spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদবই নিয়েসাজ্জাদ বিপ্লবের কবিতাহাঁসের সরলায়ন

লিখেছেন : তাজ ইসলাম

সাজ্জাদ বিপ্লবের কবিতাহাঁসের সরলায়ন


তাজ ইসলাম

সাজ্জাদ বিপ্লব কবি। নব্বই দশকের কবি। তার কবিতার বই “আমার হাঁসগুলি কবিতা পাড়ে”
সাজ্জাদ বিপ্লব বাংলা ভাষার কবি, বাংলাদেশের কবি। বাংলাদেশ উল্লেখ করার যৌক্তিকতা আছে। শুধু ভাষাগত পরিচয় যথেষ্ট নয়। কারণ বাংলা ভাষা শুধু বাংলাদেশের নাগরিকের ভাষাই নয়। বাংলা ভাষার কবি বললে বিষয়টি অস্পষ্ট থেকে যায়। বাংলা ভাষা যেমন একটি স্বাধীন দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা তেমনি অন্য কোন দেশের অঙ্গরাজ্যের জনগণেরও মাতৃভাষা। কাজেই ভাষার পাশাপাশি দেশ উল্লেখ করা জরুরি। ভাষাগত পরিচয়ের আরও একটি অস্পষ্টতা আছে। একই দেশে সবার মাতৃভাষা কিন্তু বাংলা না। বাংলার জন্য আত্মত্যাগের পরও এ বিষয়টি কিন্তু রয়ে গেছেই। বাংলাদেশে সব জনগোষ্ঠীর ভাষা বাংলা না। এটি অস্বীকার করার কিছু নাই। বরং বিদ্যমান অবস্থা মেনে নেয়াই সহনশীলতা। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের এটি একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্যও। রাষ্ট্র ভাষা আর মাতৃভাষার একটি সুক্ষ্ম ফারাক আছে। রাষ্ট্রভাষা সবার বাংলা। মাতৃভাষা সবার বাংলা না, অনেকেরই পৃথক ভাষা আছে। পাহাড়ি,গারো,চাকমা,বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ কথা বলে নিজ নিজ মাতৃভাষায়। এমনকি সমতলে বিচরণ করা বেদে জনগোষ্ঠীর আছে আলাদা ভাষা। তাদের উপর বাংলা চাপিয়ে দেওয়াও হবে অন্য একটি জুলুম। রাষ্ট্রের সেবা নিতে,রাষ্ট্রকে সেবা দিতে সহায়তা নিতে হয় বাংলা ভাষার। রাষ্ট্রীয়ভাষা বাংলা। বাংলা এক্ষেত্রে সকলকে এক সুতোয় গেঁথে নিয়েছে। সাজ্জাদ বিপ্লব বাংলা ভাষার কবি। বাংলাদেশের কবি।
কবির অবশ্য দেশ নাই,কাল নাই। কবি মানে না মানচিত্রের সীমারেখা। কবি বিশ্ব নাগরিক। সবার জন্যই তার কলমের আঁচড়। ভাষা ও দেশ তার ইতিহাস ঐতিহ্যকে বুঝতে সহায়ক। একই ভাষার দুজন কবি। একজনের জন্মস্থান কলকাতা। তার জাতীয় পাখি একটি। আরেকজন বাংলাদেশের যার জাতীয় পাখি দোয়েল। দেশ, স্থান এভাবেই পৃথক করে সংস্কৃতিকে। আলাদা করে কবির রুচিকে।
সাজ্জাদ বিপ্লবের কবিতায় হাঁস কবিতা পাড়ে। এই হাঁস বাংলাদেশের প্রকৃতি,পরিবেশ,অবস্থা,আর্থসামাজিকতার সিম্বল।
” আয় আয় থৈ থৈ” গ্রামবাংলার অতিপরিচিত দৃশ্য। নদীতে,খালে,পুকুরে ভাসছে হাঁস। কৃষকের ধানক্ষেতে একঝাঁক হাঁস। গৃহস্থবাড়ির আঙিনায় হাঁসের খুপরি।
বাড়ির নামায় কৃষকপুত্রের হাঁস পালনের দৃশ্য গ্রামের আনাচে কানাচে চোখে পড়ে। হাঁসকে কবিতার বিষয় হিসেবে নেওয়া মূলত একজন কবির মাটি লগ্নতার পরিচয়। শেকড় লগ্নতার দৃষ্টান্ত। সাজ্জাদ বিপ্লব প্রবাসী কবি। প্রবাস জীবন ছিন্ন করতে পারেনি তার কৃষি সম্পৃক্ততা,বিমুখ করতে পারেনি
দেশ মাতৃকার ঐতিহ্য থেকে। ভুলে যায়নি দেশ প্রেম। কবিতা হল প্রজ্ঞার বয়ান। অল্প বললে ব্যাখ্যায় বিস্তৃত হবে। সাজ্জাদ বিপ্লব হাজির করেছেন হাঁস। হাঁসের বিস্তার বাংলাদেশ। হাঁস পালক হাঁস ছেড়ে দেয় ধানক্ষেতে। হাঁসের ডিম ছড়িয়ে থাকে ক্ষেতে। একটি হাঁস সম্বৃদ্ধির চলন্ত মেশিন। ছড়ানো ডিম যেন কবিতার শব্দ। শব্দ গেঁথে গেঁথে তৈরী করেন কবিতা। তার কবিতায় বয়ান করেন নিজের বিশ্বাসের কথা,চিন্তার মালা ছড়ান কবিতার পঙক্তিতে। দর্শনের বাণী শোনান কবিতার সুরে। সমকাল,সমসাময়িক বিষয়, ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে আনেন নিজের কবিতায়। বিক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত পরিসরে আমরা পর্যালোচনা করতে পারি এই কবিতা কিতাব।

কবিতা কি,কবিতার কি রূপ আছে,রস আছে,আছে কি মদিরতা? কবিতা স্পর্শ যোগ্য কিছু? কবিতার দেহ আছে? গন্ধ আছে? ইত্যকার প্রশ্ন তুলেছেন কবিতা অঙ্গনের একালের সরব কবি সাজ্জাদ বিপ্লব। সাজ্জাদ বিপ্লব নব্বই দশকের আলোচিত তারুণ্যের একজন সক্রিয় কবি প্রতিনিধি। বয়সের পরিক্রমায় তিনি এখন তারুণ্যকে ফেলে এসেছেন অতীতে। তবে মননে ধারণ করেন এখনও তারুণ্যের দীপ্তি। তিনি যেন ত্রিকাল দর্শী। জেনে এসেছেন অতীত, অতীতের কবি ও কবিতা। বর্তমানে বসে অবলোকন করেন হালের শিল্প সাহিত্যের স্বরূপ। এবং অন্যকে জানতে বলেন সমকালের কবিতার চালচিত্র। এ মর্মে জীবনানন্দীয় ঢঙে জারি করেন নির্দেশনা,

“একালের কবিতারে
চাও যদি দেখি বারে
হে ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ
পাঠে দাও মন” (শামসুর রাহমান)”
…..
…..
“কবিতা সবার জন্য নয়
বিশেষ করে আপনার জন্য নয়
আপনি কবিতার কিচ্ছু বোঝেন না
বুঝবেনও না কোনোদিন।”

আপনি কবিতা বুঝেন না বলে, আপনি কবিতা পড়েননি বলেই বলতে পারেন– কবিতা লিখে কী হবে? কবিতা কী? কবিতা কবিদের শব্দের কারিকুরি। এই আপনাকে উদ্দেশ্য করেই বলা হয়েছে কবিতা সবার জন্য নয়। আপনার জন্যতো নয়ই। এজন্যই বরাবরের মতো কবিতার পাঠক কম।
আপনি কবিতা বুঝেন না। বুঝতে চেষ্টাও করেন না। আপনাকে লক্ষ করেই বলা হয়েছে–

“আপনাকে কবিতা পড়তে হবে না/
আপনি ঘুমাতে যান বা অন্য কিছু/ করুন/
রগরগে সিনেমা দেখুন/
হিন্দি সিরিয়াল দেখুন/
যা ইচ্ছে তাই করুন/
সঙ্গম করুন/
তাও ভালো/
কবিতা পড়বেন না, দয়া করে/

কবিতা কেমন? কত প্রকার? এর সঠিক বিশ্লেষণ না করলেও কবি বর্ণনা করেছেন ” সহজ কবিতা” ও সুশীল কবিতা”র রূপরেখা। কবিতা কে লেখে? কবিতা লেখে কবিগণ। বাংলা ভাষায় আছে হাজার হাজার কবি। তাদের কেউ বিখ্যাত,কেউ জনপ্রিয়। সাজ্জাদ বিপ্লবের মননে রেখাপাত করেছেন উল্লেখযোগ্য কবিগণ। তাদের নিয়ে লিখেছেন কবিতা।

আল মাহমুদ,আবদুল মান্নান সৈয়দ,বিনয় মজুমদার,শামসুর রাহমান,মণীন্দ্র গুপ্ত,তসলিমা নাসরীন,ভূমেন্দ্র গুপ্ত,বেলাল চৌধুরী,মলয় রায়চৌধুরী,রাইসু ও শাহরিয়ার প্রমুখ শিরোনামে লিখেছেন কবিতা।

কবিতার বক্তব্য যত সহজই হোক,শব্দ বা বয়ানে যত স্পষ্টতাই থাক তবু কিছুটা আড়াল থাকেই। আদর্শ কবিতার শব্দ,বাক্য বক্তব্যের অর্থ ধাবিত হয় একের অধিক পথে ও মতে। কবি যা বলতে চান তা পাঠক হয়তো বুঝতে পারে,কিংবা পাঠক বুঝে নেয় ভিন্ন কথা। কবিতা তার বোধকেও সমর্থন জোগায়। অন্য পাঠক নিজের মতো করে বুঝে নিলেও ব্যাখ্যা উপস্থিত হয় তার সমর্থনে। প্রকৃত কবিতা এমনই।

কবি সাজ্জাদ বিপ্লব সহজ শব্দে সরল বাক্যে সাবলীল গতিতে নির্মাণ করেন তার কবিতা। তবু থাকে এক ধরণের প্রচ্ছন্নতা। এই প্রচ্ছন্নতা কবিতাকে ভাবের গভীরতায় নিয়ে যায়। এমনই একটি কবিতা তার ” তুমি ” কবিতাখানি। এই তুমি কে? স্পষ্ট হয়েও অস্পষ্ট। কেউ যদি তুমিকে সাব্যস্থ করে স্রষ্টার তুমি বলে তাও ঠিক। এই তুমিকে পাঠক ভাবতে পারে আল্লার প্রিয়তম রাসুল হিসেবেও। তাও সঠিক। এক তুমিকে পাঠক ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞান ধ্যান করতে পারা কবিতার সার্থকতা। আমরা ভাবনায় নিমজ্জিত হতে হতে পাঠ করে নিই ” তুমি ” কবিতা।

সিক্রেট বা গোপনীয় বলেই/
তুমি সুন্দর। /অপরূপ।/
তোমার রূপের বর্ণনা করি এ/ সাধ্য কই? কই সে যোগ্যতা?/ ক্ষমতা বা অক্ষমতা?/
অসারতাও বলতে পারো, সব-ই/ তোমার জন্য, তোমার নামে ।/
যে নামে এই ধরাতে , সমধারায়/ প্রেম নামে , কাম নামে । নামে/ প্রকৃতি ও সৃষ্টির সম্ভার।/
আহা! কী যে অপরূপ রূপের/ বাহার, গো তোমার!!/

( তুমি)

কবিতা শিল্প সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম শাখা। মানুষ কেন কবিতা চর্চা করে? কবিতা কার জন্য লেখা হয়? কবিতা কাকে বলে এসব প্রশ্নের সরল উত্তর গরল হয়ে হাজির হয়। কেউ বলে শিল্পের জন্য শিল্প। কারও বক্তব্য মানুষের জন্য শিল্প। কবিতা শব্দই কবিতা,চিত্রকল্প কবিতা। কারও কারও মত বক্তব্যই কবিতা।
সাজ্জাদ বিপ্লবের কবিতা পাঠের পর উপলব্ধিতে ধরা জ্ঞান বক্তব্যই কবিতা। তার বক্তব্যের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। পাঠক হৃদয় সহজেই ধারণ করতে পারে সে বক্তব্যের মর্মার্থ। এই মর্মার্থের পর স্পষ্ট হয় কবি একজন আলোর পথের যাত্রী। আর সেই আলো প্রাপ্ত হন আল্লাহ কর্তৃক নির্দিষ্ট আলোর ইশকুল থেকে। সে ইশকুল থেকে আলো ছড়িয়েছেন জগতময় আল্লার প্রেরিত ও মনোনিত পুরুষ হযরত মুহাম্মদ (সা:)। তাকে নিয়ে রচিত হয় সাজ্জাদ বিপ্লবের কবিতা। কবি লেখেন,

আলোর ইশকুল
[পেয়ারা নবী হযরত মহুাম্মদ, সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম, স্মরণে ]
….
তিনি তো মানষু ছাড়া/
অন্য কিছু ছিলেন না!/
ছিলেন দয়া ও মমতায় ঘেরা/ এক/
আলোর ইশকুল/
প্রতি দিন আলো ছড়াতেন/
আর কাঁদতেন সেই সব অভাগা/ আর হতভাগ্যদের কথা চিন্তা করে/
যারা সেদিনও যেমন পায়নি/ তার/
মেশকের সুরভী;/
কিংবা আজও যেমন পাচ্ছে না/ কোন/
আবে জমজমের সু-সংবাদ/

রব্বি জিদনী ইলমা/
প্রভু, আমাদে র রক্ষা করুন।/

(আলোর ইশকুল)

সাজ্জাদ বিপ্লব কবি বলেই কবিগণ তার আত্মার আত্মীয়। কবিতা তার আত্মার খোরাক। দূর প্রবাস যাপনেও আত্মায় আত্মায় রেখেছেন সংযোগ। এই কালের শ্রেষ্ঠ কবিদের অন্যতম কবি আল মাহমুদ। আল মাহমুদ দৈহিকভাবে ত্যাগ করেছেন এই পৃথিবী। সৃষ্টিশীলতায় অনবদ্য বিচরণ তার পৃথিবীময়। সাজ্জাদ বিপ্লব নিজের মাতৃভূমি থেকে অবস্থান করেন মাইল মাইল দূরে। দূর প্রবাসেও কল্পনায় রাখেন বাংলা ভাষার আলোচিত কবিদের সান্নিধ্য। বাস্তব জীবনেও এসব কবি পুরুষদের সাথে যোগাযোগ ছিল সাজ্জাদ বিপ্লবের। আল মাহমুদের সাথে সাজ্জাদ বিপ্লবের ছিল গুরু-শিষ্য সম্পর্ক। অনেক কবিকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন এই পুস্তকে। লিখেছেন তার গুরু কবি আল মাহমুদকে নিয়েও।
লিখেছেন বাংলা ভাষার সব্যসাচী কবি আবদুল মান্নান সৈয়দকে নিয়েও অনবদ্য কবিতা। তিনিও আজ নেই আমাদের এই পৃথিবীতে। তিনি থাকলে আজ! কেমন হতেন? কি হত আমরা করতে পারি না কোন কল্পনা। কবি পারেন। সাজ্জাদ বিপ্লবের কবি মস্তিস্কে কল্পনার জাল বিস্তার করেন। এবং লেখেন আজ তিনি থাকলে কী হত :

“তিনি থাকলে , মানে , সশরীরে/ বেচেঁ থাকলে/
নিশ্চয়, খুশি হতেন খুব/
হয়তো, হয়তো মানে নয়,/ নিশ্চিত/
লিখতেন, জানো সাজ্জাদ,/
আমি হাড়ে -মজ্জায় একজন/ লিটলম্যাগাজিনের লেখক, /কবি ।/
সময়াভাবে কত যে নীরিক্ষামলূক/ লেখা লিখতে পারলাম না!/

কত বুড়ো ভামের, জঞ্জালের,/ জবাব দিতে গিয়ে কত সৃষ্টিশীল/ গাছে পানি ঢালা হলো না!/
আর, এখন তো চাপাবাজি আর/ চাপাতির কাল।/
নেটে -নেটে পেস্টিং-কাটিং করে , /ব্লগার!/
চেতনার ব্যবসা!/ বদ্ধিুদ্ধিজীবীতা!/
এরাও তাহলে লেখক?/

তেমার কবিতা পড়ছি , দৈনিক,/ ফেসবকেুকে/
ইন্টারনেটে কবিতাচর্চা, মন্দ/ না!!/
জানে তো, নতুন কোন মাধ্যম বা/ নীরিক্ষায় আমার কোন/ আপত্তি নেই।/
আমাদের কালে এসব ছিলো না/
সে ছিলো এক অন্যরকম, স্বর্ণ কাল/
(বাদ দাও, সে সব)/

আমরা লিখতাম পত্র-পত্রিকায়/ কিংবা লিটলম্যাগাজিনে,/ ছোটকাগজে/
যদিও, তোমাদের মতো, মানে/ এখনকার মতো, নতুনত্বে/ ভরপুর/ ছিলো আমাদের কবিতাও/
আমার ও কবি জীবনানন্দ দাশ, /আমাদের কারো কোন / আপত্তি নেই, ছিল না, নতুন/ কিছুতে/
দেখোনি, আমাদের চিন্তা-চেতনা/ ও কবিতা কেমন/ প্রাগ্রসর ছিলো সে কালে ?/

যা কিছু করো না কেন/
আমার শুধু একটাই বলবার/
তোমার পা যেন মাটিতে থাকে”/

(তিনি থাকলে)

এইভাবে কথার জাল বিস্তার করে যান কবি। বিস্তৃত করেন কাব্যময় গতিতে নিজের কথা। সে কথায় ভরপুর থাকে কবিতা হয়ে। কবি তখন বলেন ” আমার হাঁসগুলি কবিতা পাড়ে।”। অদ্ভূত সুন্দর হয়ে ধরা দেয় কবিতা পুস্তকের নাম। বইটি প্রকাশ হয় ২০২৩ সালে। প্রকাশ করেন রহমান তাওহীদ। আর প্রচ্ছদ আঁকেন রাজীব দত্ত। বইটি সংগ্রহ করতে হলে বিনিময় দিতে হবে ২০০ টাকা। আমরা বইটির খুব প্রচার চাই। পাঠকের টেবিলে গিয়ে কবিতাহাঁস করুক প্যাক -প্যাক।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ