কোথায় পালাবে তুমি?
……..
আমার মুখ বন্ধ করেছো,
আমার হাত কথা বলবে,
আমার হাত ভেঙেছো,
আমার দেহ কথা বলবে,
দেহ নিষ্প্রাণ করেছো!
আমার লাশ কথা বলবে,
আমার লাশও গুম করেছো!
আমার আত্মা কথা বলবে,
আর তো কিছু করতে পারবে না!
আমার আত্মা তোমাকে
শেষদিবস পর্যন্ত তাড়া করবে!
কারণ আমি নাবালেগ,
কোথায় পালাবে তুমি?
উৎকর্ষভূমির দোলাচল
……….
সৌন্দর্যের উৎকর্ষভূমি খনন করে পাচ্ছি শুধু বীভৎসতা!
যেখানে রোপণ হয়েছিল নিষ্পাপ প্রাণের বীজ,
সেখানে নিষ্কণ্টক বৃক্ষরাজি
কলুষিত ডালপালার ভারে–
নুয়ে পড়ে অসীতিপর বৃদ্ধের মতো!
অগভীর অন্ধকারে
শেকড়ের কাছে যদিও বিশীর্ণলতার মতো
লুকিয়ে আছে সবুজ সরলতা,
তবুও, লোভাতুর দিনগুলোর সংক্রামক ব্যাধিতে
ছেয়ে আছে বন্ধুর সমতল!
ভূমির উৎকর্ষতায় গাঢ় ধুলোর আস্তরণের নিচে–
চাপা পড়ে থাকে উদ্বেলিত উৎসাহের মৃত্যু!
সরলতার সমাধির ওপর সংক্রামক অসাধুতা,
আর চাতুরীর পাঁচ আঙুলের অশুভ রেখাচিত্র!
জন্মাবধি বায়ান্ন শীত বায়ান্ন বর্ষা চলে গেছে,
বসন্তগুলো বিস্তীর্ণ ভূমির হায়েনার হাসিতে–
নীল বেদনার উৎসবের অনুষঙ্গে মূলীভূত!
উৎকর্ষভূমির দোলাচলে অস্তিত্বের শেকড় আজ ক্লান্ত,
ভূমির ওপর থুবড়ে পড়ে থাকে সম্ভাবনার কৃষকায় বৃক্ষেরা!
একতা-আগুন
……….
পিপিলিকা দলে দলে উঠে এসো সব
পড়ে আছে শকুনের জলে ধোয়া শব,
পাতা ঠেলে উঠে এসো ঢিঁবির উপরে
শুঁয়ো পোকা বাসা বাঁধে শকুন-উদরে।
একদা শকুন ছিল হিংস্র আকাশের
চোখ তার খুঁজে নিতো অবলা প্রাণের!
জিঘাংসার রোষানলে আহত প্রাণীর
শিকারী আঘাত হানা সশস্ত্র রানীর!
পিপিলিকা উঠে এসো শকুন বধিতে
অচকিতে চলে এসো দুষণ রোধিতে,
শকুন জানে না কভু একতার গুন
এখনি সময় তারে ছুঁড়ি হারপুন।
পিপিলিকা দলে বলে চলে বেসামাল
একতা-আগুন জাগে সোনালী সকাল।