১. রোজা ও আমার মা
রোজা মানে শৈশবভরতি উৎসব
আতরের মতো গায়ে জড়ানো
শিশুদেহে কই মাছের প্রাণ
চোখে-মুখে ইফতার ইফতার সুবাস
মায়ের চোখে ঘুম নেই
রাতদিন সুরে সুরে
কোরআন তেলওয়াত..
আমার মায়ের মুখে সুরা ফাতিহার ঘ্রাণ।
২. বটগাছ ও হিজরত
সবাই মাকে বটগাছ বলেন
কিন্তু কেউ এটা বলে না কেন?
একটা বটের নিচে আরেকটা বট জন্মে না!
প্রত্যেক সন্তান কেন বোঝে না
নিজেকে বটবৃক্ষ করে তুলতে হলে
সন্তানকে হিজরত করতে হয়।
৩. মহুয়া অমৃত গাছ
আমি আর মহুয়া পরস্পরের গাছ হয়ে গিয়েছিলাম
আমরা দিনের পর দিন
রাতঅব্দি নদীতীরে
শুয়ে থাকতাম
অবিকল জলের ওপর পড়ে থাকা পাতা
গোসলে নেমে স্রোতে হারিয়ে যেতাম
একে অপরকে খড়কুটোর মতো আকড়ে
আমরা শিকড়ে ফিরে আসতাম
কোথায় পড়তো টান?
মহুয়া যেদিন গাছ হয়ে গেল
আর আমি পাখি হয়ে গেলাম; জান।
৪. মহুয়া অমৃত গাছ-২
মহুয়া একটি খেজুর গাছ
তার গায়ে অভিজ্ঞতার ক্ষত
মুখে সুস্বাদু কান্নার হাসি
যেদিন গাছটার চূড়ায় উঠেছি
কাটার আদরে আদরে
আরাফার আদম হয়ে গেছি!
৫. কাঠবাদাম গাছ
আমি একটা কাঠবাদাম গাছ
কেউ আমাকে রোপন করেনি
বাদুরের মুখের থুথু নিয়ে
আমি প্রাণ পেয়ে গেছি
ইয়া মাবুদ
এভাবে প্রাণীর মুখে মুখে ঘোরা প্রাণ আমি
রাসূলের পাগড়ির থেকে এনেছি
আমার চ্যাপ্টা গাঢ় সবুজ রঙ
আমার গায়ে এসে বসে
লালটুকটুকে ঠোঁটের টিয়া পাখি
আমাকে তারা অমর হতে কয়!
আমার পাতার মতো অসংখ্য হাত
আমি এই হাত দিয়ে প্রার্থনা করি
প্রেমিকাকে ছুঁই
আমাকে পুলিশ তাড়া করে
কিন্তু আমি তো কারাগারে গান গাইতে পারি।
৬. নিজের ভেতরে সফর করো
সফর করো নিজের ভেতর
যেন একটা গাছ হয়ে
দাঁড়িয়ে যেতে পারি।
পাখিরা ঘুরতে আসে
গানের আহাজারি।
৭. দেবদারু
কোথায় শিয়েছিলাম আমি
সোজা রাখা নিজের কোমর
মাথা উঁচু দেখলেই বুঝি
কাউকেই করো নাই ডর
পাঠশালা কি শেখায় বুঝতে গিয়ে
যা জানি ভুলেছি সামনে এগিয়ে!
পলিয়ার এর কবিতা ভালো পাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
ভালো লাগলো কবিতাগুলো।
গভীরতা আছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনি আমার প্রিয় কবি