অনুবাদ : আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
১
“জো আজ সাহিবে মসনদ হ্যায় ও কাল নেহি হোঙ্গে
কিরায়াদার হ্যায়, জাতি মাকান থোড়ি হ্যায়।”
-রাহাত ইন্দোরি
(আজ যিনি সিংহাসনে আসীন, তিনি কাল থাকবেন না,
তিনি শুধু ভাড়াটে, এটা তার বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়।)
২
“তুফানো সে আঁখ মিলায়ো সৈলাবো পর বার কর,
মাল্লাহো কা চক্কর ছোড়ো তৈর কে দরিয়া পার কারো।”
— রাহাত ইন্দোরি
(ঝড়ের মোকাবিলা করতে পানির প্রবল প্রবাহে ঝাপিয়ে পড়ো,
মাঝির জন্য অপেক্ষা করো না, সাঁতরে নদী অতিক্রম করো।
৩
“বহে জমিন পে জো মেরা লহু তো গম মাত কর,
ইসি জমিন সে মহকতে গুলাব পয়দা কর,
তু ইনকিলাব কি আ’মাদ কা ইন্তিজার না কর,
জো হো সাকে তো আভি ইনকিলাব পয়দা কর।”
— আসরারুল হক মেজাজ
(মাটিতে গড়িয়ে পড়া আমার রক্তের কথা ভেবো না,
এই মাটি থেকে ফোটাও তোমরা সুগন্ধি ভরা গোলাপ,
কখন বিদ্রোহের আগমণ হবে, সেই প্রতীক্ষা করো না,
যাই ঘটে যাক না কেন, তুমি এখনই বিদ্রোহ সৃষ্টি করো।)
৪
“হাম আমন চাহতে হ্যায় মাগার জুলম কে খিলাফ,
গর জং লাজমি হ্যায় তো ফির জং হি সহি।”
— সাহির লুধিয়ানভি
(আমরা অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে শান্তি চাই,
সংগ্রাম করতে হলে আমরা সংগ্রাম করতে চাই।)
৫
“জুলম ফির জুলম হ্যায় বাড়তা হ্যায় তো মিট জাতা হ্যায়,
খুন ফির খুন হ্যায় টপকেগা তো জম জায়েগা।
— সাহির লুধিয়ানভি
(অত্যাচার যদি বাড়তে থাকে, অত্যাচারীই নির্মূল হয়ে যায়,
রক্ত তো রক্তই, ঝরে পড়লে তা জমাট বেঁধে যাবে।)
৬
“ইয়ে কেহ রাহি হ্যায় ইশারোঁ মেঁ গরদিশ-এ-গরদুঁ,
কি জলদ হাম কোঈ সখত ইনকিলাব দেখেঙ্গে।
— আহমাদ ফাফুন্দভি
(আকাশের আলোড়ন বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে,
শীঘ্রই আমরা কোনো প্রচণ্ড বিদ্রোহ দেখবো।)
৭
“এ্যয় ইনকিলাব-এ-নউ তেরি রাফতার দেখ কর,
খুদ হাম ভি সোচতে হ্যায় কি আব তক কাহা রাহে।”
— শওকত পরদেসি
(হে নতুন বিপ্লব, তোমার গতি দেখে মনে হচ্ছে.
এতদিন পর্যন্ত আমি কোথায় ছিলাম?)
৮
“মেরে সিনে মে নেহি তো তেরে সিনে মে সহি,
হো কাহি ভি আগ লেকিন আগ জ্বলনি চাহিয়ে।”
-দুষন্ত কুমার
(আগুন আমার হৃদয়ে জ্বলুক আর তোমার হৃদয়ে জ্বলুক,
যে হৃদয়েই জ্বলুক না কেন, আগুন জ্বলতে হবে।)
৯
“ইতনি ওয়াফাদারী না কর কিসি সে মদহোশ হোকে গালিব,
ইয়েহি লোগ এক গলতি পর হাজারো ওয়াফায়ি ভুল জাতে হ্যায়।”
— মির্জা গালিব
(গালিব, এতটা তালজ্ঞান হারিয়ে কারও তাবেদারি করো না,
এরা এক ভুলের কারণে তোমার আগের তাবেদারি ভুলে যায়।