সৈয়দ আহমদ শামীম
১.
সবাই সহাস্য বদনে টেলিভিশনের চওড়া স্ক্রিনজুড়ে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের জজবা জুড়াচ্ছে
যারা যাত্রাবাড়ীকে ফ্যাসিস্টের মরণফাঁদ রচনার কাজে শতশত সিনা জুড়ে রক্তের প্লাবন ছড়িয়ে দিল
যারা মীরপুর দশ বহদ্দারহাট উত্তরা মুরাদপুুর নতুনব্রীজ রক্তের জলসা বিছালো
আবু সাঈদ হতে রিয়া গোপ আতিকের প্লাস্টিকের হাত বাঁধভাঙা মাদ্রাসার ছোট ছোট হুজুরের দল
প্রাণ ছারখার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়… কোথায় এঁরা
কী নির্লজ্জ এই সুশীল বাংলাদেশ
আরও অভিশাপ কুড়াতে হবে তোমার তোমার মুক্তি নেই হে নেংটা বিকার রাষ্ট্র
অভিশাপ,শহীদ ছেলের লাশ খুঁজতে খুঁজতে জন্ম জটার হতে প্রাচীন রক্ত ঝরতে থাকা জননীর
অভিশাপ
২.
যাদের অন্তর্দৃষ্টি আছে
যাদের অন্তর্শ্রুতি রয়েছে তারা গভীর রহস্যের তলদেশ দেখে জেনেছে জুলাইকে আল্লাহ দৃশ্যমান অলৌকিক করুণার রক্ষাব্যুহের চাদর দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন
টিফিন সমেত স্কুল ব্যাগ পিঠে ঝুলিয়ে যে কিশোর মিরপুর দশ নম্বরে দনিয়া কলেজ মোড় মুরাদপুর বাংলাদেশের সমস্ত শহরে লেডি ফেরাউনের বন্দুকের দিকে গেল ও ছেলে ক্রিকেট ছাড়া অবসরে আর কিছুতে ছিল না
শত শত মাদ্রাসা ঘেরা যাত্রাবাড়ীর ছোট হুজুরেরা স্বেচ্ছায় আবাবিল হয়ে হায়েনার পালকে রুখে দিয়ে ঢাকার দখল নিয়েছে
হকারেরা পানি ফল বিস্কুটের প্যাক হাতেমতায়ীর মতো বিলিয়ে দিল
মাঝবয়েসী মা দেশের সন্তানদের কাঁঠাল ভেঙে খাইয়ে শহীদের ময়দান জারি রাখতে পাঠিয়েছে…
দেখো নাই!
শয়তান,জালিমের সুহৃদ ইবলিশ!
এই দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে হে নরককীট ইবলিশি আত্মা
৩.
সুদান আমার কালো কৃষ্ণ জননীর দুখ
কালো নিয়ে আমাদের কত ঘৃণা
সেই কালো সুদানএর মা
বুকে ধরে প্রাণধিক বাছাধন
বুজে আছে দুনয়ন শেষ আশায়
আশা নেই তবু যদি খুনিদের মন
একবার গলে তার বাছাধনে স্নেহে
ও বিধাতা বিশ্বের পতি ও পবিত্র
কত খুশি হবে এই জননীর প্রাণ
আহা তুমি মুছে দিলে নয়নের পাতা
আমার পরাণে প্রভু কী গভীর ব্যথা
৪.
আমার মতো তুচ্ছ মানুষের পুরোন ডাইরি লেখাজোকা
মনে মনে খুঁজি মনে মনে জাদুঘরে রাখি
দুনিয়া নিয়ে তুচ্ছ মানুষেরও বাসনা বৃহৎ
অথচ নিহত হওয়ার আগে বন্দুকের ছায়ার কাছে আফ্রিকার সুদান জননীর আশ্রয়ে নিরাশ্বাস তিনটি শিশুর ছয়টি চোখের একটিরও ভাষা আমি পড়তে পারি না
কোরানের সুরাগুলির অর্থ যদি পৃথিবীতে প্রবাহিত না হতো আমি নিজেকে খুন করে ফেলতে পারতাম








