তৈমুর খান
রোজা এলেই একটা আনন্দ অনুভব করতাম। রোজ ভোরে উঠতে হবে এবং সকলের সঙ্গে বসে সেহরি খাবার জন্য তৈরি হতে হবে। তারপর সারাদিন না কাটাতে পারলেও ক্ষতি নেই। সন্ধেবেলায় মাগরিবের আজান হলে আবার ইফতারের জন্য মাথায় টুপি দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। নিম্নবিত্ত পরিবারের গরিব কৃষকের বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়েদের আমার মতোই আনন্দ। তেমন কিছু ভিন্নতর খাবারের আয়োজন নেই, কিন্তু পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে ধৈর্য-সহিষ্ণুতায় নিজেকে নির্বৃত্ত করার সুখ অনুভব করা যে কত আনন্দের হতে পারে তা তখনই শিখেছিলাম।
জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল আত্মদমন বলেই আমি মনে করি। তাই ছোটবেলা থেকেই সংযমের মধ্য দিয়ে জীবনের পথ পরিক্রমাকেই আত্মস্থ করতে শিখেছি। সেহরি খেতে উঠে তেমন কিছুই থাকত না। কোনোদিন হয়তো অল্প কিছু ভাতের আমানির সঙ্গে সামান্য ভাত। কোনোদিন দু একটা বাসি রুটি। আবার এমনও ভোরবেলা পার হয়েছে সেদিন শুধুই এক গ্লাস পানি। তেমনি ইফতারের সময়ও ভেজানো কয়েক ছটাক চাল, ছোলার দানা, থ্যাঁতলানো আদা অথবা শুধুই পানি। ছোটবেলাটা যেন চরম এক সংযমের শিক্ষা দিয়ে আমাদের বড় করে তুলেছে। আজ আর মূল্যবান কোনো খাবার দেখেও ইচ্ছে করে না খেতে।
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার শিশুদের যখন দেখছি, খাদ্যের অভাবে তারা হাহাকার করছে, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাটি হাতে দিশেহারা হয়ে এদিক ওদিক ঘুরছে। কেউ কেউ ঘাস-পাতাও ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে—তখন নিজেকেও বড় অসহায় লাগছে। পরিস্থিতি কতটা বাধ্য করে আমাদের সেই বিষয় নিয়েই ভাবছি। ভাবতে ভাবতে একবার মনে হয়েছে, মানুষের জন্য এই পৃথিবী মনে হয় সুখের জায়গা নয়। যতদিন মানুষ বেঁচে থাকে, ততদিন তার মধ্যে কষ্ট নিয়েই, যন্ত্রণা ও হাহাকার নিয়েই বাঁচতে হয়। স্বার্থপর মানুষেরা সম্পদ কুক্ষিগত করে কী সুখ পেতে চায় ? পৃথিবীর কোনো সম্পদই কি মানুষকে সুখ দিতে পারে? অন্তত আমার কাছে তো একেবারেই নয়।
আজ হয়তো আমার খাবারের অভাব নেই, পোশাক-আশাক, বাসস্থান সবকিছুর মধ্যেই উৎকর্ষ এসেছে, কিন্তু ওই ছোটবেলার রোজার দিনগুলির যে আনন্দ তা আজ আর নেই। সেই সবদিন না খেয়েও পরিজন-পরিবারের সঙ্গে থেকে, ঈদের চাঁদ দেখে, পুরনো জামা-কাপড় পরেই শূন্য পকেটে ঈদের ময়দান থেকে ফিরে যে আনন্দ উপভোগ করেছি তাকে আজ আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। আজ সত্যি সত্যি অনুভব করতে পারছি—আনন্দকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না, সম্পদই আনন্দের উপায় নয়।
ছোটবেলায় ঈদ আসার অপেক্ষা করতাম। ঈদ এলে একটি নতুন জামা কিনে দেওয়ার বায়না ধরতাম। হয়তো কোনো কোনো বছর তা সম্ভব হত। সেই জামাটি সারাদিন পরে থাকতাম। বাড়ি বাড়ি যেতাম সালাম করার জন্য। কত বাড়িতেই বাটি ভরে পায়েস পাওয়া যেত। আদর করে, অথবা জোর করেই গ্রামের মানুষ বসিয়ে খাওয়াতো। ঈদের দিন ভোর ভোর উঠে যত শীতই থাকুক পুকুরে যেতাম স্নান করতে। সকলের সঙ্গেই স্নান করারই মজা আলাদা। তারপর ঈদের ময়দানে সবুজ ঘাসের উপর তালাই পেতে নামাজের জন্য বসতাম। ইমাম সাহেব উঠে বক্তৃতা করতেন। তাঁর বক্তৃতায় কখনো কখনো ইমাম হাসান-হোসেনের ঈদের কাহিনি উঠে আসত। কখনো তাঁদের আম্মাজান ফাতিমার কাহিনিও। নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে ঝরে পড়ত কয়েক ফোঁটা পানি। বাবা শিখিয়ে দিয়েছিলেন, বাড়ির গুরুজনদের সালাম করা, তারপর প্রতিবেশীদেরও।
রোজার দিনগুলিতে বিশেষ করে ইফতারকালীন সময়ে প্রতিবেশীরা কখনো কখনো ক্ষীর, ফিরনি অথবা হালুয়া আমাদের বাড়িতে দিয়ে যেতেন। ঈদের দিনেও প্রতিবেশীদের বাড়িতে ঘরের পোষা মোরগের মাংস রান্না হলে তাও দিয়ে যেতেন। কখনো কখনো মাংসের সঙ্গে ভাতও। একটি গ্রাম যেন একটি পরিবারের মতো। কতটা আন্তরিকতা থাকলে তবেই পরস্পর পরস্পরের পাশে দাঁড়াতে পারে তা অনুভব করতাম। ঈদের নামাজ শেষ হলে গোরস্থানের চারিপাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। সেখানে শুয়ে আছেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা। আমাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনেরা। তাঁদের জন্য মাগফেরাত কামনা করতাম। যে যতটুকুই দোয়া-দরুদ পড়তে পারেন তা পড়তেন। এখানে দাঁড়িয়েই অনুভব করতাম—পরম স্রষ্টার প্রতি এক গভীর আনুগত্য। মনে মনে বলতাম, তোমরা মরে গেছো, আমরাও একদিন তোমাদের কাছেই আসব। ইহকাল-পরকালে দূরত্ব খুবই কম। শুধু এই নিশ্বাসটুকু।…
আনন্দ আর জীবন, মৃত্যু আর পরকাল এসব ভাবতে ভাবতেই কখন বড় হয়ে গেলাম। পৃথিবীতে কত ঈদ আসে, কত ঈদ চলে যায়। ফিলিস্তিনের শিশুরা কত মারা যায়। ভোরের আজানে জেগে উঠে সিজদায় নত হতে হতে দুই চোখ ভরে যায় উষ্ণ অশ্রুতে। কষ্টের কথা তো একমাত্র তাকেই বলতে পারি।
……
🏡
ঈদের ময়দান থেকে বলছি
🍁
রোজ ভোরবেলায় জেগে যেতাম। সেহরি খাবার সময় হলেই আমার ঘুম ভেঙে যেত। তখন আর বয়স কত হবে? ওই চার কি পাঁচ বছর! ছোটবেলা থেকেই দাদা আর দাদির দুজনের মাঝখানেই আমি ঘুমাতাম। ভোরবেলায় ফজরের আজান হলেই ওরা উঠে যেতেন, আর আমিও তাদের সঙ্গেই উঠে যেতাম। এমনি করেই আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। বছর ঘুরে যখন রমজান মাস আসত, তখনও সেভাবেই তাদের সঙ্গে আমার সেহরি খাবার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল।
দুঃখের সংসারে সেহরি বলতে তেমন কিছুই খাবার ছিল না। সন্ধ্যেবেলায় ভাত খাওয়ার পর অবশিষ্ট যা হাঁড়ির তলায় পড়ে থাকত, তাতেই পানি ঢেলে রাখতেন দাদি। ভোরবেলায় সেই আমানি ঢেলে দিতেন। জাম বাটিতে আমানি টুকু খেয়ে নিয়ে তলায় কয়েক গণ্ডা ভাত দাদা আমাকে দিতেন। আর আমিও তা চেটে চেটে খেতাম। তখন বুঝতে শিখিনি অভাবের সংসারে এভাবে প্রায় না খেয়েই রোজা পালন কতটা কঠিন ছিল।
মাগরিবের আজান হলে ইফতার করার সময়ও দাদা-দাদির মাঝখানে বসে টুপি মাথায় দিয়ে অপেক্ষা করতাম। তেমন কিছুই খাবার থাকত না যদিও। মাঝে মাঝে প্রতিবেশীদের দেওয়া ক্ষীর অথবা কয়েক ছটাক মুড়ি। কখনো কখনো ভেজা ছোলা অথবা তেলেভাজা জুটে যেত। এভাবেই একমাস কেটে গেলে ঈদের অপেক্ষা করতাম। কবরস্থানের পাশেই বিরাট ঈদগা ময়দান। সেখানে গ্রামের মানুষ সকলেই জমায়েত হতাম। তারপর নামাজ পড়ে দৌড় দিতাম ঘরে ঘরে সালাম করার জন্য। আর সালাম করতে গিয়েই জুটে যেত নানা রকম খাবার। ঈদ তাই খুব আনন্দের হয়ে উঠত। সবাইকেই মনে হতো বড়ো আপনজন।
আজ যখন ঈদ আসে তখনো গ্রামে ছুটে যাই। ছোটবেলার সেই সব মানুষগুলি অনেকেই গত হয়েছেন। তাদের কবরগুলিও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তবুও ঈদগার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মনে মনে তাদের ডাক দেই। দুচোখ অশ্রুতে ভরে যায়। ওদের জন্য মাগফেরাত কামনা করি। তারপর চারিপাশের বিস্তৃত মাঠের দিকে নির্নিমেষ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি। একদিন গরু-ছাগল চরিয়ে, গোবরের ঝুড়ি মাথায় এইসব মাঠে মাঠে কত ঘুরেছি। গ্রীষ্মের দুপুরে গাছতলায় বসে দু’দণ্ড জিরিয়ে নিয়েছি। ভাদ্র-আশ্বিনে ধান গাছে ফুল ধরলে জমির আল কাটিয়ে বেনা পেতে দিয়ে কত খুচরো মাছ ধরেছি। ঘাসে ঢাকা সবুজ আলগুলিতে বস্তা বস্তা ঘাস কেটেছি। সেই ঘাস বিক্রি করে কখনো কখনো কিনে এনেছি চাল অথবা চালের খুদ। কোনো কোনো দিন রান্না হয়েছে ভাত অথবা জাউ। না আমি একা নই, গ্রামের প্রায় অর্ধেক মানুষই এভাবেই জীবিকানির্বাহ করেছে। চাষাভুষো, লেট-কোনাই, দাস-মণ্ডল এবং মুসলমানরাও সকলেই এই দলে ছিলেন। একটা গরিব গ্রামের অসহায় মানুষ সবাই। ভাদ্র-আশ্বিনের কঠিন দিনগুলিতে সকলেই কপর্দকশূন্য। মাছ ধরে, কদম পেড়ে, ঘাস কেটে, জমিতে নিড়ানি দিয়ে জীবিকা নির্বাহের আয়োজন তাদের। তাদের সঙ্গে আমিও বড়ো হচ্ছি। পিতা-মাতার মুখে অন্নযোগানের ব্যবস্থা করছি।
ঈদের ময়দানে এসে অনেকক্ষণ ধরে ভাবছি। কেবলই মনে হচ্ছে, গ্রাম সত্যিই মানুষ তৈরি করে। বর্তমানে যে কলুষতা নিয়ে শহর সেজে উঠেছে তা একটা পাপেরই স্থান। অর্ধনগ্ন পোশাক পরিহিতা রমণীর ঢল। অধিকাংশই তারা বেআব্রু। কারও সঙ্গে কারোর সম্পর্ক নেই। যান্ত্রিক জীবনের দৌড় সেখানে। প্রতিটি মানুষ তার অপূর্ণতা অসহিষ্ণুতা এবং যৌনলালসা নিয়ে যেন ছুটে চলেছেন। শোষণ-পীড়ন, পরকীয়া, হত্যা, তোলা আদায় তাদের নিত্যদিনের কাজের অন্তর্ভুক্ত। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা তাদের হস্তগত। সুবিচারের কোনো ভরসা নেই। এক অন্ধকার যুগের প্রতারণাময় উচ্ছ্বাস। শরীরী প্রদর্শনে এবং পাশবিক আস্ফালনে সবাই মত্ত। কোথায় সেই আমার হারিয়ে যাওয়া গ্রাম?
যেখানে আমি মাথায় করে খাবার নিয়ে যেতাম। আমানির থালা উল্টে গড়িয়ে পড়ত আমার শরীরে। দাদা ও বাবা মিলে ধানের বীজ তুলতেন অথবা আখের পাতা ভাঙতেন। কখনো লাঙল বইতেন। খাবার খেতে খেতেই আমার মুখেও তুলে দিতেন। কখনো গ্রামের অন্যদেরও ডাকতেন খাবার ভাগ করে খাবার জন্য। তারপর একসঙ্গে বিড়িতে টান দিয়ে আবার কাজ শুরু করতেন।
গ্রীষ্মকালে অন্যকোনো কাজ না থাকলে, পুকুর মারতেন। পুকুরের তলায় যে ঘোলা জল টুকু থাকত তা নালা কেটে তুলে ফেলতেন। তারপর পাঁকাল মাছগুলি ধরতেন। আমরা খড়কুটো কুড়িয়ে সেসব মাছগুলো পুড়িয়ে খেতাম। মাছ বেশি হলে বিক্রিও করা হতো।
কষ্টেসৃষ্টে চলত দিন। গম কাটা, গম মাড়াই করাও ছিল মাঘ-ফাল্গুনের একটি কাজ। সেই সময়ে আখ কেটে তা পিড়াবার জন্য শালও বসানো হত। কড়াইয়ে নতুন গুড় টগবগ করে ফুটত। পুরো গ্রাম গুড়ের সুগন্ধে ম ম করত। পালা করে আখ পিড়া চলত। আমরা গরু হাঁকিয়ে দিতাম শালে। রাত জেগে পাহারাও দিতাম।
ধান কাটার সময় মাঠ ঘুরে ঘুরে আমরা কেউ কেউ ধান কুড়াতাম। ইঁদুর গর্তের ধানও মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে তুলে আনতাম। ঝুড়ি ভর্তি ঝরা ধান নিয়ে এসে বাড়িতে সেদ্ধ করা হতো। তারপর সেদ্ধ ধান রৌদ্রে শুকিয়ে ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে চাল বের করতাম। সামান্য যে জমিটুকু ছিল তার ধান কেটে বিক্রি করে বাবা ঋণ শোধ করতেন। কিছু টাকা বাঁচলে নতুন কাপড় চোপড় কেনা হতো। কিছুটা গম, তিসি, তিল, আলু-পেঁয়াজ, শাক-সবজিরও চাষ করা হতো। এসব আমরা নিজেরা খেতাম এবং প্রতিবেশীদেরও দিতাম।
গ্রামে ছিল খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির তৈরি একটি ছোট্ট মসজিদ। সেখানেই আমরা নামাজ পড়তে যেতাম। খেজুর পাতার তালাই পেতে আমরা নামাজে দাঁড়াতাম। প্রতি শুক্রবারে বেশি ভিড় হতো। কারও গাছের প্রথম ফল মসজিদে আসত। কারও নতুন ধানের ক্ষীর। সেদিন দুই হাত পেতে এসব শিরনি নিতাম।
গ্রামটি গরিব ছিল, কিন্তু মানুষগুলি কত সুখী ছিল আজ উপলব্ধি করতে পারছি। এখনো মনে হচ্ছে, শহরের গোলকধাঁধায় এবং ভ্রান্তির জৌলুসে মত্ত না হয়ে, বরং গ্রামেই সামান্য জমি-জিরেত নিয়ে চাষ করে উপায় করা অনেক ভালো ছিল। কেননা গ্রামে আমাদের চাহিদা সীমিত। শহরে বাস করে যে লোলুপতায় আমরা আক্রান্ত হয়ে চলেছি তাতে শুধু অতৃপ্তি এবং মানসিক কষ্টই বৃদ্ধি করে চলেছে। জীবনে নেমে এসেছে কৃত্রিমতা। অনৈতিক নানা ব্যভিচারে আমরা ডুবে যাচ্ছি। সেখানে ঈমান নেই। সুন্নাহ মোতাবেক জীবনযাপন নেই। আধুনিক প্রযুক্তির কাছে নিজেদের সমর্পণ করে দিচ্ছি। হৃদয় নামক যে মানবিক ঐশ্বর্যের ভাণ্ডার নিয়ে এক সময় আমরা বড় হয়েছি, সেই হৃদয় এখন পাথর হয়ে গেছে। বরকতের ফেরেশতারা আর আমাদের কাছে আসে না। রহমতের কোনো সুসংবাদ আমরা আর পাই না। তাই আমাদের মনের মধ্যে চূড়ান্ত অস্থিরতা এবং শূন্যতা বিরাজ করে। আত্মীয়স্বজনদের কথা ভুলে যাই। তাদের সম্পর্কেও ভাটা পড়ে। এইভাবে স্বার্থপর হতে হতে, নির্বাসিত হতে হতে আমরা কোনো বিপন্নতার দিকেই এগিয়ে চলেছি। আজ অনেক গ্রামই আর গ্রাম নেই। শহরের মিশ্র কালচারে তারও চরিত্র ভ্রষ্ট হয়েছে। অতীত ঐতিহ্য স্মরণ করে হৃদয় মথিত আহ্বান আর কারও মুখেই শোনা যায় না। ঈদগাহ ময়দানে দাঁড়িয়ে ভাবতে ভাবতে অনেকক্ষণ ধরেই স্তব্ধ হয়ে গেছি। দুই চোখ বেয়ে পানি ঝরে পড়েছে নিজের অজান্তেই।
🍂
ইদ নিয়ে স্মৃতিচারণ খুব ভালো লাগলো।