spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদগদ্যজাহিদ হায়দার

লিখেছেন : কাজী জহিরুল ইসলাম

জাহিদ হায়দার


কাজী জহিরুল ইসলাম

আপনারা মদ্যপান করেন তো? প্রশ্নটি করেই ছয়টি এফেস বিয়ারের ক্যান আর একটি বখদু ওয়াইনের স্লিম বোতল ফ্লোরের ওপর সাজিয়ে রাখলেন জাহিদ হায়দার। তাঁর সঙ্গে মদ্যপানের এ-ঘটনাটির মধ্য দিয়েই আমার নিবিড় সখ্য গড়ে ওঠে। এটি ২০০০ সালের এপ্রিল মাসের ঘটনা, তখন আমরা কসোভোর একটি ছোট্ট শহর, ভিটিনায়। কবে, কখন কবি জাহিদ হায়দারের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ঠিক মনে নেই। তবে সেই বছরই জানুয়ারীর শেষের দিকে টিএসসিতে তাঁকে দেখেছি জাতীয় কবিতা উৎসবের জন্য মফস্বল থেকে আসা কবিদের কবিতা সম্পাদনা করতে। তখন ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কয়েকটি কথা হয়েছিল বলে মনে পড়ে। এর আগের আর কোনো স্মৃতি মনে পড়ছে না।

এপ্রিলের শেষে আমি যখন কসোভোর আঞ্চলিক শহর জিল্যানে পৌঁছাই তখন অন্যদের চেয়ে আমি একটু বেশিই এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ আমি জানতাম এই রিজিয়নেই পোস্টিং হয়েছে জাহিদ হায়দারের। আমাকে আগামী ছয়মাস কবিতার আড্ডাবিহীন কাটাতে হবে না। এই ট্রেইনিং, সেই ট্রেইনিং, ব্রিফিং, মিটিং ইত্যাদি শেষে যখন রাতে আলজেরিয়ান সুন্দরী, রিজিয়নাল কোঅর্ডিনেটর লুলু, আমাদের তুর্কি রেস্তোরাঁ কোনাকুতে খাওয়াতে নিয়ে গেল, তখন আমি জিজ্ঞেস করি, জাহিদ হায়দার নামে কোনো বাংলাদেশিকে চেনো? লুলু ওর গলাটা বাড়িয়ে আমার কানের কাছে মুখ এনে বলে, চিনি, সারাদিন ঘুমায়। আমি চোখ বড় বড় করে লুলুর দিকে তাকালে ও বলে, প্রমাণ চাও? সাথে সাথেই লুলু কোমর থেকে রেডিও খুলে জাহিদের কল সাইন ধরে ডাকাডাকি শুরু করে কিন্তু অপর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

পরদিন রকিব মণ্ডলকে এ কথা জিজ্ঞেস করি, রকিব আর জাহিদ একই সাথে, আমাদের চেয়ে দুমাস আগে, কসোভোতে এসেছে জাতিসংঘে কাজ করতে। রকিব হাসতে হাসতে মরে যায়। আরে জাহিদ তো ওর রেডিওর প্যাকেটই খোলেনি। খাটের নিচে রেখে দিয়েছে।

আমরা ভিটিনায় পৌঁছানোর প্রায় বিশ ঘণ্টা পর তিনি আমাদের খোঁজ নিতে আসেন। অথচ তাঁর বাসা থেকে আমাদের বাসা ৫ মিনিটের হাঁটাপথ। জাহিদ হায়দারকে পেয়ে আমার খুব মজার সময় কাটতে লাগল। পরদিন তাঁর বাসায় অনেক রাত অব্দি আড্ডা দিই। ত্রিশের দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত কে কেমন কবিতা লিখেছে এইসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। তিনি তাঁর সদ্য লেখা কবিতাগুলো পড়ে শোনান। আমার সাথে কবিতার খাতাটি ছিল না বলে বেশ দুঃখ পেয়েছিলাম। কবিতা ছাড়াও আমরা নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করি, বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, কসোভোর আলবেনিয়ানদের আমেরিকা-প্রেম, উদ্ভিন্ন যৌবনা নারীদের রূপ-যৌবন কোনো কিছুই বাদ যায়নি।

জাহিদ হায়দার মিতব্যয়ী, সৎ এবং নৈতিকতাবোধসম্পন্ন মানুষ। অপ্রয়োজনে একটি পয়সাও যেমন ব্যয় করেন না আবার প্রয়োজনের সময় ব্যয় করতেও কার্পণ্য করেন না। একবার আমরা সবাই মিলে গেলাম আলবেনিয়ার সীমান্ত এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে। পাহাড় থেকে নেমে আসা খরস্রোতা নদীতে জালের বাঁধ দিয়ে ওরা ট্রাউট মাছের চাষ করে। সেই জ্যান্ত মাছ ধরে সাথে সাথে গ্রিল করে, লেটুশ, ফাফারোনি, টমেটো, পিয়াজ দিয়ে পরিবেশন করে। অসাধারণ স্বাদ। একদিকে উঁচু পাহাড়, অন্যদিকে কলকল করে ছুটে চলা পাহাড়ি নদী। যত দূর চোখ যায় শুধু পাহাড়ের সবুজ ঢেউ আর নীল আকাশ। পরিবেশের কারণেই খাবারের স্বাদ এবং দাম দুটোই বেশি। আমাদের মধ্যে একজন ছিলেন হাড়কিপটে খুরশিদ আনওয়ার। তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, বলেন, আমি মাছ খাই না। আমরা বুঝতে পারি, দাম বেশি বলেই তাঁর এই অনীহা। খুরশিদের এই কৃপণতা নিয়ে জাহিদ খুব দার্শনিক একটি ব্যাখ্যা দেন। আমরা পয়সা ব্যয় করে আনন্দ কিনছি, ও পয়সা বাঁচিয়ে ঠিক একই আনন্দ পাচ্ছে। ভাববেন না যে ও মাছ না খেয়ে কষ্ট পাচ্ছে।

জাহিদ হায়দারসহ অন্য সকলেই ২০০০ সালের শেষের দিকে ঢাকায় ফিরে আসে। কিন্তু জাতিসংঘ আমাকে রেখে দেয়। আমি দেশে ফিরি ২০০৩ এর এপ্রিলে। ভালো কথা, জাহিদ হায়দার কিন্তু একজন হস্তরেখাবিদ। আমার হাত দেখে তিনি যা যা বলেছেন প্রায় সব ঠিক হয়েছে। প্রথম সপ্তাহেই তিনি আমার হাত দেখে বলেন, আপনার তো সারা জীবন বিদেশে বিদেশেই কাটাতে হবে। আমি দেখেছি মানুষকে সাহায্য করার জন্য সব সময় জাহিদ হায়দারের হাত বাড়ানোই আছে। আমাকে বলেন, আপনি প্রিস্টিনায় গিয়ে ওয়াহাব ভাইয়ের সাথে দেখা করেন। তিনি বড় পদে আছেন, আপনার লাইনের লোক। আমি দেখা করি। এবং এর কিছুদিন পর এক দুপুরে জাহিদ হায়দার আমাকে মিটিং থেকে টেনে বের করে বলেন, আপনার ভালো খবর আছে, ওয়াহাব ভাই আপনাকে দেখা করতে বলেছেন। আমরা সবাই কসোভোর ভোটার অ্যান্ড সিভিল রেজিস্ট্রেশনের কাজ করতাম। অক্টোবরে কাজ শেষ। সবাই দেশে ফিরে আসে কিন্তু আমি কাজ পেয়ে যাই মিশন সদর দফতরের প্রশাসন বিভাগে।

ঢাকায় ফিরে এলে জাহিদ হায়দারের সাথে আমার বন্ধুত্ব আরো সঘন হয়। সপ্তাহে একদিন তো আমাদের দেখা হতোই। কোনো সাহিত্য-আড্ডায় গেলে আমাকে নিয়ে যেতেন। রাইটার্স ক্লাবের এমন এক আড্ডায় পরিচয় হয় কবি মাহবুব হাসানের সাথে। হঠাৎ একদিন তিনি আমাকে বলেন, আমি সারাজীবন আপনার সাথে বন্ধুত্বটা রাখব। তখন আমাদের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব, এর মধ্যে এই কথা বলার কারণ কি? তিনি বলেন, আমি জানি আপনার বাসায় সব সময় দামি দামি মদের মজুত থাকবে। আমি হো হো করে হাসি।
২০০৭-এ স্কলার্স পাবলিশার্স আমার ‘সৃস্টিপুরাণ ও অন্যান্য লোককথা’ বইটি বের করে। এনআরবি কনফারেন্সের অংশ হিসেবে বইটির ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠান হয় শেরাটনে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি আসাদ চৌধুরী, আলোচনা করেন শামসুজ্জামান খানসহ অনেকে। সেই অনুষ্ঠানে জাহিদ হায়দারও ছিলেন, তিনিও আলোচনা করেন। তিনি আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, আমার বউ আমার চেয়ে জহিরকে বেশি পছন্দ করে। সে আমাকে বলে, তুমি জহির ভাইয়ের মত গদ্য লিখতে পারো না।
এরপর জাহিদ বলেন, কাল রাতে, আমার ছোটো ছেলে যীশ্নুর ঘরে বাতি জ্বলছে। রাত তখন বারোটা। আমি বলি যীশ্নু ঘুমাচ্ছো না বাবা? ও বলে, এই তো ঘুমাচ্ছি। এর পর দেখি রাত দুটোর সময় বাতি জ্বলে, আমি বলি, এখনো ঘুমাওনি? ও বলে, এই তো ঘুমাচ্ছি বাবা। এরপর তিনটার সময় বাতি জ্বলে। আমি তখন কিছুটা কৌতুহলী হই। এতো রাত অব্দি জেগে কি করছে আমার ছেলে। গিয়ে দেখি সে একটি বই পড়ছে। বইয়ের নাম ‘সৃষ্টিপুরাণ ও অন্যান্য লোককথা’। আমাকে ওর ঘরে ঢুকতে দেখে যীশ্নু খাটের ওপর উঠে বসে। এরপর বইটি দেখিয়ে বলে, বাবা শেষ না করে ঘুমুতে পারছি না।
২০০৯-এ প্রেসক্লাবে আমার তিনটি বইয়ের ওপর আলোচনা হয়। সেখানেও জাহিদ হায়দার। আমার সম্পর্কে মজার মজার গল্প বলে মানুষকে হাসান। অনুষ্ঠানের আগে কেউ একজন বলছিল, উনি এতোগুলো বই লিখেছেন, অথচ উনার নামও শুনিনি। ওই লোককে তখন কিছু না বললেও, জাহিদ হায়দার মূল আলোচনায় এর জবাব দিয়েছিলেন। আপনারা অনেকেই কাজী জহিরুল ইসলামের নাম শোনেননি। কারণ আপনারা পড়ালেখা করেন না। জহির নিয়মিত একটি পত্রিকায় লেখেন, যার নাম প্রথম আলো। আপনি যদি পত্রিকা না পড়েন চিনবেন কি করে?

কসোভোতে যখন ছিলাম, একদিন আমার ওপর জাহিদ হায়দার খুব রাগ করেন। বটল ওপেনার খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তিনি দরোজার হুক দিয়ে বিয়ারের বোতল খুলবেন এবং ঘটনাটি আমার শোবার ঘরে। পিঠের ব্যাথার জন্য আমি তখন মাটিতে, শক্ত বিছানায়, ঘুমাতাম। আমি তাঁকে বলি, বোতল ভেঙে ঘর নোংরা হবে, আমার বিছানা ভিজে যাবে, আমাকে দিন, আমি খুলে দেই। তিনি কিছুতেই হার মানবেন না। এবং শেষমেশ তাই হল, বোতল ভেঙে পুরো ঘর নোংরা হল। আমি এতে কিছুটা রেগে যাই। তিনিও রেগেমেগে আমার বাসা থেকে চলে যান। আমি ঘর সাফ করে তাঁর বাসায় যাই। গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করি। তিনি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।

ভাবীর নাম যুথি। যুথি ভাবী জাহিদ ভাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি ভালো। চমৎকার রান্না করেন। বেশ অনেকবার ভাবীর হাতের রান্না খেয়েছি সিদ্দেশ্বরীর বাসায়। খাওয়ার সময় পরম মমতায় পাশে বসে বেড়ে বেড়ে খাওয়ান।

আপনারা অনেকেই জানেন জাহিদ হায়দারদের পরিবারের অনেকেই লেখক। জিয়া হায়দার, রশিদ হায়দার, মাকিদ হায়দার, দাউদ হায়দার, জাহিদ হায়দার এঁরা সবাই সহোদর এবং সবাই ভালো লেখক/কবি। ভাইদের মধ্যে এতো চমৎকার মিল আমি খুব কম পরিবারেই দেখেছি। তাঁরা সবাই এঁকে অন্যের বন্ধু, সকল বিষয়ে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করেন এবং ছোটোরা বড়দের অসম্ভব শ্রদ্ধা করেন। তাঁরা সব ভাই একসাথে বসে মদ্যপান করেন, নিজেদের বান্ধবী (যাদের আছে) বিষয়ে কথা বলেন। জাহিদ হায়দারকে দেখেছি, ছেলেদের সাথেও তিনি একইরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করেছেন। ২০১৭-র গ্রীস্মে কোথাও যাওয়ার জন্য ফোন দেই জাহিদ হায়দারকে। বলেন, রশিদ ভাই একটি গল্প লিখেছে এটি তাঁর বাসা থেকে নিয়ে কোনো এক পত্রিকায় পৌঁছে দিতে হবে। কথাটি শুনে আমার যে কী ভালো লেগেছে, ছোটো ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করছেন ষাটোর্ধ এক তরুণ।

জাহিদ হায়দার এখন সারা শহর ঘুরে বেড়ান সাইকেলে চড়ে। পরিবেশ বান্ধব, সাশ্রয়ী এবং দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যায়। ঢাকা শহরের আজকের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্দিধায় বলা যায় জাহিদ হায়দারের সাইকেলে চলাফেরার সিদ্ধান্ত খুবই উপযুক্ত এবং দূরদর্শী।

অন্য অনেক লেখকের মতোই জাহিদ হায়দারও অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। নিজের লেখার সমালোচনা সহ্য করতে পারেন কম। আমি তাঁর কবিতা নিয়ে লিখেছিলাম। শুধু একটি একটি সমালোচনা ছিল, তাঁর কবিতা রসহীন। এতেই তিনি ক্ষেপে যান। অবশ্য এর পরে তিনি ২/৩ টি কবিতা লিখে আমাকে ইমেইলে পাঠান। এবং জানতে চান এগুলো কেমন লাগছে। অবশ্য টেলিফোনে এবং ইমেইলে তিনি একাধিকবার বলেছেন এই সমালোচনাটি তাঁর খুব কাজে লেগেছে। তিনি একজন সৎ মানুষ। আমি বিশ্বাস করি তিনি যা বলেছেন, তা মন থেকেই বলেছেন। আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু এখনো অটুট আছে। এ বছর আমার পঞ্চাশ পূর্তিতে যে ‘অর্ধশতকের উপাখ্যান’ বেরুলো, সেই ৪শ পৃষ্ঠার গ্রন্থে মাত্র একটি কবিতা ছাপা হয়েছে। কবিতাটি লিখেছেন কবি জাহিদ হায়দার। সেই কবিতাটি এখানে তুলে দিয়েই লেখাটি শেষ করছি।

।। আমার নামে একটি ফাইল খোলা হয়েছে।।

জাহিদ হায়দার

(বন্ধুবর কবি কাজী জহিরুল ইসলামের জন্য)

মানুষটা মধ্যরাতে বারান্দায় ব’সে
নক্ষত্রের সমাজ নামে একটি বই পড়ে।
মধ্যদিনে তার বউয়ের মুখ জানলায় কেউ যদি দেখে,
বলে: ‘দেখেছি চাঁদ।’ বিয়ের দশ বছর আগে দুজন
দুজনকে দিয়েছিল ফুল। তার দুই সন্তান দেবশিশুর মতো।
বাড়ি চিত্রা নদীতীরে। উচ্চবিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ায়।
ঢেউ তোলা চুল। দাড়ি নেই। শাদাকালো গোঁফ। অধূমপায়ী।
উচ্চতা পাঁচ ফিট আট ইঞ্চি হবে। জিন্স পছন্দ।
পকেটে চিরুনি রাখে না। কখনো কখনো দারুচিনি খায়।
কোনো কোনো রাতে কারওয়ান বাজারে শব্জির আড়ত দ্যাখে।
মনে হয় না পছন্দ করে চাঁদ। পূর্ণিমা ছিল। তাকায়নি।
একদিন দেখা গেছে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরছে।
চোখে-মুখে তখন ছিল আনন্দের ধারা।
পতন ধরার ভেতর কী খোঁজে?
লোকটি মাঝে মাঝে সব ধর্মগৃহে যায়।
তবে নামাজ, গীতা বা বাইবেল পড়ার সময় নয়।
প্যাগোডায়ও দেখা গ্যাছে। এই দেশে সিনাগগ থাকলে
মনে হয় সেখানেও যেত। নামে তো বলে মুসলমান।
মেয়ে মানুষের প্রতি বসন্তের টান আছে কি না বোঝা যাচ্ছে না।
একদিন পার্কে একটি নারীর সাথে দু’মিনিট কথা বলেছিল।
ওই নারীকে পরে জিজ্ঞেস করা হলে জানা যায়,
লোকটি তার কাছে জানতে চেয়েছিল,
গোলাপ ঝরে পড়ার সময় যে-শব্দ হয়
তা কখনো শুনেছে কি না।
দু’দিন আগে ফুটপাতে একটি ক্ষুধার্ত শিশুর কাছে
নতজানু হয়ে ক্ষমা চেয়েছে।
কোন রাজনীতি করে বোঝা যাচ্ছে না।
একদিন হাতে ছিল চে গুয়েভারার ডায়েরী।
একদিন ত্রিপিটক। অন্যদিন ‘বিশ্বনবী’।
মানুষটা খাঁচার মুখ খুলে দ্যায়। ওড়ায় পাখি।
আকাশে ডানার ঢেউ দেখে প্রসন্ন হাসে।

আরও কিছু রাষ্ট্রবিরোধী প্রবণতা দেখা দিলেই
গ্রেফতার করা হবে।

হলিস উড, নিউ ইয়র্ক। ৮ মার্চ ২০১৮।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

এ্যাডঃমনিরুল ইসলাম মনু on গুচ্ছ কবিতা : বেনজীন খান
পথিক মোস্তফা on সাক্ষাৎকার : নয়ন আহমেদ
সৈয়দ আহমদ শামীম on বাংলা বসন্ত : তাজ ইসলাম
Jhuma chatterjee ঝুমা চট্টোপাধ্যায়। নিউ দিল্লি on গোলাপ গোলাপ
তাজ ইসলাম on রক্তাক্ত স্বদেশ
আবু বকর সিদ্দিক on আত্মজীবনীর চেয়ে বেশি কিছু
ঝুমা চট্টোপাধ্যায়। নিউ দিল্লি। on জন্মদিনের কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
দিশারী মুখোপাধ্যায় on গুচ্ছ কবিতা : গোলাম রসুল
দিশারী মুখোপাধ্যায় on নির্বাচিত ১০ কবিতা : কামরুজ্জামান
তাজ ইসলাম on Menifesto of the Inevitable Revolution
কাজী জহিরুল ইসলাম on দীর্ঘ কবিতা : তাজ ইসলাম
দীপশিখা পোদ্দার on গুচ্ছ কবিতা : কাজল সেন
সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on গুচ্ছ কবিতা : তাজ ইসলাম
নয়ন আহমেদ on রবীন্দ্রনাথ
নয়ন আহমেদ on কিবরিয়া স্যার
বায়েজিদ চাষা on গুচ্ছ কবিতা : অরুণ পাঠক
আবু আফজাল সালেহ on দীর্ঘ কবিতা : অভিবাসীর গান
কাজী জহিরুল ইসলাম on রবীন্দ্রনাথ
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on গুচ্ছ কবিতা : হাফিজ রশিদ খান
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on অক্ষয় কীর্তি
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on অক্ষয় কীর্তি
নয়ন আহমেদ on আমার সময়
মোঃবজলুর রহমান বিশ্বাস on গুচ্ছ কবিতা : দিলরুবা নীলা
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
কাজী জহিরুল ইসলাম on অক্ষয় কীর্তি
Quazi Islam on শুরুর কথা
আবু হেনা আবদুল আউয়াল, কবি ও লেখক। on আমিনুল ইসলামের কবিতায় বৈশ্বিক ভাবনা
ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম, নওগাঁ সরকারি কলেজ নওগাঁ। on আমিনুল ইসলামের কবিতায় বৈশ্বিক ভাবনা
নয়ন আহমেদ on ঈদের কবিতা
নয়ন আহমেদ on ফেলে আসা ঈদ স্মৃতি
নয়ন আহমেদ on ঈদের কবিতা
পথিক মোস্তফা on ঈদের কবিতা
পথিক মোস্তফা on স্মৃতির ঈদ
পথিক মোস্তফা on ঈদ স্মৃতি
Sarida khatun on ঈদ স্মৃতি
নয়ন আহমেদ on ঈদ স্মৃতি
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on দীর্ঘ কবিতা : আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
পথিক মোস্তফা on শৈশবের ঈদ : একটি স্মৃতি
পথিক মোস্তফা on স্মৃতির ঈদ
নয়ন আহমেদ on স্মৃতির ঈদ
নয়ন আহমেদ on আমার ঈদ
নয়ন আহমেদ on ঈদের আনন্দ
শাদমান শাহিদ on শৈশবের ঈদ উৎসব
নয়ন আহমেদ on শৈশবের ঈদ উৎসব
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on সাম্প্রতিক কবিতা : নয়ন আহমেদ
মুস্তফা জুয়েল on আমি আর আমার গাযালি
কাজী জহিরুল ইসলাম on গুচ্ছ কবিতা : মুর্শিদ-উল-আলম
মোহাম্মদ মাহিনুর আলম (মাহিন আলম) on অপদার্থবিদ্যা
সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on দেশপ্রেমের ১০ কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
কাজী জহিরুল ইসলাম on বিশ্ববিচরণশীল কবিমানুষ
কাজী জহিরুল ইসলাম on বিশ্ববিচরণশীল কবিমানুষ
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on নির্বাচিত ২৫ কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
মোহাম্মদ মাহিনুর আলম (মাহিন আলম) on প্রিয়াংকা
প্রত্যয় হামিদ on শাহীন খন্দকার এর কবিতা
মহিবুর রহিম on প্রেম ও প্যারিস
খসরু পারভেজ on কাব্যজীবনকথা
মোঃ শামসুল হক (এস,এইচ,নীর) on সুমন সৈকত এর কবিতা
এম. আবু বকর সিদ্দিক on রেদওয়ানুল হক এর কবিতা