spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদকবিতারহমাতুল্লাহ খন্দকার এর কবিতা

রহমাতুল্লাহ খন্দকার এর কবিতা

অধরা 

মেঠোপথে মেলা বসে শোনা যায় জীবনের গান 

পরাণ ব্যাকুল করে নলিনির প্রাণ ভরা ঘ্রাণ

নীলপরী ডানা মেলে নেমে এলে কবিতা কাননে

আনন্দ আলোরা নেচে ফেরে কাহ্নাই কবির মনে

মায়াবী ঘুমের গ্রামে জেগে থাকে স্বপনের দেশ

খোয়াবের খাঁজে খাঁজে বেঁচে থাকে জীবনের রেশ

আকাশে প্রদীপ জে¦লে যেতে থাকে মেঘেরা অধীর

সহসা পথের ধারে ঘসে পড়ে বরফশরীর

ভিজে যায় নদী, জল ভিজে জলে, জল সরোবর

কোনকালে কোন কবি লিখেছেন আজব খবর

জোনাকির চোখে চোখে ঝলমল যৈবন চলে

দুরন্ত দ্যুতিরা হেসে ভোরের শিশিরে গলে এসে 

গলে যায় দূরের স্বপন, মিছে আকাশের নীলে 

অনন্য অপ্সরা ধরে কি তবে এ সুন্দরম তিলে

লালচান চানবাতি ডুব দেয় দরিয়ার জলে

অধরা লালন পাখি উভচর যাযাবর চলে

উদ্বাস্তু বিষয়ক পদাবলি

তাহাদের বাড়িভরতি আমাদের আর্তনাদ শুনে যায় পর্যটকদল। অতিথি পাখিরা যেন নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্ত উড়ে যায়–এই লক্ষ্যে বহু দূর দেশ থেকে এসেছিলেন তাহারা আমাদের গ্রামে। পাখিদের অধিকার বিষয়ক তাহাদের কথাসকল অতীব মূল্য রাখে পরিবেশকর্মীদের কাছে। আমরা পাখিও নই, মানুষের অভিধানে লেখা নাই নাম। তাহাদের মতো তাই আমাদের বাড়ি নাই, বাসা নাই পাখিদের বনে। পথে পথে আমাদের ক্রমাগত রোদেপোড়া, ডুবেমরা যাযাবর দিনরাত কাটে। 

খানাখন্দ এ যাত্রার পথে খুলে দেখি খাম–উদ্বাস্তুলিপিতে আমাদের নাম। অভিবাসন মন্ত্রকে সুদূরপ্রসারী প্লান–জেনেভা ক্যাম্পের পাশে আমাদের বস্তি হবে আগামী বছর। আর যারা নাফ নদী পাড়ি দিয়ে যেতে থাকে স্বপ্নের-স্বর্গের দেশে। রোহিঙ্গাশিশুর মতো হবে তারা মূল্যবান বাণিজ্যফসল। বণিকসমিতি দেবে নিলামে বিক্রির ডাক। তাদের শোণিত-খুন শিরায় শিরায় ঢেলে হয়ে যাবে সজীব শ্মশান, বয়োজীর্ণ বসে বসে দেখবে পৃথিবীর আলো এইসব শিশুদের চোখে।

চিড়িয়াখানার মতো হনুমান সেলে হয়তো আরো কারো কারো শুরু হবে নতুন জীবন। পশু নিয়ে, পাখি নিয়ে শিশুদের সম্যক ধারণা দিতে মায়েরা এখানে আসে উৎসব-ছুটির দিন। শিক্ষাসফরের ফাঁকে প্রাণিবিদ্যার ছাত্ররা এখানে প্রাকটিক্যালের ক্লাস রাখে। 

তাহাদের দিকে যায় ক্ষুধার্ত হরিণ ছুটে। ভূমধ্যসাগর তীরে ভেসে থাকা আয়লান কুর্দির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে কত কেউ, মানবধর্মের নামে তারা ভাগ করে অনুভূতি ঘ্রাণ। প্রাণে প্রাণে কৌতূহল, শিহরণ তোলে। শিল্পিত সাহিত্য, তক্ককথা,পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি, আরো কতকি সৃজনীকলা নির্মাণে হবে জাগরণ। 

ইতিহাস লেখা হবে একদিন আমাদের আদিবাস নিয়ে। থাকবে না সেখানে হয়তো আমাদের নামধাম, পিতৃপুরুষের গ্রাম। বিলীন, নিচিহ্ন হয়ে যাবে সব সময়নদীর স্রোতে। এতটুকুন করুণা কেউ কেউ হয়তো করে যাবে–তাহাদের গোরস্তানে দেবে আমাদের ঠাঁই। সাজকাটা পাথরের গর্তে ভরে রেখে দেবে আমাদের মাটির কফিন। অতিথি পাখির চেয়ে এইখানে তবে আমাদের বেশি দাম! 

অকাল প্রসবে জন্ম আমি, অকালে মরণ, রাজা নই, তাই হয়নি মমি। সৌভাগ্য হয়েছে এই তবে–মরে গলে পচে যাবো, জৈবসার হবো একদিন! আমাদের হাড়হাড্ডি, রক্তমাংশ চুষে চুষে তরতাজা উঠবে বেড়ে তোমাদের সৌন্দর্যবাগান। তারপর আমাদের গোরগুলো ভাড়া হবে আমারি হন্তার কাছে। 

উপরে কি নিচে, মৃত কি জীবিত কোনোখানে আমাদের হয়নি বসত-বাগান। এইভাবে এইভাবে ‘জীবন’ ‘জীবন’ বলে মরণ-কাফেলা চলে ক্রমাগত কালের সড়ক ধরে।

আগুন ও জলের কাব্য

তুমি যে আগুন নিয়ে কবিতা বানাও–তাতে হাত দিলে দেখি

জলে ভিজে যায়

তুমি যে জলের কথা জানো–তাতে ডুব দিলে লেলিহান আগুনের

গান শোনা যায়

সমুদ্র প্রেমের টানে সূর্যের অনলে পুড়ে আকাশে আকাশে ভেসে যেতে

চায়

সহস্র বছর ধরে

নীরবে নিভৃতে সূর্য ছুটে চলে কোন লক্ষ্য ধরে সেই সমুদ্রের

বাসরশয্যায়

এখানে প্রাণেরা থাকে অন্তঃসলিলা পাথর ঘুমে সারা দিন বেলা

পাথরে পাথর ঘষে প্রাণে প্রাণে তারা এ কী করে খেলা

অগ্নি ও জলের কাছে প্রশ্ন করি–কি আসল তাহাদের রূপ

আগুন পানিতে কথা বিরহ প্রেমের গাঁথা নীরব নিশ্চুপ

যে আলোর মন কালো

সৌরলোকে খেলা করে তেজস্ক্রিয় ছাই।

মেঘমন্দ্রে ত্রস্ত-কাঁপে আমাদের গৌরব নিশান;

প্রাসাদের পেছন দরোজা দিয়ে

ভবিতব্যের সম্রাট যেতে থাকে নিরুদ্দেশ গন্তব্যের দেশে।

চুড়িপরা দুলপরা উত্তর-আধুনিক নক্ষত্রমালা শীতের লেবাস গায়ে

হেঁটে যায় মদপ্য বাতাসে দুলে।

অস্তায়মান আদমসুরুত নিশ্বাসে বিষ করে নিঃসারণ,

চন্দ্রবানু নাইয়রে গেছে, 

এই দুখে ধু ধু নদী—বিশীর্ণ বিশাখা শোকতাপ সয়ে।

সকল শুদ্ধতা নিভে গেলে জ্বলে শ্মশানে আগুন

এ আগুনে ভস্ম আলো,পুরাতন ইটের পাঁজরে কালো থাকে 

অবশিষ্ট পড়ে। 

খালি থাকে না কিছুই তবে— 

তারপর মৃত নগরীর খিলান খিলানে জ্বলে ওঠে আশ্চর্য নিয়ন বাতি

সে বাতির আলো মেখে কালো কালো রাত রাতারাতি হয়ে ওঠে 

শুভ্রশিষ্ট দিন। 

আর বন্দি দিনগুলো নিদানের দিন গোনে ব্রিফকেসে বসে।

মন্ত্র নয়, জাদুর চেরাগ নয় 

বুনো মহিষের মতো শিং নেড়ে লোকালয়ে নেমে আসে ব্রতভ্রষ্ট 

আলো— 

আগুনমুখো ড্রাগন যেন, মন যার কালো।

গদ্যকাল

এই গদ্যকালে সূর্য কেবল প্রখর হতে জানে

ভীষণ দৈত্যের মতো পা ফেলে সমুদ্র আসে রোষে।

শীতের তীব্রতা মেখে ফুলকলি হিম হয়ে জমে

আগুনের ফুলকি ছোটে রাক্ষসীর রক্তচক্ষু ফেটে।

রতিক্লান্ত পুরুষেরা শুয়ে আছে তন্দ্রা মেখে চোখে

মাংসাশীর নখরে বিক্ষত বেদনার নীল শাড়ি।

বিধ্বস্ত মায়ের দেহে হামাগুড়ি অবুঝ শিশুর—

মা মা বলে কেঁদে ওঠে; তবুও থামলো না নরপশু।

খানাখন্দে হতাহত মৃদুমন্দ বায়ুর শালিক

দাবাগ্নি দানব এসে দাহ্য করে গোলপাতা ঘর।

কানাপ্রেত ঠুকে যায় বকুলের কপালে পেরেক

বিপরীতে বিষবৃক্ষ বেড়ে ওঠে শিং নেড়ে নেড়ে।

চলেছে নদীরা নরকের রক্ত-বমি-পুঁজ বেয়ে

পবিত্র পাথর কেটে চলে যায় সাম্রাজ্য সড়ক। 

সকল আর্দ্রতা মুছে দিতে কেবলি রৌদ্রের জ্বালা

বারুদের গন্ধ এসে ম্লান করে শিশিরের ঘ্রাণ।

মড়ক ধরেছে বনে; মন পচা কাঁঠালের মতো

মোড়লের সর্বাঙ্গ ছড়ায় দেখ সামাজিক ক্ষত।

হায়েনা

কতদূর সমুখে গিয়েছে তারা, জানি না তা।

শুধু এইটুকু বলা—আবার চলেছে তারা ভীষণ জঙ্গলমুখে

পাথরে পাথর ঘষে জ্বলে না আগুন বটে, তবে

তারা জ্বেলে রাখে চিরন্তন চিতা ধিকিধিকি ঘৃণার অনল।

এমন অরণ্য ছিলো—যেখানে পৌঁছেনি আলো কোনোদিন

প্রাসাদগুহায় চোখ মেলে দেখি আজ সেই অরণ্য প্রাচীন,

সেখানে ওড়ে না প্রজাপতি, ছায়াহীন মেঘ করে বিচরণ।

হায়েনার মতো হিংস্র অর্বাচীন ধরে না শিকার নিশীথের অন্ধকারে, 

চাষির উঠোনে নামে তবে বুনো শূকরের দল দিবস-দুপুরে।

এই তো, সে হরিণশাবক গুম হয়ে গেলো কাল কিংবা 

এলো না ডেরায় ফিরে দুরন্ত ছেলেটি আর 

অথবা লেকের ধারে পড়েছিল মেহেদি রাঙানো কুমারীর কুটিকুটি

হাতের আঙ্গুল।

এভাবে নাফের স্রোতে ভেসে থাকা রোহিঙ্গা শিশুর পচা-গলা লাশ

দেখে দেখে ফিরে যাও আকিয়াবে—দেখ, রাখাইন দানবের মতো 

হায়েনারা মেতেছে মচ্ছবে।

এতোদূর এগোলো সময়

অভয় আশ্রমে আজ বেশি আততায়ী ভয়।

একবিংশ

সেই সব রাতের কথা বলিনি আমি।

একবিংশ শতাব্দীতে রাত বলে কিছু নেই—

নতুন দিনের আলো, আঁধার দেখে না পেঁচা আর দিনে

সন্ধ্যায় যায় না নীড়ে ফিরে পাখি।

ঘর বলে অবশিষ্ট থাকে শুধুই খোয়াড়

বিস্তীর্ণ খামারে একসাথে ঘাস খায়

শিক্ষিত সহিসকুল, তাদের ভাগাড়ে প্রেম নেই,

গণিকার ঘ্রাণ ভাসে মৃদুমন্দ বাতাসে বাতাসে। 

দিনের পতাকা ওড়ে, পড়ে কাঁদে অভুক্ত ক’দিন

এক বৃদ্ধ কুকুর রেডিসনের সামনে-পেছনে।

কোয়ার্ক কাহিনী

এখন পিরীতি হয় দু বৃক্ষের ডালে

আমগাছ চুমো খায় কুলের কপালে

খরায় তমাল বনে ওষ্ঠাগতপ্রাণ

খেজুর হৃদয় কেটে রস করে দান

ঝোপঝাড়ে কানাকানি             কী জানি কী কথা

তাদের সম্মানে বয় ঘন নীরবতা

বালি বিন্দু বলি হয়           অট্টালিকা প্রেমে

প্রিয়মুখ ধরে রাখে মরা কাঠ ফ্রেমে

ইটসুরকি জড়াজড়ি জীবনমরণ

এক পথে শুয়ে দেখে             একই স্বপন

কোন প্রেমে মজে মেঘ            ঝরঝর ঝরে

নদী বেয়ে ফিরে যায়             সাগর-উদরে

বিরহ আগুনে পোড়ে             আকাশ-জমিন

কোথায় মিলন হবে কবে সেই দিন

তারাদের গান

ঝড় ও বৃষ্টির রাতে তারা তারা ধরে খায়। তারা থাকে ওত পেতে কৃষ্ণবিবরে, তা দেয় গোঁফে, প্রতি প্রতিকূল রাতে নেমে আসে তারা তারাদের বনে। খপ করে ধরে ফেলে সাপ লাল তারাপুঁটি। কামিনী একটি তারা, শালুক একটি তারা, শাপলা একটি তারা। লক্ষ লক্ষ তারা ফুটে থাকে সেই বনে। তারা পরস্পরে কথা কয় কানে কানে। মৃত্যুর আগে কী কথা বলেছিল মেয়ে ছেলেটির কানে। সেই থেকে ছেলে প্রতি অমাবস্যা রাতে আসে গ্রামে। উঠোনে বিছিয়ে গামছা শুয়ে থাকে নির্ঘুম, নিঝুম রাতে। আকাশে তাকিয়ে থাকে শুনতে গান তারাদের। সারারাত যায়— তারাদের গান নেই, হাসি নেই, রাত থমথম। অবশেষে শিশিরে অঝোরে ঝরে পড়ে রোদেপোড়া বকুল-মুকুল। এই শোকে বাতাসে ছড়ায় বিহগ বেদনার সুর। যমুনার দুকূল মাতম করে, অশ্রু ঢেকে রাখে কাশফুল হেসে। সহসা নৈঃশব্দ ভাঙে দুপাড়ের দুই ট্রেনে। হায়!‘লালমনি’ কাঁদে করুণ পশ্চিমে, পুবে ‘সিল্কসিটি’ সেই কান্না নিয়ে ফিরে যায় আবার পশ্চিমে।

এইভাবে দিনরাত… যাবে আজ তারাদের একদল আরেকটা নতুন নগরে।  হয় তো লোকাল বাসে ঠেসে কিংবা ট্রেনের ইঞ্জিনে— সেই অন্ধবিবরে। কিংবা হতে পারে এটাই এপারের জীবন্ত নরক।

এইসব তারা নিয়ে আমি লিখি গান তোমাদের চোখের পাতার পরে।

পূর্ণযতির পরে

দ্রুত বাড়ে কদলিকা। বাড়তে বাড়তে সব টিকটিকির 

লেজের মতোন খসে পড়ে শেষে। কেউ কিন্তু রাখতে

পারে না মুখোশ ধরে। একটা রাবার টেনেটুনে

বাড়ানো যতই হোক অতঃপর থাকে তথৈবচ। 

পেশির বড়াই করে হিটলার গেলো গর্তে ঢুকে,

আত্মাহুতি ক্লাইভের শেষ আর মীর জাফরগং, 

বুশ আঁস্তাকুড়ে পচে চিরদিন। বিদায় বিদায়,

শ্যারন, শাহান শাহ, সম্রাট, অসুর, চণ্ড, মুণ্ড।

যৌবনের গান গেয়ে নজরুল গেলেন শৈশবে

প্রবীণ রবীন্দ্রনাথ অবশেষে তুলি নিয়ে হাতে 

ক্যান্ভাসে দিলেন হামাগুড়ি। বুড়োখোকা- আঁকিবুঁকি,

জোড়াতালি। যেন সেই নাগরদোলা পৌনঃপুনিক।

আদিতে একটা বিন্দু ছিল। সুক্ষ্ম, ক্ষুদ্র সেই বিন্দু

অদ্ভুত, ধারণাতীত এক চিন্তার মতোন। ধরা

যায় না, যায় না ছোঁয়া। হঠাৎ প্রচণ্ড চাপে কাঁপে,

ফেটে যায়, বিস্ফারিত হয়। কিন্তু অশেষ আধার

জ্যোতির্ময় ছুটে চলে, বেলুনের মতো শুরু করে

ফোলা। ঊর্ধ্বে ছুটে গুলি ফিরে যায় পুনরায় নলে। 

সেই ক্ষুদ্র বিন্দুতেই দশ মাস দশ দিন ছিল

তাবৎ সংসার, ছিল সব শিশু জড়াজড়ি ধরে।

এ জন্য কেউ-ই যেন ক্ষুদ্রত্বকে অতিক্রম করতে

পারে না। আইনস্টাইন ছিলেন তবে বালুর ক্ষুদ্র

এক কণা থেকে ক্ষুদ্র কিংবা ক্ষুদ্রাতীত বিন্দু আরো;

ক্ষুদ্রত্বকে বিদীর্ণ করেন— নন তিনি তো বিজ্ঞানী।

তিনি এক কবি অলৌকিক আলোর পেখম পরে 

ওড়েন বিন্দুর বাইরে, ওপরে পূর্ণযতির পরে…

রহমাতুল্লাহ খন্দকার ১৯৭৪ সালের ১ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার কুড়া উদয়পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ মাস্টার্স এবং পাবনা আলীয়া মাদরাসা থেকে হাদিস বিষয়ে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখালেখির শুরু কৈশোরে। ছাত্রজীবনে তিনি ‘কলম সৈনিক’‘মুক্তির স্টেনগান’ লিটলম্যাগ সম্পাদনা করেছেন। তার সম্পাদিত ‘বর্গমূল’ লিটলম্যাগ সাহিত্যপ্রেমীদের নিকট ব্যাপকভাবে সমাদৃত। 

লেখালেখির ক্ষেত্রে রহমাতুল্লাহ খন্দকারের কাজ বহুমাত্রিক। ২০০০ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই ‘এক এবং সমন্বিত শূন্যাবলি’। তার প্রকাশিত অন্যান্য কবিতার বই ‘বৃত্তবিসর্গে বিন্দুর খেলা’ (২০০৫), ‘নেই দৈর্ঘ্য প্রস্থ বেধ’ (২০১১), ‘যে আলোর জিভ কালো’ (২০২১) ও ‘আগুন ও জলের কাব্য’ (২০২১) । ছোটদের জন্য তার লেখা ছড়ার বই– ‘হলদে পাখি’ (২০১২) ও ‘মেঘের ভেলা তারার মেলা’ (যন্ত্রস্থ)। তার লেখা গবেষণাধর্মী বইয়ের মধ্যে রয়েছে, ‘অল্লাহ্ তা‘আলার অস্তিত্ব : বিশ্বাস ও যুক্তি-প্রমাণ’ (২০০৯), ‘তর্কবিতর্কের আবর্তে ইসলামী দল’ (২০১৩), ‘মাকাসিদ আশ্ শারী‘আহ্ ও ইসলামের সৌন্দর্য’ (২০১৫) এবং ‘ইসলামী ব্যাংকিং ও বাণিজ্যিক পরিভাষা’ (২০১৯)। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাহিত্য, অর্থনীতি, ব্যাংকিং ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রচুর লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ