…………
‘জীবনানন্দ শতবর্ষে ভূমেন্দ্র গুহ-র হাতে হঠাৎই এসে পড়ে একটি খাতা। কবির ভ্রাতুষ্পুত্র অমিতানন্দ দাশের আবিষ্কার। তিনি সঙ্গত কারণেই সে খাতা তৎক্ষণাৎ তুলে দেন ভূমেন্দ্র গুহ-র হাতে। কি ছিল সে খাতায়? কবি জীবনানন্দ দাশের চল্লিশটি কবিতা! প্রতি পাতায় একটি করে সাজানো। কোথাও তেমন কাটাকুটির চিহ্ন নেই। যেন সংশোধন-পরিমার্জন শেষে অন্য কোনো খাতা থেকে তুলে এনে কবিতাগুলির পরিমার্জিত রূপ এখানে বসানো হয়েছে। এবং সবগুলিই তখনও পর্যন্ত অপ্রকাশিত। জীবনানন্দ শতবর্ষে তখন সমস্ত লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক জীবনানন্দ সংখ্যা প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিঃশব্দে। সবাই সতর্ক, প্রকাশের আগে যেন নিজেদের পরিকল্পনা অন্য কেউ টের না পায়। সেই সময়ে ভূমেন্দ্র গুহ নিবিড় ভাবে পরীক্ষা করছেন সে পাণ্ডুলিপি। কবিতাগুলি গুছিয়ে তোলা হয়েছে ঠিকই, তবে কবিতাগুচ্ছটির কোনো নামকরণ করা হয়নি। কবিতার অন্তঃসাক্ষ্য থেকে ভূমেন্দ্র গুহ অনুমান করেছেন কবিতাগুলি ‘রূপসী বাংলা’-র কবিতাগুচ্ছের আগের রচনা। এবং কবির বরিশাল বাসকালেই রচিত হয়েছে সেগুলি।
কবির জন্মশতবার্ষিকীর পঁচিশ-ছাব্বিশ বছর পর এই প্রথম পাণ্ডুলিপি সহ গ্রন্থিত হল কবিতাগুলি। এতে আমাদের কোনো কৃতিত্ব নেই। আছে শুধু ভূমেন্দ্র গুহ-র কাছে ঋণ স্বীকার। নতুন সময়ের পাঠকেরা পাণ্ডুলিপি সহ কবিতাগুলি পড়তে পারবেন, এটাই বলবার কথা।’ (ব্লার্ব থেকে)
প্রকাশক: বার্ণিক
প্রচ্ছদ:সমীরণ ঘোষ
প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন মেলায়।