spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদগদ্য১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও বাস্তবতা

লিখেছেন : এনামূল হক পলাশ

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও বাস্তবতা

  • এনামূল হক পলাশ

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা বা সরাসরি পাকিস্তানপন্থী অবস্থান নেওয়া বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। তারা হলো –
১. জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান (পূর্ব পাকিস্তান শাখা) ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ।
২. নেজামে ইসলাম পার্টি
৩. পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিছু অংশ যারা সামরিক শাসক আইয়ুব খান ও পরবর্তীতে ইয়াহিয়া খানের অনুগত ছিলেন)
৪. পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি
৫. মাওলানা আতাহার আলী খান ও তার অনুসারীরা
৬. জাতীয় দল
৭. কৃষক-শ্রমিক পার্টি,
৮. পূর্ব-পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি,
৯. পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি
১০. রাজা ত্রিদিব রায়ের নেতৃত্বে সকল চাকমা প্রজাসহ অন্যান্য প্রায় সকল উপজাতি
১১. বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ
১২. আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অধিকাংশ

তাদের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করার প্রাথমিক কারণ :

১. তারা স্বৈরাচার বিরোধী ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দেশভাঙ্গার আন্দোলনে পরিণত হতে দিতে চাননি।
২. যেখানে শেখ মুজিব পুরো পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা রাখে সেখানে দেশ ভেঙ্গে নিজেদের ক্ষমতাকে ছোট করা অযৌক্তিক মনে করতেন আওয়ামী লীগের একটা বিশাল অংশ।
৩. তারা মনে করতেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেই সকল সমস্যা ও সংকটের অবসান হবে। ফলে চিরশত্রু ভারতের প্ররোচনায় যুদ্ধ করা ঠিক হবে না।
৪. ইসলামি দলগুলো মনে করতো পাকিস্তান বৃহত্তম ও শক্তিশালী মুসলিম দেশ। বিশ্ব মুসলিমের নেতৃত্ব এই দেশ দিচ্ছে।
৬. অনেকের মধ্যে ধারণা জন্মেছিল, পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ভারতের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে এদেশের মুসলিমদের অবস্থা বিপন্ন হবে।
৭. অনেকেই মনে করতো যে, ভারতের সাহায্য নিয়ে যে রাষ্ট্র তৈরী হবে তা হবে ভারতের আজ্ঞাবহ একটি রাষ্ট্র। যার জাতীয় পতাকা থাকবে, সরকার থাকবে কিন্তু কোন সার্বভৌমত্ব থাকবে না।

ফলে অনেক আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়ে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যসহ বহু নেতা কর্মী স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করা থেকে শুধু বিরত থাকেননি বরং পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রীত্ব গ্রহন, শান্তি কমিটিতে নেতৃত্ব প্রদান, রাজাকার বাহিনীতে যোগদান সহ সব ধরণের স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মেয়ে আক্তার সোলায়মান অখন্ড পাকিস্তানের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেন। এই ব্যাপারে তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অধিকাংশ আওয়ামীলীগের সদস্যরা আওয়ামিলীগের একটা অংশের বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনার কথা জানতেন না। আমরা জানি জনগণ নির্বাচনের সময় অধিকতর শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ পাকিস্তান গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল’। এছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা ড. কামাল হোসেন যুদ্ধে যোগ না দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান এবং সেখানে আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন এমন বহু নেতার তালিকা পাওয়া যায় আখতার মুকুল এবং সামছুল আরেফীন এর লেখা বইয়ে। নির্বাচিত সদস্যের বাইরে খন্দকার নূর হোসেন, তার ছেলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মুসা বিন শমসের এবং মীর্জা কাশেম মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এসময় দলের প্রধান নেতা কোন প্রকার সিদ্ধান্ত না দিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করেন। আওয়ামী লীগের একাংশ আত্মরক্ষার জন্য ভারতে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের এই অংশটি মুজিবনগর সরকার গঠন করে সেখানে রূশপন্থী বামদেরকে সরকারে যুক্ত করে যুদ্ধে রাশিয়ার নৈতিক সমর্থন আদায় করেন।

সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের কারণেই চীন মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়। চীনের এই নীতির প্রভাব পড়ে এদেশের চীনপন্থী দলগুলোর উপর। আর ভারতের জন্যও সমস্যা ছিল চীনপন্থী বামেরা। তারা পূর্ব বাংলায় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সব মিলিয়ে এদেশের চীনপন্থীরা মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেনি। তারা মনে করতো পাকিস্তানি বাহিনী এবং রুশ-ভারতের অনুগত বাহিনী উভয়ই স্বাধীনতার শত্রু। একসময় তারা এই যুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই অভিহিত করে দেশের অভ্যন্তরে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের মোটিভেশন ক্লাসে এরকম বলা হত যে, “একজন রাজাকারকে যদি তোমরা ধর, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, তাকে নানাভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবে। বার বার এইরকম করবে। তাকে নানাভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবে। এতেও যদি কাজ না হয়, প্রয়োজনে শারিরীক নির্যাতন করবে এবং এভাবে যত পারো তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবে। এরপর এদের কারাগারে নিক্ষেপ করবে। আর যদি একজন চীনা কমিউনিস্টকে ধর সাথে সাথে তার প্রাণ সংহার করবে।”

চীন -পাকিস্তান অস্ত্র বিক্রি চুক্তির সময় বৌদ্ধদের চায়না বুদ্ধিস্ট আখ‍্যা দিয়ে তাদের সুরক্ষার বিষয়ে চীন সরকার পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করে। ফলে পাকিস্তান সরকার চায়না বুদ্ধিস্ট নাম দিয়ে আইডি কার্ড ইস্যু করে। এতে করে বৌদ্ধরা যুদ্ধকালীন কিছুদিন সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন দেখে এই কার্ডের আড়ালে ভ্রাতৃত্বের সুবাদে মুসলিম,হিন্দু সহ আরও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা সুবিধা নিচ্ছে তখন তারা এই কার্ড অগ্রাহ্য করে। এর মধ্যে অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসী নিজস্ব চিন্তা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামকে যৌক্তিক মনে করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে রাজা ত্রিদীপ রায়ের নেতৃত্বে উপজাতিরা প্রাথমিক পর্যায়ে পাকিস্থানপন্থী ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তীতে উপজাতিদের মধ্যে অনেকেই স্বাধীনতার প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম ব্রাদারহুডের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী ছিলো বিশ্বের মূল ও প্রভাবশালী ইসলামী সংগঠনগুলির মধ্যে অন্যতম। “ইসলামের আধুনিক বিপ্লবী ধারণার উপর ভিত্তি করে একটি মতাদর্শ” গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি প্রথম দিকের সংগঠন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর এই দলটি ভারত ও পাকিস্তানে যথাক্রমে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ ও জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান নামে পৃথক স্বাধীন সংগঠনে বিভক্ত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জামায়াতে ইসলামী কাশ্মীর, ব্রিটেন এবং আফগানিস্তানে (জামায়াত-ই-ইসলামী) সংশ্লিষ্ট বা অন্যান্য দলগুলি হয়েছে। জামায়াত-ই-ইসলামী দল অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে সম্পর্ক বজায় রাখে।
এই দলটি যেহেতু ইসলামী জাতীবাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, সেহেতু তারা ভারত বিভক্তির বিরোধিতা করেছিলো। অর্থাৎ তারা পাকিস্তানের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী সংগঠন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্নেও এই দল স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী সংগঠন।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোট ভোট সংখ্যা ছিল ১,২৯,৩৭,১৬২ যা ছিল পাকিস্তানের মোট ভোটারের ৩৯.২% এবং পূর্ব পাকিস্তানের মোট ভোটারের ৭৪%। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬০ টি আসন পায়। এই হিসাবে আওয়ামী সমর্থক বা ভোটারের সমর্থন ছাড়া এদেশে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি সংগঠিত হওয়া সম্ভব ছিল না।

ভারতীয় তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ৬৯ হাজার ৮৩৩ জন। কিন্তু সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা প্রায় দুই লক্ষ। এদিকে রাজাকারের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার বলে জানা গেছে। ৭০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার বিপরীতে ৩৭ হাজার রাজাকার হতেই পারে না যদি না সেখানে আওয়ামী ঘরানার লোকজন যুক্ত হয়ে থাকেন।

যুদ্ধাবস্থা তৈরী হওয়ার পর এদেশের রাজনৈতিক নেতারা যুদ্ধ থামানো এবং পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করার জন্য শান্তি কমিটি গঠন করেন। এতে মুসলিম লীগের তিনটি অংশ, আওয়ামীলীগের একাংশ, নেজামে ইসলামী, জামায়াতে ইসলামী এবং উপজাতিরা এই কমিটিতে অংশগ্রহন করেন। এর ধারাবাহিকতায় শান্তি কমিটিতে অংশগ্রহণ করেন তৎকালীন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। তারা স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

৪ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে নূরুল আমিনের নেতৃত্বে মৌলভী ফরিদ আহমদ, সৈয়দ খাজা খয়েরুদ্দিন, এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা নুরুজ্জামান সহ ১২ জন রাজনৈতিক নেতা টিক্কা খানের সাথে দেখা করে সেনাবাহিনীকে সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সেনাবাহিনীর হাতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ ধরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে সাধারণ মানুষদের উপর জুলুম অত্যাচার বন্ধের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। এরা ছাড়াও শান্তি কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে মুসলিম লীগের নুরুল হক, আবুল কাশেম, ব্যারিস্টার আখতার উদ্দিন, আওয়ামী লীগের আব্দুল জব্বার খদ্দর, এ কে এম রফিকুল হোসেন, পিডিপির মাহমুদ আলী, ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন, জমিয়তে উলামার পীর মোহসেন উদ্দিন দুদু মিয়া প্রমুখ ছিলেন।

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি নামে একটি উপজেলা আছে যেখানে গ্রাম পর্যায়ের শতকরা ১০০ জন লোকই ছিল নৌকার ভোটার। বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য এলাকায় মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, দুই দিকেই লোকদের ভাগ করে দিয়ে বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানেও শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু এই কমিটির কোন কার্যক্রম ছিল না।

পাক বাহিনীর গণহত্যা ও অত্যাচারের শিকার হয়ে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের ভারতপন্থী অংশ ছাড়াও আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন জানায়। এটি হয়ে উঠে স্বাধীনতাকামী মানুষের আবেগের জায়গা। মূলত কোন রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক ছকের বাইরে যেতে পারে না। ফলে তারা অনেক সময় জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে ব্যার্থ হয়। জনগণ যখন স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে যায় তখন রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের পেছনে পেছনে দৌড়াতে হয়। মুক্তিযুদ্ধ ছিল এমনই এক গণ আকাঙ্ক্ষা যার পেছনে আওয়ামী লীগ দৌড়ে কৃতিত্ব নিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এবং পক্ষের শক্তি নিয়ে নতুন করে গবেষণা করার সময় এসেছে। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে বিষয়টি এমন নয়। এই দলের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীর সংখ্যা খুব একটা কম নয়। আবার সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ না করেও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন একথাও সত্য। মুক্তিযুদ্ধের একক কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের নয়। এটি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল না। বরং মেজর জিয়াউর রহমান রিভল্ট করার পর থেকে যুদ্ধের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির ঘুরে যায়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দলে দলে সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করতে থাকে। পাকিস্তানিদের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে এদেশের স্বাধীনতা গণ আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের একটি অংশ এটিকে তখন রাজনৈতিক রূপ দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালায় এবং ভারত তাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করে। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান যেমন প্রধান রাজনৈতিক দল সমূহের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হয় নি, ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধও প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হয় নি। বরং এটি হয়েছিল ন্যায় ও সাম্যের জন্য বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক স্বতঃস্ফূর্ত যুদ্ধ।

লেখক – কবি ও ভাবুক

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
- Advertisment -

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

তনজিম আতিক on কবিতাগুচ্ছ
নয়ন আহমেদ on না
খান কাওসার কবির on লুৎফর রহমান রিটন নামা
নয়ন আহমেদ on কবিতাগুচ্ছ