……………..
দুখঃজনক ও আনন্দ
……………..
এমনই মননে নিষ্ফলা
তাহাদের নিদারুণ নীরবতা…
তাহারা তো গজবের উত্তরসূরী!
মেজাজে বিষণ্ণ—সে যে দুঃখজনক
কী ভীষণ একচোখা
একরোখা…. !
ধর যদি নতুন স্বাধীনতায়
এক ব্যাক্তি, তার পরম স্বেচ্ছাকে
ছাত্র-জনতার রক্তের নদীতে
কসমে কসমে ঢেউয়ে দোলায়
তাকাতেই মন—নমনীয়তায় …
ঐক্যের সুন্দর মানে, মনে
অনুতাপ
আর উদারতা…;
অভিন্ন রক্তের স্রোত হয়ে
পাশে বয়ে যায়…
জীবন শহীদেরা, আরো যত রক্তশ্রমে শহীদান
বয়ে যাওয়া রক্ত নদীর দু’কূলে
অবিরাম ফুটে
হেসে হেসে হৃদয় পোড়ায়
দুঃখজনক আনন্দ আনন্দ
সেই ২৪শে ৩৬ জুলাই….!
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
……………..
অন্য প্রস্তুতি
……………..
প্রতিকূল সময়ে কালি ও কলমে হাজির ছিলাম
এখন তো খুঁজি প্রাণে তৃপ্তিকর চুপচাপ—
নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কত কি লিখলাম…
চারদিকের বিরূপ কাড়াকাড়ি জাতীয় কিছুতে
আমি নেই—সেই ভালো, ভালো আছি।
যারা যেটা পাবার, চেয়ে নিক, পেয়ে নিক।
হাত তালিটা আগাম দিয়ে রাখলাম।
আচ্ছা, আমরা কি জেনে গেছি কী এবার
অন্য প্রস্তুতির এসেছে সময়…?
ডম্বুর ও তার আশপাশ থেকে ঘনকালো মেঘের আক্রোশে
বিস্তৃত পাহাড়ি ঢলে অবিশ্বাস্য ঢলে
আমাদের মাঠের ফসল, পুকুরের মাছ,
খামারের হাঁস-মুরোগ, গরু-ছাগল
গবাদি ও প্রাণের বসতিবাড়ি ঢুবে আছে—এ যখন;
ওপারে জনৈক, তিনি নাকি স্বভাব মোড়ল!
বিশ্ব আবহের এদিক ওদিক বর্ণনার পর
ঘুরেফিরে আমার দিকেই
শেষে তার কীসের ইঙ্গিত ?
সামরিকী স্বসজ্জার জন্য দিয়েছেন নাকি তাহার বয়ান…!
তবে এপারেও অন্য প্রস্তুতি—প্রস্তুত
প্রীতি ও সম্প্রীতি—বুক চিতিয়ে নিশ্চিত ঘুরে দাঁড়াবেই;
বাধ্য কর যদি বারুদ ফুটাতে
ট্রিগারে টিপ ও নিশান মেলাতে
সাহসের কোটি কোটি হাত রয়েছে ডাকের অপেক্ষায়…।
মাবুদের কাছে সদা স্বদেশের
কল্যাণ কামনা করি।
এপার-ওপার বলে ভেদাভেদ নাই মানুষের—
মানুষের কল্যাণ কামনা করি।
এপারে অপার শান্তিপ্রিয় আমি ও আমরা
মুক্তির জাগ্রত পথে
শহীদের খুনরাঙা পথে, নতুন অপেক্ষা…।
৮ সেপ্টেম্বর ২৪
কমলাপুর
……………
নট মব জাস্টিস
…………….
আছে জানি দেশি-বিদেশি
স্বার্থান্বেষী—লোভের লোমশ হাত;
আমাদের দুখের পরিস্থিতিতে
যেন অবনতির বাড় না বাড়ে—
যেন দ্রুত প্রতিশ্রুত শান্তি আসে
আসুক পাহাড় থেকে সমতলে…।
আমাদের অন্তর্গত দিকচক্র
ডান-বাম, উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম মিলে
এক হই শান্তির সপক্ষে
শান্তির সপক্ষে আপ্রাণ চেষ্টায়।
নইলে মহাবিপদ—
সংকেত ছেড়ে, সবিস্তারে
ছড়িয়ে পড়বে সবখানে…!
আসুন ইনসাফের পক্ষে
মানুষের পক্ষে মানুষ দাঁড়াই।
নিজের ভেতর থেকে কালো
তাড়াই, ছাড়াই
বলদর্পি ফ্যাসিবাদ তাড়াই, ছাড়াই
সাম্যের নীতিতে রীতিতে সহিষ্ণু হই—
সামঞ্জস্য হই
জিঘাংসার তীর-ছুরি-গুলি
চিরতরে ছুড়ে ফেলে
আবিশ্ব সম্ভাবনার হই
আমাদের বাংলাদেশ—এই আমি এই তুমি।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
………..
মুগ্ধতা
………..
এমন হাসির কাছে পরাজিত মৃত্যুখোর
চোখের ঝিলিক টুক বাসনা আহ্লাদী
ইচ্ছের কথক ঠাকুর মন্দিরা বাজায়
আত্মমন্ত্র ভুল হয়ে যায়…
কীসব বিপরীতের গুঞ্জন গম্ভীর হতে বলে
না, পারি না। বিদ্যুৎ বিভাগের সামান্য কেরানি
বিদ্যুৎ চমকিত একপ্রস্ত দন্তপাটি সুন্দরের কীবা বোঝে
হক মাওলা জিকিরে জিকিরে
পাশের পথের দিকে হেটে যাচ্ছে
মুহুর্তের মুগ্ধতা… !
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
………………
বাতেনি হাঁক
………………
নতুন প্রজন্ম দেখে
কীসব ফ্যালাসি দিন যায়
ওদের ত্যাগের মূল্যে নতুন
অনুভূতির চর্চা করো
অভিভূতির সুন্দর… !
প্রত্যেকে ঘৃণার মিনিস্টার
বিদ্বেষের জেনারেল শাখার কেরানী
কীভাবে কী আর…
ইয়া আল্লাহ হরি ইশ্বর…!
১ অক্টোবর ২০২৪
কমলাপুর
…………..
স্বাধীনতা…
…………..
আলোর মঞ্জুরী পেড়ে এনে
এইতো ভোরের বিভা
স্বাধীনতা—ফুটেছি রক্তের উৎসবে
প্রাণের উজাড়ে ফোটা ফুল ‘২৪
শতাব্দীর এক নতুন বছর
গলে গলে ফোটে
ফোটে ফুল, ফোটা ফুল
রক্তফুল
অবিনাশী ফোটায় ফোটায়…।
সরব জাগ্রত রক্ত সঞ্চালনে বাঁচ
দেশের মানুষ
বিষ্ময়কর বিশ্বাসের শাখা-প্রশাখায়
আলোর মানুষ
শিরদাঁড়া জুড়ে এদেশের শ্বাসমূল;
স্বাধীনতার প্রজ্জ্বল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের
পায়ের তলায় খুঁটে খুঁজে দেখো
দিল্লি-পিন্ডি-দিল্লি ছেড়ে স্বাধীন ঢাকার
অনিবার্য ‘৪৭, ‘৭১ অনিবার্য ‘২৪।
৩০ অক্টোবর ২৪
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
…………..
গ্রেফতার
…………..
এক রূপসীর ডাগর দু’চোখ
লুটোপুটি হাসি খেলে, সৌম স্বরে বলে—
কী-বা দেখ?
আমার উপর-ভেতর একই
পাসওয়ার্ডে সচল এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ…
কোনো সেয়ান হ্যাকার যদি
খুলতে পারে—আমি হবো তার।
সম্বিত শরমে চোখের আরাম ভুলতে চেয়ে
সহসাই নাউজুবিল্লাহ
নাউজুবিল্লাহ বলে কেটে পড়ি।
কয়েকদিনের মধ্যে খুঁজে নিয়ে
রূপসী পুলিশ সেজে
আমাকে স্যালুট দিয়ে তুলে নিতে চায়
হ্যাকার! তুমি অপরাধী।
এক জীবনের শাস্তি তোমায় পেতেই হবে
ঠিক করে নাও উসুল কাবিন
চল; বুকপকেটে তুমিই এখন কোর্টের চালান…!
২ নভেম্বর ২৪