spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদগদ্যনজরুল প্রাসঙ্গিকতা

লিখেছেন : তৈমুর খান

নজরুল প্রাসঙ্গিকতা

তৈমুর খান

এই বাংলা বাগানের বুলবুল হিসেবে কবি নজরুল ইসলামের নাম চিরস্মরণীয়। আজও হিন্দু-মুসলিমের বুকের ধারায় নজরুল প্রবাহ বহমান। আজও দুই বাংলার শ্রদ্ধায় তিনি শ্রদ্ধেয় । জাতিস্মর। কালপুরুষ। ফুল আর রক্ত, অশ্রু আর হাসি ঝরা মুক্তোর বিপরীত প্রাবল্যে যে বিচিত্র বর্ণজাল কবি সৃষ্টি করেছেন তারই কিছু অংশ আমাদের জীবন সম্পৃক্ত ধ্বনিতে উচ্ছ্বসিত হচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা স্বাস্থ্যহীন। আমাদের কন্ঠ রুদ্ধ। আমাদের মানচিত্র ছিন্নভিন্ন। এখানে যে স্বপ্নের প্রোথিত খুঁটি তাও নড়বড়ে ।সেই উদ্দাম প্রাচুর্যের ভরাডুবিতে আমরা সাঁতার দিতে অপারগ। এক সময় ইংরেজ প্লাবিত ভারতবর্ষ আন্দোলিত হয়েছিল তাঁর অগ্নিস্ফুলিঙ্গ মন্ত্রে । মেরুদণ্ডহীন জাতির সামনে তাঁর লেখনীর অমৃতায়ণ প্রসব ইতিহাস কোনোদিন ভুলবে না। সেই মেরুচিত্রের রূপকার আপন সত্তার অদম্য প্রহেলিকায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। একটা যুগের স্পন্দনে তাঁর ব্যক্তিত্বের সব কটি তার সপ্তসুরে বেজে উঠেছিল। জাতীয়তাবাদের প্রাণ সঞ্চার হয়েছিল। প্রেমের কী অমোঘ উচ্চারণ! স্বপ্ন কলির মতো গানের স্বরলিপি! উদার আকাশে এই সেই ধুমকেতুর কবি। ধুমকেতু ।কথাগুলি বাসি। আমাদের দিন এগিয়ে এসেছে ।আমরাও এগিয়ে এসেছি।
প্রত্যেক কবির একটা যুগ আছে। আর যুগচেতনা শব্দটি তো সঞ্চরণশীল। কোনো সময়ই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না ।কবির বলয় তারই এক একটি ঢেউ। কবি বেঁচে থাকবেন, কবির মৃত্যু হবে , কবি আশাবাদী না নৈরাশ্যবাদী ,মানুষ কী চায়, মানুষ কী বলতে চায় এসবেরই ঘোষক হলেন কবি। নজরুল ব্যতিক্রম ছিলেন না। সুকান্ত ব্যতিক্রম ছিলেন না ।জীবনানন্দ দাশ ব্যতিক্রম ছিলেন না। তবে ব্যতিক্রম না থেকেও কিছু শাশ্বত সাহিত্য সৃষ্টি করতে পেরেছেন যা যুগোত্তীর্ণ। শুধু আবেগ তাড়িত বাহ্যিক চাওয়া-পাওয়ায় আপন পদচারণাকে সীমাবদ্ধ না করেও তার অন্তরালে মানুষের আদিম সত্যকে নির্লিপ্ত দ্রষ্টার মতো দেখেছেন। মানবিকতার পরিচর্যাকে আপন মানসক্ষেত্রের স্নিগ্ধতায় তরতরে ফল্গুস্রোতে নিবেদন করেছেন , যা আজ নতুন করে আলোচনার সময় এসেছে। নতুন করে বিশ্লেষণের অপেক্ষা রাখে। ইংরেজ বিতাড়ন,ধনী-দরিদ্র্যের অসাম্য দূরীকরণ, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা নজরুল সম্পর্কে এগুলি মামুলি কথা। এগুলির বাইরেও নজরুলের আর একটি ট্যাবলয়েড আছে যা মানস চক্ষুর নিহিত মর্মে অবস্থান করে। একজন আধুনিক কবি যে অর্থে আধুনিক , নজরুলও সে অর্থে আধুনিক হতে পারেন। তাঁর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ঋজুতা , অদম্য তৃষ্ণার্ত হৃদয় আর সৃষ্টিতত্ত্বের অসাধারণ পরিচয় পাওয়া যায়। সোজা কথা সোজা হয়ে উঠলেও আমাদের অগভীর ভাববিলাস তা গ্রহণ করে না। বাইরের কচকচানি ,অন্ধ আবেগচর্চা ও সামাজিক ধুলোঝাঁটের ঝাড়ু হিসেবেই নজরুলের কবিতাকে ব্যবহার করি। বজ্জাতের গুরু হয়ে ‘জাতের নামে বজ্জাতি’ উদাত্ত কন্ঠে আবৃত্তি করি। মঞ্চ কাঁপিয়ে দিই।এর দ্বারা কতটুকু নজরুল বুঝি? ছাত্রজীবনে নজরুলের অনুকরণ করতে ব্যস্ত ।বড়জোর দশ পংক্তির কবিতা লিখে স্কুল কলেজের ম্যাগাজিনে ছাপাই। সাহিত্যের পথে ক্রমশ হাঁটতে থাকলে ভ্রম কাটে। পরিণতিতে ভিতরে ঢুকতে চাই আর তখনই তন্নতন্ন করে খুঁজতে থাকি পুরো নজরুল। হিন্দু-মুসলমান, মন্দির-মসজিদ অথবা বাস্তব কল্পনার দৌড়ের সীমানা পরিক্রম করি। আর সীমানার এক একটি ইঁট খুলে চুন-সুরকি আলাদা করতে চাই। তাঁর গানের কথা আলাদা।সেখানে প্রেম, অর্থের তাগিদ এবং অভিব্যক্তি দুই-ই কবিকে স্বয়ংক্রিয় করে তুলেছিল। কবিতা মর্ম জগতের আলোড়ন । কবিতাকে শুধু আরবী উর্দু শব্দের ফেনায়িত তরঙ্গ ভাবলে ভুল হবে। এই দিক থেকে বহু আলোচিত নজরুলের কবিতাকে সনাতন দৃষ্টিতে না দেখে আধুনিক কবির দৃষ্টিতে দেখতে চেষ্টা করব।
কবি নজরুল রবীন্দ্রনাথকে গুরুর আসনে বসিয়ে তাঁর মধ্য দিয়েই আত্মোপলব্ধির চরম সার্থকতা অনুভব করেছেন। নিজের স্বরূপকে বোঝাতে গিয়ে বলেছেন :
“দেখেছিল যারা শুধু মোর উগ্র রূপ
অশান্ত রোদন সেথা দেখেছিলে তুমি;
তুমি একা জানিতে হে কবি মহাঋষি
তোমারি বিদ্যুচ্ছটা আমি ধূমকেতু।”
কবির এই কান্না পিতা-মাতা অথবা আত্মীয়জনের বিয়োগের জন্য নয়। কিংবা শ্রাদ্ধের দিনের কান্নাও নয়। চুরি যাওয়া গৃহমালিকের কান্নাও নয়। এ কান্না জীবনচারী মানসলোকের অতৃপ্তি। এ কান্না জীবনযাপনের অনিশ্চিত যাত্রা। এ কান্না আত্মাঘাত।এ কান্না চরম বিপর্যয়।দারিদ্র্যের ভ্রুকুটি সহ্য করে কন্টক মুকুট মাথায় পরেও কবি তাপস। আর এই সাধনারই সিদ্ধি কবিতায়। তাই এক একটি কবিতা অন্তর্জ্বালার শব্দিত বাতাবরণ। আত্মসত্তার দহন। প্রাণের মূল থেকে উঠে আসা বাণী বিন্যাস। সমাজের কিছুটা দায় কবি ঘাড়ে নিয়েও কখনো অনবদ্য বিচিত্র রূপে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। যা ব্যঞ্জনায় দ্যুতিতে গান্ডীব আয়ুধের মতো :
” বল বীর
চির উন্নত মম শির—
শির নেহারি আমারি নত শির
ঐ শিখর হিমাদ্রীর—”
এই ‘বিদ্রোহী’ কবিতাতেই ‘আমি’র দুর্বিনীত উত্থান যার আবেগটুকু বাদ দিলে শ্রেষ্ঠ কবিকৃতির নিদর্শন মিলবে। তথ্য তত্ত্ব, রস, প্রেম, বাস্তবতা ও রোমান্টিসিজম সবকিছুর মধ্যেই কবি কীভাবে অবাধ বিচরণ করেছেন তা দেখে বিস্মিত হতে হয়। বাইশ বছরের বসন্ত মদমত্ত, অফুরন্ত প্রাণশক্তির অগ্নি আখর এই কবিতা।
কবি কেন বিদ্রোহ করলেন ,কিসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন এ প্রশ্ন সম্ভবত সকলেরই। সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘বসুমতী’র সম্পাদকও এটিকে ‘আগুনের গোলা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই বিদ্রোহ ছিল অবহেলিত শোষিত জাতির আত্মশক্তির প্রকাশ। অন্তর্বেদনার আগুন ।সস্তা উচ্ছ্বাসের বুদবুদ নয়। ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ‘বাঁধনহারা’ দিয়ে শুরু করেছিলেন। তখন প্রেমের ব্যর্থতাকেই কবি বিদ্রোহে রূপান্তরিত করেছিলেন। তারপরই এই ‘বিদ্রোহী'(১৩২৮) এখানেও প্রেম ,প্রেমের পঞ্চশর। এই প্রেমই সৃষ্টির প্রধান প্রেরণা রূপে বারবার কবি নজরুলকে শক্তি যুগিয়েছে। কখনো গানে , কখনো কবিতায়। প্রথম স্ত্রীকে ত্যাগ করে ,নার্গিসের ভালোবাসা পেয়ে, শেষে প্রমীলাতে এসেছে জীবনের পূর্ণতা। এই ত্রয়ীর টানাপোড়েন তাঁর সৃষ্টি মাধুর্যের নবতম রসায়ন। ‘ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম’ কবি প্রেমিকভ্রমর ছাড়া কে আর এমন উপলব্ধি করতে পারে? ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং এলিজাবেথ ব্যারেটের প্রেমে ভালোবাসায় আন্তরিকতায় ধন্য হয়েছিলেন। প্রেমের অফুরন্ত সত্তা কবি যেন তাঁর মাধ্যমেই লাভ করেছিলেন। একসময় এলিজাবেথ সম্পর্কে কবির বক্তব্যও ছিল চমৎকার : “মুক্তোর আবরণে উদ্দীপ্ত আত্মা ।” কবি দারিদ্র্য ও প্রেমের মধ্য দিয়ে সমস্ত জীবন মন্থন করে এসেছেন। আর এর মধ্য দিয়েই চিরসত্য ও মৌলিক জীবন দর্শনকে সৃষ্টিতে রূপায়ণ করতে পেরেছেন। আমরা যাকে ‘প্লেটোনিক লাভ’ বলি যেমন জীবনানন্দ দাশ তাঁর ‘বনলতা সেন’ কবিতায় ছবি এঁকেছেন ; তেমন ছবির কথা হয়তো তাঁর কাব্যে নেই। তবু যা আছে তা আমাদের জীবনচারী বাতায়ন থেকে দেখা জীবনদীপের আলোকোজ্জ্বল রশ্মি। যা কখনো রোমান্সের সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত। কখনো হাড়হাভাতের গ্লানির উত্তরণ ; আশাবাদীর সফল স্বপ্নদর্শন। ব্রাউনিং এর প্রেমের কবিতা সম্পর্কে জি কে চেস্টারটন( G K Chesterton) বলেছেন : “এগুলি প্রেমের কবিতার মধ্যে সবচেয়ে সত্যবাদী ; যেহেতু এরা প্রেম সম্পর্কে বেশি কিছু বলে না।” এই কথাগুলি বলার আগে আরও একটি কথা বলা হয়েছে : ” এগুলি বিমূর্ত আদর্শ নিয়ে রচিত নয়।” নজরুলের প্রেমেও এর সাদৃশ্য আছে। তিনি প্রিয়ার ব্যাকুল কান্না শুনেছেন। শ্রাবণ রাতের বিরহকে আপন হৃদয়ে অনুভব করেছেন। নয়ন ভরা জল দেখেছেন। সবই যেন বাস্তব থেকে উঠে আসা অমলিন প্রেম-সৌন্দর্যের আকর। অমর মুহূর্তগুলির সতেজ উদ্ভাসন । তাঁর দেশাত্মবোধের কবিতায়ও একটা নিজস্বতা আছে। সৈনিকের উষ্ণ রক্ত ,জেলের মধ্যে থেকে উপবাসে যে আত্মশুদ্ধি লাভ সমস্তই মিলেমিশে কবিকে এক মহাশক্তি দান করেছিল। বন্ধু পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন : “তাঁর কবিতা তখন আমাদের কাছে বেদমন্ত্র হয়ে উঠেছিল, স্বপ্ন দেখতাম আমাদের রক্তে রাঙানো দুঃখের যাত্রায় তিনি চলেছেন অগ্রগামী যাত্রিক— হাতে তাঁর উদগ্নি মশাল ।….. বুকের আগুনটাকে জ্বালিয়ে রাখার ইন্ধন পেয়ে গেলাম আমরা।” এই আগুন আজও রাজনীতির বাহারি বক্তৃতা। জাতিবিদ্বেষের সোপানে আমাদের অগ্রগতি। মসজিদ মন্দিরে ধর্ম আটকে দিয়েছি। কোরান বেদ বাইবেল আজ নষ্ট গুরুদের হাতে। অপব্যাখ্যা হচ্ছে ঘনঘন । নির্দোষ রক্তপাত। নজরুল ছিলেন এসবেরই বিদ্রোহী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে মানুষ রূপে দেখার ক্ষমতা নজরুলের ছিল। আজকের দিনে তসলিমা নাসরিন যখন মানুষের নতুন অথচ সর্বোৎকৃষ্ট মূল্যবোধকে আমাদের সামনে তুলে ধরতে সচেষ্ট হন, তখন নজরুলের কথা মনে আসেই। যাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম হিন্দু-মুসলমানকে এক করে ভাববার মহানুভবতা; সমস্ত ধর্মীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে অবস্থান ; ভারতবর্ষে যে ক’জন মহামানব আছেন তাঁদের পাশেই নজরুলের স্থান। হিন্দু-মুসলমানের কবি, মানুষের কবি , সাম্যের কবি , ভারতবর্ষের ভারতীয় কবি নজরুল। প্রেমেন্দ্র মিত্র যখন বলেন:
“আমি কবি যত কামারের আর কাঁসারির আর ছুতোরের
মুটে মজুরের
আমি কবি যত ইতরের।”

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত যখন বলেন:
“শুনহ মানুষ ভাই
সবার উপরে মানুষ সত্য স্রষ্টা আছে কি নাই।”

জীবনানন্দ দাশ যখন বলেন :
” নিখিল আমার ভাই
কীটের বুকেতে যেন ব্যথা জাগে আমি সে বেদনা পাই;”

অথবা
“গাহি মানবের জয়
কোটি কোটি বুকে ভগবান আঁখি মেলে রয়।”

তখন আমাদের মন নজরুলকে বেশি স্মরণ করে:
“মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহীয়ান”
এরকম বাক্য তাঁর মুখ দিয়েই বেরিয়ে এসেছিল। তাই নজরুল একটা দিকচক্র। একটা প্রভাত সঙ্গীত এর রক্তরাগ। একটা বাঁশিওয়ালার শাশ্বত সুর। একটা জাতির ভিত্তিভূমি। জাতীয়তাবোধের তীর্থক্ষেত্র। আর আমাদের সৃষ্টির মূল উৎস উৎসারিত প্রাণকেন্দ্র।
আমাদের চেতনার নিগূঢ় ভাবনায় আজকের সমস্যাবহুল দিনে একজন আধুনিক কবির কাছে নজরুল রচনার সমাপতনিক নিঃসন্দেহ। তাঁর সৃষ্টির ভেতর-বাহির হার্দিক আবেদনে জীবনব্যাপী রস সিঞ্চন করে যাবে একজন মানব শিশুকে । শুধু বিদ্রোহের মুকুট পরিয়ে ঠাকুরঘরে নজরুলকে বসিয়ে রাখার সময় নয় এটা। গোপন হিংসা আর কপটরাত্রি-ছায়ে সৈনিক কবি আমাদের মধ্যে মিশে যাবেন এটাই কাম্য। তিনিই চেয়েছিলেন “আমি হিন্দু মুসলমানকে এক জায়গায় ধরে এনে হ্যান্ডসেক করাবার চেষ্টা করেছি। গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণত করাবার চেষ্টা করেছি।…… দুটি জাতি। দুটি ভাই—আসলে দুই নয় —ওরা দুজন মিলেমিশে একজন।” এই কথাগুলি আজকে ছেঁদো কথায় রূপান্তরিত হয়েছে ঠিকই, তবু এর আবেদন ফুরিয়ে যায়নি। নির্মম সত্যের মতো প্রতিনিয়ত আমাদের অনুসরণ করার ইচ্ছে জেগে উঠেছে। আজ যে সাধনা কবি শিল্পী সাহিত্যিকগণ করে চলেছেন, তাঁরা কি এগুলিকে বাদ দিতে পেরেছেন ? হয়তো অন্য সুরে অন্য মাত্রায় তাঁরাও মানবমঙ্গলের গান গাইছেন। তাঁরাও বলে উঠেছেন :
“মানুষ শব্দটাতে কাঁটাতারের বেড়া নেই
ঈশ্বর নামে কোনো বড়বাবু এই বিশ্বসংসার চালাচ্ছেন না
ধর্মগুলো সব রূপকথা”
( একটা গাছ তলায় দাঁড়িয়ে: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

নয়ন আহমেদ on দু’টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on পাখিমানুষ