আমান আবদুহু
আজ সকালে খবর পেলাম একজন দেখা করতে আসছে গোত্রপ্রধানের সাথে। দরজা খুলে টাকলা দেখে চিনে ফেললাম। এই লোক ব্যারিস্টার ছায়েদুল হক সুমন। কিন্তু সে বললো, তার নাম মোশাররফ হোসেন বাবু। কোন একটা দরকারে দেখা করতে চায়। গোত্রপধান ঘুমাচ্ছেন, সুতরাং তারে বসতে বললাম। একটু টেনশনে পড়ে গেলাম কারণ দেখা করতে পারলেই সে বেঁচে যাবে। চীফ ঘুম থেকে উঠার আগেই যা করার করে ফেলতে হবে।
ইচ্ছা ছিলো উটের পিছনে বেঁধে কয়েক মাইল দৌড়ানোর। কিন্তু এতে সময় লাগবে। শব্দ হবে, বদু চীফ ঘুম থেকে উঠে যাবে। সুতরাং বন্ধুবান্ধবের সাথে তাড়াতাড়ি পরামর্শ করে পাশের যক্কুম গাছের ডালে মোটা দড়ি ফিট করলাম। নট ঠিক করলাম। এর মধ্যে আবার খবর পেলাম লোকটা আমার ল্যাপটপ ইউজ করতেছে। তাড়াতাড়ি গেলাম, আমাকে দেখে সে ল্যাপটপ বন্ধ করে ফেললো। বললাম, ছায়েদুল ভাই, জিজ্ঞাসা না করে কি কারো ল্যাপটপ ব্যবহার করাটা ঠিক কাজ? তার মুখটা শুকায়ে গেলো। সে বুঝতে পারছে এই মরুভূমির মাঝে স্টারলিংক ইন্টারনেট আছে। তাকে চিনে ফেলেছি।
সে বললো, একটু হিসু করতে হবে, বাথরুম কোথায়? বললাম তাঁবু থেকে বের হয়ে এক পাশে কাজ সারেন। সে বের হলো। তখনই খেয়াল হলো সে মনে হয় পালাবে। দৌড়ায়ে বের হয়ে দেখি সে একটা উট নিয়ে প্রাণপনে রওনা হইছে। দ্রুত আরেকটা উটে উঠে ধাওয়া দিলাম। এমতাবস্থায় উটের দৌড়ানির ঝাকুনি এবং ধুলার চোটে ঘুম ভেঙে গেলো। আফসোস, প্রসিকিউটর সুমনটা সম্ভবত আজকে বেঁচে গেলো।
পরে হাতমুখ ধোয়ার সময় চিন্তা করলাম, শাওন মাহমুদ, স্বকৃত নোমানদের আশংকাটাই বাস্তব হয়ে গেলো। সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা এই দেশটাকে আমরা ধু ধু মরুভূমি বানিয়ে ফেললাম।