মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইন
দেশমাতৃকার স্বাধীনতার প্রশ্নে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মি ব্যারাক থেকে পালিয়ে এসে যোগ দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীরউত্তম খেতাব পেয়েছিলেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বিপ্লবের অন্যতম নায়ক হিসেবে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত লেফটেন্যান্ট কর্নেল অব.শরিফুল হক ডালিম বীরউত্তম এর লেখা নতুন বই ‘জিয়া থেকে খালেদা অতঃপর’। তার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা গুলো বর্ণনা করেছেন এই বইটিতে।
বইটিতে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচিতি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রাম, স্বাধীনতা উত্তরকালে আওয়ামী-বাকশালী একদলীয় স্বৈরশাসনের পতনের লক্ষে ১৫ আগস্ট বিপ্লব, ২-৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ -চক্রের প্রতিক্রিয়াশীল ব্যর্থ ক্যু দাতা এবং ৭ নভেম্বরের মহান সিপাহী-জনতার বিপ্লব, জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ এবং বেগম খালেদা জিয়ার শাসনকালে সেনা পরিষদের অবদান, পরবর্তী পর্যায় বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ ঘটনাবলি লেখার চেষ্টা করেছেন লেখক, ব্যক্তিগত এবং সহযোদ্ধাদের অভিজ্ঞতার আলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ইতিহাস গবেষক এবং বোদ্ধাজনদের বিচার-বিশ্লেষণের সুবিধার্থে।
লেখকের ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত ‘যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি’ বইটির ধারাবাহিকতাতে লেখা ‘জিয়া থেকে খালেদা অতঃপর’। তাই লেখার সারবস্তুর সঠিক উপলব্ধি এবং বিচার বিশ্লেষণের জন্য বইটি পাঠকদের পড়াটা জরুরি।
বইটি প্রকাশের মূল উদ্দেশ্য হলো, দেশবাসী বিশেষকরে তরুণ প্রজন্ম যাতে তথ্যভিত্তিক উপাদানগুলো থেকে সত্যকে খুঁজে নিতে পারেন। চিনে নিতে পারেন বিগত চার দশকের উপর সময়কাল ধরে যারা ক্ষমতার নাগরদোলায় পালাবদলের জাতীয় স্বার্থবিরোধী সমঝোতার রাজনীতি নিজেদের হাতে কুক্ষিগত রেখে জনগণকে দ্বিধাবিভক্ত করে অপার সম্ভাবনার দেশটাকে অনিশ্চিত অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে নিজেদের স্বকীয়তা এবং অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন করে তুলেছেন, তাদের আসল চেহারাটা। ঠিকভাবে অতীত ইতিহাসের আলোকে নেতা-নেত্রীদের চরিত্র না জানলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে কোনো জাতি কখনোই সঠিক নেতৃত্ব এবং পথের সন্ধান খুঁজে পেতে পারে না।
এবারের একুশে বইমেলায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আহসান পাবলিকেশন এর ৭৭৮ স্টলে পাওয়া যাবে।