ইমরুল হাসান
সাহিত্য কইরা লেখতে পারাটাই আমাদের দেশে ভালো-সাংবাদিকতা হয়া আছে, যেইরকম সুন্দর কইরা ডিস্ক্রিপশন লেখতে পারাটা হয়া আছে ভালো-সাহিত্য, বা অনেক আন-কমন ডিকশনারি-ওয়ার্ড লেখতে পারাটা হয়া আছে ভালো-কবিতা… এইরকম; এইসব কারনে সাংবাদিকতার জায়গাটা অনেকেই টের পান না বইলা আমার ধারনা
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় মাহমুদুর রহমানের আমার দেশ পত্রিকায় ছাপানো বিচারপতির স্কাইপি কনভারসেশনের ধারে-কাছে যাওয়ার কোন ঘটনা আমার ধারনা আমার মতো অনেকেই মনে করতে পারবেন না! অথচ সেইটারে ট্যাবু ঘটনা বানায়া রাখা হইছে, এইরকম একটা গ্রাউন্ড-ব্রেকিং জার্নালাজিমের জন্য মাহমুদুর রহমানরে খালি পলিটিকালি সাফারই করতে হয় নাই, বরং কাজটা ‘অ-সাংবাদিক সুলভ’ ঘটনা বইলা এস্টাবলিশ কইরা ছাড়ছে বাল-রেজিমের পা-চাটা কুত্তাগুলা! (এখনো সেইটার কন্টিনিউশনই চলতেছে বাংলাদেশের নিউজ মিডিয়ায়)
মানে, স্কাইপির নিউজ ছাপানো যদি ‘অ-সাংবাদিকতা’ হয়, তাইলে ওয়াটার-গেট কেলেংকারি কি!… অথচ, বাংলাদেশের বিচার-ব্যবস্থার আজকের যেই ভয়াবহ অবস্থা, এর মেইন কারন হইতেছে অই কেলেংকারি’রে ‘নরমাল’ কইরা তোলা, কোন বিচার না হওয়া!
বাংলাদেশের সাংবাদিকতারও এইরকমের ভয়াবহ ও করুন হয়া উঠার কারন হইতেছে মাহমুদুর রহমানের অই জার্নালিস্টিক এপ্রোচটারে এডমায়ার না করতে পারা, ভালো ও দরকারি সাংবাদিকতা হিসাবে রিকগনাইজ করতে পারা!
তো, এইগুলা থিকা খুব তাড়াতাড়ি আমরা বাইর হইতে পারবো — এইরকম আশা আমি করি না, কিনতু কেউ কেউ জায়গাগুলারে রিভিউ করার, নোটিশ করার সাহসটা করতে পারবেন — এই এক্সপেক্টশন না থাকলে তো লেইখা ‘সময় নষ্ট’ও করতাম না।