…………..
পঞ্চভূতের পান্ডুলিপি
…………..
অযুত প্রশ্ন হাতে জেগে থাকে রিক্তবক্ষ
অন্তর্দৃষ্টি রাতদিন অলৌকিক ঊর্ধ্বগামী
আকাশের আবাবিল একখণ্ড নীলাভ পাথর ফেলে যায়
ভস্মীভূত পঞ্চভূতের পান্ডুলিপি ওড়ে মরুঝড়ে হাবসি বেলালের পথেপথে
অদৃশ্য ছায়া অনর্গল রোদের পিঠে উঠে সুখসুখ খেলা করে
শুকনো খেজুর ডালে ফুটে উঠে ক্রীতদাসের অমলিন হাসি
………..…
অদৃশ্যের দৃশ্যপথ
…………..
চোখের জানালায় হালকা স্মৃতির শরীর
মনের ভিতর অবিরল বৃষ্টি ঝরে
অলীক ভাবনা ছেড়ে এসো যমুনায়
স্নান করি বিমুগ্ধ প্রত্যয়ে অরণ্যের সংজ্ঞা বুকে তুলে নিয়ে
অতীত যেখানে ধুয়েমুছে তরতাজা সবুজ হয় ভবিষ্যতের দীপ্ত বিশ্বাসে
অন্তিম জরা জয় করে ঘরগৃহস্থালি হোক সপ্তর্ষিমন্ডলে
অদৃশ্যর দৃশ্যপথে আয়ুর অশনি সংকেতে
………….
যায়যায় যায় সময়
………….
হলুদ কাগজের পাতায় স্বপ্নের ঘ্রাণ আগলে রেখে
ধূসর মেঘবুকে শুয়ে আছে বিপন্ন আকাশ
বিষন্ন মনে যুগান্তরের ক্লান্তি জোছনার জলে ভাসিয়ে
জেগে উঠো কুসুমের ভোর
খুলে দাও রাত্রির দোর
পায়েপায়ে পদচিহ্ন রেখে যাও
মিলনমোহনা বাঁকে
বিনম্র বিকেল হেসে উঠবে
ঠোঁটের বন্দরে অকুতোভয়
যায়যায় যায় সময়
………..
শেরপুর, বগুড়া।