যৌনতার বর্বরতা
………..
যৌনতার বর্বরতা আমাকে দাও হে মুক্তি
আমার অনেক ভক্তি শুক্তির ভেতরে
মুক্তো আহরণে উড়ন্ত রয়েছে
নাবিকের দুর্ধর্ষ চরিতামৃত অন্বেষায়
কামগন্ধময় তীব্র লিপ্সার গা ঘিনঘিন করা
হা-মুখো এ সংসারের গাড্ডা থেকে
এই ইহ দেহনন্দন আকাশে ওড়াও, ওড়াও
হে জিবরাইল ফেরেশতা
তোমার কুশলী চিমটিতে তুলে
আর এই শিশ্নকৃষ্ণজ্বালা নোলাদাগা স্ফীত কনডম
ফুঁয়ে-ফুঁয়ে নির্বাপিত করো
বিয়াত্রিচে দেবী দান্তের প্রেমিকা
আমি অলিকুল শিরোমণিদের নেশাতুর নেত্র
সেবাদাস হবো
হবো তো অমিত শক্তিধর মাঙ্গলিক
সমাজের স্বপ্নদ্রষ্টা …
…………..
প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা
…………..
নারীও তো প্রতিষ্ঠান
তার রঙ্গম প্রণয়মূর্তি
স্তনভার
বিশুদ্ধ জৈবিক গুহা
ললিপপে ধাবিত বালকসম আমারে টেনেছে
মাই না-খাইয়ে অবজ্ঞার কিরিচ-হাসিতে
ফেলে দিয়েছে বিষ্ঠার পুঁটলির মতো
সেই তো কুপিত, রোদিত পরশুরাম আমি
জন্ম নিলাম জগতে
চোরাচোখে ওই রমণী-প্রাসাদোপম রূপে
ডুবে থেকে-থেকে
দূর থেকে জোর লাথির মুদ্রায়
আসলে আলগা চড় মারি
রাঙা গালে
মনে-মনে
জঘনে-জঙ্ঘায়
কুড়িয়ে পথের কালো পিচ পোঁচে-পোঁচে
লেপে দিই
তারপিন তেলের বোতল
জেলজেলে ন্যাকড়াসহ
পশ্চাতে লুকিয়ে রেখে
ও নজর দিলেই, একটু হাসলেই
যৌন মৌন রঙ্গভরে
লেজ তুলে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে যাই
আদরে-আদরে সব মুছে দেবো বলে …
………….
ওকে একটু বসতে দিয়ো
………….
ক্ষতাক্ত, রক্তঝরিত হয়ে
এসেছি তোমার সান্দ্র নৈকট্যের লোভে
দূর থেকে কুঁজো, মৃত্তিকার লগে লেপ্টে-লেপ্টে
আমাকে আসতে দেখে
তুমি ভাবছ : কী সুন্দর ছিল ও
শ্রীটা হারালো কোথায়
খোঁড়াতে-খোঁড়াতে ঠিক
তোমার অকম্প্র নামাঙ্কিত দেউড়িতে
পা রেখেছি
সকল হারিয়ে
দেখেই আড়ালে গেলে দ্রুত–
এও আমি দেখলাম
আর্ত, জুলজুলে চোখে
তোমার অপরিবর্তনীয় হুকুমনামায়
যারা চলে
তারা বিনম্রবচনে
যে-লফজে আমি পথেঘাটে, অন্তরিক্ষে চলি
সেই আমারই জবানে বলে :
প্রভু বলেছেন : ও এখানে এলে
একটু বসতে দিয়ো …
………….
মানুষের কত কাজ
…………..
সজনেডাঁটার মতো সমস্ত সবুজ আঁশ ছিলে ফেলে
পরিমিত নুন আর মশলায়
অরণ্যকে উদরে পাঠাতে নির্বিকার
বেদম গোগ্রাসে
দৃঢ়চেতা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপঘাত মৃত্যু
তাকে নিরালা পাখির লেজ দোলানো
আনন্দ এনে দেয় বুকের অন্দরে
আসমানে ভেসে-ভেসে তারকার মতো জ্বলে
সন্ধ্যায় জায়নামাজে মোনাজাত করে
সাফল্যের আরও স্বর্ণমুদ্রা চেয়ে কাঁদে
মাটির ভেতরে লম্বালম্বি শুয়ে
পাতালের দিকে চলে যায়
নানা বয়সি মুদ্রায় …