সাবিনা ইয়াসমিন
অনিমেষ মণ্ডলের সম্পাদনায় পূর্বমেদিনীপুরের ঝাওয়া থেকে সম্প্রতি তৈমুর খানকে নিয়ে ‘ঐশিক’(তৃতীয় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা,,সেপ্টেম্বর ২০২৩) পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে।এতে মোট দশটি প্রবন্ধ, একটি সাক্ষাৎকার এবং দশটি কবিতা রয়েছে। নয়ের দশকের বিশিষ্ট কবি তৈমুর খান একাধারে গদ্য ও কবিতা লিখে গেছেন। এই সংখ্যায় কবির একুশটি কাব্য, সাতটি গদ্যগ্রন্থ, একটি গল্প গ্রন্থ ও একটি উপন্যাসের উল্লেখ আছে। কবির সংঘাতময় জীবন, গদ্য ভাবনা এবং কবিতা ও কবির ভাষাশৈলী নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে লেখকরা বিশ্লেষণ করেছেন। কলকাতা থেকে বহুদূরে বীরভূমের এক গ্রাম্য রুক্ষ প্রান্তিক এলাকায় কবি বসবাস করেও সাহিত্যে যতটা অগ্রগতি লাভ করেছেন তা আজও অনেকেরই অজানা। এই সংখ্যাটি হাতে নিলে বোঝা যাবে কবিপ্রতিভার উচ্চতা কতখানি। লেখক তালিকায় এই মুহূর্তের বিদগ্ধ কবি-সম্পাদকেরাই রয়েছেন। যেমন: সুনীল মাজি,ফজলুল হক, শুভঙ্কর দাস, বাবলু সরকার, আবু রাইহান, আবদুস সালাম, সুপ্রভাত শীট, নাসির ওয়াদেন, অংশুদেব, বিকাশ চন্দ প্রমুখ। সংখ্যাটির সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে “তৈমুর খান মূলত নব্বই দশকের কবি ও গদ্যকার। বাংলা সাহিত্যের নিরলস অক্ষরকর্মী। সাহিত্যচর্চায় তিনি যেমন সাবলীল, তেমনি সাহিত্য আলোচনায় মগ্ন পাঠক ও প্রাজ্ঞ আলোচক। আবার মরমি সাহিত্যিকও। জীবনের বিচিত্র পথ অতিক্রম করেছেন। তাঁর সৃষ্টিতে বারবার ধরা পড়ে প্রান্তিক জীবনের প্রতি গভীর সহানুভূতি। সমাজ রাষ্ট্রের পীড়ন, বৈষম্য, দীনতা, ধর্মীয় সংকীর্ণতা কবিকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। তাঁর অনন্য বীক্ষণে, উপলব্ধিতে সে সবই উঠে আসে।” সম্পাদক যেন সব কথাই বলে দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও কবি অকপট হয়ে উঠেছেন। যশ-খ্যাতির ঊর্ধ্বে নিভৃতে সাহিত্য সাধনাকেই জীবনের সঙ্গী করেছেন। নির্বাচিত দশটি কবিতা মর্মকে আলোড়িত করে। কবির গদ্যশৈলীও প্রাঞ্জল, ভাবময়, হৃদয়স্পর্শী; সুনীল মাজি তা লেখায় তুলে ধরেছেন। ভবিষ্যতে কোনো গবেষকের কাছে সংখ্যাটি মূল্যবান হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য। যোগাযোগ: অনিমেষ মণ্ডল, ঝাওয়া মান রাউৎ বাড়, ডাকঘর-ঝাওয়া, জেলা: পূর্বমেদিনীপুর-৭২১৪৫০, চলভাষ: ৯৬০৯৪৬৩৬৫৯, মূল্য ১০০ টাকা।