খালিদ সাইফ
বহুদিন ইনাত ভাইয়ের পেছনে পেছনে ঘোরার পর অবশেষে তিনি রাজি হলেন আমাকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাতে। এ শুধু গল্প নয়, তার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
কাহিনিটা কেন আমাকে আরও আগে শোনালেন না? এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন গল্প একেবারে শেষ করে!
একদিন বিকেলবেলা যখন পাশের মসজিদ থেকে মুসল্লিরা আসরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে গেছে, বিকেলের শরীর যখন কুসুমের মতো কোমল, তখন ইনাত ভাই ও আমি এসে বসি মকবুল আলির চায়ের দোকানে। ধূমায়িত রং-চা হাতে নিয়ে দু-এক চুমুক দিয়েই অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন তিনি। অভিব্যক্তিই বলে দেয়, বর্তমান সময়কে অগ্রাহ্য করে মুহূর্তেই চলে গেছেন অতীতে। এক নির্দিষ্ট দিন, ক্ষণ ও বছরে।
সে সময় তিনি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়েন। সময়মতো বিদ্যালয়ে গেলে যখন শিক্ষার্থীরা সপ্তম শ্রেণিতে ওঠে, তার বয়স সে সব ছেলের চেয়ে কয়েক বছর বেশিই হবে। গ্রামের বালকেরা তখন বেশি বয়সেই বিদ্যালয়ে যেত। বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন এমন কিশোর যাকে যৌবন জীবনের জলসাঘরে কটাক্ষ তুলে ডাকছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা তার কাছে তৃতীয়মাত্রিক সিনেমার মতো জীবন্ত। যেদিন গ্রামে ঘটনাটি ঘটে সেদিন তিনি মুলাডুলির হাট থেকে ফিরছিলেন। পতিরাজপুরের কাছাকাছি এসে দেখতে পেলেন পশ্চিমে যেদিকে তাদের টিয়ামন গ্রাম সেদিকের আকাশ ভরে গেছে ধোঁয়ায়। পাশের গ্রাম বিলকাদায় যখন ঢুকলেন তখনই শুনতে পেলেন ঈশ্বরদীর লোকোসেড থেকে দুজন লোকের সহায়তায় পাক-বাহিনী ঢুকেছে টিয়ামন গ্রামে। আগুন দিয়েছে বাড়িতে বাড়িতে। খবরটি শুনেই পদ্মা নদীর পাড় ভাঙার মতো হৃদয়ের কোথায় যেন ভাঙন ধরল। যেদিকেই তাকালেন কিশোর ইনাত দেখতে পেলেন গ্রামের সবুজ গাছপালা সব কালো হয়ে গেছে। অবাক হলেন! দৃষ্টি ফেরালেন সূর্যের দিকে, এমন অদ্ভুত সূর্য তিনি কখনও দেখেন নি! অমাবশ্যার অন্ধকার খেয়ে ফেলেছে সূর্যটাকে। তখনই একবার ইনাত ভাইয়ের মনে হলো পালিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাড়িতে অসুস্থ বুড়ি দাদির কথা ভেবে পালানোর চিন্তা বাতিল করতে হলো। বিকলাঙ্গের মতো প্রবেশ করলেন নিজ-গ্রামে।
বাতাস স্বয়ং সাংবাদিকের দায়িত্ব পালন করে গ্রামের পোড়া পােড়া গন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারপাশে। আগুন লাগানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই অগ্নি ও ধোঁয়াও সে দায়িত্ব পালন করেছে, কিন্তু হাটে থাকার জন্য তা চোখে পড়ে নি। ইনাতের বাড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল হলো। এ গ্রামে কোনো ইটের বাড়ি নেই, সবই খড় আর বাঁশের তৈরি। কোথাও কোথাও এখনও আগুন জ্বলছে। দ্রুত পা চালিয়ে এলেন নিজেদের বাড়ির জায়গায়। খোঁজ করলেন দাদির। শুধু মাটি থেকে উঁচু মেঝের জন্য বোঝা যাচ্ছে এখানে ঘর ছিল। মেঝের উপর চাল পোড়া ছাই-সহ ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্রের পোড়া ছাই। দাদি ছিলেন পক্ষাঘাতের রোগী, নড়তে পারতেন না একা বিছানা থেকে । যে বিছানায় শুয়ে থাকতেন সেদিকে তাকালেন: ছাইয়ের স্তূপ। চকির জায়গার ছাই উঁচু হয়ে আছে, ধুয়া উড়ছে এখনও । অদূরে পড়ে থাকা একটি পোড়া বাতা নিয়ে তিনি দুরুদুরু বুকে গভীর আশঙ্কার সাথে স্তূপটার কাছে এগুলেন। বাতার সাহায্যে কিছুটা ছাই সরাতেই যে দৃশ্য দেখলেন তাতে হৃদয়ের আলোকবর্ষসম গভীরতা থেকে বেরিয়ে এলো একটিই শব্দ, আল … ল্লাহ …।
অস্তিত্ব উপড়ানো এই শব্দের ওজন আশেপাশের ইথার বহন করতে পারল না। অনন্ত শূন্যের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করে ওই শব্দ ছড়িয়ে পড়া শুরু করল এমন অকল্পনীয় দূরত্বে যা কোনো মানুষ-প্রাণী বা অণুজীব কখনও কল্পনাও করে নি। এই মহাবিশ্বের শতশত কোটি প্রাকৃতিক মহাফেজখানায় সেই শব্দ হৃদয়বিদারক উচ্চারণের যাতনা ও কষ্টসহ সংরক্ষিত হতে থাকল। প্রতি মুহূর্তে আর প্রতিদিন এমন ধরনের গণহত্যা ও ধর্ষণের আর্তনাদে মহাশূন্যের মহাফেজখানাগুলো ভরে উঠতে থাকল। মহাবিশ্বের যেখানেই শব্দটি পৌঁছালো সেখানেই তৈরি হলো মহাশোকের পরিবেশ। মজলুমের পক্ষ নিয়ে জালিমের নিপাত চেয়ে মহাশূন্যের ধর্মসভাগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা হলাে। সেই প্রার্থনা যে কবুল হয় সেটা নভেম্বর মাসে মুক্তিবাহিনী সাফল্য থেকেই বোঝা যায়।
দৃশ্যটি দেখে তীব্র শোকে যখন ধুকে ধুকে কান্না বের হচ্ছে কিশোর ইনাতের অস্তিত্ব ছিঁড়ে, তখন কান্নারও সময় দেওয়া হলো না তাকে। আছের প্রামাণিকের বছর বাধা কাজের লোক ফজলু এসে খবর দিল পাক বাহিনী এখনই তাকে ডাকছে।
হঠাৎ অস্তিত্বে শোকের সাথে যুক্ত হলো আতঙ্ক। পাক আর্মি কোথায় অবস্থান করছে সেটা জানা ছিল না। ফজলুর কাছ থেকে সেটা জেনে নিয়ে দুরুদুরু বুকে কিশোর ইনাত বাবুর ভিটের দিকে অগ্রসর হলেন। সেখানে পৌঁছতেই লোকোসেডের দুই বিহারীর মধ্যে একজন তাকে কাছে ডাকল। তিনি এগুতে থাকলেন সেদিকে। পাশের আম গাছের নিচে আটজন পাকসেনা কাকতাড়ুয়ার মতো অস্ত্র তাক করে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পেছনেই আট-দশটির মতো কাঠের চেয়ার রাখা কিন্তু চেয়ারগুলো সব ফাঁকাই পড়ে আছে। এ দৃশ্য অবশ্য তার ভেতরে কোনো প্রতিক্রিয়াই তৈরি করল না। এই শঙ্কা-ভয়ের মাঝেও কিশোরের ভেতরে ক্ষোভ সৃষ্টি করল গ্রামের মানুষের অপমান। বিদ্রোহ করতে চাইল মন। টিয়ামন গ্রামে আর্মি ঢোকার সময় যত শক্ত সামর্থ্যবান পুরুষ মানুষ গ্রামে ছিল সকলকে এখানে জড়ো করা হয়েছে। সবাই সোজা উত্তর-দক্ষিণ তিরের মতো উপর হয়ে শুয়ে আছে। তার মতো ছোট ছেলেরও এটা বুঝতে বাকি রইল না যে, এটা মানুষ ও মানবিকতার প্রতি চরম অপমান। নিজেই নিজে সতর্ক হলেন তিনি। ভাগ্যিস একজন মানুষের চিন্তাকে অন্য মানুষ পড়তে পারে না, পারলে এই চিন্তার জন্য এখনই তাকে ব্রাশফায়ার করা হত।
ইনাত বিহারীর সামনে দাঁড়াতেই সে পাশের আর্মির সাথে কি যেন কথা বলে নিল কানে কানে। এই আর্মি লোকটির প্যান্ট মাজা থেকে খসে পড়ার অবস্থা। পরে আর্মির সাথে ইনাতের যে কথাবার্তা হয় তা এ রকম:
খোকা তুমি কোনো মুক্তিকে চেন?
আমি গ্রামেই থাকি। মুক্তি নামে কাউকে চিনি না।
বলো পাকিস্তান জিন্দাবাদ।
শুধু ইনাতই নয়, আশেপাশে যারা ছিল সবাই উচ্চস্বরে বলে উঠল, পাকিস্তান জিন্দাবাদ। কিন্তু পাকিস্তান জিন্দাবাদ উচ্চারণে স্বরের উচ্চতা পর্যাপ্ত থাকলেও সে আওয়াজে ছিল না প্রাণের স্পন্দন। ফলে সে ধ্বনি সামান্য কিছুদূর ছড়িয়ে পড়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে গেল মাটিতে। সে ধ্বনির নাক থেকে গলগল করে বের হতে শুরু করল রক্ত। পড়ার সময় মানুষ ব্যতিত পশু-পাখি ও গাছপালা যে শব্দ শুনল তাতে ধারণা হলো বুকের খাঁচার হাড় সম্ভবত আর অবশিষ্ট নেই।
প্যান্ট খুলে পড়া অবস্থায় থাকা সৈন্যটি জিজ্ঞেস করল, খোকা তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
ইনাত অনাগ্রহের সাথে ক্লাসের নাম ও বিদ্যালয়ের নাম বলল।
আর্মি লোকটি আবার বিহারীর সাথে কি কথা বলল কানে কানে। তাদের কথা শেষ হলে বিহারী ইনাতের দিকে ফিরল। এই মুহূর্তটাকে ইনাতের রোজহাশরের মতো দীর্ঘ মনে হলো। একটা সেকেন্ড যেন এক মিনিটের সমান, এক মিনিট যেন এক ঘণ্টার চেয়ে দীর্ঘ। কিংবা সময় এখানে এসে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে; সময় যেন এক ভাস্কর্য, শিল্পের সহজতায় চির বিভাময় কিন্তু অসহনীয়। কায়মনোবাক্যে ইনাত প্রার্থনা করছিলেন এই ঘটনার দ্রুত যবনিকাপাত ঘটুক।
বিহারী ইনাতকে বলল, এই যে যাদের উপুড় করে শুইয়ে রাখা হয়েছে তাদের সবার পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে এই লাঠিটা দিয়ে প্রত্যেককে পাছার উপর দুটো করে বাড়ি মারতে হবে। এমনভাবে মারতে হবে যেন পাছা লাল হয়ে যায়।
বিহারীর কথা শোনার সাথে সাথে ইনাতের মনে হলো, কালু মণ্ডলের বাড়ির পায়খানার গুয়ের টাংকির মধ্যে তিনি পড়ে যাচ্ছেন। সারা গা গুলিয়ে উঠল, কাঁটা দিল পুরো শরীরের পশম; আর ঠিক তখনই অস্তিত্ব কাঁপিয়ে ওয়্যাক করে মুখ ভর্তি বমি করে দিলেন তিনি। বমি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য দুজন সৈন্য ও বিহারীটা লাফ দিয়ে দূরে সরে গেল। সে সময় আতঙ্কে একজন সৈন্য মেশিনগানটা আকাশের দিকে তাক করে ফাঁকা ফায়ার করল। এই ঘটনায় দুই বিহারীর আরেকজন যে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল সে এগিয়ে এল কাছে।
প্রথম বিহারী ইনাতকে আবার বলল, তোর কাজ শুরু কর। না হলে তোকে আবার ফৌজি স্যাররা পিটানো শুরু করবেন।
বিহারী তার দিকে একটি লাঠি বাড়িয়ে ধরল। ইনাত কাঁপা কাঁপা হতে লাঠিটি নিলেন।
আর্মিদের মধ্যে একজন শুয়োরের মতো ঘোৎ ঘোৎ করে আদেশ করল, শুরু …… করো ……।
অমনি ইনাত কাছ থেকে নিকটে যে ব্যক্তি শুয়েছিল তার পেছনে দাঁড়িয়ে বেশ জোরে জোরে বাড়ি দিলেন। ব্যথায় অদ্ভুত এক শব্দ করে উঠল লোকটি। এরপরে দ্বিতীয়জন, এরপরে তৃতীয়জন, চতুর্থজন …। সেদিন মোট পঁয়তাল্লিশজন মানুষকে লাঠি দিয়ে মেরেছিলেন তিনি। শেষের দিকে গিয়ে আর জোরে বাড়ি মারার মতো শক্তি অবশিষ্ট ছিল না।
এরপর সেদিনের মতো ছুটি পেলেন ইনাত। দ্রুত অকুস্থান ত্যাগ করলেন।
গল্প এ পর্যন্ত বলা হলে আমি প্রশ্ন করলাম, গ্রামে কি সেদিন কাউকে গুলি-টুলি করেছিল পাক সৈন্যরা?
ইনাত ভাই বললেন, আসলে গণ্ডগোল শুরু হতেই গ্রামের যুবক সব সতর্ক হয়া যায়। সবাই লুকায়ে-চুরিয়েই দিন কাটাতো। আর্মি আসার সংবাদ পায়াই অনেকেই গ্রাম থ্যাকি প্যাল্যায়ে যায়। গ্রামে তখন ছিলি মধ্যবয়স্ক মানুষ ও বৃদ্দরা। হানাদারেরা শুয়ায়ে রাখিচিল মধ্যবয়স্ক আর বৃ্দ্দদেরই। সেদিন পুড়ি মারা যায় কেবল আমার দাদিই। গ্রামের সব বাড়ি পুড়ায়ে মাটির সাথে মিশায়ে দেওয়া হয়।
এই বর্ণনা শুনে ইনাত ভাইয়ের উপর আমার রাগ হয়, অভিযোগ করি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে আপনি গণ্ডগোল কন?
আরে বাবারে এত রাগ করিস ক্যা? তোদের মতো আমরা অতো শিক্ষিত নাকি? কুন শব্দ কুন জায়গায় বসপি তার কি আমরা অতকিছু জানি। গ্রামের কৃষক তো গণ্ডগোলই কয়। শুনতে শুনতে আমরাও কয়া ফেলি। তুরা শিক্ষিত মানুষ ঠিক কোরি লিবু।
তার সরল স্বীকারোক্তিতে আমি আর কিছু বলি না।
বলতে থাকেন, সেদিনের ঘটনার পর তিনি আর বড়দের মুখোমুখী হতেন না। তাদের দেখলেই সরে পড়তেন। এই লুকোচুরির অবস্থা দেখে একদিন হঠাৎ তাকে ধরে ফেলে আলিসৈয়দের বাপ।
হাত ধরে কয়, বুঝতে পারিছি, ওইদিনের ঘটনার পর তুই লজ্জা পাইছিস। কিনতুক লজ্জার কি আছে! সবাক যে তুই মারিচিলু সেডি তো আর ইচ্চা কোরি ল্যা। তোর ম্যার খ্যায়্যা বরং আমারে জীবন বাঁচিছে। আমারে এক গ্রাম পরে সুন্দরবাড়িতে লাইন ধোরি দাঁড় করায়ে ব্রাশফায়ার করি মানুষ মারিছে। ওই গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের গণকবরও আছে। তোর দুই বাড়ি খ্যায়্যা আমারে জীবন তো বাঁচিছে? তোর উছিলায় আল্লাহ আমারে জীবনডা বাঁচাইছে। আর তুই লজ্জা প্যাস?
ইনাত ভাই বলতে থাকেন, ভ্যাবি দেখনু কথাটা একেবারে সত্যি। এরপর থ্যাকি সবার সাথে আবার স্বাভাবিক হল্যাম।
আমি প্রশ্ন করি, কিন্তু এই গল্পটি আপনি এতদিন বলতে চান নি কেন?
তিনি উত্তর দেন, লজ্জায় রে ভাই লজ্জায়। বাঙালির অসম্মানের কতা আমি মানষের সামনে ক্যামনে কই!
কিন্তু আমি তাকে গর্বে সিনা ফুলিয়ে বললাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আমাদের বিশাল অর্জন। বড় কিছু অর্জন করতে গেলে ছোটখাটো কিছু কোরবানিও দিতে হয়। আপনাদের ওই অপমানগুলোই শক্তিতে পরিণত হয়ে পরাজিত করেছে হানাদারদের।।
২৩ আশ্বিন ১৮২৮
০৮ অক্টোবর ২০২১
…………………………………………………………………………
খালিদ সাইফ
জন্ম ১৪ই চৈত্র ১৩৮১ বঙ্গাব্দ। ঈশ্বরদী।
প্রকাশিত ছোটগল্পের বই: সুর ও অসুরের গল্প (২০১৭)। আগামী প্রকাশনী। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা পাঁচ। ইমেইল: khalidsaif04011979@gmail.com