শ্রবনা অধিকারী
১.
একটি গোলাপের পাপড়ির মতন ফুটছে
ভালোবাসার কুঁড়ি
মনে একরাশ প্রজাপতির মেলা
আনমনে তপস্যা করে
প্রেমিক…
বহুদূরে আলোকবর্ষ
উদযাপন করে
দুটি হৃদয়ের
চিরন্তন মিলন।
ভোরের আলোর মতন ছড়িয়ে পড়ছে
ভালোবাসার রূপ
মনে শত শত দ্বীপ জ্বেলে
পূর্ণতার প্রতীক্ষায় প্রেমিক
তারপর…
একটু নির্জনে
ভেসে ওঠে
দুটি হৃদয়ের কামনার
অলিখিত দলিল।
২.
শরীরে পূর্ণিমার চাদর ঢাকে
দুধে আলতা বরণ যেন
প্রকৃতির আরেক রূপ
সোহাগ রাত আজ মোহময়ী ।
আলতো ছোঁয়ায় কায়া বিহ্বল
পাখির কুজনে শিহরিত মন
সর্বাঙ্গে আলোর ছটা
সানাইয়ের সুর মুড়ে রেখেছে
জোৎস্না মাখা সময়।
৩.
শিশিরের সঙ্গে ঘাসের যেমন নিবিড় প্রেম
তেমন করেই তোমার হৃদয়ের ঘরে
অবাধ বিচরণ–
সমুদ্র যেভাবে মিশে যায়
আকাশের কোলে
জীবনের রস আস্বাদন
করতে করতে
সেই সুরেই
তোমার মিষ্টি হাসির নেশাতুর রং
মেখে নিয়ে
জলকেলিতে মগ্ন।
৪.
নির্জন পুকুর ঘাটের গল্প
হারিয়ে যাওয়া শৈশবের গন্ধ
উৎফুল্ল যৌবনের জোয়ার
সরষে ক্ষেতে কিম্বা কাশবনের
বুকে সোহাগ লুকিয়ে
একটু একটু করে
বিনি সুতোর সংসার।
একমুঠো নুন ভাত
মনে মনে আনন্দের ঢেউ
একঘেয়েমির বারোমাস কে
বুড়ো আঙুল দেখানো
নিশ্চুপ প্রেমের বীজ বুনে।
৫.
নক্ষত্রদের ভিড়ে মুখরিত
আমাদের বন্ধন
নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া মুহূর্তের
উপহাস বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
দিব্যি সুখেই সহবাস
শান্তির সাগরে ডুব সাঁতার ।
আজন্ম কাল তপস্যার ফল
এমন করে সহজ ভাবে
ধরা দিল অধরার মাঝে।
৬.
শহরের চাকচিক্যের ভিড়ে
হারিয়ে না গিয়ে
পল্লী প্রকৃতির উপাসনা করে
তোমার ওই মায়াময় আঁখির
যোগ সাধনা করি অবিরাম।
শহরের আলোর রোশনাই
যান্ত্রিকতার বেড়াজাল ঠেলে
শূন্যে ঘর বাঁধতে অসীম চেষ্টা
করতে করতে
সূর্যোদয় দেখি
হাতে হাতে রেখে অপলক।