…………..
তুমি আর নয়
সালেম সুলেরী
…………
হাতুড়ি কুড়ালে মুজিব-মুরালে
এতো যে আঘাত বাড়িও পুড়ালে,
বত্রিশে ঘৃণা, দালানও গুড়ালে, আহা–
মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ছিলো যাহা…।
মুজিব তো নেই, ছিলো কন্যায়
তারাও পালালো, অনন্যোপায়–
আন্দোলনের গণবন্যায়
জীবনরক্ষা, ভারতে উড়ান উড়ালে–
ক্ষোভের জনতা হাতুড়ি পেটালো মুরালে।
রাজনীতি পারে ওঠাতে-নামাতে
যদি ভুল করো নিজেকে থামাতে,
চারটি দশক নিজে সভাপতি,
স্বৈরাচারের একদিন নতি,
বৈষম্যের ধরা মতিগতি…
মানতেই হবে জন-সম্মতি।
ক্ষমতার লোভ– ফিরতে কি চাও?
বরং নেত্রী– একটু পিছাও।
অপরাধহীন অন্যকে দাও চেয়ার–
পরিবার রেখে মেধাবীকে করো শেয়ার।
রক্তে যা ছিলো উস্কানি রং– থামাও,
গলার আওয়াজ হোক নমনীয়, নামাও।
অপরাধ ছিলো, ক্ষমা চাও করজোড়ে,
মেরেছো হাজার, পঙ্গু মাতৃক্রোড়ে..
কতো কান্নার কোরাস জীবন, ফতুর,
তোমাকে স্বদেশ বলছে ‘মায়াবী চতুর’।
‘তুমি আর নয়’, অবসরে আছো, থাকো,
পাপের বিচারে নিজেরে কয়েদ রাখো।
‘আয়নাঘরে’র ছায়াটাও পশ্চাতে
ডাকো মহাপ্রভু, তসবিটা নাও হাতে।
নিয়তি কঠিন, বুলডোজারের রীতি–
ভুলে যাও যতো ভুল-ভাল রাজনীতি।
বঙ্গকন্যা, মাথায় রাখার দেশে–
‘আবর্জনার ঝুড়ি’ হলে অবশেষে।
ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
…………..
বিপ্লব বিষয়ক কবিতা
আবু তাহের তারেক
…………..
রাজশাহীর আ-আল মামুনের
মত নিছিলা
ধানমন্ডি ৩২ গুড়া করার আগে!
কবি রুহুল মাহফুজ জয়ের
কবিতা নিছিলা
ধানমন্ডিতে পাঠ করার লাগি!
তুমরা অন্তত
বামপন্থী একিটিভিস্টদের
দাওয়াত দিতা!
ধরো লাকি আখতার
আইসা গান করল
মূর্খ তুমরা
বেয়াদপ তুমরা
আর গ্রাম্য
নার্গিসের গান
বাজাইয়া নাচলা
এই নাচ তাল ছাড়া
এই গান মহৎ না
এই বিপ্লবও
টেক্সটবই ফলো করে নাই
………….
বুলডোজারে তছনছ তখতে তাউস
সাদ আব্দুল ওয়ালী
………..…
ক্ষণে ক্ষণে প্রতিক্ষণে বাড়তে থাকে
একে একে সারি সারি শব্দের মিছিল
আবারো বিক্ষুব্ধ শ্লোগানে শ্লোগানে
উত্তাল রাজপথে জেগে ওঠেছে
ক্রমশ বাড়তে থাকে জনতার জোয়ার…
যতটা সরব স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট
তার চেয়ে লক্ষ গুণ ধেয়ে আসছে
ক্ষোভের আগুন,
পুড়ছে ফেরআউন-নমরুদের আস্তানা
থাকবে না কোনো জালিমের দস্তানা,
থাকবে না কোনো ব্যক্তিপূজার মন্দির কিংবা উপসনালয়!
ভুয়া ভুয়া শ্লোগানে উচ্চকিত চারিপাশ
শেষ পর্যন্ত
ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে কোনো বাধাই টিকে না
কোনোভাবে টিকতে পারে না
উর্দি পরা জওয়ানদের ন্যুনতম পদক্ষেপ।
ভেঙে পড়ছে,
গুড়িয়ে পড়ছে অবিশ্বাসের ইমারত
আবারো বিশ্বাসের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে
বুলডোজারে তছনছ তখতে তাউস!
০৫-০২-২০২৫ ইং
সাভার, ঢাকা।
……………
দু’টি কবিতা
মেজু আহমেদ খান
……………
১. ছত্রিশ না বত্রিশ
………….
ছত্রিশে বত্রিশ
রেখে যায় যদি,
মাটির কসম ব্যথা–
রক্তের দাগ রয়ে যাবে নিরবধি।
ছত্রিশ,নয় বত্রিশ
একটাকে বেছে নাও
বেছে নিতে তরুণেরা
একযোগে হানা দাও।
ছত্রিশ না বত্রিশ..
ছত্রিশ ছত্রিশ।
০৫/০২/২০২৫
ওসমানীগঞ্জ
২. বুলডোজার
………….
স্বৈরাচারী নাম নিশানা
মুছে দেয়া শেষ সিগনেচারের নাম
বুলডোজার।
ইতিহাস বদলায়
ইতিহাস শিক্ষা দিয়ে যায়।
কখনো সে বুলডোজার হয়ে আসে
কখনো বা নতুন বয়ান নিয়ে আসে
আসে,
ইতিহাস পুনঃ পুনঃ আসে;
ইতিহাস নতুন ইঙ্গিত দিয়ে হাসে।
০৬/০২/২০২৫
কাব্য কুঠির
………..
একটি প্রার্থনা
সাজ্জাদ বিপ্লব
…………
পুড়ছে ৩২ নম্বর, পুড়ে যাক
উড়ছে ফ্যাসিস্ট ভূত, উড়ে যাক
খুলছে বাঙালি ভাগ্য, খুলে যাক
আমার এই কথাটি, দূরে যাক….
৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
আটলান্টা, জর্জিয়া।
কৃতজ্ঞ চিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি “বাংলা রিভিউ”
এডিটরের প্রতি।