অরুন্ধতী তুমি…
চোখ এখনও দেখে– সামনে অন্ধকার
আশায় জলছবি আঁকে- কবি এক পথবাসী
অরুন্ধতী তুমি-ডানায় লুকিয়ে রেখেছ–
দৃশ্যের অপলক ছায়াদৃশ্য
বেনামী পিপাসীত শব্দগাছের সারি সারি
সবুজের অরণ্য অনাদিকাল-কিসের আশায়
কার প্রতীক্ষায়– পালিয়েছি অপেরা ছেড়ে…
সারাটি বিকেল-বিরাগের কলহ বুকে
রাজ্যসীমার অতিদূরে-বিক্রি করি বোধের ঘটি
বিকেলে হারানো বন্ধুরাও–একদিন মস্তিষ্কে লুকিয়ে ব্যথা
নিজে নিজেই পুষে রাখে গোপন অসুখ…
অসুখী নদী কার কাছে যাই- কারে শুধাই
আপন সীমানায়; তুমিই- বুঝি ঔষধি…
কিছুটা দূরে অনেকটা কৌশলে…
বৃষ্টি নামলে তুমিও ফিরে যাও ঘরে–
আমাকেও ফিরে যেতে বল নিজ ঠিকানায়
কিন্তু আমি তোমার আদর ফেলে-কেমনে ফিরি
তবু; ভয়-ভীতি ফেলে ছড়িয়ে রাখি নিজেকে
কিছুটা দূরে অনেকটা কৌশলে…
প্রসঙ্গ অনেকটা আমাকে নিয়ে-যেভাবে ভাবতে পার তুমি
আমিও রৌদ্রের তীব্র জ্বালায়-আলোর রশ্মি ছড়াই বৃষ্টি হয়ে…
কৃষকপাড়া
দূর সুতায় দুলে থাকে নদী ভাঙ্গা অর্কেস্ট্রা
জানি
এমনও অনেক দিন গ্যাছে-যেখানে
সীমারেখা থাকে না, দুঃখ অহর্নিশি বিকশিত হয়
ধানক্ষেতে কৃষিরানী ধান্যবতী হয়ে–
পাতার শরীরে
রক্তের তোফান তোলে…
অদৃশ্যের নাকি হাত-পা গজায়
লক্ষ্মী আক্রান্ত হলে-
বুকফাঁটে কৃষকপাড়ায়…
এমন সব বিশ্বাস
জরাগ্রস্ত এক দুর্র্বলতার নাম।
দ্বিখণ্ডিত
অগণিত মাছজলে ডুবে যাই মানুষ
ক্রমাগত…নির্ধারিত অভিশাপ কিংবা
নাতিদীর্ঘ অক্ষমতা চালিয়ে দিতে পারি
অবহেলার কথা বলে…
অহেতুক তোমাদের বাড়বাড়ন্ত
সাতচল্লিশ দ্যাখনি;
এক শরীর কিভাবে দ্বিখণ্ডিত হয়।
বংশিবাদক
কুসুম জলে ধুয়ে শরীর
সিন্দুকে তুলে রাখি হাপিত্যেশ
বটফল মুখে গুজে
পা বাড়ায়-বগলে ছাতা
অন্ধচোখে-স্বপ্নের বহুমাত্রিক প্রাতিস্বিক
অকাতরে বিপ্লবী সন্তান আমার…
মশাল ছুঁয়ে যায় রাতের বংশিবাদক…
যৌবনতা বলতে যা বুঝি
আমাদের বাড়ির পাশে রাখা আছে আল হারামের খুলি… এই খুলিতেই একদিন গভীর রাত–অন্ধকার মাড়িয়ে তুমি-আমি রেখেছি শরীরের গন্ধ, ভরাট যৌবনতা। যৌবনতা বলতে তুমি কী বোঝ? আমি তো বুঝি- নারী অগ্নি আর পুরুষ ধারালো ইস্পাত…
জন্মদাতা
তখনো তুমি-
পৃথিবীর তরে থাকতে চেয়েছো কিছু দিন
জন্ম দিয়েছো–সন্তান
বাড়িয়ে চলেছো–পিতার পূণ্যময় ছায়া-প্রতিচ্ছায়া।
পিতার আত্মা প্রতি রাতে- আসে
দুঃখ জাগানিয়া অসুখ– কুঁড়ির মতো বিকশিত হয়…
পিতায় একমাত্র বিশ্বাস-বিরামহীন ভালোবাসা
আগামীর আঁধার ধূয়ে– যিনি প্রীতিময় করে তোলেন।
কোথায় মিলিয়ে গেলে– বাগানের ফুল
নিজেকে নির্বোধ–বাকীটা নিঃসঙ্গ লাগে…
কবিতা
মাথার উপরে বিশাল আকাশ
মৃত্যুর কাছে ক্ষয়ে যায় শরীর
শরীর মানে আবরণ–আমরণ সাধনা
কবিতা মানে আত্মা-আত্মা মানে কবিতা।
নির্বাসিত
একাকিত্বের নিশানা
আমার বুকে পুঁতে
ঠিক করে নেও তোমার সঙ্গ।
আমার
কোন সিলেবাস নেই
তাড়িত-মোথিত হয়েই আমি
স্বচ্ছ গণতন্ত্র চাই না
চাই সঙ্গীহীন গণতান্ত্রিকতা
যেখানে আমি স্থাপতি– তোমরা নির্বাসিত।
বৃষ্টি নামে রোগ অথবা শোক
অবাক হওয়ার নেইতো কিছু-রোদ্দুর ফুরিয়ে গেলে
ছুটে আসে বৃষ্টি নামের মেয়ে–কি ঘামে কি বা গন্ধে।
ছলছল দিনেও বুকে রপ্ত করেছি হারিয়ে ফেলার রোগ
শোকও বলতে পারি–মায়ার অন্তরালে হাহাকার লেপ্টে থাকে।
বাইরে বৃষ্টি হলে-আমিও তোমাকে দেখতে পাই
ভেতরে ফুটে ওঠে রঙ–থইথই অসুখে ভরে ওঠে মন
বৃষ্টির সাথে বছর দুয়েক হল- মখমল হাওয়াই শুয়ে
শুকিয়েছি ধ্বংসাত্মক–অদৃশ্যের পৃথিবী।
আয়ুষ্কাল
অনেকদিন ধরে বসে আছি রোদে
নৌকায় পাড়ি দিচ্ছি সকাল
তবে এবার হাঁটার পালা
অনেক পথ হাঁটলেও– ক্লান্তির হল অবসর…
দূরে সরে সরে যাচ্ছে- কাছের আয়ুষ্কাল।
স্বাধীনতা
নদী আমাদের হবে, দেশ আমাদের হবে
তবু কেন আমাদের হবে না ?
ঘাসফুলের রঙ বুকে মেখে
কুড়িয়ে পাওয়া সময়কে পিছে ফেলে
দাঁড়টানা সকাল আমাদের হবে না –
এমন ভেবো না তুমি।
স্বাধিকারের লাগিয়া সন্তান তোমার
সিথান বালিশে মাথা রাখতে পারে না
সুদূরে সফেদ চেহারা রেখে গর্ভবতী মাতা– তুমি
বটতলে স্বাধীনতা, প্রেম-মরণে
কেন দিলে শতপ্রাণ বলিদান
আত্মঘাতী পঁচনের মত ওরা গড়েছে বধ্যভূমি ।
নিমাইয়ের গান ভোর এনেছে
ডুবন্ত তরী ফিরেছে ক‚লে
তবু অক্টোপাসের দানবীয় থাবা
লাঙ্গলের ক্লান্তি গেঁথে বুকে-কৃষক
এনেছে আমাদের স্বাধীনতা।
শকুনঠোঁটে লেগে আছে আজও
বাঙালির রক্তে ঝলসে যাওয়া–স্বাধীনতা।
অসুখ
শাটল ট্রেনে চড়েছ তুমি–
মধ্যবর্তী-পুরুষ তোমার চেনা
গালের কাছে ঝুলছে সকাল
বিকেল যাবে ফেলে…
অসুখ বলি কিংবা বেসুখ
সবাই তোমার চেনা-
ঘর হারিয়ে পর ধরে আজ
বিষাদ–দুঃখ কেনা…
বাতাস চলে হারিয়ে স্বজন
বিকেল চলে উড়ে-
যাত্রা পথে থামিয়ে সময়– গল্প করে ধরে।
ভাসল যারা জলস্রোতে– ঘর হারিয়ে বুক
ক্রোধে নদীর মাছ-পোকারা হারায় তাদের সুখ
বাড়ল পানি বুকের কাছে–চোখের জলে
ভাসল যাদের সুখ
তারাই এখন মরছে দেখ-বাড়ছে সদায় অসুখ…
তোমার মোকামে মেলেছি শরীর
১.
তোমাকে দেখেছিলাম জরাজীর্ণ এক সুরকির রাস্তায়
জঠরে তোমার নিজের আত্মজ আর বুকের কাছে
ডাহুকের ছা লুকিয়ে হেঁটে আসলে পাড়া–
তোমাকে সবাই অনেকটা অন্ধকারে ফেলে আসা-
সময়ের নাম ধরে ডাকে কিংবা বলতে চাই
পিরাক্তন পুরুষের হাসির অন্তরালে লুকিয়ে রাখা চেরাগের গল্প…
তুমি রাগঢাক না দেখিয়ে- চুপসে গেছো আমাদের বাড়ির দিকে
যৌবনের স্বভাব এমন হলে নাকি– গলা দিয়ে রক্ত বমি হয়
দাদী মা গা টিপে টিপে বলে মাগী এসব বয়সের দোষ– তোকে কি বলুম…
দাঁড়টানা মানুষের অনেক দূরে যেতে হয়- কষ্ট বুকে পুষে…
২.
কচ্ছপের মত আমার এক দাদার গল্প আছিল- ঝিনাইদহের পথে যিনি নিজেকে কাংলাসের শরীর বলে-অপ্রতিরোধ্য আকুলতায় পেঁচিয়ে হেঁটে যেত বাজুখালী নদীর ধারে- যেখানে খানরা পাঁচ পাঁচটা লাশ পুঁতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল বাড়ির মহিলাদের… কচ্ছপ কোনদিন শামুক হয়েছে কি না জানি না কিন্তু সেদিন এই ক্লান্তিকালে কচ্ছপকে গুটাতে গুটাতে শামুক হতে দেখেছি।
স্বাধীনতার রঙ অনেকটা ফেকাশে– লাল বললেও অনেকে মানবেন কেনো? যার বিবেক পুড়ে আত্মা হয়েছে তামাটে- যার কাছে অতীত ফেকাশে সে কি করে স্বাধীনতার রঙ বলবে লাল? মুক্তির চাওয়া তোমার গলায় আটকে আছে- পিতার হাত ঝরে গেছে বুলেটে আর মা শরীরহীন জীবন্ত লাশ…
৩.
অনেক শান্ত হলেও– আমার বাল্যকাল একটু অশান্তের আগডালে–
ঝুলন্ত মুত্যুর নাম
জটিল অন্ধকার হেঁটে আসলেও আলোহীন ছিল না নিজের ঘর
প্রেমের সূক্ষ্ম হিসেবে বরাবরই আমি কাঁচা- অঙ্ক সেবক
চেতনা মাজারে বাবা আর বড়বোন পরিশুদ্ধ মানুষ
উৎসবের কালে আমি এক স্বার্থবাদী মায়াবী হাপিত্যেশের বালক।
ধর্ষিত বোনের বীভৎসতায়ও আমি নিরব জ্বলজ্বলে চোখ
নিঃশ্বাসে আগুনের পরিবর্তে ঠান্ডা হিমঘর।
আত্মহত্যার মত সাহস সঞ্চয় করিনি তাই ব্যর্থ প্রেমিক- প্রেমিকারা বলে বারে বার।
৪.
ব্যাংকের সমস্ত টাকা আজ তুলে নিয়ে শ্যামল সবুজের বুকে শুয়ে কাটাতে চাই- ফেলে আসা অনেকটা সময়। মিরপুরের স্টেডিয়াম হয়ে চৌদ্দের দিকে গিয়ে কচুক্ষেতে নিজের দর তুলতে চাই? অন্নবস্ত্রহীন এক বালকের শরীরে নেই কোন মাংস সেখানে কে হবে আমার খরিদ্দার। তবু অনেক আশায় হেঁটে আসি মাটিকাটার দিকে কিংবা ভাষানটেকের দিকে তেমন কেউ চাইনা আমাকে? শিশিরের জরি শরীরে মেখে অনেকটা সুন্দর হয়ে উঠেছি আবার নিওন বাতির ঝিলিন নিজের কাছেই নিজেকে অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে- দারুণ উত্তাপে নিজের শরীর ঘেষে দাড়ালো বালক- রাতে খাওয়ার টাকা নাই দুটো টাকা হবে ভাই- নিজের দুঃখে অনেকটা মুখ চেপে হাসার চেষ্টা করলাম। মাঝরাত আশপাশে কোন আদম কিংবা হাওয়া নেই- নিজেই নিজের শরীর চিবিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে… কষ্ট বাড়ছে… নিজের কাছে নিজে অচেনা হচ্ছি-দু’চোখে গভীর তীব্রতার হাহাকার…ব্যাংকে জমছে টাকা-পকেট ফাঁকা- নিজেকে নিজের কাছে লাল হয়ে ওঠা এক ক্ষুধার্ত রাতজাগা কুকুর মনে হচ্ছে…
৫.
আমার অনেক না বলা কথা আছে–বুকের কাছে জমা আছে
আছে অনেক কষ্ট আছে- বাড়ির পাশের মানুষ আছে
স্বপ্নসুখের রেখা আছে– মাছের পেটে ভর্তি আছে
মুখরিত সকাল আছে– বাবার ডাকা মিছিল আছে
আছে অনেক ভাবনা আছে- না বলা অনেক কান্না আছে
জিয়িয়ে রাখা অনেক তুফান আছে– মায়ের অনেক বেদন আছে
সত্যিই অনেক সংশয় আছে-বঙ্গ নদীর স্রোত আছে
বুকের কাছে রাষ্ট্র আছে– সেখানেও এক ব্যর্থ আছে
সব মিলিয়ে এক পুস্তক আছে– সেখানে এক মাঠ আছে
মাঠের কাছে বাড়ি আছে–সেই বাড়িতে এক নারী আছে
তার চোখেতে ভাষা আছে– এই ভাষাতেই ঘ্রাণ আছে
চাষী বুকের লোবান আছে–এই খানেই এক সুবাস আছে…
অন্য রকম ফিল হচ্ছে
আমরা সবাই হাঁটতে যাই-ঘুরতে যাই কিংবা ফিরতে চাই নিজের ঘরের দিকে- বিকেলে কিংবা সকালে হাঁটার মজাটাই অন্য– কেউ হাঁটতে চাই নিজের প্রেমিকার হাত ধরে বা অন্যের স্ত্রীর হাত নিজের হাতের মুঠোতে রেখে- অনেক দিন হল আমি হাঁটতে বের হই না- যা একান্ত প্রাইভেসি বলে বলতেও চাই না জনসম্মুখে- বিকেল মানেই এখন একা… বিকেল মানেই শূন্যতা…
একদা এই বিকেল ছিল বকুলের চোখে চোখ রেখে ঘোরা- পথ বেয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে যাওয়া- রাস্তায় পিয়াজু, ফুসকা, ধুনে পাতার চপের তীব্র স্বাদ ঠোঁটের কোণে জমা হচ্ছে- কুয়াশা ঢাকা শরীর এখনও উত্তপ্ততার পরশ মেখে চলে…পরশ মানে এক অন্য রকম স্বাদ- অন্য রকম আত্মমুখী মেঘ- মেঘ মানে নিজের মধ্যে নিজের ঝিলিক- জীবন মানে ঘাস- ঘাস মানে নিজের বুকে জমে ওঠা পেলব মাটিতে শস্য বোনা সকাল।
প্রতিদিন ফুল ফোটে-পাখি ডাকে
বুকে জমা হয় চাপাকান্না- ভিতরে দোল খায় রোম্যান্স…
গভীর রাত- দীর্ঘতা ছড়ায় চারিপাশ।
উৎসব
গাছের আড়ালে লুকিয়ে আমি-করোটির রক্ত চুষি
তবুও তোমার প্রেমের বাগানে উৎসব উৎসব খেলি।
বাঁশি বাজে রোজদুপুরে- হেলান দেওয়া গাছে
মাতৃক্রোড়ে আকাশ দেখি-চারিদিকে আগুন ভাসে।
মায়ের হাতের মুঠিপিঠা ঘুম ভাঙিয়ে দেয়
কোকিল পাখি বৃক্ষে শাখে করুণ চোখে চাই
মেলায় ঘুরি শাদা পাঞ্জাবী-তুমি নিষ্পাপ নারী
মনের ঘরে বাজবে বুঝি জীবনের ডুগডুগি…
সবকিছু আজ তুচ্ছ অতি- দুরত্ব মাপে প্রেম
তুমি যতই পায়রা উড়াও–আমি নতুন পাখি
শান্তি ভেলায় আকাশ দেখি…উৎসবে বিমলিন
বিষমাখা আজ তপ্তদুপুর-সূর্য হাওয়ার দিন।
রক্তাক্ত তোমার সিঁদুর বাড়ি-পায়ে মেখে আলতা
রাত্রির বাতাস শরীরে এখন, জলের দিকে ছুটে চলা…
মা : ডুবে যাওয়া চর
ডায়েরীতে লেখা কবিতার চোখ বেয়ে নামে বৃষ্টি-
উথাল-পাতাল- দিনের নিষ্ফল কবিতা আমি
দূরন্তবেলা পার হলেই– আম্মা বলতেন–
ভেজাচোখে থাকিস কেনো রাখাল…
মাঠের পর মাঠ- আকাশে অবাধ্য মেঘ
ঝর্নার দিনেও বুকের মধ্যে তুফান
স্বপ্নবুনা সকালের কথা ভাবতে ভাবতে-জন্মান্ধ ঘোড়া
মায়ের কথা ভাবে–
জীবনের ভিতরে লুকানো আছিল–
কড়া দগদগে মহামারী আর জলোচ্ছ্বাসের অসুখ।
মা জীবনের ক্রলিং করতে করতে– শেষতক ডুবে যাওয়া চর…
বঙ্গ রাখাল
জন্ম ১২ জুন, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানাধীন গোলকনগর গ্রামে। তিনি সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা স্কুল অফ ইকনোমিকস থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইকোনমিকস ডিগ্রী এবং গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র থেকে গণহত্যার উপর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী অর্জনসহ বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সদস্য।
কবি বঙ্গ রাখালের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ সংস্কৃতির দিকে ফেরা (প্রবন্ধ, ২০১৫), লোক মানুষের গান ও আত্ম অন্বেষণ (গবেষণা, ২০১৬), মানবতাবাদী লালন জীবন অন্বেষণ (প্রবন্ধ, ২০১৭), হাওয়াই ডাঙ্গার ট্রেন (কবিতা, ২০১৮), মনীষা বীক্ষণ ও অন্যান্য (প্রবন্ধ, ২০১৮), অগ্রন্থিত রফিক আজাদ (সম্পাদনা, ২০১৯), পাগলা কানাই ও তাঁর তত্ত¡ দর্শন (সম্পাদনা, ২০১৯), লণ্ঠনের গ্রাম (কবিতা-২০১৯), যৈবতী কন্যা ইশকুলে (কবিতা, ২০২০), কবিতার করতলে (প্রবন্ধ, ২০২০), অন্ধ যাজক (কবিতা-২০২১), ছোটবোয়ালিয়া-জয়ন্তীনগর-বসন্তপুর গণহত্যা (অভিসন্দর্ভ-২০২১), জন্মান্ধ ঘোড়া-২০২৩।
তিনি প্রবন্ধে পেয়েছেন– আবুল মনসুর আহমদ পুরস্কার (প্রবন্ধ-২০২০), ডেইলী স্টার, ঢাকা। জলধি সাহিত্য সম্মাননা (কবিতা-২০২১), ঢাকা।
সাহিত্য সম্মাননা-২০২২ (মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা) শেরপুর সংস্কৃতি পরিষদ, শেরপুর, বগুড়া।
নিহারণ, শঙ্খধ্বনি, শব্দকুঠি, দোতারাসহ সম্পাদনা করেছেন বেশকিছু ছোট কাগজ।
সুন্দর কবিতাগুলো