যে ছড়াকার তার ছড়ায় ছন্দ মাত্রা প্রয়োগ করতে ভুলে যায় সে ছড়াকার যত নাম ডাক ওয়ালাই হোক তার লিখিত ছড়া তাকে তৃতীয় শ্রেণী নির্ধারণ করে দিবে। ছন্দের আলোচনায় রিটনকে তৃতীয় শ্রেণীর ছড়াকার না বলে ছন্দে উদাসীন বলাটা সাহিত্যিক ভদ্রতা।

ছড়ার স্বাতন্ত্র্য বা অভিনবত্ব প্রকাশ পায় অন্তমিলে।তার ছড়ায় অন্তমিল এসেছে ছড়া নবিশ কোন ছড়াকারের অন্তমিলের মতো।স্বাধীনতার সাথে কথকতা অন্তমিল ছড়া বালকেরা দিতে পারে,কোন প্রাজ্ঞজন না। রিটন ছড়া লেখতে লেখতে এক জীবন অতিক্রম করলেও অন্তমিলের নাবালকত্ব অতিক্রম করেননি। আর যদি করে থাকেন তাহলে এখন তার বয়সের ভাড়ে হারিয়ে ফেলেছেন ছড়া যৌবন।

বিশ্বাস, চিন্তা ও রাজনৈতিক আনুগত্যে চব্বিশে তিনি নিজেকে যেমন হাজির করেছেন চব্বিশের গাদ্দার হিসেবে ছড়াকার হিসেবেও তিনি তার নাম লিখিয়েছেন গার্বেজ এর তালিকায়। গার্বেজ সবসময় পরিত্যক্ত ও পরিত্যাজ্য।এসব ঘাঁটাঘাঁটি করে সময় অপচয় না করে সময় বাঁচিয়ে চলাই উত্তম।

আরও পড়তে পারেন

5 COMMENTS

  1. উনিখু নিহা সিনার পা চাটা দালাল, দোসর এতে আর সন্দেহের কোন অবকাশ রইল না।

    জুলাইকে কটাক্ষ করার দায়ে উনাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা অবশ্যম্ভাবি।

  2. রিটন স্বৈরাচারের পা চাটা দালাল।

  3. রিটনদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া দরকার।
    ধন্যবাদ কবি তাজ ইসলামকে চমৎকার উপস্থাপন করার জন্য।

  4. রিটনরা জাতির শত্রু।
    কবি তাজ ইসলামকে রিটনের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
    একই সাথে কবি ও সম্পাদক সাজ্জাদ বিপ্লবকে কৃতজ্ঞতা জানাই তার সম্পাদিত পত্রিকা বাংলা রিভিউ অব্যাহত রাখার জন্য।

  5. রিটনকে আলোচনার কিছু নেই। সে একটি পঁচা শামুক। ওকে যত বেশি আলোচনা করবেন সে তত বেশি প্রচার পাবে। গু ঘাটলে পরিবেশ দুষিত হয়। সুতরাং তাকে তাকে আলোচনা না করাই ভালো। সুযোগ পেলে শিক্ষা দেয়ার ব‍্যাবস্থা নিলেই হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

নয়ন আহমেদ on কবিতাগুচ্ছ
সাজ্জাদ সাঈফ on বাছাই কবিতা
নয়ন আহমেদ on বাছাই কবিতা
নয়ন আহমেদ on ১০ টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on কবিতাগুচ্ছ