Site icon বাংলা রিভিউ

লিখে না রাখলে বেহাত হয়ে যায় ইতিহাস


তাজ ইসলাম

আজ যা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, আগামীকাল তা ইতিহাস।সময় অতীত হলেই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ইতিহাসের অংশ হয়ে যায় । ইতিহাস লিখে রাখতে হয়। লিখে না রাখলে কালক্রমে হারিয়ে যায় কালের গর্ভে, বেহাত হয়ে যায়। আবার বিকৃতিও ঘটে। এজন্য ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখা জরুরি। লিখে প্রকাশ ও প্রচারও করতে হয়। যতবেশি প্রচার হবে, ঘটনা ইতিহাসের পাতায় ততবেশি গুরুত্ববহ হবে। বিজয়ীরা ইতিহাস লিখে। পরাজিতরা পালিয়ে বেড়ায়। অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখার সংগ্রাম করে, পরাজিতরা গুজব ও বিকৃতি মনস্ক হয়। বিজয়ী যারা, নায়ক থাকে তারা। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অতীব গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিনে অবসান ঘটেছে ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট,খুনি, স্বৈরাচার হাসিনার। হাসিনার পতন আন্দোলনের শুরুর নাম ‘কোটা আন্দোলন’।কোটা আন্দোলনই নাম ধারণ করে ‘ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এ আন্দোলনে হাসিনার বিরুদ্ধে মাঠে নামে সকল স্তরের ছাত্র জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য গোষ্ঠীর মাঝে আলেম সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয় । বিশেষত কওমী ছাত্র, শিক্ষক ও কওমী ঘরানার সকলের অংশগ্রহণ ও তাদের কর্ম তৎপরতা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আলেমগণের উপস্থিতি এদেশের রাজনীতিতে শত বছরের ঐতিহ্যের অংশ। তবু তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে বিতর্কিত করতে চেষ্টা করে একটি পক্ষ। আলেমদের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও চেষ্টা করে বিশেষ মহল। ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করে রাখা, কর্ম ও কর্মীকে ছাপার হরফে গ্রন্থিত করে রাখা সময়ের দাবী।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময় কওমিয়ানরা এই কাজে সচেতনতার স্বাক্ষর রাখতে সচেষ্ট। আগস্ট পরবর্তী শিল্প সাহিত্যেও এর প্রভাব পড়ছে। কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ লিখছেন লেখকরা। সম্পাদনা করছেন সাহিত্যের বিভিন্ন কাগজ। এর কোনটি ধারাবাহিক প্রকাশিত। ধারা বজায় রেখে আগস্টের পর প্রকাশ হয়েছে ২৪ এর আন্দোলন সংখ্যা হিসেবে। কওমী আলেম,তলাবা সম্পাদিত বেশকিছু লিটলম্যাগ সংগ্রহ করেছি আমরা।

হালচাল,সাহিত্য সৌরভ, সরোবর, তারাফুল, মিহির, মিনহাল, ইবারাত, স্বপ্নকানন, সংযুক্তি, লেখকপত্র– প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

১.
‘লেখকপত্র’ ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা
……..

‘লেখকপত্র’ আমাদের হাতে এসেছে ‘ জুলাই- সেপ্টেম্বর ‘সংখ্যা। ত্রৈমাসিক একটি পত্রিকা।এই সংখ্যাটি আন্দোলনের পূর্বের পরিকল্পিত সংখ্যা।পরের সংখ্যায় হয়তো থাকবে আন্দোলন নির্ভর লেখা।লেখকপত্রের সম্পাদক একজন আলেম, সাংবাদিক, তার নাম জহির উদ্দীন বাবর। ৬ষ্ঠ বর্ষ ২১তম সংখ্যা। কলেবর ছোট হলেও এদের কর্ম পরিধি বিস্তৃত। বলা যায় এই লিটলম্যাগটি কওমী আলেম সাহিত্যিকদের প্লাটফর্মে দাঁড় করানোর গুরু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। লেখক তৈরীর নানা কর্মশালাসহ লেখক কল্যাণমূলক বহু কাজ আঞ্জাম দেয় তারা।

লেখকপত্রের এই সংখ্যাটিতে একাধিক লেখকের জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয়েছে পাঠকের সামনে। মাওলানা রুহুল আমীন খান উজানীর মুখোমুখি হয়েছেন শামসুদ্দীন সাদী। সাক্ষাতকারের কায়দায় হাজির করেছেন এই বিজ্ঞ আলেম লেখককে। ‘দেশের অন্যতম প্রবীণ ও প্রাজ্ঞ আলেম তিনি। মুহতামিম,শায়খুল হাদিস,ওয়ায়েজ– নানা পরিচয়ের সঙ্গে লেখক অনুবাদক ও কবি পরিচয়েও তিনি পরিচিত।’ সাক্ষাতকারে কথা বলেছেন নানা বিষয়ে। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রা. আরেক প্রসিদ্ধ আলেম- লেখক। ‘মাসিক মদিনা’র সম্পাদক। পিতাকে নিয়ে কথা বলেছেন তার সুযোগ্যপুত্র আহমদ বদরুদ্দীন খান। পিতার মতো তিনি নিজেও একজন সিরাত গবেষক। বাংলাদেশে প্রথম মাসিক মদীনা সিরাত সংখ্যা বের করেন তার পিতা মহিউদ্দীন খান। এক প্রশ্নের জবাবে আহমদ বদরুদ্দীন খান বলেন, ‘মাসিক মদীনার প্রথম তিনটি সংখ্যা বের করতেই তিনি যখন হিমশিম খাচ্ছিলেন,সেই অবস্থায় মাসিক মদীনা প্রকাশের প্রথম বছরে রবিউল আউয়াল মাসে ২০০ পৃষ্ঠার সিরাত সংখ্যা বের করেছিল মাসিক মদীনা।’ লেখক জীবন, জাতীয় জীবনের অনেক অজানা বিষয় জানা যায় এসব আলাপচারিতায়। এই আলাপচারিতা চালিয়ে নিয়েছেন আবু নাবিল। মরহুম কবি আসাদ বিন হাফিজকে নিয়ে আলোকপাত করেছেন মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ।
‘ ছাত্রজীবন থেকেই আসাদ বিন হাফিজ ছড়া- কবিতা-গান রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। সাহিত্য,শিল্প প্রকাশনা ও সাংবাদিকতায় তিনি নিজের সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন মোটাদাগে।’ উপমহাদেশে দেওবন্দ ইসলামী শিক্ষার অন্যতম ধারা। এ ধারার আলেমদের হাতে রচিত হয়েছে অসংখ্য গ্রন্থ। মুনীরুল ইসলাম দেওবন্দ সিলসিলার আলেমদের হাতে রচিত সিরাত গ্রন্থাবলি নিয়ে গবেষণালব্ধ একটি লেখা উপস্থাপন করেছেন লেখকপত্রের এ সংখ্যায় ‘উলামায়ে দেওবন্দ রচিত সিরাত গ্রন্থাবলি’ শিরোনামে।
‘আবে হায়াত ‘ দারুল উলুম দেওবন্দের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আলেম মাওলানা কাসেম নানুতবী রহ- এর রচিত বিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ। মুনীরুল ইসলাম এই গ্রন্থ বয়ান দিয়েই শুরু করেছেন উলামায়ে দেওবন্দ রচিত সিরাত গ্রন্থ পরিচিতি। সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া,সিরাতে মোস্তফা,তারিখে মিল্লাত,হামারে রাসুলসহ অসংখ্য সিরাত গ্রন্থ পরিচিতি বয়ান করেছেন অতি সংক্ষেপে। ‘ ঋণ করে প্রকাশনা ব্যবসায় এসে অনেককে ফকির হতে দেখেছি।’ এমন দুঃখময় বাস্তব বহু কথা বিবৃত আছে প্রকাশকের বয়ানে। তার মুখোমুখি হয়েছেন কাজী সিকান্দার। সিকান্দার সাক্ষাতকার নিয়েছেন মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফার।
লেখক মাত্রই পুরনো বইয়ের ক্রেতা। পুরনো বইয়ের দোকানে ঢু মেরেছেন ইয়াসিন আহসান। ‘লেখকপত্র’ লেখা ও লেখকের কথা বলে। কথা বলেছেন লেখকপত্রের সাথে কবি শাওন আসগর। শাওন আসগর বলেছেন তার লেখক হয়ে ওঠার গল্প। বৈচিত্রময় বিষয়ে ভরপুর লেখকপত্রের এই সংখ্যাটি। তারুণ্য ভাবনা প্রকাশ করেছেন আবদুল্লাহ আল মাসউদ,প্রথম বই প্রকাশের গল্প বলেছেন,এম এ আলীম। জিয়াউল আশরাফ,নুরুদ্দীন তাসলিম,এ আই মুহসিন,এসংখ্যার লেখক।ছড়া কবিতায় আছেন, জগলুল হায়দার,নুরুদ্দীন আব্দুল্লাহ,শেখ আবদুর রহমান,আমিনুল ইসলাম সফর,সাইফুল্লাহ ইবনে ইব্রাহিম প্রমুখ।

‘লেখকপত্র’ হাঁটতে হাঁটতে অতিক্রমের পথে তার ৬ষ্ঠ বর্ষ।এই সংখ্যা ২১তম। ‘লেখকপত্র’ তিন মাস অন্তর বাজারে আসে। সম্পাদক জহির উদ্দীন বাবর। ঠিকানা: ৮৫ ( ৬ ষ্ঠ তলা) নয়াপল্টন( মসজিদ গলি) ঢাকা -১০০০। মূল্য মাত্র ২০ টাকা। ইচ্ছে করলেই আপনি গ্রাহক ও পাঠক হয়ে থাকতে পারেন তাদের পাশে। পাশে থাকুন।

২.
হালচাল
………

‘হালচাল’ জানুয়ারী- ফেব্রুয়ারি সংখ্যা ও অক্টোবর সংখ্যা আমাদের হাতে। ৮ম সংখ্যা।৩য় বর্ষ। অক্টোবর ২৪ মূলত ২৪ বিপ্লব সংখ্যা। তাদের স্লোগান ‘হালচাল’ নবীনদের ছোট কাগজ। ছোট কাগজের বড় দায়িত্ব পালন করছেন সম্পাদক। সম্পাদক মুহাম্মদ মুর্শিদুল আলম। প্রবন্ধ,রম্যগল্প,ছোটগল্প,কবিতা,ফিচার,সাক্ষাতকার সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি সংখ্যা। হালচালের চলমান সংখ্যাটি পরবর্তীতে ইতিহাসের উপাদান হবে, একথা বলা যায় জোর দিয়ে । জুলাই বিপ্লবে আলেম শিক্ষার্থী শহীদের প্রাথমিক তথ্য তালিকা যুক্ত করা একটি ঐতিহাসিক কাজ হয়েছে। ৭৭ জন আলেম শহীদের নাম আছে এখানে। এটি প্রয়োজন ছিল। আরেকটি কাজ ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২৪ এর ঘটনাবলির টাইমলাইন সংক্ষেপে রেখে দিয়েছেন।
হালচালের সূচনা লেখাটি ঐক্য নিয়ে। জহির উদ্দিন বাবর ‘ ঐক্যে প্রাপ্তি,অনৈক্যে বিনাশ ‘ প্রবন্ধে ঐক্যবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা, অনৈক্যের কুফল বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ‘হালচাল’ পাঠ করলে জুলাই বিপ্লবের হালচাল উপলব্ধি করতে পারবেন পাঠক।

যখন পড়তে থাকবেন,’২৪ এর৫ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরবময় একটি একটি দিন। যে দিনটির কথা বাঙালী জাতি কখনো ভুলবে না। স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। (স্বাধীনতার দ্বিতীয় সূর্য : সা’দ মুহাম্মদ রিদওয়ান)।’ তখন মনে হবে পাঠক যেন জুলাইয়ের তপ্ত দিন অতিক্রম করছেন।

‘ঘন্টাখানেক পর সবাইকে হাজত থেকে বের করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে।প্রায় দশমিনিট ভ্যানে গাদাগাদি করে বসে- দাঁড়িয়ে থেকে গরমে অস্থির হয়ে উঠি আমরা,… আমাদের অবাক করে দিয়ে একেএকে সবাইকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয়।…ছেড়ে দেয়া হয় সবাইকে। হাজত থেকে বের হয়ে সংবাদ পাই,দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। (রায়হান আহমেদ তামীম)’। বাস্তবতা এমনই। বয়ানও ঠিক। স্বৈর হাসিনার নির্মমতা এতো বেশি ভয়ংকর ছিল যা কল্পনাও করা দুষ্কর। তার পালিয়ে যাওয়াটা আরও অকল্পনীয়। অন্তত তার কঠোরতার দৃঢ়তায় কেউ কল্পনা করতে পারেনি।কিন্ত জনতার রুদ্র রোষের সামনে ফ্যাসিস্টের কাঁচের ঘর ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ছিল। যারা বন্দি ছিল তাদের জীবন ছিল অনিশ্চিত। আগামী ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। কিন্ত মুহূর্তে পাল্টে গেছে সব। তাই তারা চোখের পলকে মুক্তি পেয়ে গেলেন। মুক্তি পেয়ে দেখেন আলো ফুটেছে। আঁধার পালিয়ে গেছে। নানা অভিজ্ঞতা ও নির্দেশনার গুচ্ছ প্রকাশই ‘হালচালে’র এ সংখ্যা। হালচালের লেখকগণ নির্দেশনায় বলেন পরবর্তী করণীয় কী? উবায়দুল হক খান লিখেন,’ এখন সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মূলোৎপাটন। প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি সেক্টরেই সংস্কার প্রয়োজন। নির্মূল করতে হবে দলীয়করণের মাধ্যমে গড়ে ওঠা স্বৈরাচারী ব্যবস্থা।’ হালচাল কওমীয়ানদের সাহিত্য পত্রিকা। লেখকদের পরিচয় আলেম, শিক্ষার্থী। তারা তুলে ধরেছেন নিজেদের কথা,দেশ নিয়ে ভাবনা,আগামীর করণীয়। প্রশ্ন উত্থাপিত হয় হুজুররা আগে কই ছিল? এই উত্তর জানা যাবে ‘ হুজুররা এতদিন কোথায় ছিল’ নিবন্ধে। লেখক দেখিয়ে দিয়েছেন আলেমদের অতীত কর্মতৎপরতা। ২০০ বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসে আলেম সমাজের রক্তদানের দৃশ্য অঙ্কন করেছেন শব্দের বুননে। তিনি বর্ণনা করেছেন বালাকোটে আলেমদের বীরত্বগাঁথা,বৃটিশ বিতারণে আলেমদের অবদানের কথা।ভাষা আন্দোলন,যুক্তফ্রন্ট গঠন,৬৯,৭০ র আন্দোলনে ওলামাদের ত্যাগের কথা, ২০১৩ সালে শাপলায় তাদের শহীদী কাফেলার বয়ানসহ সর্বশেষ ‘হুজুররা ২৪ এর বীরদের সমর্থন,পানাহার’র ব্যবস্থা ও মিছিলে ছিল। হুজুররা সর্বপ্রথম গনভবনের ব্যারিকেট ভেঙে ছিল।’ এসব লিখে রাখতে হবে। কেন লিখে রাখতে হবে তার কারণ লেখকের বয়ানেই শুনুন, ‘ হুজুরদের এত সীমাহীন ত্যাগ- তিতিক্ষা ও জান- মাল সবকিছু অস্বীকার অপচেষ্টা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে…।’ হালচালে প্রকাশিত দিনলিপি একটি পর্ব। এ পর্বে প্রায় ২০ জনের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ আছে।এগুলো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বয়ান। ইতিহাসের দলিল।গল্প, কবিতা,রম্য প্রবন্ধ,স্মৃতিগদ্য সবগুলোই ঘটনার টাটকা স্মৃতি।

স্বাধীনতা ২.০:মুহাম্মাদ তাওসীফ আহমাদ,স্বাধীনতার দ্বিতীয় সূর্য: সা’দ মুহাম্মদ রিদওয়ান,স্বাধীন দেশের আশা ও প্রত্যাশা: ফয়জুল্লাহ রিয়াদ।

মুক্তগদ্য লিখেছেন,মাহমুদ হুজাইফা,তাসনীম আহমাদ।
‘স্বৈরাচারের পূর্বাপর ‘ ছোটগল্প খালিদ নিশাচর।গল্প লিখেছেন,এনামুল হক ইবনে ইউসুফ,নুরুল্লাহ বখ্ত প্রমুখ।
চব্বিশের নব স্বাধীন বাংলাদেশ,ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল,আমার দেখা রক্তাক্ত জুলাই,ছাত্র আন্দোলনের আমার প্রথম দিন,আমাদের মিছিল,টিয়ারশেলের মুখোমুখি, এ যেন এক গাজা উপত্যকা, শহীদের রক্তাক্ত লাশ,
এগুলো দিনলিপির শিরোনাম।আঁচ করা যায় কী থাকতে পারে লেখার ভেতরে।সাক্ষাৎকার ‘ ‘আয়নাঘর স্বাধীনতার অবরুদ্ধ আর্তচিৎকার ‘
মিডিয়ার কারসাজি নিয়ে আলাপ করেছেন আহমাদ যুবায়ের খান।কবিদের তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ।কবিতা লিখেছেন অনেকেই। কবিতায় আছে দ্রোহ,বর্তমানের বর্ণনা,জুলাইয়ের ভয়াবহতা ও নানা স্মৃতি। কবিতার নামে চর্চা হয়েছে মূলত ছড়া।পদ্যও আছে কিছু। ধারণা করা যায় কবিতায় নবাগত লিখিয়েদের উপস্থিতিই বেশি। কবিতা পর্বে যারা আছেন তাদের কয়েকজন রিদওয়ানুল্লাহ তানিম,আবির হাসান,বাসুদেব সরকার,মো. সাইফুল ইসলাম, জাদিদ মাহমুদ,সজীব আহমেদ,রাফি আল আহনাফ,উম্মে আইনাইন,মানসী খাতুন প্রমুখ। কবি হিসেবে তারা প্রতিশ্রুতিশীল। প্রত্যয়দীপ্ত ও দৃঢ় মনোবল তাদের । মাহফুজ রুমান খান নিজের প্রত্যয়কে ব্যক্ত করেন, ‘আমরা লড়ব আমরা ভাঙব/ রাখব ভালো দেশ,/ অত্যাচারীর গলা চেপে/ করব অসুর শেষ।’

‘হালচাল’ ২৪ এর আন্দোলন ইতিহাসের অংশ। ভবিষ্যতে এটি একটি উত্তম উপাদান হবে গবেষকের কাছে। অনুসন্ধিৎসু মনের হবে তথ্য ভান্ডার। ‘হালচাল’ সংগ্রহে রাখুন। দাম মাত্র ১০০ টাকা। ২০৮ পৃষ্ঠা, সুন্দর ছাপা, উন্নত কাগজ আর মজবুত বাঁধাইয়ের মানসম্মত একটি লিটলম্যাগ। সম্পাদক : মুহাম্মদ মুর্শিদুল আলম। প্রকাশনায় ওয়াফিলাইফ। ইসলামী বইমেলা বায়তুল মোকাররমে পাওয়া যায়। পত্রিকার পাতায় মুদ্রিত প্রাপ্তিস্থান : ওয়াফি পাবলিকেশন্স (মান্নান মার্কেট, নিচতলা।

এরপর থাকছে অন্য একটি সংখ্যার কথা। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন।

Exit mobile version