spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদপ্রবন্ধকৌশলগত নেতৃত্বগঠন ও বাংলাদেশের যুবডকট্রিন

লিখেছেন : মুসা আল হাফিজ

কৌশলগত নেতৃত্বগঠন ও বাংলাদেশের যুবডকট্রিন


মুসা আল হাফিজ


যুবশক্তির বিকাশে বাংলাদেশের জাতীয় কর্মনীতি জরুরী। প্রয়োজন এমন এক ডকট্টিন, যা রাজনৈতিক-বিনিয়োগ বা কর্মসংস্থানভিত্তিক নীতিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সে হবে নৈতিক, জ্ঞানতাত্ত্বিক, ভূরাজনৈতিক ও সভ্যতাগত ভবিষ্যৎ নির্মাণে যুবকদের কেন্দ্রীয় শক্তিতে পরিণত করার দৃষ্টিভঙ্গি।
একটি ইতিবাচক, সংগঠিত ও নীতিনিষ্ঠ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে হবে যুবশক্তিকে। এজন্য শুধু চেতনার উদ্দীপনা নয়, প্রয়োজন গভীর দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে একটি নৈতিক, জ্ঞানভিত্তিক ও সাংগঠনিক রূপকল্প। এর দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে কতিপয় দিক বিবেচনা জরুরী ।
১. বাংলাদেশে বহু তরুণ রাজনৈতিক ‘নেতৃত্ব’-এর আকাঙ্ক্ষায় আকৃষ্ট হন। কিন্তু নেতৃত্বের প্রকৃত অর্থ—দায়িত্ব গ্রহণ, সেবা প্রদান, ত্যাগ স্বীকার। সেটা আয়ত্ত না করলে নেতৃত্বের আগ্রহ পথ হারায়।
এখানে নেতৃত্ব বলতে বোঝায় শুধু বক্তৃতা, ক্যামেরার সামনে উপস্থিতি বা প্রতীকী উচ্চারণ। এর বদলে যুবশক্তিকে শেখাতে হবে দায়িত্ব গ্রহণের মনোভাব—নিজের পরিবারের, সমাজের। তাকে রাষ্ট্রের , ভবিষ্যতের দায়িত্ব গ্রহণের সক্ষমতা নির্মাণ করতে হবে ।
একজন তরুণ যখন রাস্তার গর্তে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য নিজেকে দায়ী মনে করেন, তখন তিনি নেতা না হলেও সমাজের নায়ক হতে যাচ্ছেন।
২. শিক্ষাগত ডিগ্রি অর্জনের সংস্কৃতি আমাদের সমাজে প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানচর্চা—চিন্তা, পাঠ, গবেষণা, বিতর্ক ও প্রয়োগ বলতে গেলে অনুপস্থিত।
বিকাশকামী তারুণ্যের জন্য জরুরী হলো , শুধু সার্টিফিকেট অর্জন নয়, বরং গতিশীল ও বর্তমান জ্ঞান-সংস্কৃতি গড়ে তোল।ডিগ্রি সমাজে চাকরি এনে দিতে পারে, কিন্তু সমাজকে বদলাতে পারে চিন্তা, প্রজ্ঞা ও বিচারের গভীরতা।
৩. বাংলাদেশে রাজনৈতিক বা সামাজিক সমস্যার প্রতিক্রিয়ায় তরুণরা সজাগ। তাদের বিক্ষোভ বলতে গেলে চলমান। কিন্তু সেই বিক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়াগুলোর ভবিষ্যতপ্রসারী কাঠামো ও দিক নির্দেশনা কোথায়?
বিকাশকামী যুব শক্তি শুধু প্রতিক্রিয়ায় নয়, বরং নিজের দক্ষতার গঠনমূলক বিকাশ ঘটাবে সমাজ-দর্শনে , প্রযুক্তিতে, পরিবেশে, নীতি ও সংস্কৃতির দৃষ্টিকোণে। … এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বে। মনে রাখতে হবে প্রতিক্রিয়া আগুন জ্বালায়, বিকাশ আগামীর পথ দেখায়।

৪. তরুণদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ থাকলেও, সেই আশা অনেক সময় সুবিধাবাদী বা স্বপ্ননির্ভর হয়ে পড়ে। পরিবর্তনের জন্য শুধু আবেগ নয়, দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার প্রয়োজন। প্রয়োজন সময়নিষ্ঠতা, আত্মসংযম, প্রকল্প বাস্তবায়ন, ও রাজনৈতিক শৃঙ্খলা। যে তরুণ স্বপ্ন দেখে সে আশাবাদী বটে , কিন্তু যে তরুণ নিয়মিত ঘাম ঝরায়, সে ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে।
৫. পরিবর্তন চাই —এই স্লোগান দিয়ে অনেক আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু পরিবর্তনের পথরেখা, কৌশল ও প্রক্রিয়া থাকে অনুপস্থিত। মনে রাখতে হবে পরিবর্তনের পূর্বশর্ত হলো পদ্ধতি। যুবশক্তির কাছে স্পষ্ট থাকতে হবে, কিভাবে সমস্যার গোড়ায় পৌঁছতে হয়, কিভাবে স্থানীয় থেকে কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্ত বিকল্প পথ তৈরি হয়।পরিবর্তন হঠাৎ হয় না—তা গঠিত হয় কাঠামো, কৌশল, ধারাবাহিকতা আর নিষ্ঠার সমন্বয়ে।
নেতৃত্ব মানে কেবল পদ নয়—ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা, দৃষ্টি ও দায় নেওয়া।উদ্ভাবন মানে শুধু প্রযুক্তি নয়—চিন্তার কাঠামো, নীতির ভাষা ও বাস্তবতা-নির্মাণের ক্ষমতা।আমরা চাই দক্ষ যুব নেতৃত্ব। এই দক্ষতাকে দূরদৃষ্টি ও চিন্তাশক্তিসম্পন্ন কৌশলগত নেতৃত্বে রূপান্তরিত করার দায়ও রাষ্ট্রের। এজন্য প্রয়োজন এমন যুবরূপরেখা, যা ২১শ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যথার্থ ও অগ্রসর।
যুবশক্তির বিকাশে আমরা যদি ডকট্টিন নিয়ে চিন্তা করি, তাহলে তার মুখ্য স্তম্ভগুলোকে মাথায় রাখতে হবে। যা বাস্তবায়নযোগ্য কর্মধারা প্রস্তাব করবে।
১. চেতনার বিপ্লব :
এ হচ্ছে মৌলিক রূপান্তরমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, যা কেবল বাহ্যিক উন্নয়ন নয়, বরং অন্তরচক্ষুর জাগরণকে কেন্দ্র করে গঠিত। এই স্তম্ভ জাতিকে এক বৈপ্লবিক বুদ্ধিবৃত্তিক, নৈতিক এবং সাংস্কৃতিক জাগরণে নেতৃত্ব দিতে পারে—যেখানে যুবসমাজ হবে আত্মজাগরিত, ঐতিহাসিকভাবে সংবেদনশীল এবং ন্যায়ের জন্য দায়বদ্ধ।
এ স্তম্ভের তিনটি প্রধান উপাদানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে বিশেষভাবে।
ক. শিক্ষার মুখ্য উদ্দেশ্য হবে চিন্তার শক্তি ও নৈতিক স্পষ্টতা।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ডিগ্রি-কেন্দ্রিক এবং পরীক্ষানির্ভর এক ঘূর্ণিপাকে আবদ্ধ। এতে জীবনের উদ্দেশ্য, আত্মবিকাশ ও নৈতিক জিজ্ঞাসা প্রায় অনুপস্থিত।
চিন্তার শক্তি মানে আত্মবিশ্লেষণের ক্ষমতা, জিজ্ঞাসাকে ধারণ করার সাহস এবং তত্ত্ব থেকে কর্মে রূপায়নের বুদ্ধি ।
নৈতিক স্পষ্টতা মানে নিছক বাইনারি নয়, বরং ন্যায়ের সূক্ষ্মতাকে বুঝে কাজ করার সাহস। এটি যুক্তিবাদ গঠনের জন্য নয়, বরং মূল্যবোধভিত্তিক চিন্তার ভিত্তিকে অবলম্বন ও চর্চার জন্য।
অতএব শিক্ষার প্রতিটি স্তরে নাগরিক দর্শন, আত্মপরিচয় ও মূল্যবোধ এবং তর্ক ও সহনশীলতার মতো বিষয়কে পাঠ্যকাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
খ. জাতীয় পর্যায়ে Youth Philosophy Movement :
এই মুভমেন্টের কথা বলছি , কারণ-
জীবনের উদ্দেশ্য, আত্মপরিচয়, ও রাষ্ট্রতত্ত্ব নিয়ে যুবকদের চিন্তাকে সক্রিয় করা জরুরী ।
বাংলাদেশে এক চিন্তাগত নবজাগরণ সংগঠিত করতে হবে, যার কেন্দ্রে থাকবে যুবচিন্তা।
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় , কলেজ ও মাদ্রাসারা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক -অপ্রাতিষ্ঠানিক চিন্তাসংঘ গঠন করে সমাজতাত্ত্বিক, দার্শনিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ভাবনার অনুশীলন করা। কিন্তু তা কেবল বিদ্যালয় কেন্দ্রীক হলে চলবে না। সমাজের আরো তৃণমূলে একটা সবল -সক্রিয় সম্ভাবনার মধ্যেও এর বাণী ও বার্তাকে তাদের মতো করে চারিয়ে দিতে হবে। স্বতন্ত্র চিন্তার স্বীকৃতি দিতে শিখতে হবে। —যেখানে তরুণেরা শুধুমাত্র কর্মসংস্থানের জন্য নয়, সমাজের নৈতিক অবকাঠামো গঠন-পুনর্গঠনে যুক্ত হবে।
এমনতরো আন্দোলন হবে একটি অনুশীলনভিত্তিক, চিন্তাকেন্দ্রিক জাতীয় রূপান্তর মূলক প্ল্যাটফর্ম।
গ. যুবকদের মাঝে চেতনাবোধের বীজ রোপণ:
তাদের অন্তর ও চিন্তার গভীরে এমন ধারণা, মূল্যবোধ ও বোধসম্পন্ন বুদ্ধি স্থাপন করা, যা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত, আচরণ ও রাষ্ট্রদর্শনের ভিত্তি গড়ে দেবে। যেমন –
আত্মবোধ (Selfhood):
আত্মবোধ মানে হলো—আমি কে?, আমি কেন বেঁচে আছি?, আমার দায় কী?—এমনতরো প্রশ্নের উত্তর খোঁজা।
আত্মপরিচয় গড়ে না উঠলে মানুষ নিজেকে বাজারের পণ্য, ভোটব্যাংকের সংখ্যা বা কেবল শ্রেণি পরিচয়ে আবদ্ধ রাখে।
কালের বোধ (Historicity):
যুবকদের বোঝাতে হবে যে, তারা ইতিহাসের ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। তারা এক উত্তরাধিকার বহন করছে এবং ভবিষ্যতের উত্তরাধিকার নির্মাণ করছে।
ইতিহাস-বিমুখতা মানেই আত্মপরিচয়হীনতা, যা রাষ্ট্রবিনাশের পূর্বশর্ত হয়ে দাঁড়ায়।
ন্যায়বোধ (Justice Conscience):
এ চেতনাবোধ মানুষকে চিন্তাগত অগ্রগতি দেয়। শুধু নিজে ভালো থাকার বৃত্ত থেকে মুক্ত হয়ে সবাইকে ভালো রাখার দিকে ধাবিত করে। ইসলাম এর গোড়ায় খলিফা হিসেবে মানুষের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করে।
ন্যায়বোধ একটি সামাজিক রাডার। সে এক প্রবল শক্তি। অনৈতিকতা, বৈষম্য, শোষণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিপরীতে সে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
আত্মবোধ মানুষকে জাগাবে, কালের বোধ মানুষকে দায় বুঝাবে , আর ন্যায়বোধ মানুষকে সততার যোদ্ধা বানাবে।
২. দ্ব্যর্থাহীন দক্ষতা (Skill without Subservience)
স্তম্ভটি বাংলাদেশের যুবশক্তিকে এমন দক্ষতা, অন্তর্দৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত ক্ষমতায়ন দেওয়ার প্রস্তাব করে, যা একদিকে আত্মনির্ভরতা নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে জাতিকে পরাধীনতা-মুক্ত, টেকসই ও নেতৃত্বদানকারী ভবিষ্যতের পথে পরিচালিত করবে। দ্ব্যর্থাহীন কথাটা বলছি, কারণ সে বলছে —দক্ষতা হবে স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং লক্ষ্যনির্ভর, কোনো প্রভুভক্ত মানসিকতা থেকে তা হবে না। কিংবা নিছক চাকরিপ্রার্থী সত্তায় আটকে থাকলে দ্ব্যর্থহীন দক্ষতা আসবে না।
এই দক্ষতা গঠনের কাঠামো হবে কয়েক স্থরের। যা যুবশক্তিকে প্রযুক্তিগতভাবে যেমন সক্ষম করবে, তেমনি নৈতিক, কৌশলগত ও বিশ্বদৃষ্টিসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রণীত হবে। স্তরগুলোর মধ্যে আছে —
‍ক. Hard Skills (কঠিন বা প্রযুক্তিগত দক্ষতা):
এই স্থরের উদ্দেশ্য হবে প্রযুক্তির উপর কর্তৃত্ব ও প্রয়োগক্ষমতা অর্জন। এই দক্ষতাগুলো বিশ্বের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কেন্দ্রে অবস্থিত। বাংলাদেশ যদি বৈশ্বিক শ্রমবাজার, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থায় অংশ নিতে চায়, তাহলে Hard Skills-এ অগ্রসর হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। অপরদিকে এই দক্ষতা Precision Farming-এর মাধ্যমে কৃষিজ রূপান্তর ঘটবে—যেখানে কম জমিতে, কম পানিতে, অধিক উৎপাদন সম্ভব।
খ. Soft Skills (নৈতিক ও আন্তঃসম্পর্ক দক্ষতা):
এই দক্ষতার উদ্দেশ্য হবে, মানুষকে মানুষ হিসেবে পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন।
Hard Skills দক্ষ জনবল তৈরি করে, কিন্তু Soft Skills নেতৃত্ব, নৈতিকতা ও সামাজিক বুদ্ধিমত্তার ভিত্তি গড়ে তোলে। এই স্তরের দক্ষতা ছাড়া প্রযুক্তির বর্বর চর্চা হবে।যেমন AI দিয়ে নজরদারি, রোবট দিয়ে যুদ্ধ। নৈতিকতা ছাড়া দক্ষতা – প্রযুক্তি শক্তি হতে পারে , কিন্তু মানুষ হিসেবে সমৃদ্ধি কিংবা শান্তি আনতে পারে না।
গ. Strategic Skills (কৌশলগত ও ভবিষ্যত-সংবেদনশীল দক্ষতা):

এই দক্ষতার উদ্দেশ্য হবে ভবিষ্যতের বিশ্বে নেতৃত্বদানের জন্য দূরদৃষ্টি ও পরিপক্বতা তৈরি করা। এই স্থরে Geo-economics বা Cyber Strategy এর মতো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবে। যা তরুণদের গ্লোবাল ভিশনকে ঋদ্ধ করবে, শুধু চাকরি নয়, নীতি, কৌশল ও দিকনির্দেশনায় ভূমিকাযোগ্য বানাবে ।Geo-economics শেখা মানে শুধু অর্থনীতি নয়, কূটনীতি ও নিরাপত্তার মধ্যে অর্থনৈতিক বলয়ের প্রভাব বোঝা। Cyber Strategy ছাড়া কোনো জাতিই এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা বা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। সেজন্য বিশেষভাবে –
ক. প্রতিটি উপজেলা -পৌরসভায় বাধ্যতামুলক Youth Tech-Hub & Green Lab :
এই অংশটি হলো এই স্তম্ভের প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো—যেখানে এই তিন স্তরের দক্ষতা অর্জন হবে বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে ।
Youth Tech-Hub হবে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনচর্চার কেন্দ্র এবং AI, রোবটিকস, কোডিং, ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরির প্ল্যাটফর্ম। তরুণদের জন্য সে উন্মুক্ত করে দেবে নিজেদের ঘরেই বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ
খ. Green Lab হবে পরিবেশগত সংকট ও সমাধানের স্থানীয় চর্চাকেন্দ্র, ভূমিকা রাখবে Climate-smart agriculture, renewable energy, local ecology রক্ষায় । সে তরুণদের সবুজ সচেতনতা ও বৈজ্ঞানিক মনোভঙ্গি গড়ে তুলতে সক্রিয় থাকবে।
গ. Defense Lab: প্রতিরক্ষা ল্যাব বলতে এমন একটি গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রকে বোঝায়, যেখানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সামরিক কৌশল, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক চিন্তা, গবেষণা, বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তি উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এটি কেবল অস্ত্র উন্নয়ন বা সামরিক গবেষণার কেন্দ্র নয়, বরং একটি কৌশলগত জ্ঞান-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান—যেখানে দেশের সার্বভৌমত্ব, ভূরাজনীতি, সাইবার নিরাপত্তা ও ভবিষ্যত যুদ্ধপদ্ধতি বিষয়ে কাজ হয়।
এই সব প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্দেশ্য হবে প্রযুক্তিগত দক্ষতা যেন বিশ্বমানের হয়, তা যেন কেবল উন্নয়নের হাতিয়ার না হয়। এই দক্ষতা যেন মানুষ, মাতৃভূমি, প্রকৃতি, পরিবেশ ও ভবিষ্যতের প্রতি দায়িত্বশীল এক মানবিক বুদ্ধিবৃত্তির প্রকাশ হয়ে ওঠে।
৩. স্বাধীনতা-পরবর্তী আরেক যুদ্ধ- তথ্যের দখল :
একটি নীরব কিন্তু গভীর যুদ্ধ হলো তথ্য, জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে আত্মপরিচয় রক্ষার সংগ্রাম। আজকের বিশ্বে যুদ্ধ কেবল মাটি বা অস্ত্রে হয় না, বরং তথ্যপ্রবাহ, মনোজগৎ এবং দৃষ্টিভঙ্গির ওপর দখলের মাধ্যমেও যুদ্ধ চলমান । বাংলাদেশের তরুণদের সেই যুদ্ধক্ষেত্রে সবল করতে হলে দরকার সুসংহত নীতিমালা, ডিজিটাল সচেতনতা এবং কৌশলগত সক্ষমতা। এক্ষেত্রে দরকার :
ক. Content Sovereignty Policy:
এ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ও কৌশলগত তথ্যনীতির প্রস্তাব, যা হবে বাংলাদেশে বিদেশি তথ্য-আগ্রাসন ও সাংস্কৃতিক উপনিবেশবাদকে প্রতিরোধে সচেতন প্রচেষ্টা।
গ্লোবাল মিডিয়া, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অ্যালগোরিদমিক ফিড—সবখানেই পশ্চিমা বা বহুজাতিক কর্পোরেট বয়ানের আধিপত্য। এতে তরুণদের ইতিহাস, মূল্যবোধ, ভাষা ও আত্মপরিচয় হুমকির মুখে পড়ে।
এই নীতির মাধ্যমে—স্থানীয় কনটেন্ট নির্মাতাদের প্রশিক্ষিত করা, পাঠ্যক্রমে তথ্যনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ শিক্ষা,গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের নিজস্ব ন্যারেটিভ তুলে ধরা যায়।
ডিজিটাল সেন্সরশিপ নয়, বরং তথ্য-জ্ঞানভিত্তিক সচেতন প্রতিরোধ জরুরী।
‍খ. Digital Youth Citizenship Card:
এটি হবে একটি ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও কৃতিত্বস্বীকৃতির প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তরুণদের—গবেষণাকর্ম,জ্ঞান-নির্মাণে অংশগ্রহণ,স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম, প্রযুক্তি ও সামাজিক উদ্ভাবনে অবদান ইত্যাদিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
এই কার্ডের মাধ্যমে তৈরি হবে জ্ঞানভিত্তিক নাগরিকত্ব। এই নাগরিকতা কেবল জন্মগত নয়, বরং তথ্যচর্চা ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় অর্জিত হয়। এটি ভবিষ্যতের ডিজিটাল সিভিক পার্টিসিপেশন মডেল হতে পারে।
‍গ. Youth Simulation Council:
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে Youth Simulation Council গঠন হবে, যা হবে একটি চিন্তানির্ভর রাষ্ট্রচর্চার ল্যাব।
এখানে তরুণরা নানা অধিবেশনে অংশ নেবে। যেমন তথ্যযুদ্ধের কৌশল (information warfare), সাইবার কূটনীতি (cyber diplomacy), ভূরাজনৈতিক চিন্তাভাবনা (geo-strategy), জাতিসংঘ, OIC, SAARC ইত্যাদির অনুকরণমূলক সংলাপ ইত্যাদিতে।
এটি তরুণদের পরিণত করবে যুক্তি, তথ্য, নৈতিকতা ও কৌশলের মাধ্যমে নেতৃত্বদানকারী ভবিষ্যত নাগরিক হিসেবে। ক্লাসরুম আর সিলেবাসের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানকে রাজনৈতিক ও কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য।
৪. ভূ-রাজনৈতিক সচেতনতা:
স্তম্ভটি বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে আন্তর্জাতিক বাস্তবতা, কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ভূরাজনৈতিক চিত্র সম্পর্কে সচেতন করতে চায়। ২১শ শতকের বাংলাদেশ একটি ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও কৌশলগত প্রতিযোগিতার কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে। তাই একটি জ্ঞানসমৃদ্ধ, কৌশলনির্ভর ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন যুবসমাজ ছাড়া রাষ্ট্রের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নেওয়া ও গ্লোবাল পটভূমিতে সম্মানজনক অবস্থান অর্জন সম্ভব নয়।
এই ধারায় যা করা যেতে পারে :
‍ক. মাধ্যমিক স্তর থেকেই Geostrategy & Diplomacy অন্তর্ভুক্তি :
শিক্ষাব্যবস্থায় ভূগোল বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান থাকলেও বর্তমান বিশ্বদৃষ্টির জন্য তা যথেষ্ট নয়।
তরুণদের জানাতে হবে আন্তর্জাতিক শক্তির মানচিত্র (Great Powers, Multipolarity, Indo-Pacific dynamics), কূটনীতির নীতি ও কৌশল (soft power, track II diplomacy) বাংলাদেশকে ঘিরে আন্তর্জাতিক স্বার্থ (Bay of Bengal, Teesta, Rohingya crisis, BRI vs. Indo-Pacific strategy)
এটি হবে পাঠ্যসূচিতে কৌশলগত চেতনার প্রথম অনুপ্রবেশ, যাতে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র বুঝতে শেখে।
‍খ. দক্ষিণ এশিয়া , মুসলিম বিশ্ব ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভূমিকায় তরুণদের সরাসরি যুক্ত করার রূপরেখা:
তরুণদের আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কেবল পড়ানো নয়, ব্যবহারিকভাবে সম্পৃক্ত করা হবে।
যেমন- দক্ষিণ এশিয় রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সীমান্ত, পানিবণ্টন, অর্থনৈতিক সম্পর্কের মতো বিষয়ে যুব সংলাপ বা মডেল কনফারেন্স। মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক—উম্মাহ-চিন্তায় তরুণদের প্রস্তুতি। জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সিতে তরুণ প্রতিনিধি ও ফেলোশিপ কর্মসূচি।
যেন তরুণরা রাষ্ট্রনীতি ও বৈদেশিক নীতিতে ‘অবজারভার’ নয়, অংশগ্রহণকারী হয়।
‍গ. Bangladesh Youth Geopolitical Forum (BYGF) প্রতিষ্ঠা:
এটি হবে একটি জাতীয় কৌশলচর্চার প্ল্যাটফর্ম, যেখানে—ছাত্র, গবেষক, তরুণ কূটনীতিক ও উদ্যোক্তারা দেশের ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলবে, আঞ্চলিক সংকট, যুদ্ধ, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে গবেষণা ও সংলাপ হবে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও থিঙ্কট্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথ কার্যক্রম চলবে। এই ফোরাম হবে রাষ্ট্র-নির্ভর যুবক নয়, রাষ্ট্র-নির্মাতা যুবক গড়ার কারখানা।
৫. ন্যায্যতা ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষা :
এই স্তম্ভের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে যুবশক্তিকে কেবল ভবিষ্যতের নাগরিক হিসেবে নয়, বরং ভবিষ্যতের রক্ষক ও ন্যায্যতার কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা। জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমি দখল, পানি সংকট ও পরিবেশ বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এখন আর কেবল পরিবেশবাদীদের কাজ নয়—এটি ন্যায়বোধসম্পন্ন যুবশক্তির যুদ্ধক্ষেত্র। এই স্তম্ভ দাবি করে –
‍ক. রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনায় যুবন্যায্যতার সংরক্ষণ :
একে বুঝাবার জন্য Youth Equity Quota পরিভাষার চল রয়েছে। এটি এমন এক ন্যায্যতামূলক কাঠামো, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে যেকোনো পরিবেশ, জলবায়ু ও ভূমি-সম্পর্কিত নীতিতে যুবসমাজের সক্রিয়, অর্থবহ ও দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাধ্যতামূলক করা হবে।
এটি কেবল একটি আসন বা নমিনেশন নয়, বরং যুবদৃষ্টিভঙ্গিকে পরিকল্পনার অংশ করে তোলা। যার দাবি হলো, নদী ব্যবস্থাপনায় তরুণ হাইড্রোলজিস্ট, গবেষক ও স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্পে স্থানীয় যুবসংগঠনের মতামত, জাতীয় ও স্থানীয় স্তরে নীতিনির্ধারণী টিমে পরিবেশ-সচেতন তরুণ কণ্ঠ থাকার নিশ্চয়তা। এর মাধ্যমে সরকারী সিদ্ধান্ত ও বাস্তবতা মধ্যে গবেষণাভিত্তিক, প্রজন্মসংবেদনশীল সংযোগ গড়ে উঠবে।
‍খ. Climate Youth Corps গঠনের প্রস্তাব:
এ হবে একটি প্রশিক্ষিত, সংগঠিত ও অভিযানে সক্ষম যুববাহিনী, যাদের কাজ হবে—
· নদীর গতিপ্রকৃতি, বনাঞ্চল, জলাভূমি, উপকূলীয় অঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন তৈরি।

দুর্যোগকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবী সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম।
স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে পরিবেশ-সচেতনতা ও প্রতিবাদ সংগঠনে নেতৃত্বদান।
নদী-পাহাড় বন-সমুদ্র — এই চার জাতীয় ঐতিহ্যের ভিত্তিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা।
এ হচ্ছে এক ধরনের Green Territorial Citizenship—যেখানে তরুণরা শুধু বসবাসকারী নয়, জল-জমি-জীবনের দায়িত্বশীল রক্ষক হতে শিখবে।
এই স্তম্ভের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে ন্যায়বোধ, দায়িত্ববোধ ও ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা গড়ে তোলা হবে। পরিবেশগত ন্যায়বিচারকে কেবল আইন নয়, বরং নাগরিক নৈতিকতা ও প্রজন্মসংলগ্ন রাজনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেওয়া হবে।
৬. উদ্ভাবনী নেতৃত্ব ও কৌশলচর্চা :
এই স্তম্ভ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণদের নেতৃত্ব ও বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণকে নীতি ও কাঠামোর স্তরে বৈধতা দিতে চায়। রাষ্ট্র কেবল নেতৃত্ব তৈরি করবে না, বরং উদ্ভাবক ও কৌশলজ্ঞ তরুণদের স্বাধীন চিন্তা, গবেষণা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এ স্তম্ভের দাবী –
‍ক.জাতীয় বাজেটে Youth Sovereignty Fund :
এটি হবে সরকারি বাজেটের একটি পৃথক ও সংরক্ষিত অংশ, যার মাধ্যমে তরুণ উদ্ভাবক, গবেষক, চিন্তক ও সংগঠকদের উদ্যোগকে আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও নীতিগত সহায়তা দেওয়া হবে।
এর হবে লক্ষ্য:
প্রযুক্তি, সাহিত্য, জলবায়ু, ইতিহাস বা কৌশল বিষয়ক স্বাধীন গবেষণা।
গ্রাম ও শহরভিত্তিক উদ্ভাবনী সমাজ-উন্নয়ন প্রকল্প।
বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠানসহ সবক্ষেত্রের চিন্তাশীল তরুণদের সমান সুযোগ।
এই তহবিল দাতাভিত্তিক হবে না, হবে অধিকারভিত্তিক। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে Youth as Strategic Stakeholders।
‍খ. যুব পরিচালিত গবেষণাকেন্দ্র- Think Bangladesh 2050 :
এটি হবে একটি স্বাধীন, রাষ্ট্রীয়ভাবে সমর্থিত কিন্তু যুব পরিচালিত থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক। যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণে চিন্তা, গবেষণা ও কৌশলগত সুপারিশ দেবে।
এর কাজের মধ্যে থাকবে –
রাষ্ট্র ও নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য সক্ষমতা , ডিজিটাল রূপান্তর, শিক্ষা, ভৌগোলিক কৌশল বিষয়ে নীতিপত্র তৈরি।
সরকার, বেসরকারি খাত ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের জন্য গবেষণাকর্ম।
Policy Simulation Lab ও Youth Strategic Dialogues ইত্যাদির আয়োজন।
Think Bangladesh 2050 তরুণদের পলিসি ফলোওয়ারের জায়গা থেকে পলিসি মেকার হবার দিশা দেবে। কারণ রাষ্ট্রকে যে তরুণেরা বোঝে, তারাই একে গড়ে তুলতে পারে।
খোলাসা : বাংলাদেশের যুবশক্তি আর শুধু একটি সম্ভাবনার নাম নয়। শক্তিটি নৈতিক, জ্ঞানভিত্তিক এবং ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার এক কেন্দ্রবিন্দু। এই বাস্তবতাকে ফলবান করার জন্য প্রয়োজন এমন এক ডকট্রিন, যা একদিকে ভবিষ্যতের কাঠামো নির্মাণ করবে, অপরদিকে অতীতের দায় ও আত্মপরিচয়ের সংযোগে রূপান্তর ঘটাবে।
আমরা এমন এক যুগে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে তরুণ কেবল একজন চাকরিপ্রার্থী নয়, বরং তিনি হতে পারেন—একজন দার্শনিক চিন্তানায়ক, একজন তথ্য-যোদ্ধা, একজন সবুজ সিপাহী, একজন ন্যায়বোধের প্রহরী এবং একজন ভবিষ্যত রচনাকারী। এই পরিচয় কেউ দান করবে না, অর্জন করতে হবে। আর এই অর্জনের পথ তৈরি করতে হবে রাষ্ট্রকে—একটি নতুন সামাজিক চুক্তির (social contract) ভিত্তিতে।
এখন সময় এসেছে যুবকদের কেবল দিকনির্দেশনা দেওয়া নয়, বরং দিকনির্মাণের শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেবার। তাদের হাতে তুলে দিতে হবে জ্ঞানচর্চার স্বাধীনতা, কৌশলচর্চার পরিবেশ, সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা এবং দায়িত্বের মর্যাদা।
একটি দেশ তার ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে চায়? তাহলে তাকে তার যুবসমাজকে দৃষ্টিভঙ্গির অগ্রসর উত্তরাধিকারী বানাতে হবে । তাদেরকে নৈতিকতার সেনানী, প্রযুক্তিযুদ্ধে দক্ষ এবং জল-জমি-জীবনের রক্ষক বানাতে হবে।
তখনই তৈরি হবে এমন এক প্রজন্ম, যারা কেবল যুগের সন্তান নয়, বরং যুগের নির্মাতা।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

সাজ্জাদ সাঈফ on বাছাই কবিতা
নয়ন আহমেদ on বাছাই কবিতা
নয়ন আহমেদ on ১০ টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on কবিতাগুচ্ছ