জাফরুল আহসান
কবি মনসুর আজিজের কবিতা নিয়ে লিখতে গিয়ে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছি এ অর্থে যে- কী লিখবো, কেমন করে শুরু করবো; বিষয়টা কিভাবে তুলে ধরবো। এসব ভাবতে ভাবতেই মনে হল ‘কেউ কেউ কবি নয়, সকলেই কবি’। পাশাপাশি কবিতা কি? কবিরা কেনো কবিতা লিখে। কবিতা কি অপার্থিব কিছু? দখিনের জানালা গলে ঠাণ্ডা বাতাস গা ছুঁয়ে গেলে কেমন যেন শীত অনুভব করলাম, অবশ্যই মাঘ মাসের কনকনে শীত নয়। প্রসঙ্গক্রমে শীত যখন এসেই গেল-তাহলে বলি। মাঘ মাসের হাঁড় কাপানো শীতের সকালে, সূর্য ওঠার আগে ঘন কুয়াশায় উঁচু খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা গাছির জন্য ভীষণ কষ্টকর হলেও রস নিঃসন্দেহে সুস্বাদু এবং লোভনীয়। অর্থাৎ একজন সৃজনশীল কবির কবিতার রসাস্বাদন করতে হলে রসসিক্ত মনের প্রয়োজন। প্রয়োজন উপলদ্ধির।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভাষায়—
কবিতাতো আর কিছুই নয়, শব্দকে ব্যবহার করবার এক রকমের গুণপনা, ভাষার মধ্যে যা কিনা অন্যবিধ একটি দ্যোতনা এনে দেয়। … অন্যেকেই অবশ্য বোঝে না। জানে না যে, গদ্য ভাষার মধ্যেও অনেক সময় প্রছন্ন থাকে ছন্দ, যা সেই ভাষার মধ্যে এনে দেয় এক অন্যত অর্থের দ্যোতনা, এবং সেই দ্যোতনাই তখন গদ্যকে তুলে আনে কবিতার পর্যায়ে।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বক্তব্যের রেস ধরেই বলছি— কবি মনসুর আজিজ জেনে-শুনেই শব্দ চয়ন করেছেন। পরিমিতিবোধ যার অন্যতম বৈশিষ্ট। কবিতার শরীর নির্মাণে বরাবরই সচেতন তিনি। ২০০২ সালে ‘অতলান্ত নীলচোখ’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমেই নিজের অস্তিত্ব জানান দেন মনসুর আজিজ। তারপর একে একে ‘অনন্ত আকাশের জ্যোর্তিময় নক্ষত্র’, ‘মনুষ্যত্বের ল্যাম্পপোস্ট’, ‘শব্দের বেনারসি’, ‘জোড়াপাখি ফুলের রুমাল’, ‘জল ও জোয়ারের কাব্য’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে নব্বই দশকের প্রথম সারির একজন অনিবার্য কবি হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করেছেন এ কথা আমি জোড় গলায় বলতে পারি।
‘জীবন সার্কাস এক আলেয়ার পিছে যায় চলে
পাপড়িরা ঝরে যায় ভেঙে যায় প্রজাপতি খেলা
নর্তকী কীর্তন শেষে এলোমেলো গান গায় টলে।
[জোড়াপাখি ফুলের গান/সার্কাস/৪৫]
জীবন নাট্যশালায় আমরা প্রত্যেকেই এক একজন নটরাজ। মিছে আলেয়ার পিছে ছুটছি অনবরত, ভাঙছি স্বার্থের সিঁড়ি। তাসের ঘরের মতোই নিমিষে গুড়িয়ে যায় সাজানো সংসার, এলোমোলো পুরোটাই টাল-মাতাল। এই হচ্ছে কবি মনসুর আজিজের জীবনদর্শন।
বলতে দ্বিধা নেই নব্বই দশকের অনেক কবিই অনিয়ন্ত্রিত আবেগ দ্বারা তাড়িত। ফলে কবিতা তার সহজাত স্বাভাবিক রূপলাবণ্য ধরে রাখতে পারেনি। কবিতা হয়ে উঠেছে মেদবহুল। তবে এসব বিষয়ে মনসুর আজিজের কবিতা গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসায়নি। যথার্থই স্বার্থক তিনি, কেননা তার পরিমিত কাব্যভাষা, উপমা-উৎপ্রেক্ষার সঠিক প্রয়োগ তা কবিতায় ভিন্নরকম মাত্রা যোগ করেছে; যা অন্য সবার চেয়ে নিজেকে আলাদা করে চিনবার সুযোগ করে দিয়েছে।
অ.
‘রাজনীতিবিদদের কণ্ঠ সমুদ্র গর্জনের মতো শোনা যায়
ঠোঁটের কোণায় জমা হতে থাকে ঢেউয়ের ফেনা
একটুকরো গণতান্ত্রিক ফিটাকিরি বড়ো প্রয়োজন
রাজনীতিবিদদের জিভটাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য।’
[জোড়াপাখি ফুলের রুমাল/ ভগ্নাংশ ৬/৩২]
আ.
‘জাতিসংঘের হৃদপি- বদল করে
পেসমেকারের মতো বসিয়ে দিতে চাই
একটি আন্তর্জাতিক বিবেক।’
[জোড়াপাখির ফুলের রুমাল/জাতিসংঘের হৃৎপিণ্ড/১৬]
আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে কবি কখনই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না। কবির কলম সোচ্চার হয়ে ওঠে কেনোনা কবি তো সমাজেরই একজন; স্বাভাবতই প্রবাহমান ঘটনা কবিকে ক্ষত বিক্ষত করে। কবি হৃদয় হয় রক্তাক্ত। কবি ফিরে যান তার কবিতার কাছে। কবিতায় প্রতিবিম্বিত হয় কবির চিন্তা ও চেতনার নির্যাস। উপরিউল্লেখিত কবিতার উদ্ধৃতাংশ আমার বক্তব্যকে যথার্থই প্রমাণ করতে সক্ষম। ‘গণতান্ত্রিক ফিটকিরি’ বড়ো প্রয়োজন। এর চেয়ে বেশি বলার প্রয়োজন আছে কি?
কবিতা নিয়ে নানা মুণির নানাবিধ বিশ্লেষণ থাকতেই পারে। কবিতা আজও অধরা। কবিতা রহস্যময়ী। কবিতা আলো-আঁধারের ছায়া। যে যাই বলুক না কেনো কবিতা যথার্থই শিল্প। কবি তার হৃদয়ের অব্যক্ত অনুভূতিকে শব্দের নিপুন বিন্যাস, আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিতার নকশিকাথা সেলাই করেন— যা শিল্পের শিল্পিত রূপ। প্রসাঙ্গন্তরে বলে রাখা ভালো-কবিতা নিয়ে যে যাই ভাবুক না কেন কবির যাদুকরি স্পর্শে কবিতা-পাঠকের মাঝে তৃতীয় সেতু নির্মাণ করে, কবিতার পথ ধরে পাঠক কে এগুবার সুযোগ করে দেয়, চিন্তার খোরাক যোগায়। নিম্নের উদ্ধৃতাংশ তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ-
অ.
শব্দের বেনারসি তোমাকে পরায়ে
সাজাবো আমার এই প্রেমের কবিতা
দু’চোখের ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু ঝরায়ে
লিখে যেতে চাই আমি প্রেম সঞ্চিতা।
[শব্দের বেনারসি/শব্দের বেনারসি/১৩]
আ
তোমার আলিঙ্গনে যমুনা প্রমত্তা হবে আবার
দুকূল ছাপিয়ে কুলুকুলু বাজনায় নেচে যাবে দেহ
ফাগুনের বাতাসে হাসবে গাছের কচিপাতা
হাঁসের ছানারা প্রাণ পাবে নতুন জোয়ারে।
[শব্দের বেনারসি/তোমার আলিঙ্গনে/৪৬]
কবি মনসুর আজিজের ভেতর বরাবরই একজন প্রেমিক পুরুষ নিরন্তর প্রেমাস্পদের কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান। প্রেম অবিনশ্বর, প্রেম শাশ্বত, প্রেম চিরকালের— একথা তিনি যে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন তার কবিতা পাঠে এর প্রমান মিলে, হোক না সে মানব-মানবীর হৃদয় দেয়া নেয়ার জাগতিক প্রেম। কিংবা স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির একাত্মতা। কবি মনসুর আজিজের কবিতা উদ্ধৃত করলাম—
অ.
অযুত শব্দের উপমা যদি তোমার নামের সাথে জুড়ে দেই
তবুও নিযুত শব্দ রবে প্রতিক্ষার অধীর
লক্ষ তারার জ্যোতি যদি জড়ো করি তোমার পাশে
সবকিছু ক্ষীণ প্রভা তোমারই রূপের কাছে।
[জোড়াপাখি ফুলের রুমাল/অযুত শব্দের উপমা/২৮]
আ. বাকাবার আয়াত ভেসে আসে ডিসের ক্যাবল হয়ে
প্রিয় রাসুল ছিলেন তাকওয়ার মূর্ত প্রতীক, সাদাসিধে পোশাক
সেহেবির প্লেটে সন্ধ্যার রুটি, শুকনো খেজুরের তৃপ্তিময় ইফতার
খাদিজার অঢেল সম্পদ দুহাতে বিলাতেন দানশীল নবী
[জোড়াপাখি ফুলের রুমাল/ ঈদ ও তাকওয়ার তরজমা/৩০]
কবিকে চিনতে হলে পাশাপাশি কবিতার উদ্ধৃতাংশ আরও একবার—
অ. বাবুইয়ের বাসা ভরা গান দিতে পারি; নিতে যদি চাও
লাল শাড়ি নীল পেড়ে রূপোর নূপুর রিনিঝিনি চুড়ি আলতা রাঙানো পথ করে দিতে পারি; নিতে যদি চাও।
[শব্দের বেনারসি/ বুক ভরা ভালোবাসা/২২]
আ. মেঘের আঁধারে লুকায়ে তোমার কায়া
সোনারোদে মাখি তোমার রূপের ছায়া
তোমার কণ্ঠ ভরেছে গানে বসন্তবেলা পাপিয়া কোকিল
আসার কণ্ঠে মেলে না কথা চিরকাল আমি কথার বোখিল।
[শব্দের বেনারসি/কামনার উনুন/২৩]
উল্লেখিত উদ্ধৃতাংশে দেখি-কবি তার হৃদয় মন সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন প্রেমিকার চরণ তলে। প্রেমিকা চাইলে সবকিছু দিতে রাজি, কার্পণ্য নেই কোথাও। আবার কখনও কথা বলার খেই হারিয়ে ফেলেন; চিরকাল কথার বোখিল কবি। সাধারণ মানুষের চিন্তা ও চেতনার সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে কিন্তু কবি থেমে থাকেন না। কবি বাস্তবতার ডানায় ভর করে আগামীকালের আলোকরশ্মির সন্ধান করেন কিংবা হারিয়ে যান ফেলে আসা স্মৃতিময় অতীতে; যার প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হয় কবিতায়।
কবি মনসুর আজিজের কবিসত্বার গভীরে প্রকৃতির প্রছন্ন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। কবিতার দেহ জুড়ে প্রকৃতির কোমল পরশ বুলিয়ে দিয়েছেন; উপমা ব্যবহারে প্রকৃতির নানান অনুষঙ্গ ব্যবহার করেছেন তিনি যা কবিতাকে দিয়েছে অন্যরকম ব্যঞ্জনা। যুক্তির স্বপক্ষে কবিতার উদ্ধৃতাংশ তুলে ধরছি—
০১. ‘কুয়াশার খামে রোদের চিঠি
রোদ শুষে নেয় কুয়াশা
শিশিরের অক্ষর স্পষ্ট হয় ঘাসের গালিচায়
শিশিরস্নাত এ কার প্রেমপত্র!
[শব্দের বেনারসি/অনিন্দিতার প্রতি/১০]
০২. চোখের জলের কাছে মিনতি আমার
দুর্বার শিশিরের মতো টলটলে জলের ফোঁটায়
স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ করো বংশীর পানি
প্লাবিত করো বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্মা পদ্মা মেঘনার শীর্ণ শরীর
পোয়াতি গাভির ওলানের মতো দুধে ভরা নদীর স্তন।
[জোড়াপাখি ফুলের রুমাল/দুধে ভরা নদীর স্তন/১০]
০৩ জেগে ওঠে নাকফুলের মতো উজ্জ্বল সূর্য
বেনারসি রোদ পড়ে রমণীর বুকে
হাঁড়ির সাথে বাজে চুড়ির টুং টাং
মনে পড়ে গভীর রাতে মদিরার গান।
[ঐ/গভীররাতে মদিরার গান/৩৭]
কুয়াশার খামে রোদের চিঠি, দুর্বার শিশিরের মতো টলটলে জল, শিশিরস্নাত প্রেমপত্র, বেনারসি রোদ, ভোরের কুসুম আলো দুধে ভরা নদীর স্তন— এমনতারা অজস্রবার ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে কবি ফিরে গেছেন প্রকৃতির কাছে। প্রকৃতির ভাষা কবির চির পরিচিত, চিরচেনা পরিপার্শ্ব। উদার হস্তে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চেয়েছেন কবি। প্রকৃতিকে আলিঙ্গনে করেছেন নিবিড়ভাবে।
কবি মনসুর আজিজের ছন্দ সাচেতনতা লক্ষ্য করার মতো। কবি সচেতনভাবেই গদ্যছন্দ তথা অক্ষরাবৃত্তে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন বেশি। স্বরবৃত্ত এবং মাত্রাবৃত্তে কবির উপাস্থিতি অনেকটাই কম। উপমা, উৎপ্রেক্ষা আর চিত্রকল্পের সঠিক প্রায়াগ মনসুর আজিজের কবিতাকে সমৃদ্ধ করেছে। অতিমাত্রায় আবেগ তাড়িত না হয়ে কবিতার পথ ধরে হেঁটে গেছেন কবি। অন্যভাবে যদি বলি প্রণয়ে বিভোর কবি প্রকৃতির কাছে নতজানু হয়ে থেকেছেন— একথা সর্বাংশে সত্য নয়। যাপিত জীবনের নানাবিধ টানা-পোড়েন, প্রাপ্তি-অপ্রান্তিতে কবিতে বিচলিত হতে দেখি। কবি প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। প্রতিবাদের ভাষা যেন শিল্পের অনিবার্য শিল্পিত রূপরেখা—
‘পদ্মা খরস্রোতা হও আবার। জোটবাঁধো মেঘনা যমুনার সথে
টিপাইয়ের অভিমুখি হও এবার
চাপাইয়ের আমগাছগুলো মিতালি পাতে সিলেটের বুনোবৃক্ষে
প্রতিবাদে রুখে দাও টিপাইয়ের বাঁধ।’
[জোড়াপাখি ফুলের রুমাল/পাঁজরে রায় দাও চাঁপাইয়ের আমবাগান/২১]
কবি মনসুর আজিজের কবিতা পড়তে পড়তে মনে হলো কবি শুধুমাত্র কবিতার চারদেয়ালে নিজেকে বন্দী রাখেননি। কবিতার পাশাপাশি শিশুদের ছড়াগ্রন্থ ‘নীল গালিচার স্বপ্ন’, ‘হৃদয়পুরের রাজা’, ‘নতুন ভোর হীরের কুচি’, ‘দুর্দিনের ছড়া’, ‘মেঘের খোঁপায় পালক ভরে’, ‘সবুজপাতা আঁকতে জানি’ প্রভৃতি শিশুতোষ গ্রন্থে নিজেকে তুলে ধরেছেন দুরন্ত শিশুর উন্মুক্ত আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। কবিতার পাশাপাশি শিল্পের অন্যান্য শাখায় তার অবাধ পদচারনা একজন লেখকের বহুমাত্রিকতার স্বাক্ষর বহন করে।
ছড়া ও কবিতার পাশাপাশি মনসুর আজিজের উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বিদেশি কবিতার অনুবাদ করছেন নিয়মিত। সময়ের প্রয়োজনে একজন দায়িত্ববান সাহসী সাহিত্য প্রতিভার অনন্য স্বাক্ষর করি মনসুর আজিজ। তার কবিতা, ছড়া, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস এবং অনুবাদ সাহিত্য পাঠ শেষে শ্রদ্ধায় পাঠক নিশ্চয়ই আমার উপরিউক্ত বক্তব্যের সাথে একমত হবেন।
একজন নিবিড় পাঠক হিসেবে কবি মনসুর আজিজকে যেভাবে পাঠ করেছি সেভাবেই আমার মতো করে তুলে ধরলাম। বয়সে তরুন কবি মনসুর আজিজের চাইতেও বন্ধুবাৎসল্য হৃদয়ের দাবীদার, অমায়িক ব্যবহার এবং এক ধরনের নির্মল সরলতায় বেড়ে ওঠা মনসুর আজিজের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি।
বিশ্বাস করি, কবির যাত্রা কখনো থেমে থাকে না, পূর্ণ হয় না কখনো। কবি কাল থেকে কালান্তরের দিকে পা বাড়ান। কবি মনসুর আজিজ তাঁর সৃজনশীল লেখার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের শাখা প্রশাখাগুলো করবেন আরো সমৃদ্ধ এ প্রত্যাশা রেখে কবি মনসুর আজিজের কবিতা থেকে আমার ভালোলাগা চরণটি দিয়ে শেষ করলাম—
‘সবুজ পাতাটি ক্লোরোফিলের অভাবে হয়ে গেছে ফ্যাকাশে/পাতাটির নাম বাংলাদেশ’।
লেখক: কবি