মাহদী মল্লিক
১। সাল ১৮০১
………….
পাথরের পোশাক পরা হিয়ায়
নিমন্ত্রণ জানালাম
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে
এই তো সেদিন
বাংলা গদ্যের পাঠ্যপুস্তকে পাওয়া গেছে
‘রাজা প্রতাপাদিত্য রচিত’
এরপর পাথর ভাঙতে ভাঙতে
পাশ্চাত্য থেকে প্রাচ্যে
পাওয়া গেল
মগজে ভেসে চলা ভাষার নৌকা
এই নৌকায় করেই যেন
ছুটে চলছে আধুনিক বাংলা ভাষার
গদ্যের শরীর…
২। সীমাবদ্ধতা
…………..
ডান হাতে একটি নাটাই ধরে আছি
ঘুড়িটা ভালোই উড়ছে আকাশে
উড়তে, উড়তে নাটাইয়ের সব সুতা
ছেড়ে দিলাম
ঘুড়িটা আরো উপরে উঠতে চাইলো
অথচ নাটাইয়ে অবশিষ্ট আর কোন
সুতা রইলো না;
তেমনি মানুষও বুঝি এমনই হয়
‘উড়তে গেলেই আমরা তাকে বেঁধে ফেলি!’
৩। দর্শনীয় জায়গা
…………….
এমন একটি প্লেস দেখ যেখানে
বর্ষায় রেইনকোট পরে হাঁটলেও
বৃষ্টিতে ভিজে আসে নিতম্ব
সেখানে হাঁটলে জোঁকে ধরে
পা পিছলে যায় এবং সম্ভবনা থাকে
হাতের কনুই ছিলে যাওয়ার
তুমি হয়তো ভাবছো কোনো
ট্যুরিস্ট প্লেস–
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন…
অথচ আমি তোমার কথাই বলছি।
৪। তর্জমা
…………..
একবার একটি গাছকে উৎসাহ দিলাম। সে উৎসাহ নিয়ে বড় হতে লাগলো। যখন তার পরিপূর্ণ বয়স, তখন তার ডালপালা কতটা মজবুত হলো— এটা জানার জন্য একদিন সেই গাছেরই একটি ডালে নিলাম ‘ফাঁস!’
দেখলাম, গাছটি আমার ভার বইতে শিখে গেছে!
৫। অন্ধকারের ফুলের গন্ধ’র নর্তকীর প্রতি
……….
‘সাত-আট দিন ধরে শরীরটা ভালো নেই’
কথ্য ভাষায় শুনতে খুব সহজই লাগে—
টিপ-টিপ বৃষ্টির মতন
শরীরে ঘাম ওঠানামা ক’রে
ভেজা গামছায় বারবার শরীর মুছে
একটু স্যুপ অথবা এক মগ রঙ চা পান ক’রে
হাতে নিলাম ‘প্রফুল্ল রায়’ এর
‘অন্ধকারে ফুলের গন্ধ’ বইটি
যেন রিকশার হুডি ধরে আছে তাঁর বর্ণনার প্লট
আর আমি বইটি পড়তে পড়তে
আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি প্রেমে
একটি নর্তকীর মায়ায়!