নয়ন আহমেদ
…….
ধান
…….
হাজার খুদিরামের বুকে
সুপ্ত ছিল আগুনটা;
প্রীতিলতার আঁচলভরা
উৎসমূলের ফাগুনটা।
শরিয়তের পকেটভরা
বিপ্লবেরই সোনার ধান —
দ্রোহভরা অগ্নি নিয়ে
হেঁটেছিল তিতুর প্রাণ।
সিরাজসম আগুন ছিল;
গোলাভরা সূর্য!
আবু সাঈদ রক্ত ঢালে;
রক্তরাঙা পূর্ব
হাজার প্রাণে মুগ্ধ ছিল —
মুগ্ধরা কি রঙিন ধান?
পালিয়ে যায় দস্যুরা সব—
রৌদ্র ওঠে; ধরো গান।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
…….
ওরা
…….
আহাদ নাকি রোদ হয়েছে, সামির রাঙা ভোর —
ওই যে দেখ ভাঙছে কেমন আঁধার-কারা ঘোর!
শিকল পরার দিনের শেষে মুক্ত করে আলো—
ওরা কেবল ভালোবাসায় দূর করে সব কালো ।
আমরা যখন ভয়ের কোলে মাথা গুঁজে থাকি—
ওরা তখন বীর সেনানী — বীরোত্তমই ডাকি।
রিয়া, সাদ আর নাইমা যখন আনে নতুন দিন —
তখন বলি, দেখো দেখো — বিশ্বটা রঙ্গিন।
ইফাত আনে প্রাণ-ভোমরা— কৌটা ভরা হাসি;
এই হাসিটা জমা রাখতে অনেক ভালোবাসি।
হোসেন আনে বুকের আলো, তামিদ একটা নদী —
দুই কূলে তার কী যায়া। দেখতে তুমি যদি!
এমন করে হাজার শিশু রক্তে লেখে নাম —
গোলাপ হয়ে থাকুক ওরা। বুকের সমান দাম।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
……..
নতুন
……..
নতুন করে পড়তে গিয়ে খুলি গোলাপ-পাতা—
কাঁটায় ঘেরা গাছটি কেমন মেলছে ভাষার ছাতা;
এই ভাষাটার হৃদয় পড়ি; পড়ি ভোরের আলো—
এই ভাষাতে বিশ্ব গড়ি— দূর করি সব কালো ।
একটা গোলাপ ডেকে বলে, ন্যায়ের পথে থাকি;
দুগ্ধধবল সত্যিটারই বোঁটা ধরে রাখি।
এই পথেই যুদ্ধ আসে; এই পথেই লড়াই —
এই পথেই পৃথিবীকে নতুন করে পড়াই।
গোলাপ ফুলের ভাষার ভেতর লুকানো এক নদী;
মানুষ হবার মন্ত্র পাবে , স্বপ্ন পড়ো যদি।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
কবি ও সম্পাদক সাজ্জাদ বিপ্লবকে আন্তরিক ধন্যবাদ।