spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

লিখেছেন : ফরহাদ মজহার

‘ওস্তাদ’

ফরহাদ মজহার

শেষাবধি শহীদ দেশে এসে আর নিঃশ্বাস নিলো না।  প্রবাসে মরে গেলো। দেশ ছাড়ার পর মার্কিন দেশে সারা জীবন কাটিয়ে দিলো। কিছুই প্রায় লিখলো না। শরীরের সঙ্গে নিত্যদিন লড়াই একটা কারন হতে পারে। ডায়ালাইসিসের ওপর তাঁর জীবন নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। জীবনের বড় একটা অংশ তিনি সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারেন নি। ব্যাক্তিগত আবেগ, ঘটনাঘটনের টানাপড়েন এবং  আরো নানান কারনে লেখালিখির জন্য যে দূরত্বটুকু দরকার, সেটা তৈরি করা আমার জন্য কঠিন ব্যাপার।  তবে কাদরী মরে গেলো, এই অতি সাধারণ সত্যটুকু আমাকে প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছে। আমি স্মৃতিকথা লিখতে বসিনি। কখনও লিখব বলেও মনে হয় না। তবে শহীদ কাদরীকে নিয়ে শোকগ্রস্ত ঘোরের মধ্যে দুই একটি কথা পেশ করছি মাত্র। শহীদকে নিয়ে কিছু লিখব বা লিখতে হবে এটা আমি ভাবি নি।

শহীদ কাদরী দীর্ঘ একটা সময় বিদেশী একজন মহিলাকে বিয়ে করে যখন বাস করছিলেন তখন কারো সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতেন না। আমি নিজেও কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। তবে খোঁজখবর রাখবার চেষ্টা করতাম।  যোগাযোগ ছিন্ন করার মধ্যে অবাক হবার কিছু নাই। এটা শহীদের স্বভাবের ব্যাতিক্রম কিছু নয়।

তবে নীরা কাদরীর কাছে বাংলাদেশের কবিদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। প্রায় হারিয়ে যাওয়া শহীদকে তিনি আবার সচল, সরব ও দৃশ্যমান করে তুলেছিলেন। নিউইয়র্কের প্রবাসী কবিদের নিয়ে নিজের বাসাতেই একটা আড্ডা ও কাব্যচর্চার ক্ষেত্র তৈরি করে নিয়েছিলেন। শহীদের জন্য সেটা খুবই উপকারী চর্চা হয়েছে বলে মনে হয়। কিছুকাল আগে নিউইয়র্কে নীরা, শহীদ ও তাঁদের কাব্যমহলের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কিছু সময় কাটাতে পেরেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, এটা সৌভাগ্যই ছিল আমার। 

একদমই প্রবাসী হয়ে যাবার মধ্যে যে অভিমান কাজ করেছে তার বিস্তর ব্যাক্তিগত কারণ থাকতে পারে। যারা কবিকে জানাবোঝার চেয়ে কবির ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে অতি আগ্রহী তারা হয়তো এখন নানান কেচ্ছাকাহিনী বলবে ও বানাবে। কবিতা প্রেমিকদের আগেই বলে রাখি শহীদকে বোঝা কঠিন কিছু নয়। তাকে বোঝার জন্য তার কবিতাই যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস বাদ দিয়ে আলাদা ভাবে স্রেফ কবিতা নামক বিচ্ছিন্ন সাহিত্যকর্ম হিসাবে পড়লে চলবে না। পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশক অবধি যে সময়কাল তার একটা খতিয়ান মনে রাখা দরকার। সেই খতিয়ান তৈরি অবশ্য কবিদের কাজ নয়, সেটা ইতিহাসওয়ালাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সেই ইতিহাস যতো পরিচ্ছন্ন হবে হয়তো ততোই আমরা শহিদ কাদরীকে বুঝতে পারব।

দুই

যাদের সঙ্গে অতিশয় ঘনিষ্ঠ থেকে জীবনের একটা সময় বড় হয়েছি, তাদের মৃত্যু গভীর ও গোপন কিছু তন্ত্রীতে আঘাত করে। এড়ানো কঠিন হয়ে যায়। প্রবাসে শহীদের মৃত্যু তরুণ বয়সের বিস্তর কিছু স্মৃতি  উসকে দিচ্ছে। একটা সময় গিয়েছে দিনের পরদিন শহীদ, আল মাহমুদ এবং  আমার সম বয়সী কিম্বা অনুজ কবি বন্ধুরা আমার বাসায় থেকেছে। দিনের পর দিন আড্ডা দিয়েছি আমরা। এই স্মৃতিগুলো আমার জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় বটে। একই সঙ্গে কবিদের উদ্দেশ্যহীন আড্ডাবাজির অন্তঃসারশূন্যতা সম্পর্কে  দ্রুত ধারণাও হয়েছে আমার। তবে  তরুণ আধুনিক কবি হিসাবে আমার বেড়ে ওঠার জগত এবং তার সীমা সম্পর্কে উপলব্ধি এর মধ্য দিয়েই তৈরি হয়েছে। এটাই এই সময়ের নগদ লাভ।  যে অল্প কয়েকজন বয়সে বড় কবিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আমি জড়িত ছিলাম। তাদের মধ্যে শহীদ একজন। অগ্রজদের মধ্যে শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ আছেন, সন্দেহ নাই। কিন্তু শহীদ কাদরী ও রফিক আজাদের সঙ্গে  আমার ঘনিষ্ঠতা  ছিল বেশী।  সম্ভবত শহীদ শামসুর রাহমানের বয়েসী নন, আবার আমাদের বয়সের মধ্যেও পড়তো না। বয়সে বড় হলেও তার চরিত্রের আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ওর বন্ধুত্বের সংজ্ঞায় শহীদের বড়ছোট ভেদবিচার ছিলনা। ছোটদের সঙ্গে শহীদ সবচেয়ে বেশী সপ্রতিভ। তাদের সঙ্গে সারাক্ষণ হাসি ঠাট্টা তামাশা শ্লেষে চরম।  বন্ধুদের নিয়ে ‘মজাক’ করতে তার তুমুল আনন্দ।  অন্যরাও পুলকিত হোত। এর ফলে তার সম্পর্কে ভীতি ও মিথ দুটোই তৈরি হয়েছিল। যারা তার প্রিয় মানুষ কিম্বা বন্ধু, তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবার শক্তি শহীদের ছিল অপরিসীম। এর জন্য তাকে অনেক মূল্যও দিতে হয়েছে।

ষাট ও সত্তর দশকে বিউটি, রেক্স , তাজ ইত্যাদি রেস্তোঁরার আড্ডা নিয়ে বিস্তর মিথ তৈরী হয়ে আছে। শহীদ কাদরীকে নিয়ে এই মিথগুলো সচল রয়েছে।  সেইসব আড্ডায় সাহিত্য নিয়ে কথা বার্তা হোত, ঠিক। কিন্তু পনেরো আনা হোত সাহিত্যের বাইরের জিনিস। পরচর্চা  ও পরনিন্দা। তবে ‘রেস্তোরাঁ’র মিথের সঙ্গে আধুনিক বাংলা কপবিতার একটা কাল্পনিক সম্পর্ক আছে।

স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানে ঢাকা শহর তখন সবে মাত্র গড়ে উঠছে। জিন্নাহ এভিনিউ ও গুলিস্তানের মোড়ে ঘোড়াগাড়ি তখনও বিলুপ্ত হয় নি। প্রাচীন আস্তাবলের শেষচিহ্ন, রিকশার ক্রিং ক্রিং ও গাড়ির হর্নের আওয়াজের মধ্যে চাবুক, চাকা ও খুরের আওয়াজ শোনা যায়। ঘোড়ার  মুত ও চনার গন্ধ তখনও নাকে এসে লাগে। এর মধ্যেই সাতচল্লিশে স্বাধীন হওয়া নতুন পূর্ব পাকিস্তানে নয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণির আবির্ভাব ঘটেছে। তারা ‘আধুনিক’ হতে চায়। কিন্তু যে জীবন চর্চা আধুনিক কবি তৈরি করে, সেটা ঢাকায় সম্ভব না। ঢাকায় কলকাতার মতো কফি হাউস নাই। তারপরও নতুন কবিরা বুদ্ধদেব বসুর বোদলেয়ার পড়ে ‘আধুনিক’ হচ্ছে। পারির রেস্তোঁরায় কবিদের আড্ডার কেচ্ছা শুনে তারা আপ্লূত। মদে আসক্তি ও গণিকার প্রতি প্রেম তাদের আধুনিক হবার উপজীব্য হয়ে উঠেছে। মাহবুব আলী ইন্সটিটিউট তখন মদ ও জুয়ার আড্ডা। বাংলা মদ বাংলা সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠছে অনেকের কাছে। এই সেই পরিস্থিতি যখন ঢাকায় প্যারিসের কিম্বা কলকাতার মতো কফি হাউস বা রেস্তোঁরা না থাকায় কবিসাহিত্যিকদের গলিঘুঁজি গুলো আবিষ্কার করতে হয়েছে, কারন তাদের ‘আধুনিক’ হতে হবে।  বিউটি , রেক্স বা অন্য কোন রেস্তোঁরাকে ‘মিথ’ বানানোকে সিরিয়াসলি নেবার কোন যুক্তি নাই। দুর্ভাগ্য যে শহীদ কাদরী নিয়ে কথা উঠলেই রেস্তোঁরা, আড্ডা, আড্ডাবাজিতা ইত্যাদি প্রসঙ্গ প্রায়ই তোলা হয়। এর প্রাসঙ্গিকতা ইতিহাস ও সমাজতত্ত্বের মধ্যে নাই বলা যাবে না। কাব্য ও সাহিত্যচর্চার দিক থেকে সেটা আধুনিক হবার জন্য সাতিশয় কাতর শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মনোজগতকে বোঝার জন্য কাজে লাগে। 

তিন

শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ  শহীদ কাদরীকে বুঝতে হলে ষাট থেকে সত্তর দশকের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত বুঝতে হবে। ব্রিটিশদের ভারত ত্যাগের মধ্য দিয়ে সাতচল্লিশে পাকিস্তান স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে হাজির হোল। ইতোমধ্যে  ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির আত্মপরিচয় নির্মাণের নির্ণায়ক ধারণা ও কল্পনায় মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে নতুন জামিদারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জমিহারা বাংলাদেশের জনগণ জমিদার-মহাজনদের বিরুদ্ধে লড়েছে। লড়তে গিয়ে ‘মুসলমান’  হিসাবে নিজেদের ঐতিহাসিক আত্মোপলব্ধির যে বয়ান   জনগণ খাড়া করেছিলো, যার ভিত্তিতে তারা পাকিস্তান চেয়েছে, সেটা অকস্মাৎ মিথ্যা হয়ে গেলো। ‘মুসলমান’ হিসাবে তার পরিচয়ের কথন ছিল ব্রিটিশ ঔপবেশিক শক্তি ও বর্ণ হিন্দুর ক্ষমতা, বিধি বিধান ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বয়ান।  সেখানে ষাট দশকের মধ্যেই প্রতিস্থাপিত হোল ‘আবহমান বাংলা ও বাঙালি’র কেচ্ছা’, বর্ণহিন্দুর সাংস্কৃতিক আধিপত্য। এই কাল্পনিক কমিউনিটি (imagined Community) বা কাল্পনিক বাঙালি  আদতে কলকাতার উচ্চ বর্ণের হিন্দু কবি-সাহিত্যিকদের নির্মিত জিনিস।  কিন্তু তা সত্ত্বেও এর ঐতিহাসিক ন্যায্যতা পাকিস্তানের সামরিক-আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিপীড়িত জনগোষ্ঠির ন্যায্য লড়াই। নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ন্যায্যতা। জরুরী ও অনুবার্য, কিন্তু ‘বাঙলি’ আত্মপরিচয়ের পক্ষে কোন ন্যায্যতা নয়।

এই সময়ের আধুনিক কিম্বা অনাধুনিক কোন কবিসাহিত্যিকের মধ্যে আমরা আত্মপরিচয়ের প্রশ্নে ঐতিহাসিক সচেতনতা দেখি না। শহিদ কাদরীও ব্যাতিক্রম নয়। যারা বাঙালি পরিচয়ের চেয়েও নিজের ‘মুসলমান’ পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ মনে করতো তারা এই পরিচয়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্য বুঝতো না, এখনও বোঝে না। একে তারা নিছকই ধর্মীয় পরিচয় মনে করতো। এখনও তার হেরফের হয় নি। তালিম হোসেন, বেনজর আহমেদ ফররুখ আহমেদদের আমরা এভাবেই বুঝতে পারি। তাদের প্রতিপক্ষরাও তাদের পরিচয়কে নিছকই ধর্মীয় পরিচয়ই মনে করে যার মধ্যে তারা ঔপনিবেশিক ইতিহাসের কোন যোগসূত্র ধরতে পারত না। এখনও পারে না। ফলে তাদের কাছে ইসলাম, মুসলমান ইত্যাদি ‘বাঙালি’র বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলো। অন্যদিকে ‘বাঙালি’ হিসাবে তাদের নিজেদের আত্মপরিচয়কেও তারা চিরায়ত ও শ্বাশ্বত মনে করত, যার প্রতিপক্ষ ছিল মুসলমান বা ইসলা্মি আত্মপরিচয়। 

ব্যাতিক্রম না হলেও শহীদের মধ্যে বাঙালিপনার চেয়েও ইউরোপীয় আধুনিকতার ঝোঁক তুলনামূলক ভাবে আমরা বেশী দেখি। সম্ভবত এখানেই তার কবিতার স্বাতন্ত্র। অনেক সময় অনুকরণও বটে। এখানে শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদের সঙ্গে তার পার্থক্যের জায়গা আমরা ধরতে পারি।এই দুই কবির তুলনায় তার অস্থিরতা ও অস্বস্তির জায়গাও হয়তো এখানে। কিন্তু ইউরোপীয় আধুনিকতা বাংলা কবিতার ঐতিহাসিক শর্ত নয়, শহিদ কাদরীর মধ্যে আমরা সে কারণে যে ‘উন্মূল ও উদাস্তু’ চেতনার  উপাদান পাই তাকে কতোটা ইউরোপীয় আর কতোটা সংকীর্ণ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারা থেকে আলাদা ব্যাপার বলে শনাক্ত করতে পারি সেটা কবিতা পাঠের একটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।। তবে আমি যখনই শহীদের কবিতা পড়ি তখনই এই উন্মূল ও উদ্বাস্তু চেতনার অনুরণন টের পাই। এর পুরা অর্থ বোঝার চেষ্টা এখানে করা সম্ভব নয়। তবে প্রসঙ্গ হিসাবে আপাতত বলে রাখলাম।  শহীদ কাদরীকে বোঝার জন্য আমার কাছে এই বাস্তুহীন মোহাজির কিম্বা ইতিহাসদের সঙ্গে সম্বন্ধহীন উন্মূল চেতনা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। সে কারণে বাংলা কবিতায় শহীদ কাদরীর ‘আধুনিকতা’ নতুন পদার্থ। একান্তই তার নিজের।

শহীদ বাংলাভাষার আধুনিক কবি হতে চেয়েছিলো।  বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কিশোর বয়সের কবিতা ছাপা তার জন্য বিশাল স্বীকৃতি। শহীদ নিজেও তাই মনে করতো। রেস্তোঁরায় শহিদ আড্ডা মারতো সন্দেহ নাই, আমরাও তুমুল অংশ নিতাম। তার সম্বোধন কবিদের পস্পরের সম্বোধন হয়ে উঠেছিল। ‘ওস্তাদ’, শহীদ ডাকতো। সেটা এখন বাংলাদেশের সকল কবির ডাক হয়ে গিয়েছে।  এক সময় শহীদের সঙ্গে ‘ওস্তাদ’ সম্বোধনের সম্পর্ক পাতানোর অর্থ ছিল আধুনিক কবি হিসাবে ঢাকা শহরে স্বীকৃতি পাওয়া। সেটা খুব চাট্টিখানি ব্যাপার ছিল না।

কানে শহীদের মশকরা মিশ্রিত ‘ওস্তাদ’ সম্বঢনই  ক্রমাগত বাজছে। এই অসাধারণ সম্বোধনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের কবিদের মধ্যে শহীদ জীবিত থেকে যাবে আমার মনে হয়।

একই সঙ্গে উন্মূল ও উদ্বাস্তু হবার উপলব্ধি ও আধুনিক চেতনা।

৩১ অগাস্ট ২০১৬। আরশিনগর।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

সাজ্জাদ সাঈফ on বাছাই কবিতা
নয়ন আহমেদ on বাছাই কবিতা
নয়ন আহমেদ on ১০ টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on কবিতাগুচ্ছ