গোলাম রসুলের কবিতা-সংগ্রহের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রতিটি অক্ষরের ভেতর প্রবেশ করার সময় আমাদের এই কথাগুলি স্মরণ রাখা জরুরি। কারণ, গোলাম এতটাই বহুমাত্রিক, ছোট-ছোট নির্ধারিত দিগন্ত এবং ‘সেট’- করে দেওয়া নন্দনের নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে গেছেন; এত বিপর্যাস’কে আশ্রয় করেছেন, এত নিপুণভাবে যুক্তি-শৃঙ্ক্ষলার আধিপত্যবাদ ও তার পথ ধরে ঘনিয়ে তোলা লিরিসিজমকে ভেঙেচুরে দিয়েছেন যে তাঁকে কোনও একটি জ্যঁর-বন্দি করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। যে সময়ে তিনি আত্মপ্রকাশ করছেন সে সময়ের ‘কবিতা’র মৌল-লক্ষণ হিসাবে ‘স্বীকৃত’ কয়েকটি ধারাকেই তিনি প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে রীতিমতো অস্বস্তি তৈরি করলেন, এবং এখানেও বলে নেওয়া দরকার- এটি কোনও বিপ্রতীপ-অবস্থান গ্রহণ পদ্ধতি ছিল না। গোলাম রসুলের কবিতায় কোনও মেরু-সাপেক্ষে বিপ্রতীপ অবস্থান গ্রহণের বিষয় নেই। ফলে, তাঁর নন্দন ও আত্মভ্রূণের বৈশিষ্ট্য, ‘একক’।
গোলামের কবিতা ও পাঠকের সঙ্গে তার সম্পর্ক’কে ব্যাখ্যা করতে গেলে অদ্ভুত এক কুহকের সামনে দাঁড়িয়ে বিমূঢ় হয়ে পড়তে হয়। রোঁলা বার্ত যেটিকে ‘থার্ড-মিনিং’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন — ঠিক যেন সেখানেই প্রোথিত রয়েছে গোলাম রসুলের কবিতার আবেদন। একটি ‘টেক্সটের’ প্রথম স্তরের ‘ইনফরমেশন’ ও দ্বিতীয়-স্তরের ‘নিও-সেমিওটিক্স’ পেরিয়ে তৃতীয় স্তরে ‘সিগনেফায়েড’ও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ে, বার্তের মতানুসারে।
আসন্ন ‘কলিকাতা পুস্তকমেলা ২০২৫’-এ ‘কচি পাতা’ থেকে প্রকাশ হতে চলেছে গোলাম রসুল প্রণীত ‘কবিতা সমগ্র ২’।
মুদ্রিত মূল্য: ৭৯৯/-
প্রিবুকিং মূল্য: ৫৫৯/
৩০% ছাড়সহ প্রিবুক করতে নিচে দেওয়া লিংকে যান… https://www.boiwalaexpress.in/product/kobita-samagra-2-golam-rosul/