আশরাফ আহমেদ
মার্কোপোলোর কবরস্থানের সন্ধান শেষে আমরা আবার সান মার্কো জাহাজ ঘাটের দিকে ফিরে চললাম। আবার পথ হারিয়ে ফেললে পণ্য ফেরি করতে থাকা কয়েকজন বাঙালির স্মরণাপন্ন হলাম। তাঁদের নির্দেশিত পথে হাঁটতে হাঁটতে একটি মনোহারী-স্যুভেনিয়ারের দোকানে বাঙালি চেহারা দেখে আগ্রহী হয়ে উঠলাম। দোকানটি ছিল ভেনিসের অপরাপর দোকান ও রেস্তোরাঁর মাঝে একই সারিতে। ইতালিতে আসার পর বাঙালি যাদেরকেই পেয়েছি তারা হয় পথের পাশে দাঁড়িয়ে পণ্য ফেরি করছিলেন অথবা অস্থায়ী ঠেলাগাড়িতে দোকান সাজিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এই প্রথম একজনকে পেলাম যাকে একটি স্থাবর ঠিকানার দোকানি মনে হলো। সেদিক থেকে এটি ছিল ব্যতিক্রম। দোকানে ঢুকে মাঝবয়সী ভদ্রলোকের সাথে আলাপ করলাম। বরিশালের এই সন্তান বছর তিরিশ থেকে এখানে আছেন। এটি ছাড়াও আরো দুটি দোকান আছে এই ভেনিসে, যেগুলো তিনি বাঙালি কর্মচারী দিয়ে চালান। দুদিন পরেই এক মাসের জন্য দেশে বেড়াতে যাবেন। তাই আমাদের প্রয়োজন না থাকলেও কিছু কিছু জিনিস অল্প দামে আমাদের কাছে বিক্রি করতে চাইলেন। সান মার্কো জাহাজ ঘাটে আজ যে কয়েকটা জিনিস কিনেছি, তার তুলনায় এই দোকানের দাম যে আসলেই কম তা সহজেই বুঝতে পারছিলাম। এই স্থানটি শহরের ভেতরদিকে অবস্থিত বলে পর্যটকের পদচারণা কিছুটা কম। তাই হয়তো জিনিসপত্রের দামও কম।
এই দোকানের প্রায় উল্টোদিকে একটি বইয়ের দোকান। তিনটি বিশাল কাঁচের দেয়াল ভেদ করে ভেতরের সবকিছু স্পষ্ট দেখা যায়। সান মার্কো জাহাজঘাটের পুলের কাছে কিছুক্ষণ আগে ভেনিসের বিখ্যাত ও দর্শনীয় মার্সিয়ানা লাইব্রেরি ভবনটি দেখে এসেছি। সেই তুলনায় ঝকঝকে এই দোকানের সামনে কোনোই ভিড় নেই কিন্তু সবকিছু অত্যন্ত যত্নের সাথে সাজানো মনে হলো। ভেতরে যে কয়জনকে দেখা যাচ্ছে, সবাই খুব মনযোগের সাথে পড়ছে। আমার ঢুকতে খুব ইচ্ছা করছিল, কিন্তু অনেক্ষণ পেটে কিছু পড়েনি, আগে কিছু খাওয়া দরকার। আগামীকাল আবার এখানে আসা যাবে ভেবে দোকানটির অবস্থান মনে রাখতে একটি ছবি তুলতে গেলাম।
সেলফোন ক্যামেরা তাক করতেই কাঁচের দেয়ালে আমার দৃষ্টি আটকে গেল। সেখানে লেখা ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’। মার্চেন্ট অব ভেনিস? ঠিক দেখছি তো? আবার পড়লাম। না, ঠিক তাই লেখা আছে। অন্য দুই কাঁচের দেয়ালের একটিতে ইতালিয় ভাষায় ‘লিব্রারিয়া’ আর অন্যটিতে ‘স্টুডিউম’ লেখা আছে। দ্বিতীয়টিতে ইংরেজিতে ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’। খোঁজ নিয়ে জানলাম দোকানটির আসল নাম লিব্রারিয়া স্টুডিউম, বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘পড়াশোনার গ্রন্থাগার’। ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ দোকানটির একটি উপনাম মাত্র।
আমার আশ্চর্য হবার কারণ আজ থেকে সোয়া পাঁচশত বছর আগে, ১৬০০ খৃষ্টাব্দে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ নামের চমৎকার এই নাটকটি প্রকাশিত হবার পর থেকে গেল শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত এটি যে কতো ভাষায় ও কতোবার অভিনীত হয়েছে তার হিসাব হয়তো কেউ দিতে পারবে না। আমি স্কুলে পড়ার সময় আম্মার মুখে গল্পটি শুনেছি, এবং পরে শেক্সপিয়ারের অন্যান্য নাটকের বাংলায় গল্পরূপের অনুবাদও পড়েছি। কিন্তু চার দশক ধরে আমেরিকায় বসবাসের সময় একবারও এই শব্দত্রয়ের কোনো উল্লেখ কোথাও শুনিনি বা দেখিনি। নাটকের কাহিনী এবং পরবর্তী বিশ্বরাজনৈতিক ঘটনাবলী জানা থাকলেই এর কারণটি হয়তো বোঝা সম্ভব হবে।
এই নাটকে বোসানিও নামে ভেনিসের এক সম্ভ্রান্ত কিন্তু বিত্তহীন তরুণ ধনী সুন্দরী পোর্টিয়া’র পাণিপ্রার্থী হতে চায়। কিন্তু সেজন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বোসানিওর বন্ধু, ভেনিসের এক বনিক এন্টোনিও ধনী ও অর্থলিপ্সু ইহুদি শাইলক থেকে টাকাটি ধার করেন। ধারের শর্তটি ছিল এই যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে এন্টোনিওর বাণিজ্যতরীগুলো পণ্য নিয়ে ভেনিসে ফিরে এলেই ধারটি পরিশোধ করা হবে। আর কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে শাইলক সুদ প্রদানে অনিচ্ছুক এন্টোনিওর দেহের এক পাউন্ড মাংস কেটে নিতে পারবে। বোসানিও এবং পোর্টিয়ায় বিয়ে হয়ে গেল।
এদিকে খবর এলো ঝড়ের কবলে পড়ে এন্টোনিওর জাহাজগুলো ডুবে গেছে। ধার পরিশোধ করতে না পারায় সাইলক এন্টোনিওর দেহ থেকে মাংস কেটে নিতে উদ্যত হলো। স্ত্রী থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে বোসানিও ধারের দ্বিগুণ পরিশোধ করতে চাইলেও সাইলক তাতে রাজি হলো না। বিচারকের সামনে এন্টোনিওর উকিল তখন শাইককে বললেন, ঠিক আছে ধারের শর্ত অনুযায়ী তুমি ঠিক এক পাউন্ড মাংসই কেটে নিতে পারবে, এর এক তিল পরিমাণ কম বা বেশি কাটতে পারবে না। আর তাছাড়া মাংস কাটার সময় একবিন্দু রক্তও যেন না ঝরে, কারণ সেকথা শর্তে উল্লেখ নেই। উপায়ান্তর না দেখে সাইলক ধারের দ্বিগুণ অর্থ নিতে চাইলে উকিল বললো প্রথমেই যেহেতু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, শুধু দ্বিগুণই নয়, সম্পরিমাণ অর্থও আর সে ফেরত পেতে পারে না।
সাইলকের অপমান এখানেই শেষ হলো না। উকিল বললেন, মাংস কেটে নেয়ার নামে ভেনিসের নাগরিক এন্টোনিওকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে আইন অনুযায়ী বিদেশি ইহুদি শাইলক মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার অপরাধ করেছে। মৃত্যু থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় এই যে, শাইলক তার সম্পত্তির অর্ধেক এন্টোনিওকে এবং বাকি অর্ধেক ভেনিস রাষ্ট্রকে দান করে নিজে খৃষ্টধর্মে দীক্ষিত হয়ে যাওয়া। সাইলককে এর সবই মেনে নিতে হয়।
গল্পের এখানেই শেষ নয়। দেখা গেল বোসানিওর স্ত্রী পোর্টিয়া পুরুষের ছদ্মবেশ ধারণ করে এন্টোনিওর উকিল সেজেছিলেন, যা এন্টনিও নিজেও জানতেন না। আর এন্টোনিওর জাহাজগুলো আসলেই সাগরে ডুবে যায়নি। সেগুলোর ভেনিসে প্রত্যাবর্তনের সময়টি বিলম্বিত করা হয়েছিল এই পোর্টিয়ার কারসাজিতে। গল্পটি শেষ হয় বোসানিও এবং পোর্টিয়ার এক রহস্যময় কিন্তু রোমান্টিক ও কৌতুকপূর্ণ ঘটনার মাঝ দিয়ে।
বারবার ঘটনার নাটকীয় মোড় নিতে থাকা নাটকটি কেন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তা নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু শেক্সপিয়ার যে বিষয়টিকে এই নাটকের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন তা হচ্ছে তৎকালীন খৃষ্টীয় ইউরোপে ইহুদিদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী। এর প্রধান কারণ যীশুখৃষ্টের মৃত্যুর পর জেরুযালেমে নয়, খৃষ্টধর্মটি বিকাশলাভ করে রোমে, এবং যীশুখৃষ্টের মৃত্যুর জন্য জেরুযালেমের ইহুদি ধর্মগুরুরাই দায়ী বলে খৃষ্টানরা বিশ্বাস করতো। তদুপরি প্যালেস্টাইনের নিজভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে ধর্মীয় কারণে ইহুদিরা শুধু সঙ্ঘবদ্ধই থাকতো না, বিদেশের বিরূপ পরিবেশে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তারা নিজেদের গড়ে তুলতো শিক্ষিত, কর্মঠ এবং প্রভূত অর্থসম্পদের মালিক হবার উপযুক্ত করে। দীর্ঘ দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে শেষবারের মতো জেরুযালেম থেকে বিতাড়িত হলেও পৃথিবীর প্রায় সেব দেশেই ইহুদিরা আজও প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। কালক্রমে যোগ হয়েছিল তাঁদের অর্থলিপ্সা ও অর্থব্যায়ের কার্পণ্যের অপবাদটুকুও।
সব ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মতো ইহুদিদের মাঝেও কৃপণ ও মহৎ লোকের অভাব নেই। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় বসনিয়ার কসোভোয় মুসলমান নির্যাতনের প্রথম জোড়ালো প্রতিবাদ করেছিল ইহুদিদেরই আন্তর্জাতিক সংগঠন। ১৯৯১/৯২তে বন্যা দূর্গতদের সাহায্যার্থে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এক বৃদ্ধা ইহুদি মহিলা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এসে যতোদূর মনে পড়ে ৫০ হাজার ডলারের চেক দিয়ে গিয়েছিলেন। আমেরিকায় কোনো ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠী হিংসাত্বক ঘটনার শিকার হলে ইহুদি সঙ্গঠনগুলোই প্রথমে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। আমি নিজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণির দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি সেখানকার নীতিনির্ধারক ও কর্তাব্যক্তিরা প্রায় ক্ষেত্রেই ইহুদি ছিলেন। কিন্তু তাদেরই কয়েকজন আমার কাজের প্রসংসা করে আমার গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য তদবির এবং আমার চাকুরি স্থায়ীত্বের জন্য সুপারিশ করেছিলেন। অথচ তাঁদেরই নিজের ল্যাবে কর্মরত অন্য বিদেশি বিজ্ঞানীদের জন্য অনুরূপ সহৃদয়তা দেখাননি। কাজেই ইহুদিরা কৃপণ এবং অন্য ধর্ম-বিদ্বেষী, ঢালাওভাবে তা বোধহয় বলা যায় না।
অন্যদিকে একবার পকেটে ভাংতি না থাকায় সাথে থাকা এক ইহুদি সহকর্মীর কাছ থেকে একটি ডলার ধার নিয়েছিলাম। পরদিন থেকেই দেখি সে কারণে অকারণে আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। তৃতীয় দিনে সে বললো, আশরাফ তুমি যে সেদিন আমার থেকে একটি ডলার নিয়েছিলে সেকথা সম্ভবতঃ ভুলে গিয়েছো? আসলে ভুলে আমি যাইনি। ধারটি অবশ্যই আমি পরিশোধ করতাম, কিন্তু এর মাঝে কোনো দোকানে যাওয়া হয়নি বলে ভাংতি টাকা জোগাড় করতে পারিনি। ওর কথা শুনে দুঃখ জানিয়ে সাথে সাথে হাতের কাজ বন্ধ রেখে টাকা ভাঙাতে ছুটে গিয়েছিলাম। তেমন আরেকটি ঘটনা হচ্ছে আমাদের কফি ক্লাবের কেরানি এসে অভিযোগ করে বললো, আচ্ছা বলো দেখি আমি কি করি! এই তোমাদের সিনিয়র বিজ্ঞানী ডক্টর হিন্টন আছে না, তিনি এসে বললেন, আমি তো দিনে মোটে আধা কাপ কফি খাই সেজন্য ক্লাবের চাঁদা পাঁচ ডলারের পরিবর্তে এই আড়াই ডলার দিচ্ছি! কেরানিটি বললো আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারছি না।
যীশুখৃষ্টের হত্যা এবং ইহুদিদের বিত্তের প্রতি হিংসা এই দুটি উপাদানের সাথে স্থানীয় অধিবাসীদের থেকে নিজেদের আলাদা করে রাখার প্রবণতা মিলিয়ে প্রাচীনকাল থেকেই ইহুদিরা সমাজে খৃষ্টানদের চক্ষুশূল হয়ে বিরাজ করছিল। ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ এর মাধ্যমে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার শৈল্পিকভাবে তা সফলতার সাথে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন। এতে আছে যেমন বিনোদন, তেমনি দীর্ঘদিন পুষে রাখা খৃষ্টানদের মনের রোষ। ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের শুরুতেও মুসলমানদের সাথে ইহুদিদের সংঘাত ইতিহাসে লিপিবদ্ধ। নাটকটি তাই পৃথিবীর দুটি প্রধান ধর্মাবলম্বীদের কাছেই ছিল সমাদৃত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের হাতে নির্যাতিত হবার পর ইহুদি ধনকুবেররা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায় করে নেয়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ ও মিডিয়া, সর্বক্ষেত্রে তাঁদের প্রভাব এতোটাই হয়েছে যে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যীশূখৃষ্টের হত্যা, বা অর্থলিপ্সা বা অর্থকার্পণ্য অপবাদগুলো আর প্রকাশ্যে উচ্চারিত হয় না, লিখিতভাবে তো নয়ই। ইহুদি ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীরা হেয় প্রতিপন্ন হতে পারে তেমন কিছু স্কুলের পাঠ্যবই কিংবা অন্য কোনো বইতেও ঠাঁই পায় না। এটি শুধু রাজনীতির মাঝেই নয়, আমেরিকায় ব্যক্তিগত ও সামাজিক পর্যায়েও ইহুদিদের নিজেদের ভাবমূর্তি বা ইমেজ পরিবর্তনের উদাহরণ খুবই স্পষ্ট। পূর্বে উল্লিখিত আমার নিজের ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতাই এর প্রমাণ।
সম্ভবতঃ এইসব কারণে এখানকার স্কুল কলেজে প্রতিবছর ঘটা করে শেক্সপিয়ারের বিভিন্ন নাটক পড়ানো ও মঞ্চস্থ হলেও ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয় বলেও শুনিনি। আঁতেল আলোচনা যা-ই বা লেখা হয়, তা হচ্ছে শেক্সপিয়ার কি উদ্দেশ্যে বা কোন প্রেক্ষাপটে এই নাটকটি লিখেছিলেন, তা নিয়ে। আর নাটকটি মঞ্চস্থ হলেও সেটি হয় যুগে যুগে কৃষ্ণাঙ্গ এবং ইহুদিরা কীভাবে বর্ণ ও ধর্মবৈষম্যের শিকার হয়েছে তাকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে।
কাজেই আজ ইহুদিদের ইসরায়েল ও আমেরিকার ঘনিষ্ট মিত্র ইতালির অন্যতম শহর ভেনিসের রাজপথের পাশে একটি দোকানে ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ লেখাটি দেখে আমার আশচর্য হবার কথা বৈকি! হয়তো নাটকটির শৈল্পিক সৌন্দর্যের কথা ভুলতে চায় না বলেই দোকান কর্তৃপক্ষ এভাবে নাটকটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, একই নামে এখানকার একটি কোম্পানি দামি অনেক সুগন্ধি বা পারফিউম বাজারজাত করে থাকে। ধারণা করি এই দেশে লালিত ও প্রসার হওয়া খৃষ্টধর্মের অনুসারীদের কেউ কেউ এখনো মার্চেন্ট অব ভেনিস’ এর মায়া পুরোপুরি ত্যাগ করতে পারেনি।
১৭ই জুন, ২০২৩