আবু তাহের সরফরাজ
সত্তরের দশকের কবিতার ভাষাশৈলী খুবই সাবলীল। প্রতিদিনের যাপিত জীবনের আমাদের মুখের ভাষার কাছাকাছি। আশির দশকের কবিরা সেই শৈলীকে ডিঙিয়ে কবিতার ভাষাকে একটু গাম্ভীর্য দিতে চেষ্টা করলেন। শব্দের এই গাম্ভীর্য কারো কবিতায় সৃষ্টি করলো শিল্প-সৌন্দর্য, কারো কবিতায় বিশৃঙ্খলা। বিশৃঙ্খলা মানে সচরাচর অব্যবহৃত শব্দের বিন্যাসে কিছু একটা বলার চেষ্টা। কবিতার ভেতর নিহিত কবির বোধের স্ফুরণ পাঠককে তাড়িত না করলে সেই কবিতা বিশৃঙ্খল শব্দের কাঠামো। আশির দশকের কবিদের কাব্যযাত্রার বিশেষ প্রেরণা ছিল, বিগত দশকের বলয় ভেঙে কবিতাকে নতুন ঢঙে বিচিত্র রূপে নির্মাণ করা। তারা বিশ্বাস করতেন কবিতা সর্বগ্রাসী। ফলে, বিচিত্র আঙ্গিকে আশির দশকে লেখা হতে থাকলো অসংখ্য কবিতা। বিশেষ করে ছোটকাগজ কেন্দ্রিক কবিতা চর্চায় কবিরা গতিশীল হয়ে উঠল। আশির দশকের কবি হলেও মজিদ মাহমুদের কবিতার ভাষাশৈলী সত্তরের দশকের কবিতার মতোই। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাওয়া যাবে আশির দশকের কবিতার যে ভাষারীতি সেই রীতির সঙ্গে মজিদের কবিতার ভাষাশৈলী একীভূত। মানে, সত্তরের দশকের কবিতার মতো মজিদ মাহমুদ সহজ ও আটপৌরে শব্দের বুননে কবিতা নির্মাণ করলেও সেসব শব্দের বিন্যাস সত্তরের নয়, আশির দশকের। তার সমসাময়িক আরসব কবিদের কবিতার ভাষা থেকে মূলত এখানেই মজিদের স্বাতন্ত্র্য। বিষয়টির দিকে একটু নজর ফেরানো যাক। পড়া যাক ‘স্বজন’ কবিতাটি:
মাঝে মাঝে মনে হয় মরে যাওয়া ভালো
মাঝে মাঝে মনে হয় বেঁচে থাকি
যাদের জন্য বেঁচে থাকতে চাই তারাই বা আমার কে
আবার যাদের জন্য মরে যেতে চাই তারাই বা আমার কে
আনন্দ যা কিছু নিজেই পেয়েছি
দুঃখ দিয়েছে পরিচিত জন
তবু স্বজনহীন মরে যাওয়া কম দুঃখের নয়।
যেসব শব্দের মিলিত বুননে কবিতাটির বাক্যগুলো তৈরি হয়েছে সেসব শব্দ আমাদের প্রতিদিনের মুখে ভাষা। যা বলা হচ্ছে তা খুবই পষ্ট। যে কোনো পাঠক সহজেই কথাগুলো বুঝতে পারবে। তবে প্রতিটি বাক্যের ভাঁজে যে দার্শনিক উপলব্ধি মজিদ মাহমুদ ছড়িয়ে দিয়েছেন সেই উপলব্ধি পাঠকভেদে একেক রকম হয়ে উঠবে। কেননা, প্রত্যেক মানুষেরই উপলব্ধির ক্ষমতা ও কল্পনা-বিস্তার আলাদা আলাদা। সত্তরের দশকের কবিতার ভাষাশৈলীর সাথে মজিদের এই কবিতার ভাষাশৈলীর খুব বেশি পার্থক্য আমাদের চোখে পড়ে না। তবে ভাষার ভেতর লুকিয়ে থাকা দর্শনগত বোধকে ধারণ করে কবিতার ভাষাভঙ্গি আগের দশক থেকে ভিন্ন। এ ধরনের ভাষারীতি আশির খুব কম সংখ্যক কবির কবিতাতে চোখে পড়ে। কবিতায় কবি যা বলেন সেই বলার কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বলার কথা যদি কবিতায় কবির অন্তর্বোধের জাগরণ না ঘটায় তাহলে পাঠকের ভেতরও সেই কথা কোনো তাড়না তৈরি করবে না। সেই কবিতা হয়ে উঠবে স্রেফ বিশৃঙ্খল শব্দের স্ট্র্যাকচার। কবিতার বিষয়বস্তু মূলত কবির অন্তর্জগতের বয়ান। মজিদ মাহমুদ যে দার্শনিক প্রজ্ঞা দ্বারা শাসিত, সেই পরিচয় এই কবিতায় আমরা পাই। মানুষের জীবন নানা উত্থান-পতনের মিলিত সংগ্রাম। দেখেশুনে মনে হয়, ভাগ্যের বিরুদ্ধে প্রতিমুহূর্তে লড়াই করে যাওয়াই যেন মানুষের জীবন। এই লড়াই চালিয়ে যেতে যেতে আমাদের প্রত্যেকেরই মনে হয়, এসবের চেয়ে মরে গেলেই বুঝি শান্তি। আবার কখনো কখনো মনে হয়, মরে গিয়ে ফায়দা কী! বেঁচে থাকি আরো কিছু দিন। দার্শনিক সত্য হচ্ছে, মানুষ নিজের জন্য বেঁচে থাকে না। সে বেঁচে থাকে তার প্রিয় মানুষদের জন্য। এজন্যই গড়ে উঠেছে পরিবারভিত্তিক জীবনব্যবস্থা। কিন্তু বাস্তবতা এমন যে, যাদের জন্য মানুষ বেঁচে থাকতে চায় ক্ষেত্রবিশেষে নানা স্বার্থের কারণে সেসব মানুষ দূরে সরে যায়। আবার, যাদের বঞ্চনা ও অবহেলায় আমরা নিজেকে নিজের ভেতর গুটিয়ে ফেলি আর অপেক্ষা করি মৃত্যুর, তারাও তো আমাদের মারা যাবার কারণ হতে পারে না। এই পৃথিবীর বুকে মানুষ যা-যা আনন্দ উপভোগ করেছে সেসব তার নিজের উপলব্ধিতেই করেছে। তবে দুঃখ-যন্ত্রণা যা দেয়ার সেসব দিয়েছে পরিচিত মানুষ। এতকিছুর পরও কোনো মানুষই স্বজনহীন একাকী মারা যেতে চায় না। মৃত্যুর মতো চূড়ান্ত সময়েও মানুষ চায় প্রিয়জনের সঙ্গ। মানুষের এই দ্বান্দ্বিক জীবনবোধ আশ্চর্য কুশলতায় কবিতার ভেতর তুলে এনেছেন মজিদ মাহমুদ। আশ্চর্য কুশলতা বলছি এ কারণে যে, প্রত্যেক মানুষের জীবনে যা সত্য সেই গভীর বোধকে সহজে সহজ শব্দের বিন্যাসে তিনি বর্ণনা করতে পেরেছেন। বিষয়কে প্রাঞ্জল করে তুলতে পেরেছেন। এটা তার কবিসত্তার শক্তিমত্তার পরিচয় বহন করে।
কবিতায় কোনো বিষয়কে বোঝাতে মজিদ মাহমুদের উপমা ব্যবহারের ক্ষমতা ঈর্ষণীয়। সহজ শব্দের বুননে সহজ কথামালার ভেতর টুক করে তিনি এমন একটি কথা বলে ফ্যালেন, যা পাঠককে শিহরিত করে। বিষয়টি নতুন আঙ্গিকে পাঠককে বাধ্য করে। ‘বিধবা’ কবিতায় এর উদাহরণ আমরা পেয়ে যাব।
বিধবাকে আমরা তো তার শাদা শাড়ি দেখেই চিনি
কিন্তু রাতে যারা স্বামীর কাছে ঘুমোতে পারে না
অন্যকে কামনা করে
তারা জানে মৃত স্বামীর স্মৃতির পীড়ন।
বাংলার সংস্কৃতিতে প্রচলিত যে, বিধবাদের প্রতীক শাদা শাড়ি। ফলে, ওই প্রতীক দেখেই আমরা বিধবাদেরকে চিহ্নিত করতে পারি। কিন্তু কবি আরেক ধরনের বিধবাদের কথা এই কবিতায় বলছেন যাদের কোনো প্রতীক নেই। ফলে, আমরা তাদেরকে বিধবা হিসেবে চিনতেও পারি না। তারা কারা? তাদের পরিচয় নিরূপণ করতে গিয়ে যে ভাষা ও সূক্ষ্মবোধের পরিচয় মজিদ দিয়েছেন, সেখানেই এই কবিতা শিল্প-সৌন্দর্যে অনন্য হয়ে উঠেছে। স্বামীর সাথে যৌন-সম্পর্ক করতে গিয়েও অনেক নারী আরেক পুরুষকে কামনা করে। সঙ্গম-মুহূর্তে স্বামীর জায়গায় আরেক পুরষকে কল্পনা করে। অথবা আরেক পুরুষের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকেই কোনো কোনো নারী স্বামীর সঙ্গে এক বিছানায় শোয় না। ওই নারীর কাছে ওই আরেক পুরুষ স্বামী। সেই স্বামীর স্মৃতি-যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বেঁচে থাকে এইসব বিধবারা। কী চমৎকার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ! এ ধরনের মনস্তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ মজিদের বেশি কিছু কবিতায় পাওয়া যায়। মানুষের মনস্তত্ত্ব বড়ই জটিল। গহীন। খুব সাবলীল উপায়ে সেই গহনে আমরা পৌঁছতে পারি না। কবিতায় ওই গহনের খোঁজ পেতে গেলে নানা বাক্য-বিস্তারের দরকার পড়ে। কিন্তু মজিদ মাহমুদ গেরস্ত-জীবনের আটপৌরে শব্দের সম্ভারে নিখুঁতভাবে সেসব ফুটিয়ে তোলেন তার কবিতায়। তবে কথা হচ্ছে, কবিতার ভেতর দিয়ে কখনোই তিনি তার বক্তব্যকে বিস্তৃত করেন না। বরং পাঠকের ভাবনার খাতিরে কোথাও কোথাও স্পেস রেখে দেন। এই উপায়ে মজিদ পাঠকের সঙ্গে আন্তরিক হয়ে ওঠেন। ‘ধাত্রী-ক্লিনিকের জন্ম’ কবিতার প্রথম কয়েক পঙক্তি পড়া যাক:
পৃথিবীতে আসার রাস্তাটা পিচ্ছিল
নদীর পাড় থেকে শিশুরা যেভাবে পানিতে গড়িয়ে পড়ে
মাঝে মাঝে শামুকের আঁচড় লেগে পাছার নিচটা কেটে যায়
কিছুটা রক্তপাত হলেও শিশুদের কেউ থামাতে পারে না
শিশুদের দুর্দান্ত কৌতূহল—
দাইমার হাতের স্পর্শেও তারা বিরক্ত হয়
তাদের পতন অনিবার্য
তবু নদীতে গড়িয়ে পড়া সন্তানদের
নিরাপত্তার কথা ভেবে মায়েরা কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়
এসব ভয় ও উদ্বেগ থেকে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ক্লিনিক।
জীবনের নানা অধ্যায়ের প্রতি পর্যবেক্ষণ ঝোঁক রয়েছে মজিদ মাহমুদের। ওপরের কবিতাংশে আমরা সেটা খেয়াল করি। নতুন একটি জগতে আসতে দুর্দান্ত কৌতূহল কাজ করে নবজাতকের ভেতর। পরম বিস্ময়ে এই সত্য আবিষ্কার করেন কবি। নতুন প্রজন্মের না-থাকলেও আমাদের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে স্মৃতি হয়ে আছে, পুকুরের পিছল পাড় ধরে জলে পড়ে যেতাম। বারবার এই খেলাটা খেলতাম। কখনো এমন হয়েছে যে, ঝিনুকের ভাঙা খোলসে হাফ প্যান্ট চিরে গিয়ে পাছা কেটে যেত। রক্ত পড়তো। কয়েক দিন পর গোসলের সময় আবারও ওই খেলা খেলতাম। কী যে আনন্দ হতো! নবজাতকের ভূমিষ্ট হবার তীব্র কৌতূহলের সঙ্গে এই দৃশ্যের তুলনা কবিতার বিষয়কে আলাদাভাবে সুষমামণ্ডিত করেছে, সন্দেহ নেই। শিশু ভূমিষ্ট হতে চায়। এই যাত্রাপথে কোনো বাধায় সে মানতে রাজি নয়। এমনকি ধাত্রীর হাতের স্পর্শেও নবজাতক বিরক্ত বোধ করে। এরই পাশাপাশি প্রগাঢ় স্নেহের আতিশয্যে গর্ভধারিণী শিশুর আগমনকে নিরাপদ করতে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। মূলত মায়েদের উদ্বিগ্নতা রোধ করতেই গড়ে উঠেছে মাতৃসদনগুলো। কিন্তু শিশুর জন্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব ক্লিনিকগুলো কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখে? কবিতার বাকি অংশে কবি সেসব প্রশ্নের অবতারণা করেছেন। কবি জানাচ্ছেন, গাইনি ও নার্সদের কাজ শিশুদের গড়িয়ে পড়ার পথকে পানিশূন্য করে শুকিয়ে দেয়া। মৃত্যু অনিবার্য। যেসব মানুষ মারা যায় কবরে গড়িয়ে পড়ার মতো পিচ্ছিল পথ তাদের নেই। জীবিত মানুষেরা মৃতকে ধরাধরি করে কবরে শুয়ে দ্যায়। অথচ এ কাজের জন্য কবরের পাশে কোনো ক্লিনিক নেই। জন্ম ও মৃত্যুকে এইভাবে পর্যবেক্ষণ খুব মেধাবী না-হলে সম্ভব নয়।
আশির দশকের কবিতার প্রধান একটি প্রবণতা চমক সৃষ্টি। কিন্তু মজিদ মাহমুদের কবিতায় সে-রকম বৈশিষ্ট্য আমাদের চোখে পড়ে না। সম্ভবত তিনি পাঠককে চমকে দিতে পছন্দ করেন না। নিজের শিল্পযাত্রার সহযাত্রী হিসেবেই তিনি পাঠকের সঙ্গ পেতে চান। তবে সত্যি যে, চমকের বিষয় একেবারেই গৌণ থাকেনি মজিদের কবিতায়। আশির আরসব কবি থেকে এই বিষয়ে তার পার্থক্য হচ্ছে, চমককে তিনি দার্শনিকতার প্রজ্ঞায় উত্তীর্ণ করে তোলেন। উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ‘বিভ্রান্ত রেখা’ কবিতায় মজিদ লিখছেন: ‘আমার চোখ দৃশ্যের বাহন হলেও/বস্তুত পুরোটা দেখতে দেয়নি/আমার পরম সুন্দরের বদলে চোখ নিজেই দিয়েছে/বিভ্রান্ত সৌন্দর্যের ধারণা।’ মানুষ কিভাবে দ্যাখে সেই বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া নিশ্চয়ই আমাদের জানা আছে। যদি থাকে তাহলে আমাদের বুঝতে সমস্যা হবে না এই বাক্যগুলোতে মজিদের বিবৃত দার্শনিক বয়ান। তার কবিতায় কৃত্রিমতা নেই। যা আছে তার সবটুকুই যেন প্রকৃতিগত পদ্ধতিতে মজিদের কবিসত্তার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যে ভাষায় তিনি তার অন্তর্বোধকে কবিতায় রূপদান করেন সেই ভাষা তার সহজাত, স্বতঃস্ফূর্ত। তার যে কোনো কবিতা পড়লেই বিষয়টি পাঠকের চোখে ধরা পড়ে। কবিতাকে কবিতা হয়ে ওঠার জন্য তিনি নিজের থেকে কোনো কিছু কবিতার ওপর আরোপ করেন না। কেননা, তিনি জানেন কবিতা হয়ে ওঠার বিষয়। তাই তো তিনি লিখেছেন:
কবিতাকে কবিতা হতে দেখলেই আমি বিরক্ত হই
কবিতা কবিতার মতো হলে আর পড়তে ইচ্ছে করে না
মনে হয় সাজানো গোছানো
মনে হয় কেউ লিখতে চেয়েছিল
মনে হয় বিয়ের আগে পার্লারে গিয়ে সেজেছে অনেক
এসব সাজাটাজা তো একদিনের ব্যাপার
সবাইকে দেখানোর জন্য, চোখ ধাঁধিয়ে দেয়ার জন্য
গায়ের রঙ চড়ানোর পরে
দামি অলঙ্কার ও শাড়ির আড়ালে
পরচুলা ও ভ্রু প্লাক করার পরে
আসল কনে যেমন হারিয়ে যায়।
নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মজিদ মাহমুদ নিজের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফলে তার কবিতা সাজিয়ে তোলা কোনো শিল্পিত ফর্ম নয়, সেটা হয়ে ওঠে। মানে, স্বতঃস্ফূর্ত। যে কোনো কবিতা তখনই সার্থক হয়ে ওঠে যখন সেই কবিতা পাঠকের হৃদয়ে তাড়না সঞ্চারিত করে। যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে ওই কবিতা শিল্প হিসেবে অসফল। কবিতার সফলতা মূলত নির্ভর করে কবির অন্তর্বোধের ওপর। এরপর সেই বোধকে কী ভাষায় কী উপায়ে তিনি কবিতায় সঞ্চারিত করছেন, তার ওপর। দেখা যাচ্ছে, ভাষাশৈলী কবিতা হয়ে ওঠার পেছনে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ বিষয়ে মজিদের ভাষ্য হচ্ছে, “হৃদয়-আবেদন কবির প্রথম এবং প্রধান শর্ত। জীবন-জগতের কোনো এক গূঢ় রহস্য যখন কবি আবিষ্কার করেন, এবং ভাবেন এ কথা তার মতো করে কেউ ভাবেননি কিংবা এমন করে কেউ বলেননি, তখন তিনি বলার মাধ্যম হিসেবে কবিতাকে বেছে নেন।”