ইতিতেও সূচনা
……
একটা দাঁড়ি টানতেই হয় এবার
দাঁড়ি টানলেই কথা শেষ হয়ে যায়না
শুধু কথার পুনরুত্থান ঘটে
বাঁকা নদী ভালোবাসার টানে মোহনায় মেশে
বালুকা বেলায় অপেক্ষা করে রাতের মুগ্ধতা …
হারানো সুরে লেখা হয় কালবৈশাখীর যন্ত্রণা
তুমি বট গাছ হও,কিন্তু জোৎস্না স্পর্শ করনা
জোনাকিরা এখনও অপেক্ষায় …
নতুন সকাল
…….
বহুদিন পর আবারও যে পথ ধরে
বেড়িয়ে পরলাম সবুজের দেশে,
নীলকে পিছনে ফেলে
ক্রমশঃ ক্রমশের দিকে
সরলরেখা বরাবর শুধুই…
যেখানে নদী শেখায় ভালোবাসার গান
পাখি শেখায় উচ্ছ্বাসের সুর
সবুজ জানায় আমন্ত্রণ
ছেঁড়া চিঠি আজ খাম ছেড়ে আকাশের পথে
এসো মুগ্ধতা কুড়োই ভোরের আলোয়।
ভালোবাসার মালা
…….
কত কথা …
যে ভাবে পথ বেঁকে যায়
রাস্তাকে ছোঁবে বলে
আকাশের দিকে তাকিয়ে অভুক্ত চিল
উড়ে যায় অন্য ঠিকানায়
ভোরের আলো গাছেদের প্রাণে জেগে ওঠে
ভালোবাসার সমীকরণ
যে পথ রোজ দেখি, সে পথ আমার নয়
যে নদী রোজ বয়ে যায় অন্যের ঠিকানায়
সে নদী আমার নয়
তবুও কোথায় যেন রাস্তা, পথ, নদী সব
এসো ভালোবাসার মালা গাঁথি বিনিসুতোয়।
আলোর সন্ধান
…….
বয়ে যাওয়া নদীকে রোজ দেখি
বয়ে যেতে…
মৃত গাছেও বাঁসা বাঁধে সজীব ছত্রাক
ওলিতে গলিতে মিছিলের ঢল
নিজের আড়ালে নিজেই হেঁটে চলি বহুপথ
রঙ পাল্টালে রঙিন হয় প্রজাপতি
রামধনু হতে চাওয়া বিকেল
কখনো ভোরের আলোকে স্পর্শ করেনা…
তাইতো সময় আলোর সন্ধান আঁকে এ পৃথিবীর বুকে।
ফেরার গল্প
……..
কিছু কথা _
বলতে গিয়েও থেমে যাওয়া শ্রেয়
চলন্ত ট্রেনে লিখে রাখা বিলাপ
আত্মকথনের হাত ধরে
ক্রমাগত ক্রমশের দিকে এগিয়ে চলে,
সাথে দু-মুঠো অন্ন আর একটু জল
দুপুরের বেদনায় বাবার ডাক
আমি ফিরে আসি,
সব রোদ আড়াল করা একবুক হাহাকার নিয়ে।
……
তীর্থঙ্কর সুমিত
মানকুণ্ডু, হুগলী
পিন – ৭১২১৩৯
” দাঁড়ি টানলেই কথা শেষ হয়ে যায় না” – তাই এই মিত কথনের কবিতাগুলোয় বক্তব্য অনেক ।